থাইল্যান্ডের ভিসা করতে কত টাকা লাগে - থাইল্যান্ডের ভিসা পেতে কত দিন লাগে? বিস্তারিত জেনে নিন?
আজকে আমরা জানবো যে বাইরের দেশে যেতে হলে থাইল্যান্ডের ভিসা করতে কত টাকা লাগে বাংলাদেশ অনুযায়ী। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে এই থাইল্যান্ডের ভিসা পেতে কত দিন লাগে বাংলাদেশ মানুষের। আসুন জানি?
ভূমিকাঃ
মানুষ বাইরের দেশে একমাত্র টাকা ইনকাম করার জন্য। যেটি পৃথিবীর সব মানুষের দরকারি একটি জিনিস। টাকা ইনকাম করার জন্য মানুষ বিভিন্ন দেশে গমন করে থাকেন। কেননা বাইরের দেশে কাজ করলে বেতন বেশি পাওয়া যায়। যেটি দ্বারা মানুষ তার সংসার চালাতে পারে।
![]() |
থাইল্যান্ডের-ভিসা-করতে-কত-টাকা-লাগে |
তাই আসুন জেনে রাখি যে, বাইরের দেশে বলতে থাইল্যান্ডের ভিসা করতে কত টাকা লাগে বাংলাদেশ রেমিডেন্স অনুযায়ী। যেটি দ্বারা যে কেউ ভিসা লাগাতে পারবে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে থাইল্যান্ডের ভিসা পেতে কত দিন লাগে বাংলাদেশ থেকে। নিম্নে বিস্তারিত.........।
থাইল্যান্ডের ভিসা করতে কত টাকা লাগেঃ
থাইল্যান্ডের ভিসা করার জন্য খরচ ভিসার ধরন এবং প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে। সাধারণত বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডের ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য ৩৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ফি দিতে হয়। এটি একক ভ্রমণের (Single Entry) জন্য প্রযোজ্য। যদি মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা প্রয়োজন হয়, তবে এর ফি বেশি হয়, যা ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া, যদি অন-অ্যারাইভাল ভিসা নেওয়া হয়, তাহলে থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর পর ভিসার জন্য প্রায় ২০০০ থাই বাহত (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬০০০-৭০০০ টাকা) দিতে হয়।
ভিসা আবেদন করার সময় ভিসা ফি ছাড়াও ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (VAC) সার্ভিস চার্জ দিতে হতে পারে, যা প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। তাই, ভিসার ধরন এবং প্রক্রিয়া অনুযায়ী থাইল্যান্ড ভিসার জন্য আনুমানিক খরচ ৪০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। সঠিক খরচের জন্য থাই দূতাবাস বা ভিসা আবেদন কেন্দ্র থেকে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া উচিত।
থাইল্যান্ডের ভিসা পেতে কত দিন লাগেঃ
থাইল্যান্ডের ভিসা পেতে সাধারণত ৫ থেকে ৭ কার্যদিবস সময় লাগে, তবে এটি ভিসার ধরন এবং প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে। ট্যুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে, আবেদন জমা দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই করা হয় এবং সঠিক নথি জমা দিলে ৭ কার্যদিবসের অর্থ্যাৎ ৩০ দিনের মধ্যেই ভিসা ইস্যু করা হয়। যদি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল বা নথি অসম্পূর্ণ থাকে, তাহলে সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে।
অন্যদিকে, যদি অন-অ্যারাইভাল ভিসা নেওয়া হয়, তাহলে থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর পরই এয়ারপোর্টে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভিসা পাওয়া যায়। তবে, বিজনেস বা অন্যান্য বিশেষ ভিসার জন্য ১০ থেকে ১৫ কার্যদিবস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। দ্রুত এবং সময়মতো ভিসা পেতে আবেদন ফরম এবং প্রয়োজনীয় নথি সঠিকভাবে জমা দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
থাইল্যান্ড যেতে কি ভিসা লাগেঃ
হ্যাঁ, বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড যেতে ভিসা প্রয়োজন। থাইল্যান্ডে ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসার ধরন নির্ধারণ করতে হয়। যেমনঃ ট্যুরিস্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা বা মেডিকেল ভিসা। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের থাইল্যান্ডে প্রবেশের আগে ভিসা নিয়ে যেতে হয়। তবে, থাইল্যান্ড অন-অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধাও দেয়। যদি আপনার ভ্রমণের সময় ১৫ দিনের কম হয়?
তাহলে থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর পর এয়ারপোর্টে অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এর জন্য পাসপোর্ট, ফেরত টিকিট, হোটেল বুকিং এবং ভিসা ফি জমা দিতে হয়। তাই, থাইল্যান্ডে যেতে হলে ভিসার প্রয়োজন, এবং এটি ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী আগে থেকে নেওয়া উচিত অথবা অন-অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা ব্যবহার করা যেতে পারে।
থাইল্যান্ডের ভিসার জন্য কি কি কাগজ লাগেঃ
থাইল্যান্ডের ভিসা করতে কত টাকা লাগে ও থাইল্যান্ডের ভিসার জন্য কিছু নির্ধারিত কাগজপত্র জমা দিতে হয়, যা ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা দেওয়া হলো পড়ে নিন?
- থাইল্যান্ড ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
- আপনার কাছে বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। যার মেয়াদ অন্তত ৬ মাস থাকতে হবে।
- পাসপোর্টের প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠার ফটোকপি।
- ভিসা আবেদন ফরমঃ
- সঠিকভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন ফরম। এটি থাইল্যান্ড দূতাবাস বা অনলাইনে থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
- তারপর, পাসপোর্ট সাইজের ছবি (২ কপি)। ছবিটি অবশ্যই সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে হতে হবে।
- ফ্লাইট টিকিটঃ
- নিশ্চিত যাওয়া এবং ফেরার টিকিটের কপি রাখতে হবে।
- থাইল্যান্ডে থাকার সময়ের জন্য হোটেল বুকিং কনফারমেশনের প্রমাণ নিজের কাছে রাখতে হবে।
- ব্যাংক স্টেটমেন্টঃ
- সাম্প্রতিক ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, যাতে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকে (প্রায় ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা) আপনাকে দেখাতে হবে কাগজ প্রমাণ সহকারে।
- ভ্রমণের বিস্তারিত পরিকল্পনা, যেমন থাইল্যান্ডে কোথায় যাবেন এবং কতদিন থাকবেন তার তথ্য।
- ভিসা ফিঃ
- নির্ধারিত ভিসা ফি জমা দেওয়ার রশিদ।
- জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদের ফটোকপি।
- কোভিড-১৯ সনদ (যদি প্রয়োজন হয়)
- টিকা সনদ বা কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট (বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজন হতে পারে)।
থাইল্যান্ডের ভিসার জন্য সঠিক নথিপত্র এবং নির্ভুল আবেদন জমা দেওয়া জরুরি। সমস্ত কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত রাখলে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ এবং দ্রুত সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশ থেকে থাইল্যন্ড যেতে কত সময় লাগেঃ
বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড যেতে সময় মূলত ফ্লাইটের ধরন এবং গন্তব্যের উপর নির্ভর করে। ঢাকা থেকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Suvarnabhumi International Airport) সরাসরি ফ্লাইটে যেতে প্রায় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগে।
যদি ট্রানজিট ফ্লাইট হয়, তবে সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে, সাধারণত ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত। ট্রানজিটের সময়কাল এবং রুট অনুযায়ী ভ্রমণের সময় পরিবর্তিত হতে পারে।
থাইল্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা খরচ কতঃ
থাইল্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসার খরচ ভিসার ধরন এবং প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে। সাধারণত, একক প্রবেশ (Single Entry) ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য খরচ প্রায় ৩৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা। এটি ভ্রমণের সময়কাল অনুযায়ী সাধারণত ৬০ দিন পর্যন্ত বৈধ থাকে। যদি মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার জন্য আবেদন করেন, যার মেয়াদ ৬ মাস পর্যন্ত হতে পারেচ।
![]() |
বাংলাদেশ-থেকে-থাইল্যন্ড-যেতে-কত-সময়-লাগে |
তাহলে খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়, যা প্রায় ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়া, অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য এয়ারপোর্টে ভিসা নিতে প্রায় ২০০০ থাই বাহত (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬০০০-৭০০০ টাকা) লাগে। এছাড়া ভিসা আবেদন কেন্দ্র (VAC)-এ আবেদন জমা দেওয়ার সময় ৫০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত সার্ভিস চার্জ দিতে হয়।
থাইল্যান্ড ভিসা আবেদন ফরমঃ
থাইল্যান্ডের ভিসা করতে কত টাকা লাগে আমরা উপরের তথ্য থেকে জেনেছি। এবার জানবো থাইল্যান্ড ভিসার আবেদন ফরম পূরণ করা থাইল্যান্ড ভিসা প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আবেদন ফরমটি থাই দূতাবাস বা ভিসা আবেদন কেন্দ্রের (VAC) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায়। এটি সঠিকভাবে এবং নির্ভুল তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হয়।
- থাইল্যান্ড ভিসা আবেদন ফরমে যেসব তথ্য দিতে হবেঃ
- নিজের ব্যক্তিগত তথ্য
- পূর্ণ নাম (পাসপোর্ট অনুযায়ী)।
- জন্ম তারিখ এবং জন্মস্থান।
- জাতীয়তা এবং লিঙ্গ।
- পাসপোর্ট নম্বর, মেয়াদ এবং ইস্যুর তারিখ।
- যোগাযোগের ঠিকানাঃ
- স্থায়ী ঠিকানা।
- বর্তমান ঠিকানা এবং ফোন নম্বর।
- ইমেইল আইডি।
- ভ্রমণের তথ্যঃ
- থাইল্যান্ডে গন্তব্যের নাম।
- ভ্রমণের উদ্দেশ্য (যেমন ট্যুরিস্ট, বিজনেস বা মেডিকেল)।
- থাইল্যান্ডে থাকার সময়কাল।
- ভ্রমণের তারিখ এবং ফ্লাইটের তথ্য।
- হোটেল বুকিং বা থাকার ব্যবস্থা।
- আর্থিক তথ্যঃ
- থাইল্যান্ডের ভিসা করতে কত টাকা লাগে সে তথ্য জেনে আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্টের তথ্য বা আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ দেখাতে হবে।
- অন্যান্য তথ্যঃ
- পূর্বে থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছেন কি না।
- জরুরি যোগাযোগের ব্যক্তি বা আত্মীয়ের নাম।
- ফরম জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াঃ
- আবেদন ফরম পূরণ করার পর এটি প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ জমা দিতে হয়।
- ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (VAC) অথবা থাইল্যান্ড দূতাবাসে এটি জমা দিন।
- জমা দেওয়ার সময় পাসপোর্ট এবং ফি পরিশোধের রশিদ সঙ্গে রাখুন।
থাইল্যান্ড ভিসা আবেদন ফরম সঠিক এবং পরিষ্কারভাবে পূরণ করতে হবে। ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিলে ভিসা প্রক্রিয়ায় বিলম্ব বা আবেদন বাতিল হতে পারে। সুতরাং, সব তথ্য নির্ভুলভাবে পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন বাইরের যেতে হলে থাইল্যান্ডের ভিসা করতে কত টাকা লাগে বাংলাদেশে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে থাইল্যান্ডের ভিসা পেতে কত দিন লাগে।
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.................. www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url