কীভাবে মুরগীর মাংস ভুনা করতে হয় - কীভাবে মুরগীর মাংস রান্না করতে হয়? বিস্তারিত জেনে নিন?
আজকে আমরা জানবো যে মাংস রান্না করার ক্ষেত্রে কীভাবে মুরগীর মাংস ভুনা করতে হয় যেটি সবাই পছন্দ করবে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে কীভাবে মুরগীর মাংস রান্না করতে হয় স্বাদ অনুয়ায়ী। আসুন জানি?
ভূমিকাঃ
আমরা মুরগীর মাংস প্রায় সবাই খেয়ে থাকি। মুরগীর মাংস, মুরগীর রোস্ট, মুরগীর মাংস ভুনা ইত্যাদি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে এই মুরগীর মাংস সবাই রান্না করতে পারে না ভালভাবে। যেটির কারণে আমাদের মুখে স্বাদ আসে না।
![]() |
কীভাবে-মুরগীর-মাংস-ভুনা-করতে-হয় |
তাই আসুন জেনে রাখি যে, মাংস রান্না করার ক্ষেত্রে কীভাবে মুরগীর মাংস ভুনা করতে হয় ও কি কি মসলা দিতে হয় মাংসের মধ্যে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে কীভাবে মুরগীর মাংস রান্না করতে হয়। যেটি সবাই পছন্দ করবে। নিম্নে বিস্তারিত.........।
কীভাবে মুরগীর মাংস ভুনা করতে হয়ঃ
মুরগির মাংস ভুনা করতে সঠিক মশলা এবং ধৈর্য ধরে রান্না করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এটি মশলাদার এবং সুস্বাদু হয়। প্রথমে মুরগির মাংস ভালো করে ধুয়ে আদা-রসুন বাটা, লবণ, হলুদ, মরিচ গুঁড়ো, এবং টক দই দিয়ে ৩০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন। এরপর একটি প্যানে তেল গরম করে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ, এবং লবঙ্গ ফোড়ন দিন। তাতে মিহি কাটা পেঁয়াজ যোগ করে হালকা বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
আরো পড়ুনঃ উটের মাংস খেলে আমাদের শরীরের কি ধরনের প্রভাব পড়ে জেনে নিন?
পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে মেরিনেট করা মুরগির মাংস যোগ করুন এবং মাঝারি আঁচে কষাতে থাকুন। এরপর ধনিয়া গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, এবং গরম মসলা যোগ করে মসলা ভালোভাবে মাংসের সঙ্গে মেশান। মাংস থেকে তেল ছাড়লে এবং মসলা ঘন হয়ে এলে অল্প গরম পানি দিন এবং ঢাকনা দিয়ে মাংস নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
মাংস নরম হয়ে গেলে আঁচ বাড়িয়ে বাড়তি পানি শুকিয়ে নিন এবং শুকনো ভুনা করে নিন। রান্না শেষে ধনেপাতা কুচি দিয়ে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। এই ভুনা মুরগি ভাত, পোলাও বা রুটির সঙ্গে খাওয়ার জন্য আদর্শ।
কীভাবে মুরগীর মাংস রান্না করতে হয়ঃ
মুরগির মাংস রান্না করতে সঠিক উপকরণ এবং পদ্ধতি অনুসরণ করলে এটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হয়। প্রথমে মুরগির মাংস ভালো করে ধুয়ে নিন এবং পানি ঝরিয়ে ফেলুন। এরপর মাংসে লবণ, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, আদা-রসুন বাটা এবং টক দই দিয়ে মেরিনেট করে ৩০ মিনিট রেখে দিন। একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি, এবং লবঙ্গ দিয়ে ফোড়ন দিন।
আরো পড়ুনঃ পুদিনা পাতার বড়া খেলে আমাদের শরীরের কি কি উপকার হয় জেনে নিন?
এরপর মিহি কাটা পেঁয়াজ যোগ করে হালকা বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। তার ভিতরে মাংস ঢেলে দিন।মাংস থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে ধনিয়া গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো এবং গরম মসলা যোগ করুন। এরপর অল্প গরম পানি দিন এবং ঢাকনা দিয়ে মাংস নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। মাংস নরম হয়ে গেলে এবং ঝোল ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
রান্না শেষে ধনেপাতা কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। এই মুরগির মাংস ভাত, রুটি বা পোলাওয়ের সঙ্গে খাওয়ার জন্য আদর্শ। আসা করি মুরগীর মাংস ভুনা করতে হয় জানলেন।
কীভাবে মুরগীর রোস্ট রান্না করতে হয়ঃ
মুরগির রোস্ট একটি সুস্বাদু এবং মশলাদার খাবার, যা বিশেষত উৎসব বা বিশেষ দিনে পরিবেশন করা হয়। এটি রান্নার জন্য সঠিক মশলা এবং ধৈর্য প্রয়োজন
- প্রয়োজনীয় কিছু উপকরণঃ
- মুরগিঃ ১ কেজি (মোটামুটি বড় টুকরো করে কাটা)
- পেঁয়াজঃ ৪-৫টি (মিহি কাটা)
- আদা বাটাঃ ১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটাঃ ১ টেবিল চামচ
- টক দইঃ ১/২ কাপ
- লবণঃ স্বাদ অনুযায়ী
- হলুদ গুঁড়োঃ ১/২ চা চামচ
- মরিচের গুঁড়োঃ ১ চা চামচ (স্বাদ অনুযায়ী)
- ধনিয়া গুঁড়োঃ ১ চা চামচ
- জিরা গুঁড়োঃ ১ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়োঃ ১ চা চামচ
- তেজপাতাঃ ২টি
- এলাচঃ ৩-৪টি
- দারুচিনিঃ ২ টুকরা
- লবঙ্গঃ ৩-৪টি
- তেল বা ঘিঃ ১/২ কাপ
- চিনিঃ ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
- কিশমিশ এবং কাজুঃ ১ টেবিল চামচ (সাজানোর জন্য)
- ডিমঃ ১টি (সিদ্ধ, সাজানোর জন্য)
- রান্নার করার পদ্ধতিঃ
১। মুরগি মেরিনেট করাঃ
সবার আগে মুরগীর মাংস ভুনা করতে হয় সেটি জানুন। প্রথমে মুরগি ধুয়ে নিন এবং এতে টক দই, আদা-রসুন বাটা, লবণ, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া গুঁড়ো এবং জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন।
আরো পড়ুনঃ কীভাবে আপনি ঘরে বসে সহজে চিকেন সমোসা তৈরি করে মজার সাথে খাবেন জানুন?
২। মশলা কষানোঃ
একটি বড় প্যানে তেল বা ঘি গরম করুন। তাতে তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি, এবং লবঙ্গ দিয়ে ফোড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ যোগ করে হালকা বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
৩। মুরগি কষানোঃ
মেরিনেট করা মুরগি প্যানে দিন এবং মাঝারি আঁচে কষাতে থাকুন। মুরগি থেকে পানি ছাড়তে শুরু করলে এতে অল্প চিনি এবং গরম মসলা যোগ করুন।
৪। রান্না করাঃ
মুরগি পুরোপুরি নরম হওয়া পর্যন্ত ঢেকে রান্না করুন। প্রয়োজন হলে সামান্য গরম পানি যোগ করুন। রান্না শেষে ঝোল ঘন হলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
৫। সাজানোঃ
রোস্ট পরিবেশন করার সময় ওপর থেকে কিশমিশ, কাজু এবং সিদ্ধ ডিম দিয়ে সাজিয়ে দিন।
অতপর, মুরগির রোস্ট একটি মশলাদার এবং সুস্বাদু খাবার, যা পোলাও, ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করা যায়। সঠিক উপকরণ এবং পদ্ধতি অনুসরণ করলে এটি অত্যন্ত মজাদার হয়।
মুরগির মাংসে কত ক্যালোরি থাকেঃ
মুরগির মাংসে ক্যালোরির পরিমাণ এর অংশ, চামড়া আছে কিনা, এবং রান্নার পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। সাধারণত, ১০০ গ্রাম চামড়া ছাড়া সেদ্ধ মুরগির মাংসে প্রায় ১৬৫ ক্যালোরি থাকে। এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি (প্রায় ৩১ গ্রাম) এবং ফ্যাট কম (প্রায় ৩.৫ গ্রাম)। যদি মুরগির মাংস চামড়াসহ খাওয়া হয়। তাহলে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়, কারণ চামড়ায় উচ্চমাত্রায় ফ্যাট থাকে।
আরো পড়ুনঃ শুঁটকি মাছ খেলে আমাদের শরীরে কতটা উপকার হয় জেনে নিন?
মুরগির মাংস ভুনা করতে হয় যেটির কারণে ভাজা বা বেশি তেলে রান্না করা মুরগির মাংসে ক্যালোরি আরও বৃদ্ধি পায়, যা ১০০ গ্রামে প্রায় ২০০-২২০ ক্যালোরি পর্যন্ত হতে পারে। গ্রিল, বেক বা সেদ্ধ পদ্ধতিতে রান্না করা মুরগির মাংস ক্যালোরি কম রেখে স্বাস্থ্যকর রাখে।
মুরগীর মাংস খেলে কি হয়ঃ
মুরগির মাংস খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী, কারণ এটি উচ্চ প্রোটিন এবং পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। মুরগির মাংসের প্রোটিন শরীরের পেশি গঠনে সাহায্য করে এবং শক্তি জোগায়। এতে থাকা ভিটামিন বি৬ হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক এবং স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। মুরগির মাংসে আয়রন এবং ফসফরাস থাকে, যা হাড় ও দাঁত মজবুত করে এবং রক্তশূন্যতা দূর করে।
![]() |
মুরগীর-মাংস-খেলে-কি-হয় |
এটি কম ফ্যাটযুক্ত হওয়ায় ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। তাছাড়া, এটি সহজপাচ্য এবং হালকা খাবার হওয়ায় শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের জন্য এটি খুবই উপকারী। তবে, অতিরিক্ত তেলে ভাজা বা চামড়াসহ মুরগির মাংস খেলে ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই মুরগির মাংস পরিমিত পরিমাণে এবং স্বাস্থ্যকরভাবে রান্না করে খাওয়া উচিত।
মুরগীর মাংস রান্না করার রেসিপিঃ
কীভাবে মুরগীর মাংস ভুনা করতে হয় সেটি আমরা উপরের তথ্য থেকে জেনেছি। এবার জানবো যে মুরগির মাংস রান্না করতে সঠিক মশলা এবং পদ্ধতি অনুসরণ করলে এটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হয়। নিচে একটি সহজ রেসিপি দেওয়া হলো।
আরো পড়ুনঃ যেকোনো খাবারের সাথে টক দই খেলে কতটা উপকারী আমাদের শরীরের জন্য জানুন?
- প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- মুরগির মাংসঃ ১ কেজি (সাফ করা)
- পেঁয়াজঃ ৩-৪টি (মিহি কাটা)
- আদা বাটাঃ ১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটাঃ ১ টেবিল চামচ
- টমেটোঃ ২টি (কুচি করা)
- টক দইঃ ১/২ কাপ
- হলুদ গুঁড়োঃ ১/২ চা চামচ
- মরিচ গুঁড়োঃ ১-২ চা চামচ
- ধনিয়া গুঁড়োঃ ১ চা চামচ
- জিরা গুঁড়োঃ ১ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়োঃ ১ চা চামচ
- তেজপাতাঃ ২টি
- এলাচঃ ৩-৪টি
- দারুচিনিঃ ২ টুকরা
- লবণঃ স্বাদ অনুযায়ী
- তেলঃ ১/২ কাপ
- গরম পানিঃ প্রয়োজনমতো
- ধনেপাতা কুচিঃ সাজানোর জন্য
( রান্না করার প্রদ্ধতি )
- মুরগি মেরিনেট করাঃ
- মুরগি ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এরপর এতে টক দই, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ গুঁড়ো এবং লবণ মিশিয়ে ৩০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন।
- পেঁয়াজ ভাজাঃ
- একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি ফোড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ দিয়ে হালকা বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- মশলা কষানোঃ
- ভাজা পেঁয়াজে ধনিয়া গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, এবং গরম মসলা গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে কষিয়ে নিন। তারপর টমেটো যোগ করে নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
- মুরগি কষানোঃ
- মেরিনেট করা মুরগি প্যানে দিয়ে মসলা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মাংস থেকে পানি বের হওয়া পর্যন্ত মাঝারি আঁচে কষাতে থাকুন।
- রান্না করাঃ
- মাংস কষানো হয়ে গেলে প্রয়োজনমতো গরম পানি দিন এবং ঢাকনা দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। ঝোল ঘন হলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
- পরিবেশনঃ
- মাংস রান্না শেষে ধনেপাতা কুচি ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। এটি ভাত, পোলাও বা রুটির সঙ্গে উপভোগ করুন।
এই সহজ পদ্ধতিতে মুরগির মাংস রান্না করলে এটি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মশলাদার হয়। এটি যেকোনো বিশেষ দিন বা দৈনন্দিন খাবারের জন্য আদর্শ।
মুরগীর মাংসে কি এলার্জি থাকেঃ
মুরগির মাংসে এলার্জি খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তবে কিছু মানুষের শরীরে এটি সমস্যা তৈরি করতে পারে। মুরগির মাংসে থাকা কিছু প্রোটিন, যেমন অ্যালফা-গ্যালাক্টোসিডেজ বা সেরাম অ্যালবুমিন, কিছু মানুষের ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে এবং এলার্জির প্রতিক্রিয়া ঘটায়। এর ফলে ত্বকে চুলকানি, লালচে র্যাশ, গলা চুলকানো, চোখে পানি পড়া বা পেটের সমস্যা (যেমন গ্যাস বা ডায়রিয়া) দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ সাজনা পাতার সবজি খাওয়া কতটা ভিটামিনের পরিচয় দেয় তা জেনে রাখুন?
কিছু ক্ষেত্রে, মুরগির মাংস প্রক্রিয়াজাত করার সময় ব্যবহৃত রাসায়নিক সংযোজন বা অ্যান্টিবায়োটিকের কারণেও এলার্জির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে শিশু বা সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারীদের মধ্যে এই ধরনের প্রতিক্রিয়া বেশি দেখা যায়। যদি মুরগির মাংস খাওয়ার পর এলার্জির কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তবে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে মাংস রান্না করার ক্ষেত্রে কীভাবে মুরগীর মাংস ভুনা করতে হয়। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে কীভাবে মুরগীর মাংস রান্না করতে হয় ও কি মসলা লাগে।
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন..................... www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url