ভগবানের শ্রীকৃষ্ণের কাহিনী - শ্রীকৃষ্ণের জন্ম কীভাবে হয়? বিস্তারিত জেনে নিন?
আজকে আমরা জানবো যে সনাতন ধর্মের হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী ভগবানের শ্রীকৃষ্ণের কাহিনী কি ধরনের ছিল। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে এই শ্রীকৃষ্ণের জন্ম কীভাবে হয় ও কোথায় হয়েছিল। আসুন জানি?
ভূমিকাঃ
সনাতন ধর্মের শাস্ত্র অনুযায়ী সনাতনী মানুষের কাছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন একজন লীলা করার ভগবান। তিনি পুরো জগতকে সুখ শান্তির দৃষ্টিতে আগলিয়ে রাখতেন। তিনি ছোটকালে অনেক দুষ্ট ছিলেন। তার এই দুষ্টতা দেখে সবাই তাকে ভালবাসতেন। তিনি তার শক্তি দিয়ে পুরো পৃথিবীকে মানিয়ে রাখতেন।
![]() |
ভগবানের-শ্রীকৃষ্ণের-কাহিনী |
তাই আসুন জেনে রাখি যে এই সনাতন ধর্মের মানুষেরা যার পূজা করুক না কেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে অবশ্যই মনে করতে হবে। এই ভগবানের শ্রীকৃষ্ণের কাহিনী কি ছিলো বাল্যকালের। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে এই শ্রীকৃষ্ণের জন্ম কীভাবে হয় ও কোথায় হয়েছিলো। নিম্নে দেখে নিন?
ভগবানের শ্রীকৃষ্ণের কাহিনীঃ
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাহিনী হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা সমৃদ্ধ। তিনি ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হিসেবে পরিচিত এবং দ্বাপর যুগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম মথুরার কারাগারে, যেখানে তাঁর পিতা বসুদেব এবং মা দেবকী কারারুদ্ধ ছিলেন। জন্মের পরই তাঁকে কংসের অত্যাচার থেকে রক্ষা করার জন্য গোকুলে পালিত মা যশোদা ও পিতা নন্দের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরো পড়ুনঃ হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী গঙ্গা স্নান করার নিয়ম জানুন ও স্নান করে কি জপ করবেন জানুন?
গোকুলে শ্রীকৃষ্ণের শৈশব কাটে, যেখানে তিনি মাখন চুরি, গোপীদের সঙ্গে রাসলীলা এবং কংসের পাঠানো অসুরদের বিনাশ করে তাঁর অলৌকিক শক্তির পরিচয় দেন। পরবর্তীতে তিনি কংসকে হত্যা করে মথুরাকে অত্যাচারমুক্ত করেন।
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের সারথি হয়ে তাঁকে "শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা"র জ্ঞান দেন, যা ধর্ম, কর্ম, এবং মোক্ষের শিক্ষার মূল ভিত্তি। কৃষ্ণের জীবনের প্রতিটি অধ্যায় নৈতিকতা, ভক্তি, এবং মানব জীবনের সত্য উপলব্ধির শিক্ষা প্রদান করে। তাঁর কাহিনি শুধু ধর্মীয় নয়, বরং মানবজাতির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
শ্রীকৃষ্ণের জন্ম কীভাবে হয়ঃ
শ্রীকৃষ্ণের জন্ম কংসের অত্যাচার থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হিসেবে হয়েছিল। শাস্ত্র অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময় মথুরার রাজা কংস ছিলেন অত্যন্ত অত্যাচারী এবং ধর্মবিরোধী। কংসের অত্যাচারে দেবতারা এবং পৃথিবী দুঃখে ভগবান বিষ্ণুর শরণাপন্ন হন। তখন ভগবান বিষ্ণু প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি কংসকে ধ্বংস করার জন্য মানব অবতারে পৃথিবীতে আসবেন।
আরো পড়ুনঃ হিন্দু ধর্ম রীতিনীতি কীভাবে পালন করা হয় জানুন ও কীভাবে মেনে চলবেন তা জানুন?
শ্রীকৃষ্ণের পিতা-মাতা ছিলেন বসুদেব এবং দেবকী। কংস দেবকীর ভাই হলেও, এক দৈববাণী হয়েছিল যে দেবকীর অষ্টম সন্তান কংসকে হত্যা করবে। তাই কংস দেবকী এবং বসুদেবকে কারাগারে বন্দি করে রাখেন এবং তাদের প্রতিটি সন্তানকে হত্যা করেন। যখন দেবকীর গর্ভে অষ্টম সন্তান (ভগবান শ্রীকৃষ্ণ) আসেন, তখন কারাগার অলৌকিকভাবে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
শ্রীকৃষ্ণ জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গে কারাগারের দরজা খুলে যায়, এবং বসুদেব কংসের ভয়ে নবজাতক কৃষ্ণকে গোকুলে নিয়ে যান। সেখানে নন্দ এবং যশোদার কাছে কৃষ্ণকে রেখে আসেন। এভাবে শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করে পৃথিবীকে পাপমুক্ত করার যাত্রা শুরু করেন। তাঁর জন্মের এই ঘটনাকে হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র এবং শুভ মনে করা হয় এবং এটি "জন্মাষ্টমী" হিসেবে উদযাপন করা হয়।
শ্রীকৃষ্ণের অর্বিভাব কত বছর আগে হয়েছিলোঃ
শ্রীকৃষ্ণের অবতারণা বা আবির্ভাব প্রায় ৫,০০০ বছর আগে দ্বাপর যুগে হয়েছিল। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন বর্তমান কলিযুগ শুরুর কিছু আগে। যা আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩,১০০-৩,২০০ সালের দিকে। হিন্দু ধর্মে সময় চক্র চারটি যুগে বিভক্ত—সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপরযুগ এবং কলিযুগ। শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপরযুগের শেষ দিকে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁর লীলার মাধ্যমে পৃথিবীতে ধর্ম পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
![]() |
শ্রীকৃষ্ণের-অর্বিভাব-কত-বছর-আগে-হয়েছিলো |
তাঁর জন্মদিনকে "শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী" হিসেবে উদযাপন করা হয়, যা আজও বিশ্বের নানা প্রান্তে ভক্তদের মধ্যে গভীর ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব কেবল ঐতিহাসিক নয়। এটি আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় শিক্ষার এক চিরন্তন প্রতীক।
কৃষ্ণের সমাধি কোথায়ঃ
শ্রীকৃষ্ণের সমাধি স্থান ভারতের গুজরাট রাজ্যের দ্বারকা নগরীর নিকটবর্তী ভাল্কা গ্রামে অবস্থিত। এটি হিন্দু ধর্মের ঐতিহাসিক ও পবিত্র স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। শাস্ত্র এবং পুরাণ অনুযায়ী, মহাভারতের যুদ্ধে কুরুক্ষেত্রের ধর্ম পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর শ্রীকৃষ্ণ তাঁর জীবনযাত্রার শেষ সময়ে দ্বারকায় ফিরে আসেন।
আরো পড়ুনঃ হিন্দু ধর্ম শাস্ত্র অনুসারে কীভাবে আপনি ধ্যান করে নিজের শরীর ফিট রাখবেন জানুন?
পুরাণ অনুসারে, দ্বারকায় ভাল্কা তীর্থে শ্রীকৃষ্ণ একটি বৃক্ষের নিচে ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। তখন জরা নামক একজন শিকারি ভুলবশত তাঁর পায়ে তীর নিক্ষেপ করেন, যা শ্রীকৃষ্ণের দেহত্যাগের কারণ হয়। এই স্থানকেই শ্রীকৃষ্ণের মহাপ্রস্থানের স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভক্তরা আজও এই স্থানটি পরিদর্শন করেন এবং শ্রীকৃষ্ণের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এই স্থানটি হিন্দু ধর্মের ভক্তদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র এবং তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটি শ্রীকৃষ্ণের জীবন এবং তাঁর লীলার অন্তিম পর্যায়ের সাক্ষী।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছেলের নাম কিঃ
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রধান পুত্রের নাম হলো "প্রদ্যুম্ন"। তিনি রুক্মিণীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং শ্রীকৃষ্ণ ও রুক্মিণীর জ্যেষ্ঠ সন্তান ছিলেন। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, প্রদ্যুম্ন ছিলেন ভগবান কামদেবের অবতার। প্রদ্যুম্নকে অত্যন্ত বীর এবং পরাক্রমশালী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি অনেক যুদ্ধ ও কৃতিত্বের মাধ্যমে নিজের শক্তি ও যোগ্যতার প্রমাণ দেন।
আরো পড়ুনঃ রামায়ণের কয়টি কান্ড ও কোন কোন ভাষায় বিভক্ত করা হয়েছে তা জেনে নিন?
শ্রীকৃষ্ণের অন্যান্য পুত্রদের মধ্যে সংবর্তন, চারুদেশ্ন, সুশেন, এবং শাম্ব উল্লেখযোগ্য। শ্রীকৃষ্ণের ১৬,১০৮ রাণী ছিলেন, এবং তাঁদের মধ্যে অনেকের থেকেই তাঁর পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল। প্রদ্যুম্ন ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের জীবন ও লীলার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং তাঁর কাহিনি ভক্তদের মধ্যে নৈতিকতা ও ভক্তির অনুপ্রেরণা জাগ্রত করে।
কৃষ্ণ লীলা কাহিনীঃ
শ্রীকৃষ্ণের লীলা কাহিনি হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং শিক্ষণীয় গল্পসমূহের সমাহার। ভগবান কৃষ্ণকে তাঁর অলৌকিক শক্তি ও লীলার জন্য বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়। তাঁর লীলা কাহিনি মানবজীবনের নৈতিকতা, ধর্ম, এবং ভক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে। নিম্নে উদাহরণঃ
- শৈশব লীলাঃ
কৃষ্ণের লীলা কাহিনির শুরু হয় গোকুল থেকে। শ্রীকৃষ্ণ ছোটবেলায় গোকুলে তাঁর পালক মা যশোদার কাছে বড় হন। তিনি গোপাল বা রাখাল বালক রূপে পরিচিত ছিলেন। এই সময়ে কৃষ্ণ দুষ্ট আসুরদের ধ্বংস করেন। যেমনঃ পুতনা, ত্রিনাবর্ত, অঘাসুর প্রভৃতি। তাঁর মাখন চুরির কাহিনি (মাখনচোর) এবং গোপীদের সঙ্গে খুনসুটি ভক্তদের আনন্দ দেয়।
- কলিয়া নাগ দমনঃ
যমুনা নদীতে বসবাসকারী ভয়ংকর বিষধর নাগ কলিয়াকে কৃষ্ণ নিজের অলৌকিক শক্তি দিয়ে দমন করেন। এই কাহিনি কৃষ্ণের শক্তি ও সৃষ্টিকে রক্ষার উদাহরণ।
![]() |
কৃষ্ণ-লীলা-কাহিনী |
- গিরিধারী লীলাঃ
কৃষ্ণ বৃন্দাবনে ইন্দ্রদেবের রোষ থেকে গোকুলের মানুষদের রক্ষা করার জন্য গোবর্ধন পর্বত তুলে ধরেন। এতে তিনি জানান যে প্রকৃতি ও মানবজাতিকে রক্ষা করা দেবতাদের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী কীভাবে আপনি সঠিক নিয়মে বেদপাঠ পড়বেন তার ধারণা নিন?
- রাসলীলাঃ
বৃন্দাবনে গোপীদের সঙ্গে কৃষ্ণের রাসলীলা তাঁর ভক্তি, প্রেম, এবং ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মার মিলনের প্রতীক। এটি আধ্যাত্মিক প্রেম এবং ভক্তির সর্বোচ্চ প্রকাশ।
- কংস বধঃ
কৃষ্ণ পরবর্তীতে মথুরায় ফিরে গিয়ে কংসকে হত্যা করেন এবং মথুরা রাজ্যকে অত্যাচার থেকে মুক্ত করেন। এই কাহিনি ধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শিক্ষা দেয়।
- মহাভারতে কৃষ্ণের ভূমিকাঃ
মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে কৃষ্ণ অর্জুনের সারথি হিসেবে তাঁকে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার জ্ঞান দেন। এই কাহিনি কর্ম, ধর্ম, এবং মোক্ষের গভীর শিক্ষা প্রদান করে।
শ্রীকৃষ্ণের লীলা কাহিনি শুধুমাত্র দেবত্বের প্রকাশ নয়, এটি মানবজীবনের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দিকগুলো বুঝতে সাহায্য করে। কৃষ্ণের লীলার মাধ্যমে ভক্তরা জীবনের প্রতিকূলতায় ভগবানের প্রতি ভক্তি এবং ধৈর্য ধরে চলার শিক্ষা পান।
কৃষ্ণ কেন রাধাকে বিয়ে করেন নিঃ
শ্রীকৃষ্ণ রাধাকে কেন বিয়ে করেননি, তা হিন্দু শাস্ত্র এবং পুরাণে আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। রাধা-কৃষ্ণের সম্পর্ক শুধুমাত্র প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ক নয়। এটি ভগবান এবং তাঁর ভক্তের মধ্যে শুদ্ধ প্রেম ও ভক্তির প্রতীক হিসাবে বিবেচিত।
আরো পড়ুনঃ কীভাবে আপনি সঠিক নিয়ম শাস্ত্র অনুযায়ী মন্দির দর্শন করবেন তার কৌশল জানুন?
শাস্ত্র মতে, রাধা এবং কৃষ্ণের সম্পর্ক আধ্যাত্মিক এবং চিরন্তন। রাধা ভগবান কৃষ্ণের শক্তির অংশ এবং তাঁর আত্মার প্রতিরূপ। তাঁদের সম্পর্ক আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলনের প্রতীক, যা জাগতিক বিবাহের সম্পর্কের বাইরে। কৃষ্ণের প্রেম ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত, এবং রাধা তাঁর প্রেমের সর্বোচ্চ রূপ।
আরেকটি বিশ্বাস অনুযায়ী, রাধা-কৃষ্ণের প্রেম শর্তহীন এবং নিঃস্বার্থ ছিল। তাঁরা বিবাহিত না হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের প্রেম চিরন্তন এবং পূর্ণ। তাঁদের সম্পর্ক দেখায় যে ভগবানকে প্রেম ও ভক্তির মাধ্যমে উপলব্ধি করা যায়, যা জাগতিক বন্ধনের ঊর্ধ্বে। তাই, শ্রীকৃষ্ণ রাধাকে বিয়ে না করেও তাঁদের সম্পর্ক অমর এবং অনন্য রুপ। যা ভক্তি ও প্রেমের চিরন্তন প্রতীক হিসেবে পরিগণিত হয়।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন সনাতন ধর্ম শাস্ত্র অনুযায়ী ভগবানের শ্রীকৃষ্ণের কাহিনী কি ছিল। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে এই শ্রীকৃষ্ণের জন্ম কীভাবে হয় ও কোথায় হয়েছিল।
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.....................www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url