বাইরের দেশ থেকে নিরাপদ টাকা পাঠানোর নিয়ম - বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায়? জেনে রাখুন?
আজকে আমরা জানবো যে প্রবাসীদের জন্য বাইরের দেশ থেকে নিরাপদ টাকা পাঠানোর নিয়ম গুলো কি কি হয়ে থাকে সহজ উপায় ব্যবহার করে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে এই বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় বাংলাদেশে। আসুন জানি?
ভূমিকাঃ
বাইরের দেশে বাংলাদেশের মানুষ যাই একমাত্র টাকা ইনকাম করার জন্য। যাতে করে তাদের পরিবার সুখে শান্তিতে থাকতে পারে। বাইরের দেশে যারা যায় তারা তখন হয়ে যায় প্রবাসী। প্রবাসী জীবন খুবই কষ্টকর হয়ে থাকে। যারা জাউ তারাই বুঝে যে প্রবাসী জীবন কতটা কষ্টকর হয়।
বাইরের-দেশ-থেকে-নিরাপদ-টাকা-পাঠানোর-নিয়ম |
তাই আসুন জেনে রাখি যে প্রবাসীদের কাজ কীভাবে সহজ করা যায় সেটি নিয়ে আজকে আমাদের গল্প। প্রবাসীদের জন্য জেনে রাখা উচিত যে বাইরের দেশ থেকে নিরাপদ টাকা পাঠানোর নিয়ম গুলো কি কি হয়ে থাকে। ও তার সাথে সাথে এটাও জেনেলেন যে বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় বাংলাদেশে। নিম্নে বিস্তারিত.........।
বাইরের দেশ থেকে নিরাপদ টাকা পাঠানোর নিয়মঃ
বাইরের দেশ থেকে নিরাপদে টাকা পাঠানোর জন্য নির্ভরযোগ্য এবং বৈধ মাধ্যম ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ব্যাংকিং চ্যানেল, মানি ট্রান্সফার সার্ভিস এবং অনলাইন পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি। প্রথমত, ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানো একটি বিশ্বস্ত উপায়। যেমনঃ SWIFT ব্যবস্থার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেন করা হয়। এতে প্রেরক এবং প্রাপকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঠিক তথ্য প্রদান করতে হয়।
দ্বিতীয়ত, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, মানিগ্রাম বা রিয়া মানি ট্রান্সফার এর মতো বৈধ মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ব্যবহার করা যেতে পারে। এই মাধ্যমগুলো দ্রুত এবং নিরাপদে টাকা প্রাপকের হাতে পৌঁছে দেয়। এছাড়াও, পেপাল, পেওনিয়ার এবং স্ক্রিল এর মতো অনলাইন পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা সহজে এবং নিরাপদে টাকা লেনদেন করতে পারেন।
টাকা পাঠানোর সময় অবশ্যই প্রেরকের পরিচয় এবং প্রাপকের সঠিক তথ্য নিশ্চিত করতে হবে। কোনো অবৈধ বা সন্দেহজনক কাজ এড়িয়ে চলা উচিত। বৈধ মাধ্যম ব্যবহার করলে টাকা নিরাপদে এবং দ্রুত আপনার কাছে পৌঁছায় যাবে নিশ্চিত।
বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায়ঃ
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় তা মূলত সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়মনীতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা এবং প্রেরকের ব্যাংক বা মানি ট্রান্সফার সার্ভিসের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেল যেমন ব্যাংকিং মাধ্যম বা মানি ট্রান্সফার সার্ভিস (যেমন, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, মানিগ্রাম, রিয়া) ব্যবহার করে বৈধ উপায়ে যে কোনো পরিমাণ অর্থ পাঠানো যায়। তবে প্রেরকের দেশ এবং স্থানীয় নিয়ম অনুযায়ী একটি সীমা থাকতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, রেমিট্যান্স হিসেবে পাঠানো টাকার উপর কোনো নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা নেই। তবে যদি বড় অঙ্কের অর্থ (যেমন, ১০,০০০ ডলারের বেশি) পাঠানো হয়। তখন অর্থের উৎস এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানো লাগতে পারে। অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে বা প্ল্যাটফর্ম যেমন পেপাল, পেওনিয়ার ইত্যাদির মাধ্যমে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে অর্থ লেনদেন করা যায়।
এই প্ল্যাটফর্মগুলো সাধারণত মাসিক বা বাৎসরিক লেনদেন সীমা নির্ধারণ করে থাকে। তাই টাকা পাঠানোর আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা মানি ট্রান্সফার সার্ভিসের শর্তাবলী জেনে নেওয়া জরুরি। অবৈধ উপায়ে অর্থ পাঠানো বা গ্রহণ করা আইনত দণ্ডনীয়। তাই সবসময় বৈধ এবং নিরাপদ মাধ্যম ব্যবহার করে অর্থ লেনদেন করা উচিত।
বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়মঃ
বিদেশ থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংক (DBBL)-এ টাকা পাঠানো একটি সহজ ও নিরাপদ প্রক্রিয়া। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেল, রেমিট্যান্স সার্ভিস, বা অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেন। নিচে ধাপে ধাপে নিয়ম উল্লেখ করা হলো পড়ে নিনঃ
১। SWIFT কোড ব্যবহার করে ব্যাংক ট্রান্সফারঃ
- বিদেশ থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য ব্যাংক ট্রান্সফার করলে SWIFT কোড প্রয়োজন হয়।
- ডাচ-বাংলা ব্যাংকের SWIFT কোড হলো DBBLBDDH।
- প্রেরকের ব্যাংক থেকে টাকার প্রেরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে এবং প্রাপকের নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর, এবং ব্যাংকের শাখার সঠিক তথ্য দিতে হবে।
২। মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ব্যবহার করাঃ
- ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, মানিগ্রাম, বা রিয়া মানি ট্রান্সফার এর মাধ্যমে খুব সহজে টাকা পাঠানো যায়।
- ডাচ-বাংলা ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা থেকে প্রাপক জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এবং পিন নম্বর দেখিয়ে টাকা সংগ্রহ করতে পারেন।
৩। অনলাইন রেমিট্যান্স সার্ভিসঃ
- অনলাইনে টাকা পাঠাতে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমন PayPal, Payoneer, বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সার্ভিস ব্যবহার করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে টাকাটি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি স্থানান্তর করা যায়।
৪। প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানঃ
যে তথ্যগুলো বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে প্রয়োজন তাহলোঃ
- প্রাপকের নাম (ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অনুযায়ী)
- ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর
- ব্যাংকের শাখার নাম এবং ঠিকানা
- ব্যাংকের SWIFT কোড (DBBLBDDH)
৫। মোবাইল ব্যাংকিং রকেটঃ
- ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস রকেট ব্যবহার করেও বিদেশ থেকে টাকা গ্রহণ করা সম্ভব। তবে এজন্য আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স পার্টনারের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সময় অবশ্যই বৈধ চ্যানেল ব্যবহার করতে হবে। সঠিক তথ্য এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে টাকা নিরাপদে ও দ্রুত ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়। বড় অঙ্কের অর্থ পাঠালে অর্থের উৎস নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হতে পারে।
বিদেশ থেকে সিটি ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়মঃ
বিদেশ থেকে সিটি ব্যাংক-এ টাকা পাঠানো একটি নিরাপদ এবং সহজ প্রক্রিয়া মানুষের জন্য। এটি সাধারণত SWIFT ট্রান্সফার, আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস, অথবা অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে করা যায়। নিচে ধাপে ধাপে টাকা পাঠানোর নিয়ম উল্লেখ করা হল পড়ে নিন?
১। SWIFT কোড ব্যবহার করে ব্যাংক ট্রান্সফারঃ
- বিদেশ থেকে সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে SWIFT কোড ব্যবহার করতে হয়।
- সিটি ব্যাংকের SWIFT কোড ( CIBLBDDH। )
- প্রেরককে প্রাপকের নিম্নোক্ত তথ্য প্রদান করতে হবে
- প্রাপকের নাম (ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অনুযায়ী)
- সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর
- ব্যাংকের শাখার নাম এবং ঠিকানা
- SWIFT কোড (CIBLBDDH)
২। আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিসঃ
- ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, মানিগ্রাম, বা রিয়া মানি ট্রান্সফার এর মাধ্যমে প্রবাসীরা সহজে টাকা পাঠাতে পারেন।
- সিটি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে প্রাপক টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন।
- প্রাপককে অবশ্যই একটি বৈধ পরিচয়পত্র (জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট) এবং প্রেরকের দেওয়া রেফারেন্স নম্বর (পিন) প্রদান করতে হবে।
বিদেশ-থেকে-সিটি-ব্যাংকে-টাকা-পাঠানোর-নিয়ম |
৩। অনলাইন রেমিট্যান্স সার্ভিসঃ
- প্রবাসীরা বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম যেমন PayPal, Payoneer, বা অন্যান্য বৈধ অনলাইন পরিষেবা ব্যবহার করে টাকা সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে পারবেন।
৪। প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানঃ
- বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে প্রেরককে নিম্নোক্ত তথ্য দিতে হবে। যেমনঃ
- প্রাপকের পূর্ণ নাম
- সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর
- ব্যাংকের শাখার সঠিক ঠিকানা
- ব্যাংকের SWIFT কোড (CIBLBDDH)
- প্রাপকের ঠিকানা এবং যোগাযোগ নম্বর
৫। টাকা গ্রহণের প্রক্রিয়াঃ
- টাকা পাঠানোর পর সঠিক তথ্য প্রদান করা হলে সাধারণত ২-৫ কার্যদিবসের মধ্যে টাকা সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা হয়। প্রাপক তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন অথবা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন যাচাই করতে পারবেন।
বিদেশ থেকে সিটি ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সময় অবশ্যই বৈধ চ্যানেল এবং সঠিক তথ্য ব্যবহার করতে হবে। SWIFT কোড এবং প্রাপকের সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা হলে টাকা দ্রুত এবং নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাবে। বড় অঙ্কের অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে ব্যাংক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনার চেক করতে পারে।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য কোন ব্যাংক ভালোঃ
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি নির্ভরযোগ্য ব্যাংক রয়েছে। যেগুলো দ্রুত, নিরাপদ এবং সহজ পদ্ধতিতে রেমিট্যান্স প্রক্রিয়া করে থাকে। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যাংকের নাম ও তাদের সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো নিম্নে দেখে নিন?
- সোনালী ব্যাংকঃ
সোনালী ব্যাংক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি ব্যাংক এবং এটি রেমিট্যান্স গ্রহণের জন্য অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য। তাদের মাধ্যমে প্রবাসীরা সহজে টাকা পাঠাতে পারেন এবং গ্রাহকরা দ্রুত টাকা সংগ্রহ করতে পারেন।
- ডাচ-বাংলা ব্যাংকঃ
ডাচ-বাংলা ব্যাংক আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে। এর রকেট মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধার মাধ্যমে রেমিট্যান্স সহজেই প্রাপকের মোবাইল অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়।
- সিটি ব্যাংকঃ
সিটি ব্যাংক SWIFT এবং আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস যেমনঃ ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এবং মানিগ্রাম এর মাধ্যমে দ্রুত রেমিট্যান্স গ্রহণ করে। প্রবাসীদের জন্য এটি একটি ভালো অপশন।
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডঃ
ইসলামী ব্যাংক দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক, যা রেমিট্যান্স গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি বিশ্বের বিভিন্ন রেমিট্যান্স সার্ভিসের সাথে যুক্ত।
- ব্র্যাক ব্যাংকঃ
ব্র্যাক ব্যাংক প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সহজ এবং আধুনিক রেমিট্যান্স সেবা প্রদান করে। অনলাইন ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবা তাদের বিশেষ সুবিধা।
- এশিয়া ব্যাংক ও প্রাইভেট ব্যাংকগুলোঃ
ব্যক্তিগত ব্যাংক যেমনঃ এশিয়া ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া ইত্যাদি বিশ্বস্ত এবং দ্রুত রেমিট্যান্স লেনদেনের সুবিধা দিয়ে থাকে।
প্রবাসীদের জন্য ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, এবং সিটি ব্যাংক অত্যন্ত ভালো অপশন, কারণ এগুলো দ্রুত, নিরাপদ এবং বিশ্বব্যাপী মানি ট্রান্সফার সার্ভিসের সাথে সংযুক্ত। ব্যাংক নির্বাচন করার সময় তাদের রেমিট্যান্স ফি, ট্রান্সফার সময় এবং গ্রাহক সেবার মান বিবেচনা করা উচিত। বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করলে বিদেশ থেকে টাকা নিরাপদে এবং দ্রুত দেশে পৌঁছায়।
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়মঃ
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানো একটি সহজ এবং দ্রুত প্রক্রিয়া। প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ এবং অনুমোদিত মানি ট্রান্সফার কোম্পানি বা পার্টনারদের মাধ্যমে সরাসরি বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারেন। নিচে ধাপে ধাপে এই প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হলো টাকা পাঠানোর জন্য পড়ে নিন?
( বিকাশ পার্টনার চয়ন করুন )
- বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য অবশ্যই বিকাশের অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার পার্টনার ব্যবহার করতে হবে। কিছু জনপ্রিয় পার্টনার হলোঃ
- Western Union
- MoneyGram
- RIA Money Transfer
- Transfast
- প্রেরকের দেশ অনুযায়ী এই সার্ভিসগুলো ব্যবহার করে সহজেই টাকা পাঠানো যায়।
( প্রেরকের তথ্য প্রদান )
- প্রবাসী প্রেরককে মানি ট্রান্সফার সার্ভিসে নিম্নোক্ত তথ্য দিতে হবে। যেমনঃ
- প্রাপকের নাম (জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী)
- প্রাপকের বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর (১১ ডিজিটের মোবাইল নম্বর)
- প্রাপকের ঠিকানা ও সম্পর্কিত তথ্য
- ( ট্রান্সফার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা )
- মানি ট্রান্সফার পার্টনারের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পর প্রেরককে একটি ট্রান্সফার রেফারেন্স নম্বর দেওয়া হবে। এই রেফারেন্স নম্বর প্রাপক চাইলে যাচাই করতে পারেন নিশ্চিত ভাবে।
( বিকাশে টাকা জমা হওয়া )
- টাকা প্রেরণ করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে জমা হবে। টাকা জমা হওয়ার সাথে সাথে বিকাশ থেকে একটি SMS নোটিফিকেশন চলে যাবে। যাতে উল্লেখ থাকবে যে প্রাপকের অ্যাকাউন্টে টাকা এসেছে।
( টাকা উত্তোলন )
- বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হলে প্রাপক যেকোনো বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট, এটিএম বুথ থেকে অথবা নিজের বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
( গুরুত্বপূর্ণ বিষয় )
- টাকা পাঠানোর আগে প্রাপকের বিকাশ অ্যাকাউন্ট সক্রিয়ভাবে আছে কি'না তা নিশ্চিত করতে হবে।
- অনুমোদিত মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ব্যবহার করতে হবে।
- প্রেরকের উচিত বৈধ পরিচয়পত্র এবং সঠিক তথ্য ব্যবহার করে টাকা পাঠানো।
বিকাশে টাকা পাঠানো একটি আধুনিক, সহজ ও দ্রুত পদ্ধতি, যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের তাদের পরিবার-পরিজনকে অর্থ পাঠাতে সহায়তা করে। বৈধ চ্যানেল ব্যবহার করলে নিরাপদে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে টাকা পৌঁছে যায়।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর খরচ কত টাকাঃ
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর খরচ মূলত টাকা পাঠানোর মাধ্যম, পরিমাণ, দেশভেদে নিয়ম এবং সার্ভিস প্রোভাইডারের উপর নির্ভর করে। সাধারণত ব্যাংক ট্রান্সফার, মানি ট্রান্সফার সার্ভিস (যেমন ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, মানিগ্রাম, বা রিয়া), এবং অনলাইন পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মগুলো (যেমন পেপাল, পেওনিয়ার) নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি কেটে রাখে।
ব্যাংক ট্রান্সফার এর ক্ষেত্রে SWIFT কোড ব্যবহার করে টাকা পাঠালে ট্রান্সফার ফি প্রায় ১০-৫০ ডলার হতে পারে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,০০০ থেকে ৬,০০০ টাকা। মানি ট্রান্সফার সার্ভিসগুলোর মাধ্যমে টাকা পাঠালে খরচ তুলনামূলক কম হয় এবং প্রায় ৫-২০ ডলার এর মধ্যে হয়ে থাকে।
বিদেশ-থেকে-টাকা-পাঠানোর-খরচ-কত-টাকা |
অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করলে নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ কাটে, যা সাধারণত ট্রান্সফারকৃত অর্থের ২-৫% হতে পারে। তবে কিছু সার্ভিসে প্রচারমূলক অফার থাকলে খরচ কমে যায়। খরচ নির্ভর করে টাকা পাঠানোর গতি (নরমাল বা দ্রুত সার্ভিস) এবং পরিমাণের উপরও।
সুতরাং, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সময় খরচ কমাতে নির্ভরযোগ্য এবং কম চার্জযুক্ত মাধ্যম নির্বাচন করা উচিত।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন প্রবাসীদের জন্য বাইরের দেশ থেকে নিরাপদ টাকা পাঠানোর নিয়ম গুলো কি কি। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায়।
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন..............................www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url