মন্দির দর্শনের নিয়ম - মন্দিরে যাওয়ার আগে কি স্নান করতে হয়? জেনে রাখুন?
আজকে আমরা জানবো যে সনাতন ধর্মের মানুষেরা ভগবানের প্রতি যে আস্থা রাখে সে মন্দির দর্শনের নিয়ম গুলো কি কি হয়ে থাকে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে এই মন্দিরে যাওয়ার আগে কি স্নান করতে হয়। আসুন জানি?
ভূমিকাঃ
সনাতন ধর্মের মানুষেরা যেখানে তারা ভগবানের প্রতি আহবান জানায় সেটি হচ্ছে মন্দির। এই মন্দিরে বিভিন্ন ধরনের দেব দেবীর পূজা করা হয়। সেখানে গিয়ে মানুষ পূজা অর্চনা করে। মানুষ তাদের মনভাব প্রকাশ করে ভগবানের কাছে। যেটি মন্দির ছাড়া আর কোথায় সম্ভব হয় না।
![]() |
মন্দির-দর্শনের-নিয়ম |
তাই আসুন জেনে রাখি যে দেব দেবীর পূজা করার জন্য মানুষ যেখানে যায় সে মন্দির দর্শনের নিয়ম গুলো কি কি হয়ে থাকে ও কীভাবে মন্দিরে যেতে হয়। ও তার সাথে সাথে এটাই জানুন যে এই মন্দিরে যাওয়ার আগে কি স্নান করতে হয়। নিম্নে বিস্তারিত.........।
মন্দির দর্শনের নিয়মঃ
মন্দির দর্শনের নিয়ম শুদ্ধতা, ভক্তি এবং সঠিক আচরণ অনুসরণ করার মাধ্যমে পালন করা হয়। মন্দিরে প্রবেশের আগে ভক্তদের শারীরিক ও মানসিক শুদ্ধতার প্রতি গুরুত্ব দিতে হয়। সাধারণত, মন্দিরে যাওয়ার আগে স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করা উচিত। মন্দিরের প্রাঙ্গণে প্রবেশের সময় জুতা খুলে এবং হাত-পা ধুয়ে পবিত্রভাবে প্রবেশ করতে হয়।
আরো পড়ুনঃ কীভাবে শাস্ত্র মেনে আপনি গনেশ পূজা করবেন ও পূজার রীতিনীতি মানবেন জানুন?
মন্দিরে প্রবেশ করার পর প্রথমে দেবতার উদ্দেশ্যে প্রণাম করতে হয় এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয়। ভক্তি সহকারে ধূপ-দীপ জ্বালানো, ফুল ও প্রসাদ নিবেদন, এবং মন্ত্র জপ করার মাধ্যমে প্রার্থনা করা হয়। দেবতার মূর্তি বা বিগ্রহ স্পর্শ করার আগে অনুমতি নেওয়া উচিত। কারণ এটি অনেক মন্দিরে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে।
মন্দিরে ভক্তদের উচ্চস্বরে কথা বলা, দৌড়াদৌড়ি করা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা অনুচিত। ভক্তি ও শৃঙ্খলার সঙ্গে প্রার্থনা শেষে প্রসাদ গ্রহণ করতে হয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে মন্দির ত্যাগ করতে হয়। মন্দির দর্শনের সময় শুদ্ধ আচরণ এবং মনোযোগ সহকারে প্রার্থনা করলে আত্মিক শান্তি এবং ঈশ্বরের কৃপা লাভ করা যায়।
ন্দিরে যাওয়ার আগে কি স্নান করতে হয়ঃ
"হ্যাঁ" মন্দিরে যাওয়ার আগে স্নান করা উচিত, কারণ এটি শুদ্ধতা ও পবিত্রতার প্রতীক। হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে, মন্দিরে প্রবেশ করার সময় দেহ এবং মনকে পবিত্র রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্নান করা মানে শুধু শারীরিক পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি মানসিক শুদ্ধতাও প্রকাশ করে মানুষের মনে। স্নানের মাধ্যমে দেহকে পবিত্র করার পর পরিষ্কার পোশাক পরিধান করে মন্দিরে প্রবেশ করা উচিত।
এটি ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তি প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তবে যদি বিশেষ পরিস্থিতিতে স্নান করা সম্ভব না হয়। তাহলে হাত-মুখ ধুয়ে এবং শুদ্ধ মন নিয়ে মন্দিরে যাওয়া যেতে পারে। সুতরাং, মন্দিরে যাওয়ার আগে স্নান করা একটি প্রচলিত ধর্মীয় প্রথা। যা ভক্তির গভীরতা এবং শুদ্ধতার প্রতীক।
আরো পড়ুনঃ শিব পূজা করার ক্ষেত্রে কি কি উপকরণ লাগে ও কীভাবে পূজা করবেন জানুন?
মন্দিরে যাওয়ার আগে কি চুল ধুতে হয়ঃ
মন্দিরে যাওয়ার আগে চুল ধোয়া শুদ্ধতার অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় শাস্ত্র অনুযায়ী। হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসারে, মন্দিরে প্রবেশ করার সময় দেহ এবং মন উভয়কেই পবিত্র রাখা আবশ্যক। স্নান করার সময় চুল ধোয়া শারীরিক শুদ্ধতার প্রতীক। এটি শুধুমাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্যই নয়। বরং মানসিক শুদ্ধতার প্রতিফলন হিসেবেও বিবেচিত হয়। তবে এটি সবসময় বাধ্যতামূলক নয়। বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন যদি চুল ধোয়া সম্ভব না হয়।
![]() |
মন্দিরে-যাওয়ার-আগে-কি-চুল-ধুতে-হয় |
তবে অন্তত হাত-মুখ এবং পা ধুয়ে পবিত্র মনোভাব নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করা যায়। মূলত মন্দিরে যাওয়ার সময় ভক্তি, শ্রদ্ধা, এবং শুদ্ধতা বজায় রাখাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সুযোগ থাকলে মন্দিরে যাওয়ার আগে চুল ধুয়ে এবং সম্পূর্ণরূপে স্নান করা ভালো। কারণ এটি শারীরিক ও আধ্যাত্মিক উভয় দিক থেকে শুদ্ধতা নিশ্চিত করে।
মন্দিরে যাওয়ার আগে যেসব খাবার খাওয়া যাবে নাঃ
মন্দিরে যাওয়ার আগে কিছু নির্দিষ্ট ধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এগুলো শুদ্ধতা এবং ধর্মীয় রীতির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী, মন্দিরে প্রবেশের আগে হালকা এবং সাত্ত্বিক (পবিত্র) খাবার খাওয়া উচিত। তবে, যে খাবারগুলো মন্দিরে যাওয়ার আগে খাওয়া নিষিদ্ধ, তাহলোঃ
১। অমিষ খাবারঃ
মাংস, মাছ, ডিম ইত্যাদি খাওয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এগুলো তামসিক খাবার হিসেবে বিবেচিত। যা মানসিক স্থিরতা ও শুদ্ধতায় ব্যাঘাত ঘটায়।
আরো পড়ুনঃ হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী পুরাণ কে লিখেছেন ও কীভাবে এবং কোন ভাষায় লিখেছেন জানুন?
২। রসুন ও পেঁয়াজঃ
মন্দিরে যাওয়ার আগে রসুন ও পেঁয়াজ খাওয়া উচিত নয়। কারণ এগুলোও তামসিক খাবার এবং আধ্যাত্মিক শুদ্ধতায় বাধা সৃষ্টি করে।
৩। মদ্যপান বা নেশাজাতীয় দ্রব্যঃ
যে কোনো ধরনের মদ্যপান বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এগুলো মনের বিশুদ্ধতা এবং ভক্তিতে ব্যাঘাত ঘটায়।
৪। তেলযুক্ত বা ভারী খাবারঃ
মন্দিরে যাওয়ার আগে খুব ভারী, তেলযুক্ত বা মশলাদার খাবার খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি শারীরিক এবং মানসিক ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে।
৫। বাসি খাবারঃ
মন্দিরে যাওয়ার আগে বাসি খাবার খাওয়া শাস্ত্র অনুযায়ী অশুদ্ধ বলে মনে করা হয়।
অতপর, মন্দিরে যাওয়ার আগে সাত্ত্বিক এবং হালকা খাবার খাওয়া উচিত। যেমনঃ ফল, দুধ, এবং পবিত্র খাবার। এগুলো মানসিক স্থিরতা ও আধ্যাত্মিকতার উন্নতি ঘটায়। শুদ্ধতা বজায় রেখে মন্দিরে প্রবেশ করলে ভক্তির গভীরতা বৃদ্ধি পায় এবং পূজার ফলও আরও শুভ হয়।
মন্দিরে যাওয়ার আগে কি কি খাওয়া যায়ঃ
মন্দিরে যাওয়ার আগে হালকা, সাত্ত্বিক এবং পবিত্র খাবার খাওয়া উচিত। যা দেহ ও মনের শুদ্ধতা বজায় রাখে। হিন্দু ধর্মের শাস্ত্র অনুযায়ী, সাত্ত্বিক খাবার ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি এবং পূজার মানসিকতা উন্নত করে। মন্দিরে যাওয়ার আগে যে খাবারগুলো খাওয়া যায়, তাহলোঃ
- ফলঃ
- কলা, আপেল, কমলালেবু, আম ইত্যাদি তাজা ফল মন্দিরে যাওয়ার আগে খাওয়া সম্পূর্ণ শুদ্ধ বলে বিবেচিত।
- দুধ ও দইঃ
- গরুর দুধ এবং দই খাওয়া শাস্ত্র অনুযায়ী পবিত্র এবং মন্দিরে যাওয়ার আগে গ্রহণযোগ্য।
- মিষ্টিঃ
- মন্দিরে যাওয়ার আগে মিষ্টি, যেমন পায়েস, সন্দেশ বা মধু খাওয়া যেতে পারে।
- ডাল ও সবজিঃ
- তেল-মশলা ছাড়া রান্না করা সবজি বা ডাল খাওয়া সাত্ত্বিক খাবার হিসেবে গ্রহণযোগ্য।
- গোলগোল শুকনো খাবারঃ
- চিড়া, মুড়ি, বা লঘু শুকনো খাবার খাওয়া যেতে পারে।
- নারকেলঃ
- তাজা নারকেল বা নারকেলের জল খাওয়া মন্দিরে যাওয়ার আগে খুবই পবিত্র বলে মনে করা হয়।
মন্দিরে যাওয়ার আগে হালকা এবং পবিত্র খাবার খাওয়া শাস্ত্রসম্মত। অমিষ বা তামসিক খাবার পরিহার করে সাত্ত্বিক খাদ্য গ্রহণ করলে পূজার সময় মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং ভক্তির গভীরতা বাড়ে।
মন্দিরে কি করেঃ
মন্দিরে ভক্তরা প্রার্থনা, পূজা-অর্চনা এবং ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি নিবেদন করেন। মন্দিরে প্রবেশের আগে জুতা খুলে এবং হাত-পা ধুয়ে নিজেকে শুদ্ধ করা হয়। ভক্তরা সাধারণত মন্দিরে দেব-দেবীর মূর্তি বা বিগ্রহের সামনে প্রণাম করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পূজা শুরু করেন। মন্দিরে ধূপ-দীপ জ্বালানো, ফুল এবং প্রসাদ নিবেদন করা পূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আরো পড়ুনঃ কীভাবে সঠিক নিয়মে গীতাপাঠ পড়বেন ও ভগবানের প্রতি শ্রদ্ধা করবেন জানুন?
ভক্তরা দেব-দেবীর উদ্দেশ্যে মন্ত্র জপ করেন এবং তাদের কৃপা ও আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। অনেক সময় আরতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেব-দেবীর পূজা সম্পন্ন করা হয়। যেখানে সবাই একত্রে ভক্তি সহকারে অংশগ্রহণ করেন। মন্দিরে শান্তি বজায় রাখা এবং ভক্তি সহকারে প্রার্থনা করা গুরুত্বপূর্ণ। পূজা শেষে ভক্তরা প্রসাদ গ্রহণ করেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে মন্দির ত্যাগ করেন। মন্দিরে প্রার্থনার মাধ্যমে ভক্তরা মানসিক শান্তি এবং আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মন্দির দর্শনের নিয়মঃ
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভারতের তিরুপতি বালাজি মন্দির এবং পদ্মনাভস্বামী মন্দির। এই মন্দিরগুলো দর্শনের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম ও শর্ত মেনে চলতে হয়। নিচে দর্শনের জন্য সাধারণ নিয়মগুলো উল্লেখ করা হলোঃ
১। তিরুপতি বালাজি মন্দির (অন্ধ্রপ্রদেশ)
- বুকিংঃ
দর্শনের জন্য আগে থেকে অনলাইনে বুকিং করতে হয়। দর্শনার্থীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী দর্শন করতে হয়।
![]() |
বিশ্বের-সবচেয়ে-ধনী-মন্দির-দর্শনের-নিয়ম |
২। পোশাক বিধিঃ
মন্দিরে প্রবেশের জন্য পুরুষদের ধুতি বা পায়জামা এবং মহিলাদের শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ পরিধান বাধ্যতামূলক। পশ্চিমা পোশাক নিষিদ্ধ।
৩। শারীরিক শুদ্ধতাঃ
স্নান করে এবং পরিষ্কার পোশাক পরে মন্দিরে প্রবেশ করতে হয়।
৪। পদযাত্রা বা সিঁড়িঃ
ভক্তরা অনেক সময় মন্দিরে পবিত্রভাবে প্রবেশ করতে পদযাত্রা বা সিঁড়ি বেয়ে ওঠেন। এটি একটি ধর্মীয় রীতি।
৫। নিয়মিত পূজাঃ
মন্দিরে প্রতিদিন কয়েকটি পূজা অনুষ্ঠিত হয়। নির্দিষ্ট পূজার সময় অনুযায়ী দর্শনের সুযোগ পাওয়া যায়।
৬। পদ্মনাভস্বামী মন্দির (কেরালা)
- কেবল হিন্দুদের প্রবেশঃ
পদ্মনাভস্বামী মন্দিরে শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রবেশের অনুমতি রয়েছে।
৭। পোশাক বিধিঃ
পুরুষদের জন্য ধুতি এবং মহিলাদের জন্য শাড়ি বা ঐতিহ্যবাহী পোশাক বাধ্যতামূলক। মন্দিরে আধুনিক পোশাক পরিধান নিষিদ্ধ।
৮। প্রার্থনার শৃঙ্খলাঃ
মন্দিরে প্রবেশের সময় শান্তি বজায় রাখা এবং শৃঙ্খলার সঙ্গে দেবতার দর্শন করা জরুরি।
৯। মোবাইল ও ক্যামেরা নিষিদ্ধঃ
মন্দিরে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ।
১০। সাধারণ নিয়মঃ
- মন্দিরে প্রবেশের আগে স্নান এবং শুদ্ধ থাকা বাধ্যতামূলক।
- দর্শনের সময় দেবতার সামনে হাতজোড় করে প্রার্থনা করতে হয়।
- পূজার সময় মন্দির কর্তৃপক্ষের নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক।
- মন্দির প্রাঙ্গণে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অযথা উচ্চস্বরে কথা বলা নিষেধ।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মন্দির দর্শনের জন্য শুদ্ধতা, ভক্তি, এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। মন্দির দর্শনের মাধ্যমে ভক্তরা আধ্যাত্মিক শান্তি এবং ঈশ্বরের কৃপা লাভ করেন।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন সনাতন মানুষেরা যেখানে দর্শন করে সেই মন্দির দর্শনের নিয়ম গুলো কি কি। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে মন্দিরে যাওয়ার আগে কি স্নান করতে হয় কি'না।
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.....................www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url