হিন্দু ধর্মের আদি নাম কি - হিন্দু ধর্মের বসয় কত? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে সনাতন ধর্ম অনুসারে সনাতন হিন্দু ধর্মের আদি নাম কি। যেটি সবাই মেনে চলে হিন্দু ধর্ম অনুসারে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে এই হিন্দু ধর্মের বসয় কত বছর ধরে চলে আসছে পুরো পৃথিবীতে। আসুন জানি?

ভূমিকাঃ

বিশেষজ্ঞরা বলে গেছেন যে, সনাতন ধর্ম বেশ কয়েক হাজার বছর পুরানো ও সাংস্কৃতিক একটি ধর্মলম্বী একটি ধর্ম। এই হিন্দু ধর্ম বেশ আদি যুগ ধরে মানুষ পালন করে আসছে এই পৃথিবীতে। এই ধর্মের বেশ বহুত ইতিহাস রয়েছে যা বলে কখনো বোঝানো যাবে না।

হিন্দু-ধর্মের-আদি-নাম-কি
হিন্দু-ধর্মের-আদি-নাম-কি    

তাই আসুন জেনে রাখি যে হিন্দু ধর্ম অনুসারে এই হিন্দু ধর্মের আদি নাম কি রয়েছে পুরাতন ইতিহাসে যা আমরা এখনো জানি না।সেটি আজকে আমরা জানবো ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে এই হিন্দু ধর্মের বসয় কত বছর পুরানো। নিম্নে বিস্তারিত...............।

হিন্দু ধর্মের আদি নাম কিঃ

হিন্দু ধর্মের আদি নাম ছিল সনাতন ধর্ম। "সনাতন" শব্দের অর্থ হলো চিরন্তন বা শাশ্বত, অর্থাৎ যার কোনো শুরু বা শেষ নেই। হিন্দু ধর্মকে সনাতন ধর্ম বলা হয় কারণ এটি পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্মগুলোর মধ্যে একটি এবং এর মূলনীতি ও আদর্শ চিরকালীন বলে মনে করা হয়। সনাতন ধর্মের মূল ভিত্তি হলো বৈদিক শাস্ত্র, উপনিষদ, পুরাণ এবং অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থসমূহ। এই ধর্মের অনুসারীরা মনে করেন যে সনাতন ধর্ম বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের নীতি ও নিয়মের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এটি চিরকাল ধরে চলে আসছে।

পরবর্তীতে "হিন্দু" শব্দটি ব্যবহৃত হতে শুরু করে। যা মূলত সিন্ধু নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী জনগণকে বোঝাতে ব্যবহৃত হতো। বিদেশিরা "সিন্ধু" শব্দকে বিকৃত করে "হিন্দু" নামে ডাকতে শুরু করে এবং সেই থেকেই ধর্মের নাম হিন্দু ধর্ম নামে পরিচিতি পায়। তবে হিন্দু ধর্মের মূল আদর্শ ও ঐতিহ্য সনাতন ধর্ম নামেই পরিচিত ছিল এবং এটি চিরকালীন সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।

হিন্দু ধর্মের বসয় কতঃ

হিন্দু ধর্মকে পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্মগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এর বয়স সম্পর্কে সঠিক সময় নির্ধারণ করা কঠিন। তবে ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে, হিন্দু ধর্মের বয়স আনুমানিক ৪,০০০ থেকে ৫,০০০ বছরেরও বেশি। হিন্দু ধর্মের মূল ভিত্তি হলো বেদ এবং অন্যান্য প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ, যা খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ১৫০০-২০০০ সালে রচিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

হিন্দু ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশে সিন্ধু সভ্যতার সময়ে। প্রাচীন গ্রন্থগুলোতে উল্লেখিত আচার-অনুষ্ঠান, দেব-দেবতা এবং জীবনদর্শন থেকে স্পষ্ট হয় যে এটি চিরকালীন ধর্ম বা সনাতন ধর্ম নামে পরিচিত ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর বিকাশ ঘটে এবং আজকের হিন্দু ধর্মের রূপ পরিগ্রহ করে।

বৈদিক যুগের ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চা থেকে হিন্দু ধর্মের শেকড় আরও গভীর হয়েছে, যা বিভিন্ন যুগ পেরিয়ে বর্তমান আকারে এসেছে। তাই হিন্দু ধর্মের বয়স হাজার হাজার বছর পুরনো এবং এটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ধর্ম হিসেবে স্বীকৃত পেয়েছে।

হিন্দুদের আদি পিতা মাতা কে ছিলেনঃ

হিন্দু ধর্মগ্রন্থ এবং পুরাণ অনুসারে, মানবজাতির আদি পিতা-মাতা হিসেবে "মনু এবং শতরূপা-কে বিবেচনা করা হয়"। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, ব্রহ্মা সৃষ্টির মাধ্যমে মনু এবং শতরূপার জন্ম দেন। মনু ছিলেন মানবজাতির প্রথম পুরুষ এবং শতরূপা ছিলেন প্রথম নারী। তাদের থেকেই মানবজাতির বিস্তার ঘটেছে বলে মনে করা হয়। "মনু" শব্দ থেকে "মনুষ্য" শব্দের উৎপত্তি হয়েছে, যা মানুষকে বোঝায়।

হিন্দু ধর্মে মনু বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রলয়ের পর পৃথিবীকে পুনরায় গঠন এবং মানবজাতির শুরু করার দায়িত্ব পালন করেন। ব্রহ্মা সৃষ্ট জগতের প্রথম দম্পতি হিসেবে মনু ও শতরূপার বিবরণ বিভিন্ন পুরাণ, যেমন বিষ্ণু পুরাণ, ভাগবত পুরাণ ও মনুস্মৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই কাহিনি হিন্দু ধর্মের সৃষ্টিতত্ত্বের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি প্রতীকী অর্থে মানবজাতির সূচনা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

হিন্দু ধর্ম কত বছর আগে সৃষ্টি হয়েছেঃ

হিন্দু ধর্মকে পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্মগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এর সঠিক সময়কাল নির্ধারণ করা কঠিন। তবে ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় সূত্র অনুযায়ী, হিন্দু ধর্মের বয়স আনুমানিক ৪,০০০ থেকে ৫,০০০ বছরেরও বেশি। হিন্দু ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদ খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ১৫০০-২০০০ সালের দিকে রচিত হয়েছে বলে মনে করা হয়। এর থেকেও পূর্বে সিন্ধু সভ্যতা (খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০০-১৩০০ অব্দ) এবং বৈদিক সংস্কৃতি হিন্দু ধর্মের ভিত্তি গড়ে তোলে। হিন্দু ধর্মের আদি নাম সনাতন ধর্ম, যার অর্থ চিরন্তন বা শাশ্বত।

হিন্দু-ধর্ম-কত-বছর-আগে-সৃষ্টি-হয়েছে
  হিন্দু-ধর্ম-কত-বছর-আগে-সৃষ্টি-হয়েছে
 এটি কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সময়ে শুরু হয়নি বরং হাজার হাজার বছর ধরে সংস্কার, আচার-অনুষ্ঠান, এবং দর্শনের সমন্বয়ে বিকশিত হয়েছে। হিন্দু ধর্মে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর এবং বৈদিক দেবতাদের পূজা এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা এই ধর্মের প্রাচীনত্বকে আরও প্রতিষ্ঠিত করে। তাই হিন্দু ধর্মের শুরু আনুমানিক ৫,০০০ বছর বা তারও বেশি পুরনো। যা সময়ের সাথে সাথে বিকশিত হয়ে বর্তমান রূপ ধারণ করেছে। এটি মানব সভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম প্রাচীন এবং চিরন্তন ধর্ম।

হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক কেঃ

হিন্দু ধর্মের কোনো নির্দিষ্ট প্রবর্তক বা প্রতিষ্ঠাতা নেই। এটি পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্মগুলোর একটি, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দর্শন, আচার-অনুষ্ঠান, এবং সংস্কৃতির সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে। হিন্দু ধর্মকে সনাতন ধর্ম বলা হয়, যার অর্থ চিরন্তন বা শাশ্বত ধর্ম। এটি কোনো একজন ব্যক্তির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নয়, বরং হাজার হাজার বছরের জ্ঞানচর্চা, বৈদিক শাস্ত্র, উপনিষদ, পুরাণ এবং বিভিন্ন মুনি-ঋষিদের চিন্তাধারা ও শিক্ষার মাধ্যমে বিকাশ লাভ করেছে।

হিন্দু ধর্মের মূল ভিত্তি হলো বেদ। ঋষি-মুনিরা ঈশ্বরের কাছ থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানকে শ্রুতি (শ্রবণযোগ্য) আকারে বেদে লিপিবদ্ধ করেছেন। হিন্দু ধর্মে ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর (শিব)-কে ত্রিমূর্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যারা সৃষ্টি, পালন এবং প্রলয়ের প্রতীক।

এছাড়াও হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন ঋষি যেমন মনু, বশিষ্ঠ, বেদব্যাস, এবং শ্রীকৃষ্ণ বা দেবতাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দু ধর্ম মূলত আধ্যাত্মিকতা, নৈতিকতা এবং মানবজীবনের সত্য অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে বিকাশ লাভ করেছে। এজন্য হিন্দু ধর্মের কোনো নির্দিষ্ট প্রবর্তক না থাকলেও এটি চিরকালীন এবং চিরন্তন ধর্ম হিসেবে স্বীকৃত।

পৃথিবীতে হিন্দু দেশ কয়টি ও কি কিঃ

বিশ্বে হিন্দু ধর্ম প্রধান ধর্ম হিসেবে চর্চা করা দেশ খুব কম। মূলত, হিন্দু ধর্ম প্রধানত ভারত এবং তার আশপাশের কয়েকটি দেশে বিস্তৃত। তবে হিন্দুদের সংখ্যা এবং ধর্মীয় প্রভাব অনুসারে ভারত হিন্দু ধর্মের একমাত্র "হিন্দু প্রধান" দেশ।

  •  ভারতঃ

  1. ভারত পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে হিন্দু ধর্ম প্রধান।
  2. দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০% মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী।
  3. অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দেশ যেখানে হিন্দুরা রয়েছেন বেশ মাত্রায়।
  4. যদিও এই দেশগুলোতে হিন্দু ধর্ম প্রধান নয়, তবুও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হিন্দু বসবাস করেন।

  • নেপালঃ

  1. নেপালকে "হিন্দু রাজ্য" হিসেবেও বিবেচনা করা হয়েছিল, যদিও বর্তমানে এটি ধর্মনিরপেক্ষ।
  2. এখানকার জনসংখ্যার প্রায় ৮১% মানুষ হিন্দু।

  • বাংলাদেশঃ

  1. বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮-১০% হিন্দু। এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম বাংলাদেশে।

  •  ইন্দোনেশিয়াঃ

  1. ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ মূলত হিন্দু-প্রধান অঞ্চল।

  •  শ্রীলঙ্কাঃ 

  1. শ্রীলঙ্কার কিছু অংশে, বিশেষ করে তামিল জনগোষ্ঠীর মধ্যে হিন্দু ধর্ম প্রচলিত।

  •  ফিজিঃ

  1. ফিজির প্রায় ২৭% জনগণ হিন্দু ধর্মের অনুসারী।

  •  মরিশাসঃ

  1. মরিশাসে প্রায় ৫০% জনসংখ্যা হিন্দু। এটি ভারতীয় অভিবাসীদের প্রভাবে গড়ে উঠেছে।

  •  গায়ানা, ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগো, সুরিনামঃ

  1. এই দেশগুলোতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষের কারণে হিন্দু ধর্মের চর্চা প্রচলিত।

সর্বশেষ, ভারত বিশ্বে একমাত্র হিন্দু প্রধান দেশ, যেখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। নেপাল এবং কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চল, যেমন ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ এবং মরিশাসে হিন্দু ধর্ম উল্লেখযোগ্যভাবে প্রচলিত। অন্যান্য দেশে সংখ্যালঘু হিসেবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বসবাস করেন এবং তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক চর্চা অব্যাহত রেখেছেন।

হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ নাম কিঃ

হিন্দু ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, রমায়ণ, মহাভারত এবং ভগবদ্গীতা। এই গ্রন্থগুলো হিন্দু ধর্মের নৈতিকতা, আচার-আচরণ, জীবনদর্শন এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানকে তুলে ধরে। যেমনটা বলে যায়ঃ 

১। বেদঃ

বেদ হিন্দু ধর্মের প্রাচীনতম এবং প্রধান ধর্মগ্রন্থ। এটি চারটি ভাগে বিভক্ত—ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ, এবং অথর্ববেদ। বেদে ঈশ্বরের বন্দনা, বিভিন্ন মন্ত্র ও আচার-অনুষ্ঠানের বিবরণ রয়েছে।

২। উপনিষদঃ

উপনিষদ হলো বেদের অন্তিম অংশ, যা আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও দর্শন তুলে ধরে। এতে আত্মা, পরমাত্মা, এবং ব্রহ্মাণ্ডের সম্পর্ক সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

হিন্দু-ধর্ম-গ্রন্থ-নাম-কি
হিন্দু-ধর্ম-গ্রন্থ-নাম-কি

৩। পুরাণঃ

পুরাণে দেবতা, মানবজাতি এবং সৃষ্টির ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে। প্রধান পুরাণগুলোর মধ্যে বিষ্ণু পুরাণ, শিব পুরাণ, ব্রহ্মা পুরাণ, এবং শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ উল্লেখযোগ্য।

৪। রামায়ণঃ

ঋষি বাল্মীকি রচিত রামায়ণ একটি মহাকাব্য, যেখানে ভগবান শ্রী রামের জীবন, আদর্শ চরিত্র এবং রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।

৫। মহাভারতঃ

মহাভারত মহর্ষি বেদব্যাস রচিত আরেকটি মহাকাব্য, যা পৃথিবীর দীর্ঘতম গ্রন্থ। এতে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ এবং পাণ্ডব ও কৌরবদের ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে।

৬। ভগবদ্গীতাঃ

মহাভারতের একটি অংশ হলো শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা, যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জীবনের সত্য, ধর্ম ও কর্তব্যের জ্ঞান প্রদান করেন।

এইসব ধর্মগ্রন্থ হিন্দু ধর্মের নৈতিকতা, ধর্মীয় চর্চা, এবং জীবনদর্শনের ভিত্তি গঠন করে। এগুলো হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রধান উৎস।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন সনাতন ধর্ম অনুসারে হিন্দু ধর্মের আদি নাম কি ও ইতিহাসে কীভাবে রয়েছে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে এই হিন্দু ধর্মের বসয় কত পুরানো পৃথিবীর বুকে।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন..............................www.stylishsm.com



( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
























এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url