তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়ে - তরমুজ খাওয়ার নিয়ম? বিস্তারিত জেনে নিন?
আজকে আমরা জানবো যে আমাদের শরীরের পুষ্টি ও ভিটামিনের জন্য ফলের মধ্য এই তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়ে শরীরের। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে এই মুখরোচ তরমুজ খাওয়ার নিয়ম গুলো কি কি হয়ে থাকে। আসুন জানি?
ভূমিকাঃ
আমরা আমাদের শরীর ফিট, সতেজ, ও পুষ্টিমান রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খেয়ে থাকি। যাতে করে আমাদের শরীর পুষ্টি ও ভিটামিন যুক্ত থাকে ও ফলমূল থেকে পাওয়া ভিটামিন আমাদের শরীরে সরবারহ করতে পারে খুব সহজে।
তরমুজ-খাওয়ার-নিয়ম |
তাই আসুন জেনে রাখি যে আমাদের শরীরের পুষ্টির মান বাড়াতে ও প্রোটিন যোগাতে তরমুজ কীভাবে কাজ করে। তার সাথে এটাই জানুন যে এই তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়ে আমাদের শরীরের। ও এই মুখরোচ তরমুজ খাওয়ার নিয়ম গুলো কি কি হয়ে থাকে। নিম্নে বিস্তারিত............।
তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়েঃ
তরমুজ খেলে আমাদে শরীরের সাধারণত ওজন বাড়ায় না। বরং এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। তরমুজে ৯০% এর বেশি পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং পেট ভরিয়ে দেয়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এটি কম ক্যালোরিযুক্ত একটি ফল (প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৩০ ক্যালোরি) যা ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। এ ছাড়া তরমুজে প্রাকৃতিক ফ্রুকটোজ বা শর্করা থাকে।
আরো পড়ুনঃ বেদানা খেলে কি কি উপকার হয় আমাদের শরীরের ও কতটা রক্ত পায় শরীর জানুন?
যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়। বিশেষত যখন শরীরের ক্যালোরি চাহিদা পূরণ হয়ে গেছে। তখন এটি অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ করতে পারে, যা ওজন বাড়ার কারণ হতে পারে। সুতরাং, তরমুজ খাওয়া নিরাপদ এবং পুষ্টিকর, যদি এটি পরিমাণমতো খাওয়া হয়। নিয়মিত সুষম খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে তরমুজ ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
তরমুজ খাওয়ার নিয়মঃ
তরমুজ খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়। তাই তরমুজ খাওয়ার সঠিক নিয়ম মেনে চললে এর পুষ্টিগুণ থেকে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যায়। নিচে তরমুজ খাওয়ার কিছু নিয়ম দেওয়া হলোঃ
- খাওয়ার আগে পরিষ্কার করাঃ তরমুজের বাইরের অংশ ভালোভাবে ধুয়ে নিন, কারণ এতে ময়লা বা জীবাণু থাকতে পারে। কাটার সময় এই জীবাণু ফলের ভেতরে যেতে পারে।
- সকালে বা দুপুরে খাওয়াঃ তরমুজ খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকাল বা দুপুর। এই সময় এটি শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায় এবং তৃষ্ণা মেটায়।
- খালি পেটে না খাওয়াঃ যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে বা যাদের গ্যাসের প্রবণতা বেশি, তারা খালি পেটে তরমুজ না খাওয়াই ভালো। এটি হালকা নাশতার পর বা দুপুরের খাবারের আগে খাওয়া যেতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়াঃ তরমুজে প্রাকৃতিক শর্করা বেশি থাকে। অতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এবং হজমের সমস্যা হতে পারে।
- অন্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে না খাওয়াঃ তরমুজ একটি আলাদা খাবার হিসেবে খাওয়া ভালো। এটি অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে।ক
- ঠান্ডা তরমুজ খাওয়া এড়ানোঃ ফ্রিজ থেকে বের করা খুব ঠান্ডা তরমুজ খাওয়া পেটের সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন তরল তাজা তরমুজ খাওয়ার।
তরমুজ খাওয়ার সময় পরিমাণমতো এবং সঠিক পদ্ধতিতে খেলে এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং পুষ্টি সরবরাহ করতে সহায়ক।
তরমুজ খেলে কি গ্যাস হয়ঃ
তরমুজ খাওয়ার ফলে সাধারণত গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা কম, কারণ এটি একটি হালকা ও সহজপাচ্য ফল। তবে, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে তরমুজে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা (ফ্রুকটোজ) এবং উচ্চমাত্রার পানি হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। যাদের ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (IBS) বা হজমজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের তরমুজ খাওয়ার পরে গ্যাস, পেট ফাঁপা বা ডায়রিয়া রোগের মতো সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ শরীরে প্রোটিন যোগাতে ও শরীর চাঙ্গা রাখতে মাল্টা খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন?
এছাড়া, তরমুজ অতিরিক্ত খেলে অন্ত্রে ফাইবারের প্রভাব বেশি পড়তে পারে, যা হজমে সাময়িক অসুবিধার কারণ হতে পারে। তরমুজ খাওয়ার পরে পর্যাপ্ত পানি পান না করলে কিছু মানুষের পেটের অস্বস্তি বাড়তে পারে। তাই যদি তরমুজ খাওয়ার পরে গ্যাস বা ফাঁপার সমস্যা হয়, তবে এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া এবং ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাওয়া উচিত। সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
তরমুজ খাওয়ার উপকারিতাঃ
তরমুজ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, যা শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তরমুজে প্রায় ৯০% পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেট রাখতে এবং তৃষ্ণা মেটাতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখে। তরমুজের লাইকোপিন নামক উপাদান হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এছাড়া, তরমুজে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
তরমুজ-খাওয়ার-উপকারিতা |
তরমুজে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। কম ক্যালোরি এবং প্রাকৃতিক শর্করা থাকার কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।তরমুজ একটি প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবেও কাজ করে, যা শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে। নিয়মিত তরমুজ খাওয়া শরীরকে হাইড্রেটেড, শক্তিশালী এবং রোগমুক্ত রাখতে সহায়ক।
তরমুজ খাওয়ার অউপকারিতাঃ
তরমুজ খাওয়ার অনেক উপকারিতা থাকলেও কিছু অউপকারিতাও রয়েছে শরীরের জন্য। বিশেষত যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয় বা নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থায় খাওয়া হয়। নিচে তরমুজ খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য অউপকারিতা উল্লেখ করা হলোঃ
- গ্যাস বা পেট ফাঁপাঃ তরমুজে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা (ফ্রুকটোজ) কিছু মানুষের হজমে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। যা পেটে গ্যাস বা ফাঁপার কারণ হতে পারে।
- রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধিঃ তরমুজে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি অতিরিক্ত খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- অ্যাসিডিটির সমস্যাঃ যাদের হজমজনিত সমস্যা বা অ্যাসিডিটি রয়েছে। তাদের জন্য তরমুজ খেলে পেটে অস্বস্তি বা অ্যাসিডিটির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
- ডায়রিয়া বা পেটের সমস্যাঃ তরমুজে থাকা ফাইবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া বা পেটের ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে।
- কিডনির সমস্যাঃ তরমুজে পটাসিয়াম বেশি পরিমাণে থাকে। যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। তাদের জন্য এটি অতিরিক্ত খেলে কিডনির ওপর চাপ পড়তে পারে।
- অ্যালার্জিঃ খুবই কম সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে তরমুজ খাওয়ার ফলে অ্যালার্জি, ত্বকে চুলকানি বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সুতরাং, তরমুজ খাওয়ার সময় পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ রাখা এবং ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো অস্বস্তি অনুভব করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
খালি পেটে তরমুজ খেলে কি হয়ঃ
খালি পেটে তরমুজ খাওয়া শরীরের জন্য বেশ কিছু উপকার বয়ে আনতে পারে। এতে প্রায় ৯০% পানি থাকায় এটি শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং সকালে খালি পেটে খেলে দেহের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। তরমুজে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে। এটি হালকা এবং সহজপাচ্য হওয়ায় খালি পেটে খেলে হজমে সহায়ক।
আরো পড়ুনঃ কাজু বাদাম খেলে কীভাবে শরীরে প্রোটিন ও ভিটামিন মাত্রা বাড়ে জেনে রাখুন?
তবে, কিছু মানুষের জন্য এটি অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, কারণ তরমুজে প্রাকৃতিক শর্করা এবং ফ্রুকটোজ থাকে, যা খালি পেটে হজমে অসুবিধা করতে পারে। যাদের গ্যাস্ট্রিক বা হজমজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য খালি পেটে তরমুজ খাওয়া সমস্যার কারণ হতে পারে। সুতরাং, খালি পেটে তরমুজ খাওয়ার সময় শরীরের অবস্থা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। যদি কোনো সমস্যা না হয়, তবে এটি একটি স্বাস্থ্যকর এবং হালকা বিকল্প হতে পারে।
তরমুজের বীজের উপকারিতাঃ
তরমুজের বীজের পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা অনেক। এটি শরীরের জন্য একটি পুষ্টিকর খাবার হিসেবে কাজ করে। নিচে তরমুজের বীজের কিছু প্রধান উপকারিতা গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
- পুষ্টিগুণে ভরপুরঃ
তরমুজের বীজে প্রচুর প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, এবং মিনারেল থাকে। যেমনঃ ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, এবং পটাসিয়াম। এই উপাদানগুলো শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়তা করে।
- হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়কঃ
তরমুজের বীজে থাকা মোনো এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
আরো পড়ুনঃ পেয়েরা খেলে কীভাবে আমাদের শরীরে শক্তি ও ভিটামিনের মাত্রা বাড়ে জেনে রাখুন?
- হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ
ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসে ভরপুর তরমুজের বীজ হাড়কে মজবুত করে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ
তরমুজের বীজে জিঙ্ক রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ
তরমুজের বীজে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং তেল ত্বককে উজ্জ্বল ও কোমল রাখতে সাহায্য করে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমায়।
- হজম প্রক্রিয়া উন্নত করেঃ
ফাইবার সমৃদ্ধ তরমুজের বীজ হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ
এতে প্রোটিন ও ফ্যাট থাকলেও ক্যালোরি কম, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং ক্ষুধা কমায়।
- শক্তি সরবরাহ করেঃ
তরমুজের বীজে উপস্থিত প্রাকৃতিক প্রোটিন ও ফ্যাট শরীরকে দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি জোগায়।
আরো পড়ুনঃ শরীরে ভিটামিন সি ও প্রোটিনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা?
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ
তরমুজের বীজে থাকা উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
- চুলের যত্নঃ
তরমুজের বীজে থাকা প্রোটিন ও আয়রন চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া প্রতিরোধ করে।
তরমুজের বীজ কাঁচা, ভাজা বা গুঁড়ো করে খাওয়া যেতে পারে। এটি স্যুপ, সালাদ বা স্মুদির সঙ্গে মিশিয়ে পুষ্টিগুণ বাড়ানো সম্ভব। তবে, অতিরিক্ত খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে, তাই পরিমাণমতো খাওয়া উচিত।
তরমুজ খেলে কি ওজন কমেঃ
তরমুজ খাওয়া ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে কারণ এতে ৯০%-এর বেশি পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূতি দেয়। তরমুজে খুব কম ক্যালোরি (প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৩০ ক্যালোরি) এবং প্রাকৃতিক শর্করা থাকে। যা শরীরে ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। এটি অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ না করেই শক্তি জোগায়।
তরমুজ-খেলে-কি-ওজন-কমে |
এছাড়া, তরমুজে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং পটাসিয়াম প্রোটিন ০.৬ ও ০.৭ কার্বোহাইড্রেট থাকে যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সহায়ক, যা মেটাবলিজম উন্নত করে। এটি চর্বি জমার প্রবণতা কমায় এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। তরমুজে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ শরীরের রোগ ও ভিটামিনের অভাব পূরণ করার জন্য আপেল খাওয়ার উপকারিতা?
তবে শুধুমাত্র তরমুজ খাওয়া ওজন কমানোর জন্য যথেষ্ট নয়। এটি একটি সুষম খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়ামের অংশ হিসেবে গ্রহণ করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। সুতরাং, তরমুজ একটি স্বাস্থ্যকর ফল, যা ওজন কমাতে কার্যকর।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন আমাদের শরীরের পুষ্টি জন্য যদি আমরা এই তরমুজ খায় তাহলে কি আমাদের স্বাস্থ্যর ওজন বাড়ে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে এই তরমুজ খাওয়ার নিয়ম কি।
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন...........................www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url