প্রবাসী জীবনের গল্প - সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার ওয়েবসাইট? জেনে রাখুন?

আজকে আমরা জানবো যে যারা বাইরের দেশে টাকা ইনকাম করতে জান সেই প্রবাসী জীবনের গল্প কি। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে বাইরের দেশে যাওয়ার জন্য সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার ওয়েবসাইট কি ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। আসুন জানি?

ভূমিকাঃ

বাইরের দেশে বেশীর ভাগ মানুষ টাকা ইনকাম করতে যায় বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ বেশি যায়। কারণ বাইরের দেশে কাজ করলে বাংলাদেশ থেকে বেশি পরিমানে তার টাকা ইনকাম করতে পারে। বাংলাদেশের টাকা থেকে বাইরের টাকার দাম বেশি।

প্রবাসী-জীবনের-গল্প
প্রবাসী-জীবনের-গল্প        

তাই আজকে জেনে নিন যে যারা বাইরের দেশে টাকা ইনকাম করতে জান তাদের মনে অনেক কষ্ট নিয়ে যায় তারা। কেননা ফ্যামেলি ছেড়ে কেউ কখনো কোথায় যেতে চাই না। তাই মনে রাখবেন যে, প্রবাসী জীবনের গল্প অনেক কষ্টের হয়ে থাকে। ও তার সাথে সাথে এটাও জেনে রাখুন যে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার ওয়েবসাইট থেকে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন। নিম্নে বিস্তারিত......।

প্রবাসী জীবনের গল্পঃ

প্রবাসী জীবন অনেক চ্যালেঞ্জ ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে গঠিত। প্রবাসে কাজের সন্ধানে বা উন্নত জীবনের আশায় মানুষকে নিজের দেশ, পরিবার এবং প্রিয়জনদের ছেড়ে দূরদেশে পাড়ি জমাতে হয়। এই জীবন প্রথমদিকে বেশ কঠিন এবং একাকীত্বপূর্ণ হতে পারে। নতুন পরিবেশ, ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে খাপ খাওয়ানো, কাজের চাপ এবং আর্থিক সংকট প্রবাসীদের মানসিক ও শারীরিকভাবে চাপে ফেলে।

আরো পড়ুনঃ বিদেশ যাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন হয় ও কি ধরনের পদক্ষেপ নিতে হয় জানুন?

তবে প্রবাস জীবনের কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। প্রবাসীরা তাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজস্ব ও পরিবারকে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম হন। অনেক সময় প্রবাসে কাটানো সময় মানুষকে আরও আত্মনির্ভরশীল এবং অভিজ্ঞ করে তোলে। পাশাপাশি, নতুন সংস্কৃতি ও মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া তাদের জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করে। সবমিলিয়ে, প্রবাস জীবন একটি মিশ্র অভিজ্ঞতা, যেখানে কষ্ট এবং সাফল্য পাশাপাশি চলতে থাকে।

সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার ওয়েবসাইটঃ

সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত বিএমইটি (বিউরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং) এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অন্যতম। এই ওয়েবসাইটগুলোতে বৈধভাবে বিদেশ যাওয়া, নিয়োগ প্রক্রিয়া, প্রশিক্ষণ, এবং ভিসার তথ্য সম্পর্কিত বিস্তারিত নির্দেশিকা পাওয়া যায়।

  • BMET (বিএমইটি) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটঃ www.bmet.gov.bd গুগলে এই সাইটে প্রবেশ করলে আপনি ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন
  • প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ঃ www.probashi.gov.bd গুগলে এই সাইটে প্রবেশ করলে আপনি ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন।

এই ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে আপনি প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন বৈদেশিক কর্মসংস্থান, প্রশিক্ষণ, নিরাপদ অভিবাসন এবং অন্যান্য সেবা সম্পর্কে জানতে পারবেন।  

প্রবাসীদের কষ্টের স্ট্যাটাসঃ

প্রবাসীদের জীবনের কষ্ট ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অনেক গভীর অনুভূতি থাকে। তারা নিজের দেশ, পরিবার, এবং প্রিয়জনদের থেকে দূরে থেকে জীবনের নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। তাদের কষ্টের স্ট্যাটাসগুলোতে সাধারণত এই আবেগ ও একাকীত্ব ফুটে ওঠে। কিছু উদাহরণ হিসেবে, প্রবাসীদের স্ট্যাটাস হতে পারে তাহলোঃ

  1. প্রবাসের মাটিতে সুখ কম, কষ্ট অনেক। প্রতিটি কাজের পেছনে আছে একগুচ্ছ স্বপ্ন আর অশ্রু।”
  2. পরিবারের হাসি মুখ দেখতে, প্রবাসীর প্রতিটি রাত কাটে কষ্টে। জীবন এখানে থেমে থাকে না, শুধু স্মৃতিগুলো বারবার মনে করিয়ে দেয় আপনজনদের।”
  3. পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকি না কেন, হৃদয়ের টান সবসময় দেশেই থাকে। প্রবাসে প্রতিটি দিন নতুন চ্যালেঞ্জ, আর প্রতিটি রাত মনে করিয়ে দেয় বাড়ির কথা।

এ ধরনের স্ট্যাটাস প্রবাসীদের কষ্ট এবং তাদের আত্মত্যাগকে ফুটিয়ে তোলে। যা তারা নিজের এবং পরিবারের স্বপ্ন পূরণের জন্য করে থাকেন।

প্রবাস জীবন বড় কষ্টের জীবনঃ

প্রবাস জীবন সত্যিই বড় কষ্টের জীবন। নিজ দেশের মাটি, পরিবার, এবং প্রিয়জনদের থেকে দূরে থেকে প্রবাসীরা প্রায়ই একাকীত্ব এবং মানসিক চাপের সম্মুখীন হন। তাদের জীবনে থাকে এক নিরব যুদ্ধ, যেখানে প্রতিদিন নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়। ভাষা, সংস্কৃতি, অচেনা মানুষ, এবং পরিবেশের ভিন্নতার কারণে মানিয়ে নিতে গিয়ে অনেকেই মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েন।

আরো পড়ুনঃ টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে পোলান্ডে গিয়ে কি ধরনের লাভ হবে তার ব্যাসিক জানুন?

প্রবাসীদের জীবন হয়তো আর্থিক সাফল্য এনে দিতে পারে, কিন্তু সেই সাফল্যের মূল্য হয় অনেক কষ্ট ও আত্মত্যাগ দ্বারা। তারা পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে দিনরাত পরিশ্রম করেন, তবুও নিজেরাই সেই হাসি থেকে দূরে থাকেন। তাদের প্রতিটি অর্জন এবং সাফল্যের পেছনে থাকে অনেক ঘাম, চোখের জল, এবং আত্মত্যাগের গল্প রয়েছে। যা বলে কখনো কেউকে বোঝানো যাবে না। 

প্রবাসী কষ্টের এসএমএসঃ

প্রবাসী জীবনের কষ্ট অনেক গভীর, যা প্রায়ই শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করা কঠিন। এখানে প্রবাসীদের কষ্ট বোঝাতে কিছু এসএমএস উদাহরণ দেওয়া হলোঃ

  1. যেখানে সবাই পরিবারের সাথে হেসে-খেলে থাকে, সেখানে প্রবাসী দিন কাটায় একাকীত্বে। প্রত্যেকটি অর্জনের পেছনে লুকিয়ে থাকে সীমাহীন কষ্ট আর ত্যাগ।
  2. দূর দেশের আলো আমার কাছে নয়, আমার কাছে শুধু অন্ধকারে ভরা স্মৃতির গভীর সাগর। এই প্রবাস জীবন শুধুই সংগ্রাম। যেখানে আমাকে যুদ্ধ করে জিততে হবে।
  3. প্রতিটি দীর্ঘ রাত শেষে সূর্য ওঠে, কিন্তু প্রবাসীর হৃদয়ে সবসময় থাকে এক অদেখা আঁধার। কষ্টের পরও পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোই একমাত্র শান্তি তার জন্য।
  4. একটি ছেলের মনে হাজারো কষ্ট থাকে তারপরেও ছলনাময়ি হাসি দিয়ে সবার কাছে ভাল আছি। সেই ভান করতে হয়। হ্যাঁ এটাই প্রবাসীদের জীবন।
  5. নিজের জীবন গড়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ দেখি নিজের দুঃখ ভুলে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে হচ্ছে। হ্যাঁ ভাই আমরাই ছেলে মানুষ। যাকে টাকা ছাড়া পৃথীবিতে কেউ মূল্য দেয় না।
  6. এই পৃথিবীর বুকে সুখ খুঁজতে গিয়েছিলাম। পরে দেখি পৃথিবী স্বার্থপর। এই পৃথিবীতে টাকা ছাড়া নিজের আপন মানুষও কাছের হয় না। তাই একজন প্রবাসী তার ফ্যামেলির সুখে জীবন কাটাতে বাইরের দেশে গিয়ে ধুকে-ধুকে মরে। হ্যাঁ ভাই ছেলে মানুষের জীবন।

এগুলো প্রবাসীদের জীবনের কঠিন দিকগুলো প্রকাশ করে এবং তাদের আত্মত্যাগের গভীরতা তুলে ধরে।

প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানঃ

প্রবাসীদের জীবনে অনেক ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যা তাদের মানসিক ও আর্থিক স্বস্তি নিশ্চিত করতে পারে তাহলোঃ 

  • সহায়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ প্রবাসীরা অনেক সময় একাকীত্বে ভোগেন, তাই তাদের পরিবার ও প্রিয়জনদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য প্রবাসীদের স্বল্প খরচে কল এবং ইন্টারনেট সেবার সুযোগ দেওয়া উচিত।
  • আইনি সুরক্ষা ও সহায়তাঃ প্রবাসীদের আইনি সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে এবং সঠিক সহায়তা পেতে সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সক্রিয় ভূমিকা জরুরি।
প্রবাসীদের-সমস্যা-সমাধান
প্রবাসীদের-সমস্যা-সমাধান    
  • প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা প্রোগ্রামঃ বিদেশে যাওয়ার আগে প্রবাসীদের জন্য মানসিক ও পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রদান করা উচিত। যাতে তারা বিদেশের পরিবেশে ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারেন।
  • নিয়োগ সংক্রান্ত স্বচ্ছতাঃ সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে প্রবাসীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা উচিত, যাতে প্রতারণার শিকার না হন।
  • সমাজসেবামূলক সংগঠনঃ প্রবাসীদের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধানে স্থানীয় সহায়তা প্রদান করা যেতে পারে, যা তাদের মানসিক স্বস্তি এনে দেয়।

এই পদক্ষেপগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে প্রবাসীদের জীবনে অনেক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

প্রবাসীদের মেডিকেল টেস্টঃ

প্রবাসে যাওয়ার আগে মেডিকেল টেস্ট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিভিন্ন দেশের নিয়ম অনুযায়ী এটি বাধ্যতামূলক। সাধারণত এই মেডিকেল টেস্টের মধ্যে রক্ত পরীক্ষা, ইউরিন পরীক্ষা, চেস্ট এক্স-রে, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে। বিভিন্ন দেশ যেমন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাজের জন্য মেডিকেল টেস্টের নির্দিষ্ট শর্তাবলী রয়েছে।

প্রবাসী কর্মীদের জন্য টেস্টে সাধারণত এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি ও সি, যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের পরীক্ষা করা হয়। এ ছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে ব্লাড গ্রুপ, ব্লাড সুগার, এবং সাধারণ স্বাস্থ্যের অন্যান্য পরীক্ষা করা হয়। বাংলাদেশে প্রবাসীদের মেডিকেল টেস্ট করার জন্য সরকারি অনুমোদিত ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। 

যেমনঃ বিএমইটি (বিউরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং) এর মাধ্যমে প্রবাসীদের জন্য নির্ধারিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হয়। যাতে তাদের স্বাস্থ্য সনদ বৈধভাবে স্বীকৃত হয় এবং তারা নিরাপদে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন একজন বাইরের দেশে যাওয়া একটি প্রবাসী জীবনের গল্প কি ধরনের হয়ে থাকে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার ওয়েবসাইট কেমন হয়।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন..................www.stylishsm.com



( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url