ফ্ল্যাট বিক্রির নিয়ম - পুরাতন ফ্ল্যাট কেনার নিয়ম কি? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে মানুষ তার জমির উপরে এই ফ্ল্যাট তৈরি করে সেই ফ্ল্যাট বিক্রির নিয়ম কি কি হয়। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে এই পুরাতন ফ্ল্যাট কেনার নিয়ম গুলো কি কি হয়। যেখানে টাকা ইনভেস করে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করা যায়। আসুন জানি?

ভূমিকাঃ

মানুষ তার জমিতে বা অন্য কারে জমিতে ফ্ল্যাট তৈরি করে সেখানে ভাড়া খাটিয়ে টাকা ইনকাম করে থাকে ঘরে বসে। এই ফ্ল্যাট কেনা বেচা করলে শুধু টাকা আর কিছু অভিজ্ঞতা তার সাথে সাথে জ্ঞান থাকতে হবে। তাহলে আপনি ও ঘরে বসে অনলাইন বা মানুষের পরিচয় দ্বারা টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্ল্যাট-বিক্রির-নিয়ম
ফ্ল্যাট-বিক্রির-নিয়ম            

তাই আসুন জেনে রাখি যে এই জমির উপরে যেকোনো ফ্ল্যাট বিক্রির নিয়ম গুলো জেনে আপনি ও কীভাবে টাকা ইনকাম করবেন মানুষের দ্বারা। ও তার তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে এই পুরাতন ফ্ল্যাট কেনার নিয়ম কি-কি হয় ও কি-কি কাগজ প্রতি দরকার হয়। নিম্নে বিস্তারিত...............।

ফ্ল্যাট বিক্রির নিয়মঃ

বাংলাদেশে ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। প্রথমত, বিক্রেতার ফ্ল্যাটের মূল দলিল, মিউটেশন সনদ, এবং খাজনা পরিশোধের রসিদ থাকতে হবে। ফ্ল্যাট বিক্রির চুক্তিপত্র তৈরির সময় উভয় পক্ষের মধ্যে একটি বায়না চুক্তি বা প্রাথমিক চুক্তি সম্পন্ন করা হয়। যেখানে ফ্ল্যাটের মূল্য এবং শর্তাবলী উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এরপর, ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়।

যেখানে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়েই সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে উপস্থিত থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি এবং স্ট্যাম্প ডিউটি পরিশোধ করতে হয়। এই ফি সাধারণত ফ্ল্যাটের বিক্রয়মূল্যের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ।আইনজীবীর সহায়তায় দলিল প্রস্তুত এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের যাচাই নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। যেন বিক্রির পর ভবিষ্যতে কোনো আইনি জটিলতা না হয়।

পুরাতন ফ্ল্যাট কেনার নিয়মঃ

পুরাতন ফ্ল্যাট কেনার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম অনুসরণ করতে হয় যাতে ক্রয় প্রক্রিয়া সুষ্ঠু এবং ঝামেলামুক্ত হয়। প্রথমে, ফ্ল্যাটের মূল দলিল এবং রেজিস্ট্রেশন দলিল যাচাই করতে হবে। এটির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যে বিক্রেতা প্রকৃত মালিক কি'না এবং দলিলে কোনো বাধা আছে কি'না। মিউটেশন সনদ বা নামজারি দলিল দেখতে হবে, যা প্রমাণ করে যে ফ্ল্যাট বিক্রেতার নামে বৈধভাবে রেকর্ডকৃত। খাজনার রসিদ বা ট্যাক্স পরিশোধের প্রমাণ দেখে নিশ্চিত হতে হবে যে ফ্ল্যাটের ওপর কোনো বকেয়া নেই তো।

ফ্ল্যাটের বর্তমান অবস্থা, যেমন গুণগত মান, নির্মাণের তারিখ, এবং অন্যান্য সুবিধাগুলো ভালোভাবে পর্যালোচনা করা উচিত। চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের আগে, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বা অন্য কোনো আইনি বাধা আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে একজন আইনজীবীর সাহায্য নেওয়া উচিত। এরপর, ফ্ল্যাটের চূড়ান্ত মূল্য এবং শর্তাবলী উল্লেখ করে বায়না চুক্তি সম্পন্ন করা হয় এবং পরবর্তীতে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

ফ্ল্যাট কেনার সুবিধা ও অসুবিধাঃ

ফ্ল্যাট কেনার কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে বিবেচনা করা উচিত। যাতে করে আপনি পরিবর্তি কাজে না ধরা দেন। তাই নিম্নে দেখে নিন?

  • সুবিধাঃ

  1. নিরাপত্তাঃ ফ্ল্যাট সাধারণত অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে অবস্থিত থাকে, যা ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সিসিটিভি নজরদারি প্রদান করে। এতে পরিবার নিরাপদ থাকে।
  2. সুবিধাসমূহঃ ফ্ল্যাটে আধুনিক সুবিধা যেমন লিফট, জিম, কমিউনিটি হল, এবং খেলার স্থান থাকে, যা জীবনযাত্রাকে আরামদায়ক করে।
  3. নিম্ন রক্ষণাবেক্ষণঃ পৃথক বাড়ির তুলনায় ফ্ল্যাটে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কম থাকে, কারণ ভবন পরিচালনা কমিটি বা অ্যাসোসিয়েশন এটির দেখভাল করে।
  4. স্থানীয় সুযোগ-সুবিধাঃ ফ্ল্যাট কমপ্লেক্স সাধারণত শহরের কেন্দ্র বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকে। যেখানে স্কুল, হাসপাতাল, এবং বাজারের নিকটবর্তী সুবিধা থাকে।
  5. স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাঃ ফ্ল্যাট কেনার মাধ্যমে নিজের স্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত হয়, যা ভাড়া বাসার চেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য।
  6. সুবিধাজনক স্থানঃ অধিকাংশ ফ্ল্যাট শহরের কেন্দ্রীয় এলাকায় অবস্থিত, যা যাতায়াত, কর্মক্ষেত্র ও স্কুলের নিকটবর্তী।
  7. সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধিঃ সময়ের সাথে সাথে ফ্ল্যাটের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা ভবিষ্যতে ভালো বিনিয়োগে পরিণত হতে পারে।
  8. সামাজিক ও সুরক্ষিত পরিবেশঃ বেশিরভাগ ফ্ল্যাট কমপ্লেক্সে সিকিউরিটি ব্যবস্থা থাকে, যা বাসিন্দাদের জন্য সুরক্ষা এবং সামাজিক বন্ধন নিশ্চিত করে।

  • অসুবিধাঃ

  1. গোপনীয়তার অভাবঃ ফ্ল্যাটে একাধিক পরিবারের সহাবস্থান থাকার কারণে গোপনীয়তা অনেক সময় ক্ষুণ্ন হতে পারে।
  2. কম জায়গাঃ ব্যক্তিগত বাড়ির তুলনায় ফ্ল্যাটে জায়গার পরিমাণ কম হতে পারে, যা বড় পরিবারগুলোর জন্য অসুবিধাজনক হতে পারে।
  3. সহজ পরিবর্তন নয়ঃ ফ্ল্যাটের কাঠামো বা ডিজাইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা কঠিন এবং অনেক সময় আইনি সীমাবদ্ধতা থাকে।
  4. মাসিক চার্জঃ ফ্ল্যাটের সাথে সাধারণত মাসিক পরিচালনা ফি বা অ্যাসোসিয়েশন চার্জ যুক্ত থাকে, যা বাড়ির তুলনায় অতিরিক্ত ব্যয় হতে পারে।
  5. বাড়তি খরচঃ ফ্ল্যাটের মালিক হিসেবে বিভিন্ন মাসিক খরচ যেমন মেইনটেন্যান্স ফি, সোসাইটি চার্জ, এবং কর দিতে হয়।
  6. সীমাবদ্ধতাঃ ফ্ল্যাটে নিজের মতো করে পরিবর্তন আনা অনেক সময় কঠিন, কারণ এটি ভবনের গঠন এবং অন্যান্য বাসিন্দাদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
  7. বিক্রয় এবং হস্তান্তরের জটিলতাঃ প্রয়োজনে ফ্ল্যাট বিক্রি করতে চাইলে সময় এবং প্রচেষ্টা লাগে, কারণ এর জন্য যথাযথ দলিল ও ক্রেতার প্রয়োজন।
  8. প্রকৃত জমির অধিকার নেইঃ ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে জমির উপর সরাসরি মালিকানা পাওয়া যায় না, যা ভবিষ্যতে সমস্যার কারণ হতে পারে।

এই সুবিধা ও অসুবিধাগুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, যেন তা আপনার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং আর্থিক সামর্থ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

ফ্ল্যাট দ্রুত বিক্রি করার নিয়মঃ

ফ্ল্যাট দ্রুত বিক্রি করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। যাতে করে আপনার কাজকে আরো সহজ ও টেনশন মুক্ত করে তুলবে। নিম্নে দেখে নিন?

  • বাজারমূল্য নির্ধারণঃ ফ্ল্যাটের সঠিক বাজারমূল্য নির্ধারণ করতে স্থানীয় বাজারের তথ্য যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত উচ্চমূল্য নির্ধারণ করলে ক্রেতাদের আগ্রহ কমে যেতে পারে, তাই সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা জরুরি।
  • আকর্ষণীয় উপস্থাপনাঃ ফ্ল্যাটের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক অবস্থা আকর্ষণীয় করা গুরুত্বপূর্ণ। ফ্ল্যাট পরিষ্কার ও সাজানো রাখা এবং প্রয়োজনে ছোটখাটো মেরামত করা ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করে।
  • অনলাইন প্রচারঃ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যেমন প্রপার্টি ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, এবং স্থানীয় বিজ্ঞাপন সাইটে ফ্ল্যাটের ছবি ও বিবরণ পোস্ট করুন। এতে অনেক বেশি সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে সহজে পৌঁছানো যায়।
  • প্রফেশনাল ছবি ও ভিডিওঃ পেশাদার ফটোগ্রাফার দ্বারা ফ্ল্যাটের ছবি এবং ভিডিও করানো, যা বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করলে ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়ায়।
  • বিশ্বস্ত এজেন্টের সাহায্যঃ বিশ্বস্ত এবং অভিজ্ঞ প্রপার্টি এজেন্টের মাধ্যমে ফ্ল্যাট বিক্রির প্রক্রিয়া পরিচালনা করলে দ্রুত এবং সুষ্ঠুভাবে ফ্ল্যাট বিক্রি করা যায়।
  • উন্মুক্ত পরিদর্শন (ওপেন হাউস)  ক্রেতাদের ফ্ল্যাট পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়া একটি কার্যকর উপায়। এতে ক্রেতারা সরাসরি ফ্ল্যাটের অবস্থা এবং সুযোগ-সুবিধা দেখতে পারেন।

এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলে ফ্ল্যাট দ্রুত বিক্রির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। 

ফ্ল্যাট কেনার চুক্তিপত্রঃ

ফ্ল্যাট কেনার চুক্তিপত্র তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি পদক্ষেপ, যা ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ লেনদেন নিশ্চিত করবেন। চুক্তিপত্রে কয়েকটি মৌলিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত তাহলোঃ

  • উভয় পক্ষের পরিচয়ঃ ক্রেতা এবং বিক্রেতার সম্পূর্ণ নাম, ঠিকানা, এবং পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর বা অন্যান্য প্রমাণ উল্লেখ করতে হবে।
  • ফ্ল্যাটের বিবরণঃ ফ্ল্যাটের সঠিক অবস্থান, আয়তন, এবং অন্যান্য বিবরণ যেমন কক্ষের সংখ্যা, ফ্ল্যাটের মেঝে, এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
  • চুক্তির মূল্য ও পরিশোধের শর্তঃ ফ্ল্যাটের চূড়ান্ত মূল্য, কিস্তি পদ্ধতি (যদি থাকে), এবং পরিশোধের সময়সীমা উল্লেখ করা জরুরি।
ফ্ল্যাট-কেনার-চুক্তিপত্র
   ফ্ল্যাট-কেনার-চুক্তিপত্র    
  • জমির আইনগত অবস্থাঃ দলিল, মিউটেশন সনদ, এবং খাজনার রসিদ সংক্রান্ত তথ্য চুক্তিপত্রে উল্লেখ করে জমির আইনগত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা উচিত।
  • দলিল হস্তান্তরের শর্তঃ দলিল হস্তান্তরের সময় এবং রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া কবে এবং কীভাবে সম্পন্ন হবে তা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করতে হবে।
  • অগ্রিম টাকা ও বায়না চুক্তিঃ যদি কোনো অগ্রিম পরিশোধ থাকে, তবে তার পরিমাণ এবং পরিশোধের তারিখ চুক্তিপত্রে লিখতে হবে।

চুক্তিপত্রে এই বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করলে, উভয় পক্ষের জন্যই একটি নিরাপদ এবং স্বচ্ছ লেনদেন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। চুক্তিপত্র প্রস্তুত করার সময় অভিজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তা নেওয়া সবসময়ই বুদ্ধিমানের কাজ।

ফ্ল্যাট কিনলে কি জমির মালিক হওয়া যায়ঃ

ফ্ল্যাট কেনার মাধ্যমে সাধারণত ফ্ল্যাটের মালিকানা লাভ করা যায়, তবে এর সাথে জমির সম্পূর্ণ মালিকানা পাওয়া যায় না। ফ্ল্যাট মালিকরা মূলত ফ্ল্যাটের উপর অধিকার অর্জন করেন এবং যেসব জমিতে বিল্ডিংটি অবস্থিত, তার কিছু অংশে আনুপাতিক মালিকানা থাকে। যা সাধারণত ভবনের মালিকানার অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই মালিকানা সাধারণত যৌথভাবে অন্যান্য ফ্ল্যাট মালিকদের সাথে ভাগাভাগি করতে হয়।

এবং এর নিয়মাবলী কনডোমিনিয়াম আইন বা সংশ্লিষ্ট আবাসিক সমিতির বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। জমির পূর্ণস্বত্ব পেতে হলে আলাদা দলিল থাকতে হবে, যা শুধুমাত্র ভবনের ফ্ল্যাট মালিকানা সরবরাহ করে না। ফ্ল্যাট কেনার সময় জমির মালিকানার বিস্তারিত শর্তাবলী এবং অধিকার সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝে নেওয়া উচিত এবং প্রয়োজনে আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যেকোনো জমির উপরে এই পুরাতন ফ্ল্যাট কেনার নিয়ম কি গুলো কি কি। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে এই পুরাতন ফ্ল্যাট কেনার নিয়ম কি হয়।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন........................www.stylishsm.com



( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ



















এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url