ঢাকার সেরা রেস্টুরেন্ট - ধানমন্ডি রেস্টুরেন্ট তালিকা? জেনে নিন?
আজকে আমরা জানবো যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এই ঢাকার সেরা রেস্টুরেন্ট কোনগুলি। ও তার সাথে সাথে এটাই জানবো যে ঢাকার ধানমন্ডি রেস্টুরেন্ট তালিকা কোনগুলো ও কি কি। আসুন জানি?
ভূমিকাঃ
রেস্টুরেন্ট মানে মানুষের কাছে নতুন নতুন খাবারেরে জাইগা ও বিনোদনের মূর্হত কাটানো। রেস্টুরেন্টে গেলে আমরা নতুন নতুন খাবার খেতে পারি। ও তার সাথে মজা ফ্রী।
ঢাকার-সেরা-রেস্টুরেন্ট |
তাই আসুন জেনে রাখি যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সেরা রেস্টুরেন্ট গুলো কেমন ও কোথায়। তার সাথে সাথে সাথে এটাও জানুন যে ধানমন্ডি রেস্টুরেন্ট তালিকা কয়টি ও কি-কি। নিম্নে বিস্তারিত.........।
ঢাকার সেরা রেস্টুরেন্টঃ
ঢাকায় বেশ কয়েকটি সেরা রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যেগুলো তাদের অনন্য স্বাদ, পরিবেশ এবং সেবার জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয়। নন্দন পার্কের কাছাকাছি অবস্থিত পূরবী রেস্টুরেন্ট বাঙালি খাবারের জন্য বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। যেখানে ভোজনরসিকরা নির্ভেজাল বাঙালি রান্নার স্বাদ পাওয়া যায়। এছাড়া, গুলশানে অবস্থিত ইটালিয়ান কিচেন তাদের চমৎকার পিৎজা এবং পাস্তার জন্য পরিচিত।যেখানে ইউরোপিয়ান ফ্লেভার অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ শীতকালে কি ধরনের খাবার খেলে আপনার শরীর স্বস্থ্য থাকবে জেনে নিন?
ধানমন্ডিতে ক্যাফে সোহাগ অন্যতম জনপ্রিয় স্থান, যেখানে বিভিন্ন ধরনের স্ন্যাকস ও কফির জন্য ভিড় থাকে। যারা আধুনিক অ্যাম্বিয়েন্স এবং বহুজাতিক খাবারের স্বাদ পেতে চান, তাদের জন্য লাভিং আর্থ এবং ওরিয়েন্টাল হোটেলের মেজবান ভালো বিকল্প হতে পারে। গুলশানের স্টার কাবাব বিভিন্ন গ্রিলড এবং কাবাব আইটেমে বিশেষজ্ঞ এবং এটি বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের খাদ্য প্রেমীদের কাছে আকর্ষণীয়।
সব মিলিয়ে ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে বাঙালি খাবার থেকে শুরু করে কন্টিনেন্টাল, ইটালিয়ান, চাইনিজসহ সব ধরনের খাবারের স্বাদ পাওয়া যায়, যা শহরের খাদ্যপ্রেমীদের জন্য একটি বড় আকর্ষণ।
ধানমন্ডি রেস্টুরেন্ট তালিকাঃ
ধানমন্ডিতে বেশ কিছু জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যেগুলোতে ভিন্নধর্মী খাবারের স্বাদ পাওয়া যায়। এখানে কিছু উল্লেখযোগ্য রেস্টুরেন্টের তালিকা দেওয়া হলোঃ
- বীথি রেস্টুরেন্ট - ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের জন্য পরিচিত।
- কফি বিয়ান এন্ড টি লিফ - আরামদায়ক কফি এবং স্ন্যাকসের জন্য ভালো।
- স্টার কাবাব এন্ড রেস্টুরেন্ট - মজাদার কাবাব ও বিরিয়ানি আইটেমের জন্য বিখ্যাত।
- নন্দন পার্ক রেস্টুরেন্ট - বাঙালি ও ইন্ডিয়ান মেনুর জন্য জনপ্রিয়।
- গ্রীন লাউঞ্জ - মজাদার স্ন্যাকস এবং ভিন্নধর্মী স্যালাড আইটেমের জন্য পরিচিত।
- পিজ্জা গাই - পিৎজা ও পাস্তা প্রেমীদের জন্য আদর্শ স্থান।
- বাবুর্চি রেস্টুরেন্ট - বিভিন্ন ফাস্টফুড এবং চাইনিজ খাবারের জন্য বিখ্যাত।
- কফি আড্ডা - বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য আরামদায়ক পরিবেশ।
- ওয়েস্টার্ন গ্রিল - গ্রিলড এবং বারবিকিউ আইটেমের জন্য চমৎকার।
- ক্রিস্টাল প্যালেস - কন্টিনেন্টাল এবং চাইনিজ ফুডের জন্য ভালো বিকল্প।
ধানমন্ডির এই রেস্টুরেন্টগুলোতে বাংলাদেশি, ভারতীয়, চাইনিজ, ইটালিয়ানসহ নানা ধরনের খাবারের স্বাদ পাওয়া যায়।
উত্তরা বুফে রেস্টুরেন্ট তালিকাঃ
উত্তরাতে বেশ কিছু ভালো মানের বুফে রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ধরণের খাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে। নিচে উত্তরার কয়েকটি জনপ্রিয় বুফে রেস্টুরেন্টের তালিকা দেওয়া হলো যেখানে আপনি মনের মতো খাবার পাবেন?
- ব্রাভো রেস্টুরেন্ট - বাঙালি, চাইনিজ এবং কন্টিনেন্টাল খাবারের জন্য বিখ্যাত।
- গার্লিক অ্যান্ড জিঞ্জার - বহুজাতিক বুফের জন্য পরিচিত, যেখানে গ্রিল ও সি-ফুড আইটেম বেশ জনপ্রিয়।
- রয়েল মালাবার - ইন্ডিয়ান এবং মধ্যপ্রাচ্যের খাবারের জন্য সুপরিচিত, এখানে বিশেষ করে হালাল ফুড অপশন পাওয়া যায়।
- কপার কেটলি - বাঙালি ও ইন্ডিয়ান বুফে আইটেমের জন্য বেশ প্রসিদ্ধ।
- পানশী রেস্টুরেন্ট - চাইনিজ ও থাই খাবারের জন্য একটি জনপ্রিয় বুফে বিকল্প।
- ফুড টক রেস্টুরেন্ট - মজাদার বাঙালি এবং ইন্ডিয়ান বুফে মেনুর জন্য পরিচিত।
- ওয়ার্ড রেস্তোরাঁ - আধুনিক পরিবেশে বুফে খাওয়ার অভিজ্ঞতা পেতে এই স্থানটি আদর্শ।
- অ্যাজিয়ান বুফে - চাইনিজ, থাই এবং সুশি আইটেমের জন্য জনপ্রিয়।
- ব্যানকুইট রেস্টুরেন্ট - বাঙালি এবং মধ্যপ্রাচ্যের খাবারের বুফের জন্য পরিচিত।
- এমব্রেস রেস্টুরেন্ট - মূলত কন্টিনেন্টাল বুফে সেবার জন্য বিখ্যাত, বিশেষ করে ইভেন্ট এবং পার্টির জন্য উপযোগী।
এই রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিন্নধর্মী এবং বৈচিত্র্যময় খাবারের বুফে মেনু পাওয়া যায়, যা উত্তরার খাবারপ্রেমীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।
বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি রেস্টুরেন্টঃ
বাংলাদেশে বেশ কিছু বিলাসবহুল রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যেগুলো উচ্চ মূল্যের খাবার এবং চমৎকার পরিবেশের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এসব রেস্টুরেন্টের মধ্যে অন্যতম হলোঃ
- Le Méridien Dhaka (Latest Recipe) - ঢাকার পাঁচতারা হোটেল লে মেরিডিয়ানের এই রেস্টুরেন্টটি বিলাসবহুল বুফে এবং কন্টিনেন্টাল খাবারের জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয়। খাবারের বৈচিত্র্য ও পরিবেশ অনুযায়ী এখানে খরচ বেশ পরিমাণে হয়ে থাকে।
- The Westin Dhaka (Seasonal Tastes) - ঢাকার গুলশানে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টটি প্রিমিয়াম কন্টিনেন্টাল ও ফিউশন মেনুর জন্য বিখ্যাত। মূলত উচ্চ মানের সেবা এবং বিলাসবহুল পরিবেশের জন্য এটি একটি দামি বিকল্প।
- Amari Dhaka (Amaya Food Gallery) - গুলশানে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টটি ইন্টারন্যাশনাল বুফের জন্য প্রসিদ্ধ, যেখানে জাপানি, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান, এবং থাই খাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে।
- Sabrina’s Kitchen - বাংলাদেশি ও মধ্যপ্রাচ্যের ফিউশন খাবারের জন্য পরিচিত এই রেস্টুরেন্টটি উচ্চ মূল্যের অভিজ্ঞতা দেয়।
- Izumi Japanese Kitchen - গুলশানে অবস্থিত এই জাপানি রেস্টুরেন্টটি উচ্চ মানের সুশি ও অন্যান্য জাপানি খাবারের জন্য খ্যাত, যেখানে খরচও অপেক্ষাকৃত বেশি।
- Renaissance Dhaka Gulshan (Bahar) - ঢাকার গুলশানে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টটি তাদের বিলাসবহুল বুফে ও কন্টিনেন্টাল মেনুর জন্য খ্যাত, যেখানে আন্তর্জাতিক মানের সেবা এবং পরিবেশ পাওয়া যায়।
এই রেস্টুরেন্টগুলোতে ভোজনরসিকরা উচ্চমূল্যে খাবার গ্রহণ করতে পারেন, এবং এসব স্থান বিভিন্ন ইভেন্ট বা বিশেষ উপলক্ষে অভিজাতদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
বুফে মানে কিঃ
বুফে হলো এমন একটি খাবারের ব্যবস্থা যেখানে খাবারের বিভিন্ন পদ একসাথে সাজিয়ে রাখা হয় এবং অতিথিরা নিজেদের ইচ্ছামতো খাবার নিতে পারেন। বুফেতে সাধারণত বেশ কয়েকটি খাবারের অপশন থাকে, যেমনঃ স্টার্টার, স্যুপ, সালাদ, মূল খাবার, মিষ্টান্ন, ও আরো বিভিন্ন ধরনের খাবার। বুফে রেস্টুরেন্টে অতিথিরা তাদের পছন্দমতো খাবার বেছে নিয়ে পরিমাণ অনুযায়ী প্লেটে সাজিয়ে খেতে পারেন।
বুফে-মানে-কি |
এই ধরনের পরিবেশনা অতিথিদেরকে স্বাধীনভাবে খাবার বাছাইয়ের সুযোগ দেয়, এবং একই সাথে একাধিক খাবারের স্বাদ পরখ করার অভিজ্ঞতা মেলে। বুফের জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ এটি বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপ্রেমীদের জন্য একটি আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা প্রদান করে। অনেক সময়, বুফেতে নির্দিষ্ট অর্থ প্রদানের মাধ্যমে অবারিত খাবারের সুবিধা দেওয়া হয়, যা গ্রাহকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয়।
খিলগাঁও বুফে রেস্টুরেন্টঃ
খিলগাঁও এলাকায় কিছু ভালো মানের বুফে রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যা স্থানীয়দের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এসব রেস্টুরেন্টে নানা ধরনের খাবারের বুফে পরিবেশন করা হয়। যেখানে গ্রিল, বারবিকিউ, চাইনিজ এবং ইন্ডিয়ান খাবারের আইটেম থাকে। খিলগাঁওয়ের উল্লেখযোগ্য বুফে রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে হান্টারস বুফে এবং কিংস বুফে।
যেখানে প্রায়ই প্রচুর বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবারের আয়োজন থাকে। এ ধরনের রেস্টুরেন্টগুলোতে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট মূল্যে অবারিত খাবারের সুবিধা দেওয়া হয়, যা ভোজনরসিকদের আকর্ষণ করে।এছাড়া, অনেক রেস্টুরেন্ট বিশেষ ছাড় এবং অফার দিয়ে থাকে, যা খিলগাঁওয়ের বুফে রেস্টুরেন্টগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
কম টাকার মধ্য ঢাকায় ২০টি বুফে রেস্টুরেন্টঃ
ঢাকায় কম টাকার মধ্যে বুফে খাওয়ার জন্য বেশ কিছু ভালো মানের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এখানে ২০টি জনপ্রিয় বুফে রেস্টুরেন্টের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলোতে তুলনামূলকভাবে কম খরচে খাওয়ার সুযোগ রয়েছে যেমনঃ
- খাজানা বুফে - ধানমন্ডি
- ঢাকা রিজেন্সি - নিকুঞ্জ
- ফুডি বুফে - উত্তরা
- হান্টারস বুফে - খিলগাঁও
- কিংস বুফে - খিলগাঁও
- স্বাদ বুফে - বনানী
- বিজয় ৭১ - মিরপুর
- মহারাজ বুফে - ধানমন্ডি
- স্পাইসি ডাইনিং - মোহাম্মদপুর
- এমব্রেস রেস্টুরেন্ট - উত্তরা
- এশিয়ান স্পাইস - গুলশান
- কাবাব কুইন - বনানী
- ক্যাফে বেংকুয়েট - মিরপুর
- গ্র্যান্ড বুফে - ধানমন্ডি
- ইনফিনিটি ডাইনিং - গুলশান
- রানারস রেস্টুরেন্ট - মগবাজার
- রহিম আফ্রান বুফে - বেইলি রোড
- ইটিং হাউজ - বাড্ডা
- ডাইনিং গ্লোরি - শ্যামলী
- হিলটপ বুফে - উত্তরা
এই রেস্টুরেন্টগুলোতে বিভিন্ন ধরণের বুফে মেনু পাওয়া যায়, যেমন চাইনিজ, ইন্ডিয়ান, থাই, এবং বাঙালি খাবার। সাধারণত ৬০০-১৫০০ টাকার মধ্যে এসব রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন। এছাড়া, অনেক রেস্টুরেন্টে সময়সাপেক্ষে ছাড় এবং বিশেষ অফারও পাওয়া যায়, যা খরচকে আরও কমিয়ে আনতে সহায়ক।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সেরা রেস্টুরেন্ট কেমন হয়। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে ঢাকায় ধানমন্ডি রেস্টুরেন্ট তালিকা কোথায় রয়েছে।
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন..................www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url