আপেল জুস এর উপকারিতা - আপেল জুস রেসিপি? বিস্তারিত জেনে নিন?
আজকে আমরা জানবো যে আমাদের শরীর ফিট রাখার জন্য ফলের মধ্য এই আপেল জুস এর উপকারিতা কি হয়ে থাকে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে এই আপেল জুস রেসিপি কীভাবে ঘরে বসে তৈরি করা যায় সহজ প্রদ্ধতি অনুসরণ করে। আসুন জানি?
ভূমিকাঃ
আমাদের শরীর সতেজ ও সবল রাখার জন্য আমরা বিভিন ধরনের ফল খেয়ে থাকি। তার মধ্য একটা এই। আপেল জুস যেটি খেলে আমাদের শরীর সুস্থ্য ও সতেজ থাকে। যাতে করে আমরা শক্তি পায় ভরপুর।
![]() |
আপেল-জুস-এর-উপকারিতা |
তাই আসুন জেনে রাখি যে আমাদের শরীর সুস্থ্য, সবল, ও সতেজ রাখার জন্য এই আপেল জুস এর উপকারিতা গুলো কি-কি হয়ে থাকে শরীর সুস্থ্য ও সবল রাখার জন্য। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে এই আপেল জুস রেসিপি কীভাবে তৈরি করবেন ঘরে বসে। নিম্নে বিস্তারিত.........।
আপেল জুস এর উপকারিতাঃ
আপেল জুস খেলে অনেক উপকারিতা রয়েছে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে প্রচুর ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, এবং ফাইবার থাকে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। আপেল জুস খেলে হজম ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে এটা ডাক্তারেরা বিবেচনা করেছেন।
আরো পড়ুনঃ স্ট্রবেরি খেলে কি জন্য আমাদের শরীর এত পরিমাণে পুষ্টি ও প্রোটিন পায় জেনে নিন?
এছাড়া, আপেেলের জুস সপ্তাহে ৩-৪ দিন খেলে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আপেল জুস পান করলে হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং শরীর চাঙ্গা রাখে। তবে, অতিরিক্তক আপেল জুস খাওয়া এড়িয়ে চলবেন এবং যতটুকু দরকার ততটুকু পান করবেন।
আপেল জুস রেসিপিঃ
আপেল জুস তৈরি করতে হলে খুব সহজ কিছু উপকরণ এবং পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। এটি স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু পানীয় হিসেবে সবার জন্য উপযুক্ত। নিচে আপেল জুস তৈরির সাধারণ রেসিপি দেওয়া হলোঃ
- উপকরণঃ
- আপেল - ২টি (মাঝারি আকারের)
- লেবুর রস - ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
- চিনি বা মধু - পরিমাণমতো (ঐচ্ছিক)
- ঠান্ডা পানি - ১ কাপ
- বরফ কুচি - কয়েকটি (ঐচ্ছিক)
- জুস করার নিয়মঃ
- আপেল ভালোভাবে ধুয়ে খোসাসহ ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়ে বীজ গুলো সরিয়ে ফেলুন।
- ব্লেন্ডারে আপেলের টুকরো, ঠান্ডা পানি এবং চাইলে মধু বা চিনি যোগ করতে পারেন। মিহি হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন।
- যদি খোসা বা মিহি না পছন্দ করেন, তাহলে জুস্টি ছেঁকে নিন।
- তারপর একটি গ্লাসে ঢেলে বরফের টুকরা জুসের মধ্য দিয়ে দিন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য লেবুর রস ও দিতে পারেন।
আপনার আপেল জুস তৈরি। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং ত্বকসহ শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সহায়তা করে।
আপেল জুস এর অউপকারিতাঃ
আপেল জুস খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য অপকারিতাও রয়েছে, বিশেষ করে অতিরিক্ত বা প্রক্রিয়াজাত জুস পান করলে হয়। নিচে এর কিছু উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরা হলোঃ
- অতিরিক্ত চিনিঃ বাজারে পাওয়া অনেক আপেল আছে যেটির জুস বানালে তার মধ্য অতিরিক্ত মিষ্টি বেশি থাকে। যার কারণে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে শরীরে।
- ফাইবারের অভাবঃ আপেলের তুলনায় আপেল জুসে ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে। ফাইবার হজমের জন্য উপকারী। এ জন্য জুস বানালে তার ভিটামিন বাদ পড়ে যায়। যার জন্য আমাদের শরীরে ক্ষুধা বেড়ে যায়।
- ক্যালোরি বৃদ্ধিঃ আপেল জুস আমরা যখন অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি তখন শরীরের ক্যালোরির মাত্রা বেড়ে যায়। যা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
- রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধিঃ আপেল জুসে থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরে রক্ত শোষিত করে। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
তাই, আপেল জুস খাওয়ার সময় পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা এবং ঘরে তৈরি জুস বেছে নেওয়া ভালো। যাতে অতিরিক্ত চিনি এবং প্রিজারভেটিভ এড়ানো যায়।
প্রতিদিন আপেলের জুস খেলে কি হয়ঃ
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে প্রতিদিন আপেলের জুস খেলে শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। আপেলের জুসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, এবং পটাসিয়াম থাকে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হার্টের সমস্যা সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আপেলের জুস পান করলে শরীরের আজেবাজে কোলেস্টেরল নষ্ট করতে সক্ষম।
আরো পড়ুনঃ আপেল খেলে কি উপকার পায় আমাদের শরীর ও কীভাবে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় জানুন?
তাই, প্রতিদিন আপেলের জুস খাওয়ার সময় পরিমাণ মতো খাবেন এবং অতিরিক্ত মিষ্টি এই ধরনের আপেল কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। ঘরে তৈরি আপেলের জুস স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকরের বিকল্প নেই।
আপেলের জুস খাওয়া কি ভালঃ
আপেলের জুস খাওয়া সাধারণত শরীরের জন্য ভালো এবং পুষ্টিকর। আপেলের জুসে থাকে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, এবং পটাসিয়াম যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আপেলের জুস খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায় এবং শরীর থেকে খারাপ কোষ বের করতে সহায়ক।
আরো পড়ুনঃ কাজু খেলে কীভাবে আমাদের শরীর সতেজ ও প্রোটিন যুক্ত থাকে সব সময় জেনে নিন?
আপেলের জুস খাওয়া ভালো। এটি নিয়মিত খাবারের অংশ হিসেবে গ্রহণ করলে স্বাস্থ্য উপকারিতা বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া আপেলের জুস খেলে আমাদের শরীরের হার্ট ভাল থাকে।
চিনি ছাড়া আপেলের জুস খাওয়া কি ভালঃ
চিনি ছাড়া আপেলের জুস বানিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যকর এবং শরীরের জন্য ভালো। একটি আপেলে প্রাকৃতিক চিনি এবং পুষ্টিগুণ যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। তাই অতিরিক্ত চিনি যোগ করার প্রয়োজন নেই। চিনি ছাড়া আপেলের জুস পান করলে শরীরে প্রাকৃতিক ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, এবং পটাসিয়াম সরবরাহ হয়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ শরীরের শক্তি প্রোটিন ও ভিটামিন যোগাতে কাঁচা গাজরের উপকারিতা জেনে নিন?
এছাড়া, আপেলের জুস খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে ও ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের রোগ কন্টল করা খুবই সহজ।
আপেলের জুস খাওয়ার নিয়মঃ
আমরা যদি প্রতিদিন সকালে একগ্লাস করে আপেলের জুস খেতে পারি তাহলে আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভাল একটি দিক। কেননা এই আপেলের জুস পান করলে আমাদের শরীর সতেজ থাকে ও আমাদের চোখের দৃষ্টি আর্কষণ বাড়ে ও শরীরের জটিল রোগ বালাই দূর করতে পারে এই আপেলের জুস। এর মধ্য থাকা ভিটামিন আমাদের শরীরে পুষ্টি জোগায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
![]() |
আপেলের-জুস-খাওয়ার-নিয়ম |
তাই আপনেরা যদি এই আপেলের জুস খেতে কোনো ধরনের এলার্জি না থাকে। তাহলে আপনি নিশ্চত এই আপেলের খেতে পারবেন নিসন্ধে। তবে আপনার যদি পেটে অ্যাসিডিটি কিংবা গ্যাস্টিক এর সমস্যা থাকে। তাহলে আপনাকে এই আপেলের জুস খাওয়া থেকে বিরতি থাকতে হবে।
আপেল জুস খাওয়ার সঠিক সময়ঃ
একটি আপেল খেলে হয়তো আপনাকে আর ডাক্তারের কাছে আপনার শরীরের রোগ নিয়ে আর যেতে হবে না এই কথা অনেকের মুখে শোনা যায়। প্রথমে আপনাকে সকালে খালি পেটে আপেলের জুস খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন সকালে আপেলের জসু খেলে আমাদের দিন শুরুতে আমাদের শরীরের পক্ষে পুষ্টি যোগান দেয় ও শর্করা ফ্রুক্টোজ তৈরি করে।
আরো পড়ুনঃ শরীরের মাত্রা বাড়াতে ও শরীরে প্রোটিন যোগাতে পাঁকা কলার উপকারিতা জেনে নিন?
যা আমাদের শরীরের সারাদিনের ক্যালোরি যোগ করে ও শরীরে শক্তি জোগায়। আপেলের জুসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। তাই এই শক্তি ধরে রাখার জন্য আপনাকে খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে আপেল বা আপেলের জুস খেতে হবে।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন আমাদের শরীর সতেজ ও ফিট রাখার জন্য এই আপেল জুস এর উপকারিতা গুলো কি কি। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে আপেল জুস রেসিপি কীভাবে তৈরি করবেন।
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.....................www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url