আপেল জুস এর উপকারিতা - আপেল জুস রেসিপি? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে আমাদের শরীর ফিট রাখার জন্য ফলের মধ্য এই আপেল জুস এর উপকারিতা কি হয়ে থাকে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে এই আপেল জুস রেসিপি কীভাবে ঘরে বসে তৈরি করা যায় সহজ প্রদ্ধতি অনুসরণ করে। আসুন জানি?

ভূমিকাঃ

আমাদের শরীর সতেজ ও সবল রাখার জন্য আমরা বিভিন ধরনের ফল খেয়ে থাকি। তার মধ্য একটা এই। আপেল জুস যেটি খেলে আমাদের শরীর সুস্থ্য ও সতেজ থাকে। যাতে করে আমরা শক্তি পায় ভরপুর।

আপেল-জুস-এর-উপকারিতা
আপেল-জুস-এর-উপকারিতা        

তাই আসুন জেনে রাখি যে আমাদের শরীর সুস্থ্য, সবল, ও সতেজ রাখার জন্য এই আপেল জুস এর উপকারিতা গুলো কি-কি হয়ে থাকে শরীর সুস্থ্য ও সবল রাখার জন্য। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে এই আপেল জুস রেসিপি কীভাবে তৈরি করবেন ঘরে বসে। নিম্নে বিস্তারিত.........।

আপেল জুস এর উপকারিতাঃ

আপেল জুস পান করার অনেক উপকারিতা রয়েছে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে প্রচুর ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, এবং ফাইবার থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। আপেল জুস হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এবং লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

আরো পড়ুনঃ স্ট্রবেরি খেলে কি জন্য আমাদের শরীর এত পরিমাণে পুষ্টি ও প্রোটিন পায় জেনে নিন?

এছাড়া, আপেল জুসে পটাসিয়াম রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আপেল জুস পান করলে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়, যা শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সহায়ক। তবে, অতিরিক্ত চিনি মিশ্রিত আপেল জুস এড়িয়ে চলা উচিত এবং সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য প্রাকৃতিক ও ঘরে তৈরি জুস পান করা ভালো।

আপেল জুস রেসিপিঃ

আপেল জুস তৈরি করতে হলে খুব সহজ কিছু উপকরণ এবং পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। এটি স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু পানীয় হিসেবে সবার জন্য উপযুক্ত। নিচে আপেল জুস তৈরির সাধারণ রেসিপি দেওয়া হলোঃ

  • উপকরণঃ

  1. আপেল - ২টি (মাঝারি আকারের)
  2. লেবুর রস - ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
  3. চিনি বা মধু - পরিমাণমতো (ঐচ্ছিক)
  4. ঠান্ডা পানি - ১ কাপ
  5. বরফ কুচি - কয়েকটি (ঐচ্ছিক)

  • প্রণালিঃ

  1. আপেল ধোয়া ও কাটাঃ আপেল ভালোভাবে ধুয়ে খোসাসহ ছোট টুকরো করে কাটুন এবং বীজ সরিয়ে ফেলুন।
  2. ব্লেন্ড করাঃ ব্লেন্ডারে আপেলের টুকরো, ঠান্ডা পানি এবং চাইলে মধু বা চিনি দিন। মসৃণ হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন।
  3. ছেঁকে নেওয়াঃ যদি খোসা বা গুঁড়ো না পছন্দ করেন, তবে মিশ্রণটি ছেঁকে নিন।
  4. পরিবেশনঃ একটি গ্লাসে ঢেলে বরফ কুচি যোগ করুন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য লেবুর রস দিতে পারেন।

আপনার আপেল জুস তৈরি। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং ত্বকসহ শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সহায়তা করে।

আপেল জুস এর অউপকারিতাঃ

আপেল জুস খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য অপকারিতাও রয়েছে, বিশেষ করে অতিরিক্ত বা প্রক্রিয়াজাত জুস পান করলে হয়। নিচে এর কিছু উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরা হলোঃ

  1. অতিরিক্ত চিনিঃ বাজারে পাওয়া অনেক প্রক্রিয়াজাত আপেল জুসে অতিরিক্ত চিনি মেশানো থাকে,। যা স্থূলতা, ডায়াবেটিস, এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  2. ফাইবারের অভাবঃ আপেলের তুলনায় আপেল জুসে ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে। ফাইবার হজমের জন্য উপকারী, যা জুস থেকে বাদ পড়ে যায়। এটি দীর্ঘস্থায়ী তৃপ্তি কমিয়ে ক্ষুধা বাড়াতে পারে শরীরে।
  3. ক্যালোরি বৃদ্ধিঃ আপেল জুস বেশি পরিমাণে পান করলে ক্যালোরির মাত্রা বেড়ে যায়। যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
  4. রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধিঃ আপেল জুসের প্রাকৃতিক চিনি দ্রুত রক্তে শোষিত হয়। যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারেজ
  5. দাঁতের ক্ষতিঃ আপেল জুসের অ্যাসিডিক প্রকৃতি দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে এবং ক্যাভিটির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

তাই, আপেল জুস খাওয়ার সময় পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা এবং ঘরে তৈরি জুস বেছে নেওয়া ভালো। যাতে অতিরিক্ত চিনি এবং প্রিজারভেটিভ এড়ানো যায়।

প্রতিদিন আপেলের জুস খেলে কি হয়ঃ

প্রতিদিন আপেলের জুস খেলে শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়, তবে এটি কিছু সতর্কতার সাথে গ্রহণ করা উচিত। কেননা আপেলের জুসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, এবং পটাসিয়াম থাকে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি লিভারকে টক্সিন রোগ থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

আরো পড়ুনঃ আপেল খেলে কি উপকার পায় আমাদের শরীর ও কীভাবে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় জানুন?

তবে, প্রতিদিন আপেলের জুস অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া কিছু সমস্যা তৈরি করতে পারে। এতে ফাইবারের অভাব থাকে, যা হজম প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে এবং অতিরিক্ত প্রাকৃতিক চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তাই, প্রতিদিন আপেলের জুস খাওয়ার সময় পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা এবং চিনি বা প্রিজারভেটিভ ছাড়া জুস গ্রহণ করা উচিত। ঘরে তৈরি আপেলের জুস স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর বিকল্প।

আপেলের জুস খাওয়া কি ভালঃ

আপেলের জুস খাওয়া সাধারণত শরীরের জন্য ভালো এবং পুষ্টিকর। এতে থাকা ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, এবং পটাসিয়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। আপেলের জুস দ্রুত শক্তি জোগায় এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সহায়ক। এ ছাড়া অতিরিক্ত আপেলের জুস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ কাজু খেলে কীভাবে আমাদের শরীর সতেজ ও প্রোটিন যুক্ত থাকে সব সময় জেনে নিন?

কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি বেশি থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে এবং ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়া, জুসে ফাইবারের অভাব থাকায় এটি হজমের জন্য আপেলের মতো উপকারী নয়। পরিমিত পরিমাণে ঘরে তৈরি বা প্রিজারভেটিভ ও অতিরিক্ত চিনি ছাড়া আপেলের জুস খাওয়া ভালো। এটি নিয়মিত খাবারের অংশ হিসেবে গ্রহণ করলে স্বাস্থ্য উপকারিতা বৃদ্ধি পায়।

চিনি ছাড়া আপেলের জুস খাওয়া কি ভালঃ

চিনি ছাড়া আপেলের জুস খাওয়া স্বাস্থ্যকর এবং শরীরের জন্য ভালো। আপেলের প্রাকৃতিক চিনি এবং পুষ্টিগুণ যথেষ্ট থাকে, তাই অতিরিক্ত চিনি যোগ করার প্রয়োজন নেই। চিনি ছাড়া আপেলের জুস পান করলে শরীরে প্রাকৃতিক ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, এবং পটাসিয়াম সরবরাহ হয়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুনঃ শরীরের শক্তি প্রোটিন ও ভিটামিন যোগাতে কাঁচা গাজরের উপকারিতা জেনে নিন?

এছাড়া, এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক, কারণ চিনি ছাড়া জুসে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প। তবে, ঘরে বসে তৈরি চিনি ছাড়া জুস সর্বদা ভালো, কারণ বাজারজাত জুসে প্রায়শই প্রিজারভেটিভ বা লুকানো চিনি থাকে। তাই, চিনি ছাড়া জুস নিয়মিত পান করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আপেলের জুস খাওয়ার নিয়মঃ

আমরা যদি প্রতিদিন একগ্লাস করে এই আপেলের জুস খেতে পারি তাহলে আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভাল একটি দিক। কেননা এই আপেলের জুস পান করলে আমাদের শরীর সতেজ থাকে ও আমাদের চোখের দৃষ্টি আর্কষণ বাড়ে ও আমাদের শরীরের জটিল রোগ বালাই দূর করে থাকে এই আপেলের জুস। এর মধ্য থাকা ভিটামিন আমাদের শরীরে পুষ্টি জোগায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

আপেলের-জুস-খাওয়ার-নিয়ম
আপেলের-জুস-খাওয়ার-নিয়ম    

তাই আপানার যদি এই আপেলের জুস খাওয়াতে কোনো ধরনের এলার্জি না থাকে। তাহলে আপনি নিশ্চত এই আপেলের জুস পান করতে পারবেন নিসন্ধে। তবে আপনার যদি পেটে অ্যাসিডিটি কিংবা গ্যাস এর সমস্যা থাকে। তাহলে আপনাকে এই আপেলের জুস খাওয়া থেকে বিরতি থাকতে হবে।

আপেল জুস খাওয়ার সঠিক সময়ঃ

একটি আপেল খেলে হয়তো আপনাকে আর ডাক্তারের কাছে আপনার শরীরের রোগ নিয়ে আর যেতে হবে না এই কথা অনেকের মুখে শোনা যায়। প্রথমে আপনাকে সকালে খালি পেটে আপেলের জুস খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন সকালে আপেলের জসু খেলে আমাদের দিন শুরুতে আমাদের শরীরের পক্ষে পুষ্টি যোগান দেয় ও শর্করা ফ্‌রুক্টোজ তৈরি করে।

আরো পড়ুনঃ শরীরের মাত্রা বাড়াতে ও শরীরে প্রোটিন যোগাতে পাঁকা কলার উপকারিতা জেনে নিন?

যা আমাদের শরীরের সারাদিনের ক্যালোরি যোগ করে ও শরীরে শক্তি জোগায়। আপেলের জুসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে যা শরীরে দক্ষতার পরিচয় দেয় ও ভারী ক্যালোরি ছাড়াই শরীরে মৃদু শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন আমাদের শরীর সতেজ ও ফিট রাখার জন্য এই আপেল জুস এর উপকারিতা গুলো কি কি। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে আপেল জুস রেসিপি কীভাবে তৈরি করবেন।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.....................www.stylishsm.com



( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
















এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url