শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নেবেন - শীতকালে চুলের যত্ন নেওয়ার তেল? জেনে রাখুন বিস্তারিত?

আজকে আমরা জানবো যে এই ঘন শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নেবেন আপনি ঘরে বসে যত্ন সহকারে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে এই শীতকালে চুলের যত্ন নেওয়ার তেল গুলো কি। আসুন জানি? 

ভূমিকাঃ

আমরা সবাই জানি যে এই শুষ্ক শীতকালে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে যায়। এর সাথে সাথে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য  করা যায় যেমনঃ শরীরের যত্ন ও চুলের যত্ন এ দুটো মেন হয়।

শীতকালে-চুলের-যত্ন-কিভাবে-নেবেন
শীতকালে-চুলের-যত্ন-কিভাবে-নেবেন        

তাই আসুন জেনে রাখি যে এই শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নেবেন আপনি ঘরে বসে সহজ উপায়ে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে এই শীতকালে চুলের যত্ন নেওয়ার তেল কীভাবে ব্যবহার করবেন। নিম্নে সব কিছু বিস্তারিত.........।   

শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নেবেনঃ

শীতকালে চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে, তাই এ সময় চুলের জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। প্রথমত, শীতকালে গরম পানি দিয়ে মাথা ধোয়া এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এতে চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। পরিবর্তে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে। নিয়মিত তেল মালিশ অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে নারিকেল, বাদাম বা অলিভ অয়েলের মতো তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল মসৃণ থাকে।

আরো পড়ুনঃ শীতকালে ঠাণ্ডার কারণে মাথা ব্যাথা হলে আপনার যা যা করণীয় কাজ?

এছাড়াও, শীতকালে গভীর কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করা উচিত, যা চুলকে গভীরভাবে পুষ্টি দেয় এবং শুষ্কতা দূর করে। সপ্তাহে অন্তত একবার চুলের জন্য প্রাকৃতিক মাস্ক যেমনঃ মধু ও ডিমের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। বাইরে বের হলে চুল ঢেকে রাখুন, যাতে ঠান্ডা বাতাস চুলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে। এবং নিয়মিত চুলের প্রান্ত ছেঁটে নিলে চুলের ডগা ফাটা কমে। এই যত্নগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে শীতকালে চুল সুস্থ, মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকবে।

শীতকালে চুলের যত্ন নেওয়ার তেলঃ

শীতকালে চুলের আর্দ্রতা ও পুষ্টি বজায় রাখতে কিছু বিশেষ তেল ব্যবহার করা অত্যন্ত উপকারী। এই মৌসুমে চুলের শুষ্কতা কমাতে এবং চুলকে মজবুত ও স্বাস্থ্যকর রাখতে নিচে উল্লেখিত তেলগুলো ব্যবহার করতে পারেন নিসন্ধেঃ

  • নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেল চুলের গভীরে আর্দ্রতা যোগায় এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে সহায়ক। এটি শীতকালে চুলের শুষ্কতা কমিয়ে চুলকে নরম ও মসৃণ রাখতে সহায়তা করে।
  • অলিভ অয়েল (জলপাই তেল)  অলিভ অয়েলে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা চুলকে পুষ্টি দেয় এবং চুলের রুক্ষতা কমায়। শীতকালে এই তেল মালিশ করলে চুলে উজ্জ্বলতা ও স্বাস্থ্য ফিরে আসে, ও চুল ঘন হয়।
  • জোজোবা তেলঃ এই তেল চুলের প্রাকৃতিক তেলের মতো কাজ করে এবং মাথার ত্বক ও চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলের শুষ্কতা দূর করতে সক্ষম।
  • আলমন্ড অয়েল (বাদাম তেল)  বাদাম তেলে প্রচুর ভিটামিন ই থাকে, যা চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক। এটি চুলের শুষ্কতা দূর করে এবং চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করে তোলে।
  • অ্যাভোকাডো তেলঃ অ্যাভোকাডো তেল ভিটামিন এ, ডি এবং ই সমৃদ্ধ, যা শীতকালে চুলের গভীর পুষ্টি যোগায় এবং শুষ্কতা কমায়।

শীতে এই তেলগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল সুস্থ, মসৃণ এবং উজ্জ্বল থাকবে এবং শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে চুলের ক্ষতি কমে যাবে। ও চুল নিয়মিত ভাবে স্বস্থ্য থাকবে।

শীতকালে কতবার চুলে তেল দিতে হয়ঃ

শীতকালে চুলের শুষ্কতা ও রুক্ষতা রোধ করতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার তেল দেওয়া অত্যন্ত উপকারী। শীতের শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়ায় চুল আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে, তাই নিয়মিত তেল দেওয়া চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে চুলের গোড়ায় তেল দিয়ে আলতোভাবে ম্যাসাজ করলে চুলের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, যা চুলের স্বাস্থ্য ও মজবুতিতে সহায়ক।

আরো পড়ুনঃ শুষ্ক শীতকালে কীভাবে আপনি নিজের ঠোঁটের যত্ন নিবেন ও গোলাপি করবেন জানুন?

শীতকালে নারিকেল তেল, জলপাই তেল, বা জোজোবা তেল ব্যবহার করলে চুলের শুষ্কতা কমে এবং চুল উজ্জ্বল ও মসৃণ থাকে। যদি চুল খুবই শুষ্ক বা রুক্ষ হয়, তবে চুলের ধরনের ওপর নির্ভর করে তেলের পরিমাণ বা প্রয়োজন অনুযায়ী সপ্তাহে তিনবারও ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে চুল স্বস্থ্য থাকবে।

শীতকালে চুলের যত্নের আয়ুর্বেদঃ

শীতকালে চুলের যত্নে আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর, কারণ এতে প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে চুলের পুষ্টি এবং আর্দ্রতা বজায় থাকে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, শীতকালে চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়, তাই চুলে নিয়মিত তেল দেওয়া জরুরি। বৃঙ্গরাজ তেল এবং আমলকীর তেল আয়ুর্বেদে বিশেষভাবে চুলের জন্য উপকারী হিসেবে বিবেচিত হয়। বৃঙ্গরাজ তেল চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

আরো পড়ুনঃ শীতকালে কি কি কাজ করলে আপনার শরীর স্বস্থ্য থাকবে ও সতেজ থাকবে জানুন?

অন্যদিকে, আমলকী তেলে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা চুলের শুষ্কতা দূর করে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। চুলের গোড়া মজবুত রাখতে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে আয়ুর্বেদিক তেল যেমনঃ নারিকেল তেল, তিলের তেল, এবং অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। এই তেলগুলো একটু গরম করে চুলে ম্যাসাজ করলে শীতকালে চুলের আর্দ্রতা এবং স্বাস্থ্য বজায় থাকে।

এছাড়া, আয়ুর্বেদিক হার্বাল প্যাক তৈরি করতে মেহেদি, ব্রাহ্মী, শিকাকাই, এবং নিম পাউডার মিশিয়ে চুলে লাগানো যেতে পারে। যা চুলের শুষ্কতা এবং খুশকি দূর করতে সহায়ক। আয়ুর্বেদে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগানোর জন্য শীতকালে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতেও পরামর্শ দেওয়া হয়। এসব আয়ুর্বেদিক উপায়ে চুলের যত্ন নিলে শীতকালেও চুল সুস্থ, মজবুত এবং উজ্জ্বল থাকবে।

ছেলেদের চুলের যত্ন নেওয়ার প্রাকৃতিক উপাদানঃ

ছেলেদের চুলের যত্নে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে, কারণ এগুলো চুলের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। নিচে ছেলেদের চুলের যত্নে ব্যবহৃত কিছু প্রাকৃতিক উপাদান উল্লেখ করা হলো পড়ে নিন?

  •  নারিকেল তেলঃ

নারিকেল তেল চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলকে আর্দ্রতা প্রদান করে থাকে। এটি মাথার ত্বকের শুষ্কতা কমায় এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

  •  অলিভ অয়েল (জলপাই তেল)

জলপাই তেল চুলের শুষ্কতা দূর করে এবং চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করে। এটি চুলে ভিটামিন ই-এর সরবরাহ বাড়ায় এবং চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে।

আরো পড়ুনঃ শুষ্ক শীতকালে মধু খেলে আমাদের শরীরের কি কি উপকার হয় জেনে রাখুন?

  • আমলকী (আমলা)

আমলকী চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং খুশকি দূর করতে সহায়ক। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই তেল চুলের জন্য খুবই ভাল।

  •  মেথি বীজঃ

মেথি বীজের প্যাক তৈরি করে চুলে লাগালে খুশকি এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। এটি চুলের প্রাকৃতিক মসৃণতা বৃদ্ধি করে এবং চুলকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে।

  • অ্যালোভেরাঃ

অ্যালোভেরা জেল চুলের ত্বক ঠান্ডা রাখে এবং শুষ্কতা দূর করে। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি প্রদান করে এবং চুলকে উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখে।

  • ডিমঃ

ডিমে প্রোটিন এবং বিভিন্ন খনিজ উপাদান থাকে যা চুলের গঠনে সহায়ক। ডিমের সাদা অংশ ও হলুদ অংশ মিশিয়ে চুলে মাস্ক হিসেবে অথবা এমনি ব্যবহার করলে চুল মজবুত ও মসৃণ হয়।

  •  লেবুর রসঃ

লেবুর রস খুশকি কমায় এবং মাথার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখতে সহায়তা করে। এটি নিয়মিত ব্যবহারে চুলের মসৃণতা বৃদ্ধি পায়।

এই উপাদানগুলো চুলের যত্নে প্রাকৃতিক এবং কার্যকরী সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নিয়মিত এই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং চুল পড়া, খুশকি ও শুষ্কতা কমে।

শীতকালে চুলের যত্ন নেওয়ার ২০টি সেরা উপায়ঃ

শীতকালে চুলের শুষ্কতা, রুক্ষতা এবং খুশকির সমস্যা এড়াতে কিছু সেরা পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি। নিচে শীতকালে চুলের যত্ন নেওয়ার ২০টি কার্যকর উপায় দেওয়া হলোঃ

  1. কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুনঃ শীতকালে গরম পানি চুলের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়, তাই কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো চুলের জন্য।
  2. সপ্তাহে দুই-তিনবার তেল ম্যাসাজ করুনঃ নারিকেল, অলিভ, বা বাদামের তেল চুলের গোড়া মজবুত করতে সহায়ক।
  3. গভীর কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করুনঃ চুলের শুষ্কতা কমাতে সপ্তাহে একবার গভীর কন্ডিশনিং মাস্ক লাগান চুলে। এতে চুল উজ্জ্বল ও সুন্দর হয়।
  4. অ্যালোভেরা ব্যবহার করুনঃ অ্যালোভেরা জেল মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং খুশকি কমায়। এটি ব্যবহার করলে চুল সুন্দর ও মৃসণ হয়।
  5. লেবুর রসের প্যাকঃ খুশকি দূর করতে লেবুর রস ব্যবহার করুন চুলে।
  6. ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করুনঃ তেলের সাথে মিশিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
  7. সপ্তাহে একবার ডিমের মাস্ক লাগানঃ চুলের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে ডিমের মাস্ক ভালো কাজ করে। তাই ডিম ভালোভাবে গুলিয়ে চুলের ব্যবহার করতে পারেন।
  8. মেথি বীজের প্যাকঃ খুশকি ও চুল পড়া কমাতে মেথি বীজ পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।
  9. চুল ঢেকে রাখুনঃ ঠান্ডা বাতাসে চুল শুষ্ক হয়ে যায়, তাই স্কার্ফ বা টুপি দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন।
  10. কেমিক্যাল মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুনঃ চুলের প্রাকৃতিক তেল বজায় রাখতে সালফেট-মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
  11. মধুর প্যাক ব্যবহার করুনঃ মধু চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে।
  12. ধূমপান এড়িয়ে চলুনঃ ধূমপানের ক্ষতিকর রাসায়নিক তাই এটি চুলের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। 
  13. সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুনঃ শীতকালে ভিটামিন সি এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান।
  14. প্রচুর পানি পান করুনঃ চুলের অভ্যন্তরীণ আর্দ্রতা ধরে রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।
  15. হালকা মৃদু ব্রাশ ব্যবহার করুনঃ রুক্ষ ব্রাশ এড়িয়ে মৃদু ব্রাশ ব্যবহার করুন, যাতে চুল কম ভাঙে। তাই চুল পরিষ্কার করার জন্য ভাল ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করুন।
  16. হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুনঃ শুষ্কতা কমাতে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন চুলে।
  17. হালকা গরম তেলে রোজমেরি এসেন্সিয়াল অয়েল মেশানঃ রোজমেরি চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক।
  18. চুল ঘষা এড়িয়ে নরম তোয়ালে ব্যবহার করুনঃ চুল ধোয়ার পর ঘষে শুকানো এড়িয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছুন। যাতে চুলে বেশি আঘাত না পরে।
  19. অতিরিক্ত স্টাইলিং এড়িয়ে চলুনঃ হেয়ার ড্রায়ার ও স্ট্রেইটনারের ব্যবহার কমান, কারণ এগুলো চুলের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। ও চুল গোড়া থেকে ভাঙ্গতে শুরু করে।
  20. হেয়ার মাস্কে আমলকী ব্যবহার করুনঃ আমলকী চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও মজবুতি যোগায়।

এই টিপসগুলো নিয়মিত মেনে চললে শীতকালে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং শুষ্কতা, খুশকি ও রুক্ষতা এড়ানো সম্ভব হয়। তাই চেষ্টা করুন এই সব টিপস ব্যবহার করার জন্য।

শীতকালে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় কিঃ

শীতকালে চুল পড়া বন্ধ করতে নিয়মিত যত্ন ও সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা খুবই জরুরি। প্রথমত, সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, বা বাদাম তেল গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করা উপকারী, কারণ এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুলের শুষ্কতা দূর করে। এছাড়া মেথি বীজ, আমলকী এবং ব্রাহ্মী পাউডার দিয়ে চুলের জন্য প্রাকৃতিক হেয়ার প্যাক তৈরি করতে পারেন ঘরে বসে।

শীতকালে-চুল-পড়া-বন্ধ-করার-উপায়-কি
শীতকালে-চুল-পড়া-বন্ধ-করার-উপায়-কি        

যা চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া কমায়। শীতকালে প্রচুর পরিমাণে পানি পান এবং সঠিক পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত, কারণ শরীরের ভেতরের আর্দ্রতা বজায় থাকলে চুলেরও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। শীতকালে কেমিক্যালযুক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট এবং অতিরিক্ত স্টাইলিং করা এড়িয়ে চলা জরুরি, কারণ এগুলো চুলের প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয় এবং চুলের শুষ্কতা ও ভঙ্গুরতা বাড়ায়।

আরো পড়ুনঃ শুষ্ক শীতকালে শিশুর ত্বকের যত্ন ও সর্দি কাশি থেকে দূর করার উপায় জেনে রাখুন?

প্রতিদিন একটি মৃদু শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুলের মসৃণতা বজায় থাকে। এছাড়া, বাইরে বের হলে চুল ঢেকে রাখা এবং বাড়িতে একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করাও চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক। এই নিয়মিত যত্ন ও সঠিক অভ্যাসগুলো মেনে চললে শীতকালে চুল পড়া অনেকাংশে কমানো সম্ভব। 

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে এই শুষ্ক শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নেবেন ঘরে বসে। ও তার সাথে সাথে এটাও জনালেন যে এই শীতকালে চুলের যত্ন নেওয়ার তেল গুলো কি-কি।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন...............www.stylishsm.com



( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )

































এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url