কিভাবে অর্থ সঞ্চয় করতে হয় - সঞ্চয় কত প্রকার ও কি কি? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে আমাদের দৈনিক ইনকাম থেকে যে অর্থ আয় করে থাকি। তা কিভাবে অর্থ সঞ্চয় করতে হয় নিত্যদিনের জন্য। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে এই সঞ্চয় কত প্রকার ও কি কি? আসুন জানি? 

ভূমিকাঃ

আজকের দিনে এই পৃথিবীতে চলতে হলে টাকার প্রয়োজন প্রায় সব মানুষের হয়ে থাকে। সেটি আমরা ভাল করে জানি। কিন্তু এই ইনকাম করা টাকা গুলো আমরা সঠিকভাবে রাখতে জানি না।

কিভাবে-অর্থ-সঞ্চয়-করতে-হয়
কিভাবে-অর্থ-সঞ্চয়-করতে-হয়            

তাই আসুন জেনে নি যে আপনের এই কষ্টের অর্থ আপনি কিভাবে সঞ্চয় করবেন ও সঠিক কাজে ব্যবহার করবেন। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে এই সঞ্চয় কত প্রকার ও কি কি হয়ে থাকে। যেটি আমরা ব্যবহার করতে পারবো আমাদের নিত্যদিনের কাজে। নিম্নে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলোঃ

কিভাবে অর্থ সঞ্চয় করতে হয়ঃ

অর্থ সঞ্চয় করতে হলে প্রথমে আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ নিয়মিতভাবে সরিয়ে রাখার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। মাসিক আয়ের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ সঞ্চয়ের জন্য আলাদা করে রাখুন। যেমনঃ ১০% বা ২০%। এছাড়াও, বাজেট তৈরি করা অর্থ সঞ্চয়ের একটি কার্যকর উপায়, যেখানে আয়ের তুলনায় ব্যয়ের দিকগুলো বিশ্লেষণ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় খরচগুলো কমিয়ে ফেলুন এবং গুরুত্বপূর্ণ খাতে যেমনঃ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় রাখুন।  

আরো পড়ুনঃ নিজের ফোন কাজে লাগিয়ে কীভাবে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করবেন জেনে নিন?

আরেকটি উপায় হলো বিভিন্ন বিনিয়োগের মাধ্যমে সঞ্চয় বৃদ্ধি করা, যেমন সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিট (FD), অথবা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা। আপনি দীর্ঘমেয়াদে কিছু অর্থ রাখতে পারেন যাতে তা ভবিষ্যতে সুদসহ বাড়ে। স্মার্ট শপিং এবং ডিসকাউন্টের সুবিধা নেওয়া অর্থ বাঁচানোর আরও একটি উপায়। এভাবে নিয়মিত এবং সতর্কভাবে পরিকল্পনা করে অর্থ সঞ্চয় করা সম্ভব।

সঞ্চয় কত প্রকার ও কি কিঃ

সঞ্চয় মূলত দুই প্রকার হয়ে থাকে এখন আপনাকে ভাবতে হবে যে আপনার জন্য কোনটি ভালো। আর্থিক সঞ্চয় এবং অর্থবহ সঞ্চয়। এর বাইরে আরও কয়েকটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে সঞ্চয় বিভক্ত করা যায়। তাহলোঃ  

  • আর্থিক সঞ্চয়ঃ

  1. স্বল্পমেয়াদী সঞ্চয়ঃ এই ধরনের সঞ্চয় সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য করা হয়। যেমনঃ মাসিক খরচ বা ছোটখাটো প্রয়োজনীয়তাগুলো মেটানোর জন্য। উদাহরণস্বরূপ, সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট, দৈনিক খরচের জন্য জমাকৃত অর্থ।
  2. দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়ঃ দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য স্বপ্ন পূরণের জন্য করা হয। যেমনঃ ভবিষ্যতের জন্য অর্থ জমা রাখা, সন্তানদের শিক্ষা, বাড়ি কেনা, অবসরকালীন পরিকল্পনা ইত্যাদির জন্য। এ ধরনের সঞ্চয়ের মধ্যে রয়েছে ফিক্সড ডিপোজিট (FD), পেনশন প্ল্যান, এবং রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ।

  • অর্থবহ সঞ্চয়ঃ

  1. শক্তি সঞ্চয়ঃ দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসের সাশ্রয়ী ব্যবহার করে শক্তি সঞ্চয় করা। যেমনঃ অপ্রয়োজনীয় বাতি বন্ধ রাখা, পানি অপচয় না করা ইত্যাদি।
  2. সময় সঞ্চয়ঃ দৈনন্দিন কাজগুলোতে সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় সঞ্চয় করা।

এইভাবে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয় জীবনে অর্থনৈতিক ও মানসিক সুরক্ষা প্রদান করে এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করে।

টাকা সঞ্চয় করার উপায়ঃ

টাকা সঞ্চয় করার বেশ কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে আমাদের জীবনে যা আপনার ভবিষ্যতের জন্য একটি অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সঞ্চয়ের উপায় উল্লেখ করা হলোঃ

  • বাজেট তৈরি করুনঃ মাসিক আয় ও ব্যয়ের একটি সঠিক বাজেট তৈরি করুন। বাজেটে আপনার প্রয়োজনীয় খরচ এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ আলাদা করে লিখুন এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ সঞ্চয়ের জন্য রাখুন।
  • স্বয়ংক্রিয় সঞ্চয়ঃ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয় সঞ্চয় সেটআপ করে রাখতে পারেন। এতে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সরাসরি সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টে চলে যাবে আপনার।
  • লক্ষ্য নির্ধারণঃ একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য সঞ্চয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। যেমনঃ বাড়ি কেনা, সন্তানদের শিক্ষা, বা অবসরকালীন সঞ্চয় করার। লক্ষ্য নির্দিষ্ট থাকলে সঞ্চয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদে তা সহজ হয়।
  • অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানোঃ আপনার দৈনন্দিন জীবনের অপ্রয়োজনীয় খরচগুলো চিহ্নিত করুন এবং সেগুলো কমানোর চেষ্টা করুন। যেমনঃ সব সময় বাইরে খাওয়া, বিলাসবহুল পণ্য কেনা বা ফ্যাশনেবল জিনিসপত্রে অতিরিক্ত খরচ কমাতে হবে।
  • দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগঃ দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট (FD), মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার বাজার, বা রিয়েল এস্টেটের মতো বিনিয়োগের মাধ্যমগুলোতে টাকা রাখতে পারেন। যা ভবিষ্যতে বেশি মুনাফা বয়ে এনে দেবে।
  • সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টঃ ব্যাংকে একটি উচ্চ সুদের সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট খুলুন। এতে আপনার সঞ্চিত অর্থে সুদ যোগ হবে এবং সময়ের সাথে সাথে অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
  • ছাড় এবং কুপন ব্যবহারঃ কেনাকাটার সময় ছাড় বা কুপন ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। অনলাইনে বা স্থানীয় দোকানে সেল বা অফার চলাকালীন কেনাকাটা করুন, যা আপনার খরচ কমাতে সাহায্য করবে বিশেষ করে ঈদে।
  • মাসিক খরচ পুনর্মূল্যায়নঃ মাসে বিভিন্ন সেবা যেমন ইন্টারনেট, ফোন বিল বা সাবস্ক্রিপশনগুলো মূল্যায়ন করুন এবং খরচ কমানোর চেষ্টা করুন।

এইসব কৌশলগুলো অনুসরণ করলে সঠিকভাবে টাকা সঞ্চয় করা সম্ভব এবং ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। 

টাকা সঞ্চয় করার সুবিধাঃ

টাকা সঞ্চয় করার অনেক সুবিধা রয়েছে, যা ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা এবং মানসিক শান্তি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে মানুষের। নিচে টাকা সঞ্চয়ের কয়েকটি প্রধান সুবিধা উল্লেখ করা হলো পড়ে নিন?

  • আর্থিক নিরাপত্তাঃ 

সঞ্চিত অর্থ যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে যেমনঃ স্বাস্থ্য সমস্যা, চাকরি হারানো, বা অন্য কোনো বিপদের সময় সহায়ক হতে পারে। সঞ্চয় থাকলে এই ধরনের অনিশ্চয়তায় পড়লেও আপনি আর্থিকভাবে সুরক্ষিত থাকবেন।

টাকা-সঞ্চয়-করার-সুবিধা
টাকা-সঞ্চয়-করার-সুবিধা        

  • স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতাঃ 

নিয়মিত সঞ্চয় আপনাকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এনে দেয়। আপনি আপনার প্রয়োজন বা ইচ্ছার সময় টাকা খরচ করতে পারবেন। যেমনঃ বাড়ি কেনা, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, বা ব্যবসা শুরু করা ও নিজের স্বপ্ন পূরণ করার দিক।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে এসইও কাজ শিখে কীভাবে টাকা ইনকাম করবেন বিস্তারিত জেনে নিন?

  • অপ্রত্যাশিত খরচ মেটানোঃ 

জীবনে অনেক সময় অপ্রত্যাশিত খরচ আসে আমাদের জীবনে। যেমনঃ বড় মেডিকেল বিল, গাড়ির মেরামত, বা বাড়ির জরুরি মেরামত, ফ্যামেলি সমস্যা। সঞ্চয় থাকলে এই ধরনের খরচ সহজেই মেটানো সম্ভব হয়।

  • ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন কমঃ 

পর্যাপ্ত সঞ্চয় থাকলে বড় খরচের জন্য ঋণ নিতে হবে না আপনাকে।নাকে। যেমনঃ গাড়ি কেনা বা বাড়ি সংস্কার। এতে ঋণের সুদ থেকেও মুক্ত থাকা যায়।

  • অবসরকালীন পরিকল্পনাঃ 

সঞ্চয় আপনাকে অবসরের সময় আর্থিক সুরক্ষা দেয়। অবসরকালীন সময়ে নিয়মিত আয় না থাকলেও আপনি সঞ্চয়ের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান বজায় রাখতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুকে লেখালেখি করে কীভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করবেন ব্যাসিক টিপস?

  • মানসিক শান্তিঃ 

টাকা সঞ্চয়ের ফলে মানুষ মানসিকভাবে শান্ততে থাকে। কারণ তারা জানে যে জরুরি মুহূর্তে বা ভবিষ্যতের জন্য একটি নির্দিষ্ট আর্থিক ভিত্তি আছে আমার।

এইসব সুবিধা অর্থ সঞ্চয়কে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হিসেবে তুলে ধরে, যা ভবিষ্যতের জন্য নির্ভরযোগ্য আর্থিক সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতা প্রদান করে।

অর্থ সঞ্চয়ে কোটিপ্রতিদের ২০টি পরামর্শঃ

কোটিপতিরা অর্থ সঞ্চয় এবং সম্পদ বৃদ্ধির জন্য কিছু নির্দিষ্ট কৌশল এবং পরামর্শ অনুসরণ করে থাকে। তাদের সাফল্যের ভিত্তিতে নিচে ২০টি পরামর্শ উল্লেখ করা হলো। যা আপনাকে অর্থ সঞ্চয় এবং ধন-সম্পদ অর্জনে সহায়তা করতে পারবে নিম্নে পড়ে নিন?

  1. বাজেট তৈরি করুনঃ আয়ের তুলনায় খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং প্রতিমাসে বাজেট তৈরি করুন। যাতে আপনি কোথায় এবং কীভাবে খরচ করছেন তা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন খুব সহজে।
  2. আয়ের একাধিক উৎস তৈরি করুনঃ শুধুমাত্র একটি আয়ের ওপর নির্ভর না করে নতুন আয়ের সুযোগ খুঁজুন। জীবনে অনেক কিছু করার থাকে। যেমনঃ ব্যবসা, হাতের কাজ, পূণ্য কেনা-বেচা করা, বিনিয়োগ, বা ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি।
  3. স্মার্ট বিনিয়োগ করুনঃ শুধু সঞ্চয় নয়, সঞ্চিত অর্থকে বিভিন্ন বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। যেমনঃ শেয়ার বাজার, মিউচুয়াল ফান্ড, বা রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ, স্টক মার্কেট।
  4. ঝুঁকি নিন, কিন্তু সঠিক বিশ্লেষণের পরঃ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিন, তবে সেটি সঠিক গবেষণা এবং বিশ্লেষণের পর করুন। অন্ধভাবে বিনিয়োগ করবেন না। এতে করে আপনার টাকা ক্ষতি হওয়ার সুযোগ থাকে।
  5. বহুদিনের জন্য বিনিয়োগে মনোযোগ দিনঃ কোটিপতিরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে বিনিয়োগ করে। যাতে করে তারা ভবিষ্যতে ভালো ফল পেতে পারে।
  6. অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধ করুনঃ অযথা এবং বিলাসবহুল খরচ কমান। যেমনঃ নিয়মিত বাইরে খাওয়া, বেশি বেশি কেনাকাটা করা, অবৈধ খরচ বন্ধ করতে হবে।
  7. সঞ্চয়কে একটি অভ্যাসে পরিণত করুনঃ মাসের শুরুতেই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সরাসরি সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করুন, যাতে তা খরচ না হয়।
  8. জরুরি তহবিল তৈরি করুনঃ অপ্রত্যাশিত খরচ বা জরুরি অবস্থায় অর্থ ব্যবহারের জন্য একটি জরুরি তহবিল তৈরি করুন। যা জীবনযাত্রার মান বজায় রাখতে সাহায্য করবে আপনার।
  9. বুদ্ধিমত্তার সাথে ঋণ নিনঃ ঋণ নিতে হলে তা কীভাবে এবং কতটা পরিশোধ করা যাবে, তা ভালোভাবে পরিকল্পনা ও জাচায়-বাচায় করুন। অপ্রয়োজনীয় ঋণ এড়িয়ে চলুন।
  10. সঠিকভাবে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের মধ্যে ভারসাম্য রাখুনঃ শুধুমাত্র সঞ্চয় নয়, বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থকে বাড়ানোর চেষ্টা করুন। কেননা সারা জীবন একই ইনকাম দিয়ে জীবন কাটানো যায় না।
  11. অবসরকালীন পরিকল্পনাঃ অবসরের সময় আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অবসরকালীন পরিকল্পনা তৈরি করুন। এটি আপনার ভবিষ্যতের জন্য ভাল হবে।
  12. আত্মশিক্ষার অভ্যাস গড়ে তুলুনঃ অর্থ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে যেমন বিনিয়োগ, সঞ্চয়, এবং বাজেট সম্পর্কে বই পড়ুন এবং নতুন কিছু শিখুন।
  13. আয়ের উন্নতি করতে চেষ্টা করুনঃ আপনার দক্ষতা বাড়িয়ে বা নতুন দক্ষতা অর্জন করে আয়ের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করুন।
  14. শৃঙ্খলা বজায় রাখুনঃ ধৈর্য এবং শৃঙ্খলা বজায় রেখে নিয়মিত সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ করুন। এটি দীর্ঘমেয়াদে সাফল্য এনে দেয়।
  15. মিতব্যয়ী জীবনযাপনঃ বিলাসবহুল জীবনের প্রতি লোভ না করে মিতব্যয়ী এবং সাশ্রয়ীভাবে জীবনযাপন শুরু করুন।
  16. সুযোগ চিহ্নিত করুনঃ প্রতিদিনের ছোট ছোট সুযোগগুলোকেও কাজে লাগান। যেমনঃ ডিসকাউন্ট, কুপন এবং বিশেষ অফার গুলোকে। 
  17. ট্যাক্স সম্পর্কে জানুনঃ ট্যাক্স এর বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করুন এবং ট্যাক্স বাঁচানোর বৈধ উপায় খুঁজে বের করুন।
  18. জীবনের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটান আগেঃ আগে প্রয়োজনীয় খরচগুলিকে মেটান এবং বিলাসী খরচগুলিকে পরবর্তীতে পালন করার জন্য রাখুন
  19. ধীরে ধীরে সম্পদ বৃদ্ধি করুনঃ একবারে বড় লাভের চেয়ে ধীরে ধীরে লাভ করার চেষ্টা করুন। নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পদ বাড়াতে মনোযোগ দিন।
  20. বিনিয়োগের বৈচিত্র্য আনুনঃ সব টাকা এক জায়গায় না রেখে, বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগে বৈচিত্র্য ভাবে রাখার চেষ্টা করুন। যেমনঃ শেয়ার, জমি, সোনা ইত্যাদি।

এই পরামর্শগুলো অনুসরণ করলে ধনসম্পদ গড়ে তোলা ও অর্থ সঞ্চয় করা অনেক সহজ হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

টাকা কেন সঞ্চয় করবোঃ

টাকা সঞ্চয় করা জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তুলে। সঞ্চিত অর্থ যে কোনো সময় জরুরি মুহূর্তে কাজে লাগতে পতুবেন। যেমনঃ অসুস্থতা, চাকরি হারানো, বা বড় কোনো অপ্রত্যাশিত খরচের ক্ষেত্রে। এছাড়া সঞ্চয় ভবিষ্যতের লক্ষ্য যেমনঃ বাড়ি কেনা, সন্তানের শিক্ষা, নিজের স্বপ্ন পূরণ করা, বা অবসরকালীন জীবনের জন্য প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুনঃ ছেলে কিংবা মেয়ে পার্ট টাইম জবের ক্ষেত্রে যা যা জানা দরকার তা জেনে রাখুন?

টাকা সঞ্চয় করলে অপ্রয়োজনীয় ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন কমে যায় এবং ভবিষ্যতে সুদের বোঝা থেকে মুক্ত থাকা যায় নিশ্চিত। সর্বোপরি, সঞ্চিত অর্থ মানসিক শান্তি প্রদান করে, কারণ আপনি জানেন যে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য একটি আর্থিক সুরক্ষা রয়েছে আপনার জীবনে। যেটির জন্য আপনি এখন পুরোপুরি ভাবে প্রস্তুত।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আমাদের নিত্যদিনের টাকা ইনকাম করার উপায়ে কিভাবে এই অর্থ সঞ্চয় করতে হয়। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে এই সঞ্চয় কত প্রকার ও কি কি হয়ে থাকে।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন............www.stylishsm.com



( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )



































এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url