অন পেজ এসইও কি - অন পেজ এসইও তে কি কি করতে হয়? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে অনলাইনে আমরা যদি কোনো কিছু করতে চাই। তাহলে আমাদের কি-কি অন পেজ এসইও করা উচিত। অন পেজ এসইও কি সেটি আমরা জানবো। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে অন পেজ এসইও তে কি কি করতে হয়। আসুন জানি?

ভূমিকাঃ

আমরা যদি অন পেজ এসইও দ্বারা কোনো কিছু অনলাইনে কেনাবেচা করতে চাই তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই এসইও কাজ শিখতে হবে। অন পেজ এসইও কি তার মানে বুঝতে হবে।

অন-পেজ-এসইও-কি
অন-পেজ-এসইও-কি            

তাই আসুন জানি যে অনলাইনে কাজ করতে হলে এই অন পেজ এসইও কি। কিভাবে কাজ করে এই গুলো জানতে হবে। তার সাথে সাথে এটাও জানতে হবে যে অন পেজ এসইও তে কি কি করতে হয়? নিম্নে সব কিছু বিস্তারিত......।   

অন পেজ এসইও কিঃ

অন-পেজ এসইও (On-Page SEO) হলো একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি ওয়েবসাইটের ভিতরের কন্টেন্ট এবং টেকনিক্যাল দিকগুলোকে এমনভাবে অপ্টিমাইজ করা হয়। যাতে সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটটির র‍্যাঙ্কিং বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলো সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচন ও ব্যবহার, মেটা ট্যাগ এবং মেটা ডেসক্রিপশন যোগ করা, এবং ইমেজ অপটিমাইজেশন।

আরো পড়ুনঃ অফ পেজে এসইও শেখার গুণাগুণ ও অফ পেজের কৌশল জেনে রাখুন?

এছাড়াও, ওয়েবপেজের ইউআরএল স্ট্রাকচার, হেডিং ট্যাগ (H1, H2, H3), এবং আন্তঃসংযোগ (Internal Linking) গুরুত্বপূর্ণ অন-পেজ এসইও কৌশল। মূলত, অন-পেজ এসইওর মাধ্যমে ওয়েবপেজকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য আরও প্রাসঙ্গিক ও ব্যবহারকারী বান্ধব করে তোলা হয়। যাতে এটি সহজে সার্চ ইঞ্জিনে শীর্ষে স্থান পায় এবং বেশি ভিজিটর আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।

অন পেজ এসইও তে কি কি করতে হয়ঃ

অন-পেজ এসইও (On-Page SEO) করার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ রয়েছে, যেগুলো অনুসরণ করলে ওয়েবসাইটের র‌্যাঙ্কিং এবং সার্চ ইঞ্জিনে উপস্থিতি উন্নত হয়। নিচে অন-পেজ এসইও করার প্রধান কাজগুলো উল্লেখ করা হলোঃ

  • কীওয়ার্ড গবেষণা ও ব্যবহারঃ
  1. সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কীওয়ার্ডগুলো প্রাসঙ্গিক হতে হবে এবং সার্চ ইঞ্জিনে ব্যবহারকারীরা যেসব শব্দ বা ফ্রেজ অনুসন্ধান করে তা প্রতিফলিত করতে হবে।
  2. প্রতিটি পৃষ্ঠায় নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডগুলি সঠিকভাবে বসানো প্রয়োজন। টাইটেল, হেডিং, এবং কন্টেন্টে কীওয়ার্ড যুক্ত করতে হবে।
  • মেটা টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশনঃ

  1. প্রতিটি পৃষ্ঠার জন্য সঠিক মেটা টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন থাকা জরুরি। এটি সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটটি কীসের জন্য প্রাসঙ্গিক তা বোঝায় এবং ভিজিটরকে ক্লিক করতে আকৃষ্ট করে।

  • ইউআরএল স্ট্রাকচারঃ
  1. ইউআরএলকে ছোট এবং প্রাসঙ্গিক রাখা উচিত। ইউআরএল স্ট্রাকচার যদি পরিষ্কার ও কীওয়ার্ডসমৃদ্ধ হয়, তবে তা সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারীর জন্য সহজবোধ্য হয়।

  • হেডিং ট্যাগ (H1, H2, H3)

  1. H1 ট্যাগে মূল কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত এবং অন্যান্য সাবহেডিংগুলোর (H2, H3) মাধ্যমে কন্টেন্টের গঠন পরিষ্কার করতে হবে।

  • ইমেজ অপটিমাইজেশনঃ

  1. ছবিগুলোর অল্ট ট্যাগ (alt tag) যোগ করা উচিত, যাতে সার্চ ইঞ্জিন ছবিগুলো পড়তে পারে। এছাড়া, ইমেজের ফাইল সাইজ কমিয়ে সাইটের লোডিং স্পিড বাড়ানো যায়।

  • ইন্টারনাল লিঙ্কিংঃ

  1. ওয়েবসাইটের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পৃষ্ঠাগুলোর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে ইন্টারনাল লিঙ্কিং করা উচিত, যা ভিজিটরদের ওয়েবসাইটে আরও সময় ধরে রাখে এবং সার্চ ইঞ্জিনে সাইটের প্রাসঙ্গিকতা বাড়ায়।

  • কন্টেন্টের গুণগত মানঃ

  1. কন্টেন্ট যতটা সম্ভব তথ্যবহুল, প্রাসঙ্গিক এবং পাঠকদের জন্য আকর্ষণীয় হওয়া উচিত। সঠিকভাবে ফরম্যাট করা এবং কীওয়ার্ডসমৃদ্ধ কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ভালো পারফর্ম করে।

  • সাইটের গতি ও মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেসঃ

  1. ওয়েবসাইটের লোডিং গতি দ্রুত এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি হতে হবে। Google-এর মোবাইল ফ্রেন্ডলি টেস্ট এবং PageSpeed Insights এর মাধ্যমে সাইটের গতি পরীক্ষা করা যায়।

এই প্রতিটি ধাপ অন-পেজ এসইও-র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সঠিকভাবে অনুসরণ করলে ওয়েবসাইটের সার্চ র‌্যাঙ্কিং বৃদ্ধি পাবে এবং ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে।

অন পেজ এসইও করার গাইডলাইনঃ

অন-পেজ এসইও (On-Page SEO) করার জন্য একটি সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের র‍্যাঙ্কিং বাড়াতে সাহায্য করবে। নিচে একটি বিস্তারিত গাইডলাইন দেওয়া হলো পড়ে নিন?

( কীওয়ার্ড রিসার্চ ও ব্যবহারের গাইডলাইন )

  1. সঠিক কীওয়ার্ড গবেষণা করে সেই অনুযায়ী কন্টেন্টে কীওয়ার্ড বসানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাসঙ্গিক ও কমপিটিটিভ কীওয়ার্ড নির্বাচন করতে Google Keyword Planner, Ahrefs, বা Ubersuggest ব্যবহার করা যেতে পারে।
  2. প্রতিটি পেজে মূল কীওয়ার্ডটি টাইটেল, মেটা ডেসক্রিপশন, ইউআরএল, এবং প্রথম প্যারাগ্রাফে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

মেটা টাইটেল ও মেটা ডেসক্রিপশন অপটিমাইজেশন )

  1. মেটা টাইটেল ৫০-৬০ ক্যারেক্টারের মধ্যে রাখতে হবে এবং মূল কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
  2. মেটা ডেসক্রিপশন ১৫০-১৬০ ক্যারেক্টারের মধ্যে রাখতে হবে এবং এটি সংক্ষেপে পেজের বিষয়বস্তু তুলে ধরবে, যাতে ভিজিটর ক্লিক করতে উৎসাহিত হয়।

( ইউআরএল (URL) স্ট্রাকচার গাইডলাইন )

  1. ইউআরএল ছোট এবং সরল রাখতে হবে। এতে কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং অপ্রয়োজনীয় সংখ্যার ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।
  2. উদাহরণস্বরূপ, www.example.com/best-seo-tips এর মতো সহজ ও প্রাসঙ্গিক ইউআরএল তৈরি করুন।

( কন্টেন্টের গুণগত মান )

  1. কন্টেন্ট হতে হবে তথ্যবহুল, ব্যবহারকারীর প্রশ্নের সমাধানকারী, এবং প্রাসঙ্গিক।
  2. এলএসআই কীওয়ার্ড (LSI Keywords) ব্যবহার করতে হবে, যা মূল কীওয়ার্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত।
  3. দীর্ঘ কন্টেন্ট লিখলে তা গুগল বেশি পছন্দ করে, তবে আপনার বিষয়ের উপর নির্ভর করে কন্টেন্টের দৈর্ঘ্য ঠিক করতে হবে।

( হেডিং ট্যাগ (Heading Tags) ব্যবহার )

  1. H1 ট্যাগে পেজের মূল কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং এই ট্যাগটি শুধুমাত্র একবার ব্যবহার করতে হবে।
  2. H2, H3 ট্যাগগুলো সাবহেডিং হিসেবে ব্যবহার করে কন্টেন্টকে বিভাগে ভাগ করতে হবে। যাতে পাঠক এবং সার্চ ইঞ্জিন দুজনের জন্যই সহজ হয়।

( ইমেজ অপটিমাইজেশন )

  1. ইমেজের অল্ট ট্যাগ (Alt Tag) এ প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে, যা সার্চ ইঞ্জিনে ইমেজকে পাঠযোগ্য করে।
  2. ইমেজ ফাইল সাইজ কমিয়ে ওয়েব-ফ্রেন্ডলি করতে হবে, যাতে সাইটের লোডিং স্পিড দ্রুত হয়।

( ইন্টারনাল লিঙ্কিং )

  1. আপনার ওয়েবসাইটের এক পেজ থেকে অন্য পেজে যাওয়ার লিঙ্ক দিন, যা ইন্টারনাল লিঙ্কিং হিসেবে কাজ করবে। এটি ব্যবহারকারীদের আরও কন্টেন্ট পড়তে উৎসাহিত করে এবং বাউন্স রেট কমাতে সাহায্য করে।

( মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস ও পেজ স্পিড )

  1. আপনার ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি কিনা তা নিশ্চিত করতে Google’s Mobile-Friendly Test ব্যবহার করুন।
  2. সাইটের লোডিং স্পিড বাড়াতে ইমেজ কম্প্রেস করা, ক্যাশিং ব্যবহার করা এবং কম কোডিং জটিলতা রাখা উচিত। আপনি Google PageSpeed Insights টুল ব্যবহার করে আপনার সাইটের গতি পরীক্ষা করতে পারেন।

( কানোনিকাল ট্যাগ ব্যবহার )

  1. একই ধরনের কন্টেন্ট যদি একাধিক পেজে থাকে, তাহলে কানোনিকাল ট্যাগ ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিনকে জানাতে হবে কোনটি মূল পেজ। 

( বাহ্যিক লিঙ্কিং (External Linking)

  1. প্রাসঙ্গিক এবং উচ্চমানের ওয়েবসাইটে বাহ্যিক লিঙ্ক দিন, যা আপনার পেজের বিষয়বস্তুকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে এবং সার্চ ইঞ্জিনে ভালো প্রভাব ফেলে।

এই গাইডলাইনগুলো অনুসরণ করে আপনার ওয়েবসাইটের অন-পেজ এসইও সঠিকভাবে অপটিমাইজ করা সম্ভব, যা সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্কিং বাড়াতে সাহায্য করবে।

এসইও কত প্রকারঃ

এসইও (SEO) মূলত তিন প্রকারের হয়, এবং প্রতিটি ধরনের এসইও ওয়েবসাইটের ভিন্ন ভিন্ন দিককে উন্নত করে। এই তিন প্রকারের এসইও নিম্নরূপঃ

  • অন-পেজ এসইও (On-Page SEO) এটি ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরীণ বিষয়বস্তু এবং স্ট্রাকচারকে অপ্টিমাইজ করার প্রক্রিয়া। এর মধ্যে কীওয়ার্ড রিসার্চ, মেটা ট্যাগ, টাইটেল, কন্টেন্টের মান, ইমেজ অপ্টিমাইজেশন এবং অভ্যন্তরীণ লিঙ্কিং অন্তর্ভুক্ত থাকে। অন-পেজ এসইও সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ওয়েবসাইটের প্রাসঙ্গিকতা বাড়ায় এবং ভিজিটরদের জন্য ওয়েবসাইটটি আরও ব্যবহারকারী বান্ধব করে তোলে।
  • অফ-পেজ এসইও (Off-Page SEO)  এটি মূলত ওয়েবসাইটের বাইরে থেকে সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্কিং বাড়ানোর কৌশল। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং, গেস্ট পোস্টিং এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা। অফিসিয়াল লিঙ্ক তৈরি এবং ওয়েবসাইটের সুনাম বৃদ্ধির জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • টেকনিকাল এসইও (Technical SEO)  এটি ওয়েবসাইটের প্রযুক্তিগত দিকগুলি উন্নত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ সাইটের লোডিং গতি বৃদ্ধি, মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস নিশ্চিত করা, সাইটম্যাপ এবং রোবটস.txt ফাইল অপ্টিমাইজ করা। সার্চ ইঞ্জিন সহজে এবং দ্রুত ওয়েবসাইটটি ইনডেক্স হতে পারে। সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে টেকনিকাল এসইও প্রয়োজন।

এই তিন প্রকারের এসইও একত্রে কাজ করে ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং বাড়ায় এবং সার্চ ইঞ্জিন থেকে আরও বেশি অর্গানিক ট্রাফিক আনে।

অন পেজ কিভাবে অপটিমাইজেশন করতে হয়ঃ

অন-পেজ এসইও অপটিমাইজেশন করার জন্য প্রথমে ওয়েবসাইটের প্রতিটি পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু সঠিকভাবে তৈরি করতে হবে। শুরুতে কীওয়ার্ড রিসার্চ করে প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে এবং সেগুলোকে প্রাকৃতিকভাবে কন্টেন্টের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। এরপর প্রতিটি পৃষ্ঠার জন্য একটি প্রাসঙ্গিক মেটা টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ, যা সার্চ ইঞ্জিনের কাছে পৃষ্ঠাটির প্রাসঙ্গিকতা বাড়ায়।

আরো পড়ুনঃ নিজের বেকার সময়ে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে চান এখনি ভিজিট করুন?

হেডিং ট্যাগ (H1, H2, H3) সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে, যাতে সার্চ ইঞ্জিন এবং পাঠকরা কন্টেন্টটি সহজে বুঝতে পারে। পাশাপাশি, ইমেজ অপটিমাইজেশন করতে হবে, অর্থাৎ ছবিগুলোর Alt ট্যাগ যোগ করতে হবে এবং ইমেজ সাইজ কমাতে হবে, যাতে ওয়েবসাইটের লোডিং গতি ঠিক থাকে।

এছাড়াও, ইন্টারনাল লিঙ্কিং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের অন্যান্য পৃষ্ঠার সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হবে, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করবে এবং সার্চ ইঞ্জিনের জন্য সাইটের গঠন বোঝা সহজ হয়। সাইটের গতি ও মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস বাড়াতে টেকনিকাল এসইও এর মাধ্যমে পৃষ্ঠাগুলো অপটিমাইজ করা উচিত। যাতে ওয়েবসাইটটি দ্রুত লোড হয় এবং মোবাইল ডিভাইসে সহজে ব্যবহার করা যায়।

এই কৌশলগুলো অনুসরণ করলে অন-পেজ এসইও সফলভাবে অপটিমাইজ করা সম্ভব, যা ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং উন্নত করে।

অন পেজ কিভাবে শিখবোঃ

অন-পেজ এসইও শিখতে হলে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে এবং অনলাইন রিসোর্সগুলোর সাহায্য নিতে হবে। নিচে কিভাবে অন-পেজ এসইও শিখতে পারবেন তার একটি গাইডলাইন দেওয়া হলো পড়ে নিন?

  •  অনলাইন ব্লগ এবং আর্টিকেল পড়াঃ

অন-পেজ এসইও শেখার জন্য প্রথমে Moz, Ahrefs, এবং Neil Patel এর মতো নামকরা ওয়েবসাইটগুলো থেকে ব্লগ ও আর্টিকেল পড়া শুরু করুন। এসব ওয়েবসাইটে অন-পেজ এসইও এর বিভিন্ন কৌশল ও টিপস পাওয়া যায় যা আপনাকে বেসিক থেকে শুরু করে অ্যাডভান্স লেভেল পর্যন্ত শেখাবে।

আরো পড়ুনঃ আপনি কি ইউটিউব ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে চান সহজ উপায়ে?

  •  ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখাঃ

ইউটিউবে বিভিন্ন SEO এক্সপার্ট যেমন Brian Dean, Neil Patel, এবং Backlinko এর টিউটোরিয়াল দেখুন। এই ভিডিওগুলোতে অন-পেজ এসইও-এর প্রতিটি দিক নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়। যা প্র্যাকটিক্যাল প্রয়োগ শেখায়।

  •  অনলাইন কোর্স করাঃ

Udemy, Coursera, এবং LinkedIn Learning এর মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে অন-পেজ এসইও শেখার জন্য কোর্স করতে পারেন। এসব কোর্সগুলোতে প্রাথমিক থেকে শুরু করে অগ্রগামী ধাপগুলো শেখানো হয় এবং সার্টিফিকেটও পাওয়া যায়।

  • নিজের ওয়েবসাইটে প্র্যাকটিস করাঃ

একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আপনার শেখা অন-পেজ এসইও কৌশল প্রয়োগ করুন। কীওয়ার্ড রিসার্চ, মেটা ট্যাগ সেটআপ, ইমেজ অপটিমাইজেশন এবং কন্টেন্ট আপডেটের মাধ্যমে শেখার সর্বোত্তম উপায় হলো প্র্যাকটিস করা।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে আপনি নিজের অর্থ সঞ্চয় করে সঠিক সময়ে ব্যবহার করবেন তার কৌশল জানুন?

  • ফ্রি এসইও টুলস ব্যবহার করাঃ

Google Search Console, Google Analytics, এবং Yoast SEO এর মতো ফ্রি টুলস ব্যবহার করে আপনার সাইটের অন-পেজ এসইও স্ট্যাটাস পরীক্ষা করতে পারেন। এগুলো ব্যবহার করলে সাইটের কোন কোন অংশে উন্নতির প্রয়োজন তা জানতে পারবেন।

  •  ফ্রি গাইড বা ই-বুক পড়াঃ

Ahrefs SEO Guide, Moz Beginner’s Guide to SEO এর মতো বিনামূল্যে পাওয়া গাইডগুলো পড়ুন, যেখানে অন-পেজ এসইও সহ এসইওর বিভিন্ন দিক বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

এসব রিসোর্স ব্যবহার করে এবং নিয়মিত প্র্যাকটিসের মাধ্যমে আপনি অন-পেজ এসইও দক্ষতার সঙ্গে শিখতে পারবেন। ধৈর্য ধরে প্রাকটিক্যাল জ্ঞান অর্জন করতে পারলে এটি আপনার জন্য একটি মূল্যবান দক্ষতা হয়ে উঠবে।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে অনলাইনে আপনি যদি কোনো কিছু করতে চান তাহলে আপনাকে এই অন পেজ এসইও কি ও তার সাথে সাথে এটাও জেনে রাখতে হবে অন পেজ এসইও তে কি কি করতে হয়।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন...............www.stylishsm.com



( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )























এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url