অফ পেজ এসইও কি - অফ পেজ এসইও কিভাবে কাজ করে? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে কিভাবে অনলাইনে এই অফ পেজ এসইও কি সেটি আমাদেকে জ্ঞান রাখতে হবে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে এই অফ পেজ এসইও কিভাবে কাজ করে? আসুন জানি?

ভূমিকাঃ

আজকের এই দুনিয়ায় অনলাইনে কাজ করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাসালেটি জানতে হবে। অনেক রকম কাজের প্রতি জ্ঞান রাখতে হবে। তাদের মধ্য মূল কাজ হচ্ছে যে এসইও করা নিজের কাজের প্রতি।

অফ-পেজ-এসইও-কি
অফ-পেজ-এসইও-কি        

এই অফ পেজ এসইও কি এর কাজ কিভাবে করতে হয়। সেদিকে জ্ঞান রাখতে হবে। ও তার সাথে সাথে এটাও জেনে রাখতে হবে যে এই অফ পেজ এসইও কিভাবে কাজ করে অনলাইনে। নিম্নে বিস্তারিত......।

অফ পেজ এসইও কিঃ

অফ-পেজ এসইও (Off-Page SEO) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যা ওয়েবসাইটের বাইরের ফ্যাক্টরগুলোর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটের র‍্যাঙ্কিং বৃদ্ধি করে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করা। যা সার্চ ইঞ্জিনের কাছে প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। মূলত, এর মধ্যে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এবং গেস্ট পোস্টিং অন্তর্ভুক্ত থাকে।

আরো পড়ুনঃ অন পেজ এসইও কিভাবে কাজ করে ও কিভাবে শিখবেন জেনে নিন?

ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করার সময়, অন্য উচ্চমানের ওয়েবসাইট থেকে লিঙ্ক সংগ্রহ করা হয়, যা সার্চ ইঞ্জিনের কাছে একটি ইতিবাচক সংকেত দেয় যে আপনার সাইটটি বিশ্বাসযোগ্য এবং প্রাসঙ্গিক। এছাড়া, সোশ্যাল মিডিয়াতে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট শেয়ার করে। সেই কন্টেন্ট আরও ভিজিটরদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়, যা ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করে। অফ-পেজ এসইও মূলত ওয়েবসাইটের বাইরের দিকগুলোকে উন্নত করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনে সাইটটির অবস্থান উন্নত করতে সহায়ক হয়।

অফ পেজ এসইও কিভাবে কাজ করেঃ

অফ-পেজ এসইও (Off-Page SEO) মূলত ওয়েবসাইটের বাইরের কার্যক্রমের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনের র‌্যাঙ্কিং উন্নত করার পদ্ধতি। এটি প্রধানত ব্যাকলিঙ্ক তৈরি এবং ব্র্যান্ডের সুনাম বৃদ্ধি করার মাধ্যমে কাজ করে। যখন কোনো উচ্চমানের ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার করে, তখন সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে যে আপনার সাইটটি প্রাসঙ্গিক এবং বিশ্বাসযোগ্য। এ কারণে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটের র‌্যাঙ্কিং বাড়ে।

আরো পড়ুনঃ বেকার সময়ে ঘরে বসে কিভাবে খুব সহজে এসইও কাজ শিখবেন জেনে নিন?

অফ-পেজ এসইও করার অন্যতম প্রধান উপায় হলো গেস্ট পোস্টিং। আপনি অন্যান্য ওয়েবসাইটে গেস্ট আর্টিকেল লিখে সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন। এছাড়া, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং-ও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করলে সেটি আরও বেশি মানুষ দেখতে পায়, যা ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে সহায়ক হয়।

অফ-পেজ এসইওতে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ব্র্যান্ডের উল্লেখ। যখন আপনার ব্র্যান্ড বা ওয়েবসাইট অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে উল্লেখিত হয়। সেটা সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আপনার সাইটের সুনাম বাড়ায়। মোট কথা, অফ-পেজ এসইও মূলত ওয়েবসাইটের বাইরের কার্যকলাপের মাধ্যমে গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ওয়েবসাইটের গুরুত্ব বাড়িয়ে র‌্যাঙ্কিং উন্নত করে।

আরো পড়ুনঃ অনলাইন কাজের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল এসইও কিভাবে কাজ করে জেনে নিন?

অফ পেজ অপটিমাইজেশন কিঃ

অফ-পেজ অপটিমাইজেশন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যা ওয়েবসাইটের বাইরে থেকে সার্চ ইঞ্জিনের র‍্যাঙ্কিং বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যকলাপ করে। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা, প্রাসঙ্গিকতা, এবং সুনাম বাড়ানো হয় গুগলের সাথে। মূলত, ব্যাকলিঙ্ক তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এবং অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে লিঙ্ক অর্জন হলো অফ-পেজ অপটিমাইজেশনের প্রধান কৌশল।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে খুব সহজে ব্লগ লিখবেন তা খুঁটিনাটি জেনে নিন?

যখন অন্যান্য উচ্চমানের ওয়েবসাইটগুলো আপনার সাইটে লিঙ্ক দেয়, তখন সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে যে আপনার সাইটটি বিশ্বাসযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ, যার ফলে গুগলে র‍্যাঙ্কিং বাড়ে। এছাড়া, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্ট শেয়ারিং এবং গেস্ট পোস্টিং-এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের প্রভাব ও ট্রাফিক বৃদ্ধি করা যায়। অফ-পেজ অপটিমাইজেশন সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ওয়েবসাইটটির সুনাম এবং অবস্থানকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

অফ পেজ অপটিমাইজেশন কিভাবে কাজ করেঃ

অফ-পেজ অপটিমাইজেশন এমন একটি প্রক্রিয়া, যা ওয়েবসাইটের বাইরে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটের র‍্যাঙ্কিং উন্নত করে। এটি মূলত ব্যাকলিঙ্ক তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারণা, এবং অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে রেফারেন্স বা উল্লেখ এর মাধ্যমে কাজ করে। নিম্নে কিছু কাজ জেনে নিন?

  1. ব্যাকলিঙ্ক তৈরিঃ এটি অফ-পেজ অপটিমাইজেশনের অন্যতম প্রধান কৌশল। উচ্চমানের ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক পেলে তা সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আপনার সাইটের গুরুত্ব এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়। ব্যাকলিঙ্ক পাওয়ার জন্য গেস্ট পোস্টিং, ব্লগার আউটরিচ, এবং কন্টেন্ট শেয়ারিং করা হয়।
  2. সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিংঃ আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা হলে, তা ভিজিটরের সংখ্যা বাড়ায় এবং কন্টেন্টকে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়, যা সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্কিং উন্নত করে।
  3. অন্যান্য সাইটে উল্লেখ বা ব্র্যান্ড মেনশনঃ যখন অন্য কোনো ব্লগ বা নিউজ ওয়েবসাইট আপনার ব্র্যান্ড বা ওয়েবসাইটের কথা উল্লেখ করে। সেটি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত পাঠায় যে আপনার সাইটটি উল্লেখযোগ্য এবং প্রাসঙ্গিক।

অফ-পেজ অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের বাইরে থেকে লিঙ্ক, রেফারেন্স, এবং উল্লেখ সংগ্রহ করে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে তার প্রভাব বাড়ানো হয়, যা সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্কিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অফ পেজ এসইওতে কি কি করতে হয়ঃ

অফ-পেজ এসইওতে ওয়েবসাইটের বাইরের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়, যা সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটের র‍্যাঙ্কিং বাড়ায়। এর মাধ্যমে মূলত ওয়েবসাইটের প্রাসঙ্গিকতা, বিশ্বাসযোগ্যতা, এবং ট্রাফিক বৃদ্ধি করা হয়। নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু কৌশল দেওয়া হলো যা অফ-পেজ এসইওতে করতে হয় তাহলোঃ

  • ব্যাকলিঙ্ক তৈরিঃ

উচ্চমানের ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক সংগ্রহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন একটি প্রাসঙ্গিক ও শক্তিশালী ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার করে। তখন তা সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটের র‍্যাঙ্কিং বাড়াতে সহায়ক হয়। ব্যাকলিঙ্ক পাওয়ার জন্য গেস্ট পোস্টিং এবং ব্লগার আউটরিচ কৌশল ব্যবহার করা হয়।

আরো পড়ুনঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে নিজের কাজ সহজ করার উপায় জানুন?

  • গেস্ট পোস্টিংঃ

অন্য ওয়েবসাইট বা ব্লগে গেস্ট পোস্ট লিখে সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক যুক্ত করা হয়। এটি কেবল ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করে না। বরং আপনার ব্র্যান্ডকে নতুন পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেয়।

  •  সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ

আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করলে তা আরও বেশি মানুষ দেখতে পায়, এবং সেই সঙ্গে ওয়েবসাইটে ট্রাফিকও বাড়ে। এটি সরাসরি এসইও র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব না ফেললেও অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য কার্যকর হিসাবে কাজ করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার সুযোগ পেতে চাই এখনি ভিজিট করুন?

  •  ফোরাম পোস্টিং ও ডিসকাশনঃ

প্রাসঙ্গিক ফোরামে অংশগ্রহণ করে এবং ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার করে আপনার সাইটের জন্য ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করা যায়। তবে লিঙ্ক শেয়ার করার সময় অবশ্যই সেটি স্বাভাবিক ও প্রাসঙ্গিক হতে হবে।

  • ব্র্যান্ড মেনশন ও রিভিউঃ

অন্যান্য ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনার ব্র্যান্ডের উল্লেখ বা রিভিউ পাওয়া সার্চ ইঞ্জিনের কাছে একটি শক্তিশালী সংকেত পাঠায়। এটি আপনার সাইটের সুনাম বাড়ায় এবং র‌্যাঙ্কিং উন্নত করে।

  •  লোকাল এসইও (Local SEO)

গুগল মাই বিজনেস (Google My Business) এবং অন্যান্য লোকাল ডিরেক্টরিতে ওয়েবসাইট নিবন্ধন করে আপনার সাইটের লোকাল র‌্যাঙ্কিং উন্নত করা যায়।

আরো পড়ুনঃ ইউটিউব ব্যবহার করে কিভাবে সহজে টাকা ইনকাম করবেন বিস্তারিত জানুন?

  •  ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংঃ

জনপ্রিয় ব্লগার বা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবার প্রচারণা করিয়ে তাদের ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে লিঙ্ক পেতে পারেন।

  •  ইমেজ এবং ভিডিও শেয়ারিংঃ

ইমেজ এবং ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম যেমন Pinterest, YouTube, বা Flickr এ আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করে সেখানে লিঙ্ক যুক্ত করলে, এটি আরও ব্যাকলিঙ্ক তৈরির একটি সুযোগ তৈরি করে। এই কার্যকলাপগুলো অফ-পেজ এসইওর প্রধান অংশ, যা ওয়েবসাইটের প্রভাব ও র‍্যাঙ্কিং বাড়াতে সহায়ক।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে অনলাইনের এই দুনিয়ায় অফ পেজ এসইও কি সেদিকে আপনি জ্ঞান অর্জন করলেন। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে অফ পেজ এসইও কিভাবে কাজ করে?

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন............www.stylishsm.com



আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )





























এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url