কীভাবে ট্রেডিং শুরু করবো - কিভাবে ট্রেডিং একাউন্ট খুলবো? বিস্তারিত জেনে নিন?
আজকে আমরা জানবো যে টাকা ইনকাম করার জন্য কীভাবে ট্রেডিং শুরু করবো অনলাইনে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে টাকা ইনকাম করার জন্য অনলাইনে এই কিভাবে ট্রেডিং একাউন্ট খুলবো। আসুন জেনে নি?
ভূমিকাঃ
আজকের দিনে প্রায় সব মানুষ অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করছে খুব সহজে। তার মধ্য একটি সেরা প্লাটফর্ম হলো এই ট্রেডিং। ট্রেডিং পৃথিবীর বুকে অসব থেকে বড় শেয়ার বাজার।
কীভাবে-ট্রেডিং-শুরু-করবো |
তাই এই প্লাটফর্ম থেকে কীভাবে আপনিও টাকা ইনকাম করবেন খুব সহজে সেই প্রদ্ধতি আজকে আপনি জানতে পারবেন। যে কীভাবে ট্রেডিং শুরু করবো ও এটাই জানবেন যে কিভাবে ট্রেডিং একাউন্ট খুলে কীভাবে টাকা ইনকাম করবো। সব কিছু নিম্নে বিস্তারিত......।
কীভাবে ট্রেডিং শুরু করবোঃ
ট্রেডিং করে মানুষ মাসে লক্ষ্য-লক্ষ্য টাকা ইনকাম করছে। ট্রেডিং শুরু করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হবে। নিচে ধাপগুলো উল্লেখ করা হলোঃ
- শিক্ষা এবং জ্ঞান অর্জন করুনঃ
ট্রেডিং শুরু করার আগে ট্রেডিং কীভাবে কাজ করে এবং বাজারের বিশ্লেষণ কীভাবে করতে হয় তা ভালোভাবে শিখুন। স্টক মার্কেট, ফরেক্স, ক্রিপ্টোকারেন্সি, এবং অন্যান্য ট্রেডিং মার্কেট সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন বই, অনলাইন কোর্স, এবং ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে ট্রেডিংয়ের প্রাথমিক ধারণা নিন।
আরো পড়নঃ ক্রিপ্টোকারেন্সি কয়েন ক্রয়-বিক্রয় করে কীভাবে টাকা আয় করবেন জেনে নিন?
- বাজার এবং সম্পদ নির্বাচন করুনঃ
বিভিন্ন ধরনের ট্রেডিং মার্কেট রয়েছে, যেমনঃ স্টক মার্কেট, ফরেক্স, ক্রিপ্টোকারেন্সি ইত্যাদি। আপনি কোন মার্কেটে ট্রেডিং করতে চান তা ঠিক করুন। এছাড়া, কোন সম্পদ বা মুদ্রায় ট্রেড করতে চান তা নির্ধারণ করুন। যেমনঃ স্টক, বৈদেশিক মুদ্রা (ফরেক্স), বিটকয়েন বা অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি।
- একটি ব্রোকার নির্বাচন করুনঃ
বিশ্বস্ত এবং সুরক্ষিত একটি ব্রোকার প্ল্যাটফর্ম বেছে নিন, যেখান থেকে আপনি ট্রেডিং করতে পারবেন। বাংলাদেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে অনেক ব্রোকার প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেমন MetaTrader, Binance, eToro, ইত্যাদি। ব্রোকার নির্বাচন করার সময় ফি, ট্রেডিং সুবিধা এবং সাপোর্ট ব্যবস্থা বিবেচনা করুন।
- ডেমো অ্যাকাউন্টে প্র্যাকটিস করুনঃ
সরাসরি টাকা না লাগিয়ে আগে একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলে ট্রেডিং প্র্যাকটিস করুন। এতে আপনি বাজার বিশ্লেষণ, কৌশল প্রয়োগ, এবং ট্রেডিংয়ের বিভিন্ন টেকনিক সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করবেন, কিন্তু কোনো ঝুঁকি থাকবে না।
আরো পড়ুনঃ অফ পেজ কি ও অফ পেজের কাজ গুলো কি কি হয়ে থাকে জেনে নিন?
ট্রেডিং কৌশল নির্ধারণ করুনঃ
আপনার ট্রেডিং কৌশল ঠিক করুন। আপনি স্বল্পমেয়াদী (day trading), দীর্ঘমেয়াদী (swing trading), বা প্যাসিভ ইনভেস্টিং করতে পারেন। কৌশল নির্ধারণ করার সময় বাজারের পরিস্থিতি এবং আপনার লক্ষ্য বিবেচনা করুন।
- টাকা বিনিয়োগ করুনঃ
যখন আপনি আত্মবিশ্বাসী বোধ করবেন, তখন আপনার ব্রোকার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিন এবং ট্রেডিং শুরু করুন। ছোট পরিমাণে বিনিয়োগ করে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে আপনার বিনিয়োগ বাড়ান।
- বাজার পর্যবেক্ষণ করুন এবং বিশ্লেষণ করুনঃ
নিয়মিতভাবে বাজারের অবস্থা বিশ্লেষণ করুন। ট্রেডিং চার্ট, বাজারের খবর, এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচক পর্যবেক্ষণ করুন। এতে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ অন পেজ কি ও অন পেজের কাজ গুলো কি-কি হয়ে থাকে তা জেনে নিন?
- ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা করুনঃ
ট্রেডিংয়ের সময় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ট্রেডের জন্য সঠিক স্টপ-লস এবং প্রফিট টার্গেট সেট করুন। খুব বেশি অর্থ একসাথে বিনিয়োগ করবেন না এবং নিয়মিত লাভ-ক্ষতির হিসাব রাখুন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি ট্রেডিং শুরু করতে পারেন। মনে রাখবেন, ট্রেডিং ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ধৈর্য ও সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিভাবে ট্রেডিং একাউন্ট খুলবোঃ
ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। যেটি আপনি আপনি মেনে চললে অনেক ভাল লাগ করবেন। নিচে ধাপে ধাপে ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া উল্লেখ করা হলো অনুসরণ করুন?
- বিশ্বস্ত ব্রোকার নির্বাচন করুনঃ
প্রথমে একটি নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত ব্রোকার নির্বাচন করুন। জনপ্রিয় ব্রোকারগুলোর মধ্যে রয়েছে Binance, eToro, MetaTrader, Robinhood ইত্যাদি। ব্রোকার বাছাইয়ের সময় তার সেবার মান, ফি, এবং সাপোর্ট সুবিধাগুলো ভালোভাবে যাচাই করবেন।
আরো পড়নঃ বিভিন্ন ধরনের অ্যাড ও বিজ্ঞাপন দেখে কীভাবে টাকা আয় করবেন জেনে নিন?
- ব্রোকারের ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ডাউনলোড করুনঃ
নির্বাচিত ব্রোকারের কথা বলে তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান অথবা মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন। বেশিরভাগ ব্রোকার তাদের ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দেয়।
- রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করুনঃ
ব্রোকারের ওয়েবসাইট বা অ্যাপে সাইন আপ বা রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার নাম, ইমেইল, ফোন নম্বর, এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
- KYC (Know Your Customer) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুনঃ
ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য ব্রোকার আপনাকে KYC (Know Your Customer) প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে বলবে। আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), পাসপোর্ট, বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে ঠিকানার প্রমাণও দিতে হতে পারে (যেমন: বিদ্যুৎ বিল বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট)।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লিংক করুনঃ
ট্রেডিংয়ে টাকা জমা এবং উত্তোলনের জন্য আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা পেমেন্ট মেথড লিংক করতে হবে। কিছু ব্রোকার ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, বা অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম (PayPal, Skrill ইত্যাদি) গ্রহণ করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ বেকার সময়ে নিজের ঘরে বসে এসইও কাজ শিখতে চান এখনি ভিজিট করুন?
- অ্যাকাউন্ট যাচাইকরণ (Verification)
KYC প্রক্রিয়া এবং ব্যাংক ডিটেইলস জমা দেওয়ার পর ব্রোকার আপনার তথ্য যাচাই করবে। এটি সম্পন্ন হতে ১ থেকে ৩ কর্মদিবস সময় লাগতে পারে। আপনার তথ্য সঠিক হলে অ্যাকাউন্টটি সফলভাবে ভেরিফাই হয়ে যাবে।ত
- অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিনঃ
একবার আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই হয়ে গেলে, আপনি ট্রেডিং শুরু করতে পারবেন। তারপরে আপনাকে ব্রোকার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে হবে। যা আপনি ব্যাংক ট্রান্সফার, ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড বা অনলাইন পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে করতে পারেন।
- ট্রেডিং শুরু করুনঃ
টাকা জমা দেওয়ার পর আপনার ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শেয়ার, ক্রিপ্টোকারেন্সি, ফরেক্স, বা অন্যান্য সম্পদ ট্রেড করতে পারবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ছোট পরিমাণে বিনিয়োগ শুরু করুন এবং বাজারের ওঠানামা পর্যবেক্ষণ নিজে জাস্টিফাই করুন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই একটি ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। অ্যাকাউন্ট খোলার পর ট্রেডিং শুরু করার আগে প্রাথমিক জ্ঞান এবং কৌশল শিখে নেওয়া ভালো।
ট্রেডিং শিখতে কতদিন সময় লাগেঃ
ট্রেডিং শিখতে সময়ের পরিমাণ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, ট্রেডিংয়ের প্রাথমিক ধারণা এবং মৌলিক কৌশলগুলি শিখতে ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগে। তবে, ভালোভাবে বাজার বিশ্লেষণ, কৌশল প্রয়োগ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শিখতে ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
ট্রেডিং-শিখতে-কতদিন-সময়-লাগে |
নিয়মিত প্র্যাকটিস এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে ট্রেডিংয়ে দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব। ধৈর্য এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে ভালো ট্রেডার হওয়া যায়। ট্রেডিং শেখার কোনো বয়স ও সময় নাই।
কীভাবে ট্রেডিং থেকে টাকা আয় করা যায়ঃ
ট্রেডিং থেকে টাকা আয় করার জন্য কিছু কৌশল এবং পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয় আপনাকে। নিচে ট্রেডিং থেকে টাকা আয় করার কয়েকটি প্রধান উপায় উল্লেখ করা হলো পড়ে নিন?
- শেয়ার বা স্টক ট্রেডিংঃ আপনি কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনে রাখার পর সেগুলোর দাম বাড়লে বিক্রি করে লাভ করতে পারেন। বাজার বিশ্লেষণ করে সঠিক সময়ে শেয়ার কিনে এবং বিক্রি করলে ভালো আয় করা সম্ভব।
- ফরেক্স ট্রেডিংঃ বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে এক মুদ্রা কেনা ও অন্য মুদ্রা বিক্রি করে লাভ করা হয়। মুদ্রার ওঠানামা থেকে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
- ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিংঃ বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, বা অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনে, দাম বাড়লে বিক্রি করে আয় করা যায়। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার খুবই অস্থির, তাই ঝুঁকি রয়েছে। বুঝে শুনে কাজ করবেন।
- ডেরিভেটিভস ট্রেডিংঃ অপশনস বা ফিউচারসের মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদের দাম কীভাবে উঠবে বা নামবে তা পূর্বানুমান করে লাভ করতে পারেন।
- ডে ট্রেডিংঃ দিনে দিনে দাম ওঠানামা পর্যবেক্ষণ করে স্বল্প সময়ের মধ্যে কিনে বিক্রি করে লাভ করা যায়। এটি খুব দ্রুত মুনাফা অর্জনের একটি উপায়, তবে ঝুঁকিও বেশি। কিন্তু একবার ভাগ্য সাথ দিলে আপনি কোটিপ্রতি।
- সুং ট্রেডিংঃ স্বল্প বা মধ্যমেয়াদি ট্রেডিং কৌশল, যেখানে কিছু দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরে সম্পদ ধরে রাখা হয় এবং পরে বিক্রি করে লাভ করা হয়।
ট্রেডিং থেকে আয় করার জন্য বাজার বিশ্লেষণ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, এবং ধৈর্যের প্রয়োজন। নিয়মিত চর্চা এবং সঠিক কৌশল ব্যবহার করে ট্রেডিং থেকে লাভ করা সম্ভব।
মোবাইল ট্রেডিং কিঃ
মোবাইল ট্রেডিং হলো মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেটের মাধ্যমে শেয়ার, ফরেক্স, ক্রিপ্টোকারেন্সি, বা অন্যান্য আর্থিক সম্পদ কেনা-বেচার প্রক্রিয়া। এটি একটি সহজ এবং দ্রুত উপায়, যেখানে ট্রেডাররা যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে তাদের মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন। মোবাইল ট্রেডিংয়ের জন্য বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হয়।
যেমনঃ MetaTrader, Binance, eToro ইত্যাদি, যেগুলোতে রিয়েল-টাইম মার্কেট ডেটা, চার্ট বিশ্লেষণ, এবং লেনদেন করার সুবিধা পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে ট্রেডাররা সহজেই বাজারের ওঠানামা পর্যবেক্ষণ করতে এবং তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ও অনলাইন বাজার থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ট্রেডিং শুরু করতে কত টাকা লাগেঃ
ট্রেডিং শুরু করতে প্রয়োজনীয় টাকার পরিমাণ আপনার বাছাই করা বাজার, ব্রোকার, এবং ট্রেডিং ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, শেয়ার মার্কেট, ফরেক্স, বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ট্রেডিং শুরু করতে ন্যূনতম ১০ ডলার থেকে ১০০ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা) প্রয়োজন হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ব্লগ সাইটে কিভাবে বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকাম করবেন তা জেনে নিন?
অনেক ব্রোকার স্বল্প মূলধন নিয়ে ট্রেডিং শুরু করার সুযোগ দেয়, তবে বড় পরিমাণে বিনিয়োগ করলে লাভের সম্ভাবনাও বেশি থাকে। শুরুতে ছোট পরিমাণে বিনিয়োগ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করা ভালো। কারণ ট্রেডিংয়ে ঝুঁকি থাকে এবং বাজার সম্পর্কে ভালো ধারণা ছাড়া বড় বিনিয়োগ করা নিরাপদ নয়।
ট্রেডিং করার ২০টি কৌশল জেনে নিনঃ
ট্রেডিং করার সময় সঠিক কৌশল অবলম্বন করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে আপনার। নিচে ২০টি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং কৌশল উল্লেখ করা হলো দেখে নিন?
- বাজার বিশ্লেষণ করুনঃ প্রতিদিন বাজারের খবর এবং চার্ট বিশ্লেষণ করবেন নিজের মেধা দিয়ে।
- ট্রেন্ড অনুসরণ করুনঃ বাজারের ট্রেন্ড বুঝে ট্রেড করুন, অর্থাৎ বাজার যখন বাড়ছে তখন কিনুন এবং যখন নামছে তখন বিক্রি করুন।
- স্টপ-লস ব্যবহার করুনঃ ট্রেডে সম্ভাব্য ক্ষতি সীমিত করতে স্টপ-লস সেট করুন।
- লাভের লক্ষ্য ঠিক করুনঃ লাভের নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করুন বেশী লোভ করবেন না। এবং সেই অনুযায়ী ট্রেড বন্ধ করুন।
- লং টার্ম ইনভেস্টিং করুনঃ দীর্ঘমেয়াদে ভাল কোম্পানির শেয়ার ধরে রাখুন।
- সঠিক সময়ে বিক্রি করুনঃ লাভের একটি নির্দিষ্ট সীমা স্পর্শ করলে তখন শেয়ার বিক্রি করুন।
- ট্রেডিং জার্নাল রাখুনঃ আপনার প্রতিটি ট্রেডের বিশদ বিবরণ লিখে রাখুন, যা পরবর্তীতে বিশ্লেষণে কাজে লাগবে।
- কম্পাউন্ডিং কৌশল ব্যবহার করুনঃ লাভ করা টাকাকে পুনরায় ট্রেডে ব্যবহার করুন।
- মাল্টি-অ্যাসেট ট্রেডিং করুনঃ স্টক, ফরেক্স, ক্রিপ্টো সব একসাথে না করে, আলাদা আলাদা মার্কেটে ট্রেড করুন। তাহলে সব ধরনের জ্ঞান পাবেন।
- টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস শিখুনঃ চার্ট ও সূচক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাজারের ভবিষ্যত গতিপ্রকৃতি অনুমান করুন।
- ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস করুনঃ কোম্পানির ব্যালেন্স শিট, লাভ-ক্ষতির রিপোর্ট দেখে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিন।
- মনোবল শক্ত রাখুনঃ ট্রেডিংয়ে লোকসান হতে পারে, তাই ধৈর্য ধরে মনোবল শক্ত রাখতে হবে। মনোবল হারাবেন না কখনো।
- অতিমূল্যায়ন এড়িয়ে চলুনঃ অতিরিক্ত লোভে না পড়ে বাস্তবিকভাবে লাভের পরিমাণ লক্ষ্য করুন।
- লেভারেজ ব্যবহার করুন সতর্কভাবেঃ উচ্চ লেভারেজ বেশি লাভের সুযোগ দেয়। কিন্তু এতে ঝুঁকিও বেশি থাকে।
- ডেমো অ্যাকাউন্টে প্র্যাকটিস করুনঃ সরাসরি বিনিয়োগের আগে ডেমো অ্যাকাউন্টে ট্রেড করে অভিজ্ঞতা নিন।
- মাল্টিপল টাইম ফ্রেম ব্যবহার করুনঃ বিভিন্ন সময় ফ্রেমে চার্ট বিশ্লেষণ করে সঠিক সময়ে ট্রেড করুন।
- খরচ নিয়ন্ত্রণ করুনঃ ব্রোকারের ফি এবং অন্যান্য খরচ বিবেচনা করে ট্রেড করুন। টাকা অযথা উড়াবেন না।
- অতিরিক্ত ট্রেড করবেন নাঃ বেশি ট্রেড করলে ঝুঁকি বেশি হয়, তাই একসাথে অনেক ট্রেড না করে নির্দিষ্ট সংখ্যক সময় ধরে ট্রেড করুন।
- ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা করুনঃ কখন এবং কতটা বিনিয়োগ করবেন ট্রেড করতে তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন।
- ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করুনঃ নিজের জন্য একটি নির্দিষ্ট ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করুন এবং তা অনুসরণ করুন।
এই কৌশলগুলো অনুসরণ করলে ট্রেডিংয়ে সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তবে সব সময় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার দিকে মনোযোগ দিতে হবে এবং ধৈর্য ধরে ট্রেড করতে হবে। ধৈয হারাবেন না।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে অনলাইনের দুনিয়ায় কীভাবে ট্রেডিং শুরু করবো। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে কিভাবে ট্রেডিং একাউন্ট খুলবো নিজের।
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.........www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url