অতিরিক্ত মাথা ঘামার কারণ কি - অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায় কি? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত মাথা ঘামার কারণ কি এবং কেন এত ঘাম হয়ে থাকে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায় কি? আসুন জানি?

ভূমিকাঃ

আমরা যখন কোনো ধরনের কাজকাম বেশি করে থাকি। তখন দেখা যায় যে আমাদের অতিরিক্ত মাথা ঘামার কারণ ও শরীর ঘামার কারণ হয়ে থাকে।

অতিরিক্ত-মাথা-ঘামার-কারণ-কি
অতিরিক্ত-মাথা-ঘামার-কারণ-কি        

তাই আসুন জেনে রাখি যে আমাদের শরীর থেকে এই অতিরিক্ত মাথা ঘামার কারণ কি হয়ে থাকে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায় কি-কি হতে পারে। নিম্নে বিস্তারিত...।

অতিরিক্ত মাথা ঘামার কারণ কিঃ

অতিরিক্ত মাথা ঘামার প্রধান কারণগুলো হতে পারে শারীরিক এবং মানসিক উভয় ধরনের হতে পারে। এটি সাধারণত হাইপারহিড্রোসিস নামে পরিচিত একটি অবস্থার কারণে ঘটে থাকে। যেখানে শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘাম উৎপন্ন করে। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বা আতঙ্কের কারণে মাথা বেশি ঘামতে পারে। এছাড়াও, হরমোনাল পরিবর্তন হতে পারে।

যেমনঃ মেনোপজ, থাইরয়েডের সমস্যা (হাইপারথাইরয়েডিজম) বা ডায়াবেটিসের কারণে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ, চিকিৎসা-সংক্রান্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বা জ্বর থেকেও মাথা বেশি ঘামতে পারে। অনেক সময় তীব্র গরম বা শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্যও মাথায় ঘাম জমতে পারে।

যদি মাথা ঘামা অস্বাভাবিকভাবে হয় বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার সাথে আসে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায়ঃ

অতিরিক্ত ঘাম দূর করার জন্য কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যা সহজে অনুসরণ করা যায়। নিচে কিছু উপায় উল্লেখ করা হলোঃ

  1. লেবুর রসঃ লেবুর রস প্রাকৃতিক অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট হিসেবে কাজ করে। এক চামচ লেবুর রস এবং এক চিমটি বেকিং সোডা মিশিয়ে ঘাম বেশি হওয়া স্থানে লাগান। এটি ঘাম কমাতে সহায়ক হবে।
  2. আপেল সিডার ভিনেগারঃ আপেল সিডার ভিনেগার শরীরের pH ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ঘাম নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন ১-২ চামচ আপেল সিডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে পান করুন বা ঘামে আক্রান্ত স্থানে সরাসরি লাগান।
  3. নারকেল তেলঃ নারকেল তেলে থাকা লরিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া দূর করে এবং অতিরিক্ত ঘাম কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন গোসলের পর ঘামে আক্রান্ত স্থানে নারকেল তেল ম্যাসাজ করতে পারেন।
  4. পুদিনা পাতাঃ পুদিনা পাতা শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং ঘাম কমায়। কিছু পুদিনা পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি ঠান্ডা করে পান করুন অথবা পুদিনার রস সরাসরি ত্বকে লাগান।
  5. বেকিং সোডা ও কর্নস্টার্চঃ বেকিং সোডা ও কর্নস্টার্চ মিশিয়ে প্রাকৃতিক পাউডার তৈরি করুন এবং এটি ঘামে আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটি ঘাম শোষণ করে এবং শরীরকে শুষ্ক রাখে।
  6. সালভিয়া চাঃ সালভিয়া চা ঘাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী। এটি প্রতিদিন পান করলে ঘাম কমাতে সাহায্য করে।
  7. পানি পানঃ শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে দিনে প্রচুর পানি পান করা উচিত। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং অতিরিক্ত ঘাম কমায়।
  8. নিয়মিত গোসলঃ নিয়মিত গোসল করলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ঘাম কম হয়।
  9. ঢিলেঢালা পোশাক পরুনঃ হালকা, সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরলে শরীরে বাতাস চলাচল সহজ হয় এবং ঘাম কম হয়।
  10. অ্যালোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা ত্বককে ঠান্ডা রাখতে সহায়ক। অ্যালোভেরা জেল সরাসরি ঘামের স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এটি ঘাম কমাবে এবং ত্বক শুষ্ক রাখবে।

এই ঘরোয়া উপায়গুলো নিয়মিতভাবে অনুসরণ করলে অতিরিক্ত ঘাম কমানো সম্ভব। তবে যদি সমস্যা অব্যাহত থাকে, তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

বাচ্চাদের মাথা ঘামার কারণঃ

বাচ্চাদের মাথা ঘামার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যা সাধারণত স্বাভাবিক, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে। নিচে বাচ্চাদের মাথা ঘামার কিছু সাধারণ কারণ উল্লেখ করা হলোঃ

  1. শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ বাচ্চাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পূর্ণবয়স্কদের তুলনায় কম কার্যকরী, তাই তারা বেশি ঘামতে পারে, বিশেষত ঘুমের সময় বা খাওয়ার সময়।
  2. অতিরিক্ত কাপড়ঃ অনেক সময় বাচ্চাদের গরম আবহাওয়ায় অতিরিক্ত কাপড় পরিয়ে দিলে তাদের শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় এবং মাথা ও শরীর ঘামতে শুরু করে।
  3. স্তন্যপান বা খাওয়ার সময়ঃ খাওয়ার সময় বাচ্চারা প্রচুর শক্তি ব্যয় করে, ফলে তাদের মাথা ঘামতে পারে। এটি স্তন্যপানরত বাচ্চাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
  4. পরিবেশগত কারণঃ গরম আবহাওয়া বা ঘরের বাতাস চলাচলের অভাব বাচ্চাদের মাথা ঘামার কারণ হতে পারে।
  5. হাইপারহিড্রোসিসঃ এটি একটি শারীরিক অবস্থা, যেখানে শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘাম উৎপন্ন করে। এই অবস্থায় বাচ্চাদের মাথাসহ শরীরের অন্যান্য অংশেও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
  6. হৃদরোগ বা শ্বাসকষ্টঃ কিছু ক্ষেত্রে বাচ্চাদের হৃদরোগ বা শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে, বিশেষত ঘুমানোর সময়।
  7. ভিটামিন ডি এর অভাবঃ ভিটামিন ডি এর ঘাটতির কারণে বাচ্চাদের মাথায় ঘাম হতে পারে। এটি রিকেটসের মতো সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

যদি বাচ্চাদের মাথা অতিরিক্ত ঘামে এবং অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামেঃ

ভিটামিন ডি-এর অভাবে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে, বিশেষত গা এবং মাথায়। ভিটামিন ডি শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়ক এবং হাড় মজবুত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর ঘাটতির ফলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ঘামাও একটি লক্ষণ। ভিটামিন ডি এর অভাব মূলত সূর্যালোকের কম উপস্থিতি হয়।

সঠিক খাবার না খাওয়া বা দীর্ঘ সময় ঘরের ভেতরে থাকার কারণে হতে পারে। যদি অতিরিক্ত ঘাম দেখা দেয় এবং এর সাথে দুর্বলতা বা হাড়ের সমস্যা অনুভূত হয়, তবে এটি ভিটামিন ডি-এর অভাবের লক্ষণ হতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অতিরিক্ত গা ঘামার কারণ কিঃ

অতিরিক্ত গা ঘামার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যা শারীরিক ও মানসিক উভয় ধরনের হতে পারে। নিচে অতিরিক্ত গা ঘামার কিছু সাধারণ কারণ উল্লেখ করা হলো জেনে নিন?

  • হাইপারহিড্রোসিসঃ এটি একটি শারীরিক অবস্থা, যেখানে শরীরের ঘাম গ্রন্থি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি সক্রিয় থাকে, ফলে অতিরিক্ত ঘাম হয়।
  • মানসিক চাপ ও উদ্বেগঃ মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা আতঙ্কের কারণে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। এটি সাধারণত হাত, পা ও গায়ে বেশি দেখা যায়।
  • হরমোনাল পরিবর্তনঃ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, যেমনঃ মেনোপজ, থাইরয়েডের সমস্যা (হাইপারথাইরয়েডিজম), বা ডায়াবেটিসের কারণে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
  • জ্বর বা ইনফেকশনঃ শরীরে কোনো সংক্রমণ বা জ্বর থাকলে শরীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অতিরিক্ত ঘাম তৈরি করতে পারে।
  • উচ্চ রক্তচাপঃ রক্তচাপ বেড়ে গেলে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে, বিশেষ করে গরম আবহাওয়ায় বা শারীরিক পরিশ্রমের সময়।
  • মাদক বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ কিছু ওষুধ, যেমন ব্যথানাশক, এন্টিডিপ্রেসেন্ট বা স্টেরয়েডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
  • গরম ও আর্দ্র পরিবেশঃ গরম আবহাওয়া বা বেশি আর্দ্র পরিবেশে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে বেশি ঘাম হয়।
  • ভিটামিন ডি-এর অভাবঃ ভিটামিন ডি-এর অভাব থেকেও গায়ে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে, বিশেষত মাথা ও ঘাড়ে।

অতিরিক্ত গা ঘামা যদি দীর্ঘস্থায়ী বা অস্বাভাবিক হয়, তবে এটি কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে, তাই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অতিরিক্ত ঘাম কমানোর উপায়ঃ

অতিরিক্ত ঘাম কমানোর জন্য কিছু কার্যকরী উপায় আছে, যা ঘরোয়া এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে অনুসরণ করা যায়। তার জন্য আমাদেরকে প্রতিদিন নিয়মিত গোসল করলে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং ঘাম কম হয়। এতে ত্বকও পরিষ্কার থাকে এবং ব্যাকটেরিয়া জমতে পারে না। যা ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করে।

ঘাম প্রতিরোধের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এন্টিপারস্পিরেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। শরীর থেকে ঘাম কমানোর জন্য আপনি লেবুর রস খেতে পারেন যাতে আমাদের শরীর ঠান্ডা থাকে। তার সাথে সাথে নিয়মিত আমাদেরকে পানি পান করা উচিত। যাতে করে আমাদের শরীর কম ঘামে আর দেখেন

যদি অতিরিক্ত ঘাম স্বাভাবিক না হয় এবং কোনো ঘরোয়া উপায়ে নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এটি কোনো শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

অতিরিক্ত ঘাম কমানোর ঔষুধঃ

অতিরিক্ত ঘাম কমানোর জন্য কিছু ঔষধ এবং চিকিৎসা রয়েছে, যা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করা উচিত। নিচে অতিরিক্ত ঘাম কমানোর জন্য ব্যবহৃত কিছু সাধারণ ঔষধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো জেনে নিন? 

  • এন্টিপারস্পিরেন্ট (Antiperspirant)

এটি ঘাম কমানোর জন্য সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি। অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত শক্তিশালী এন্টিপারস্পিরেন্ট ব্যবহার করা হয়। যা ঘাম গ্রন্থিকে সংকুচিত করে ঘাম কমাতে সাহায্য করে।

  • এন্টি-কোলিনার্জিক ঔষধ (Anticholinergic Drugs)

এই ধরনের ঔষধ ঘাম গ্রন্থির কার্যকলাপ কমাতে সাহায্য করে। ডাক্তারের পরামর্শে গ্লাইকোপাইরোলেট বা অক্সিবুটিনিন এর মতো ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, এগুলোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে, যেমনঃ মুখের শুষ্কতা, মাথা ঘোরা, ইত্যাদি।

অতিরিক্ত-ঘাম-কমানোর-ঔষুধ
অতিরিক্ত-ঘাম-কমানোর-ঔষুধ

  • বোটক্স (Botox) ইনজেকশন

বোটক্স ইনজেকশন ঘাম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এটি ঘাম গ্রন্থিতে প্রবাহিত নার্ভ সিগন্যাল ব্লক করে দেয়, ফলে অতিরিক্ত ঘাম কমে যায়। এটি প্রায় ৬ মাসের জন্য কার্যকর থাকে।

  • আইঅনটোফোরেসিস (Iontophoresis)

এটি একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে সামান্য বৈদ্যুতিক শক ব্যবহার করে হাত, পা বা আন্ডারআর্মের ঘাম নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এটি ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে করা হয়।

  • বেটা ব্লকার বা বেনজোডায়াজেপিনস

এই ঔষধগুলো মানসিক চাপ বা উদ্বেগজনিত ঘাম কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে মানসিক চাপের কারণে অতিরিক্ত ঘাম হলে এগুলো কার্যকর হতে পারে।

  • মিরাড্রাই (MiraDry)

এটি একটি লেজার থেরাপি, যা আন্ডারআর্মের ঘাম গ্রন্থিগুলোকে স্থায়ীভাবে ধ্বংস করে দেয়। ফলে ঘাম কমে যায়।

যে কোনো ঔষধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ অতিরিক্ত ঘাম কোনো অন্তর্নিহিত শারীরিক সমস্যার কারণে হতে পারে, যা নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত মাথা ঘামার কারণ কি হয়ে থাকে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায় কি-কি হয়।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন............www.stylishsm.com



( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )













 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url