অতিরিক্ত মাথা ব্যাথার কারণ কি - অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা হলে কি করণীয়? বিস্তারিত জেনে নিন?
আজকে আমরা জানবো যে আমাদের এই অতিরিক্ত মাথা ব্যাথার কারণ কি এবং কেন হয় এই মাথা ব্যাথা। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা হলে কি করণীয় আমাদের। আসুন জানি?
ভূমিকাঃ
আমাদের অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে যখন আমরা কোনো ধরনের কাজের বেশি টেনশন করে থাকি। আমাদের মাথার মষ্কিত সারা দিনের সব সময় কাজ করতে থাকে।
![]() |
অতিরিক্ত-মাথা-ব্যাথার-কারণ-কি |
তাই বেশির ভাহ দেখা যায় যে আমাদের এই অতিরিক্ত মাথা ব্যাথার কারণ কোনো কাজের প্রতি টেনশন হয়ে থাকে। এই অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা হলে কি করণীয় আমাদের। নিম্নে পড়ে নিন সব কিছু বিস্তারিত...।
অতিরিক্ত মাথা ব্যাথার কারণ কিঃ
অতিরিক্ত মাথা ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- দীর্ঘ সময় ধরে স্ট্রেস বা মানসিক চাপঃ অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা উদ্বেগ মাথা ব্যথার প্রধান কারণ হতে পারে।
- ঘুমের অভাবঃ পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় না, যা মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে।
- ডিহাইড্রেশন (শরীরে পানির অভাব) শরীরে পর্যাপ্ত পানি না থাকলে ডিহাইড্রেশনের কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে।
- চোখের সমস্যার কারণেঃ দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা বা চোখের সমস্যা থেকেও মাথা ব্যথা হতে পারে।
- মাইগ্রেনঃ মাইগ্রেন একটি বিশেষ ধরনের মাথা ব্যথা, যা হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা আকারে দেখা দেয়।
- হরমোনাল পরিবর্তনঃ বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে হরমোনাল পরিবর্তন হয়। যেমনঃ মাসিক চক্রের সময়, মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে।
- ক্যাফেইন বা নিকোটিনের অতিরিক্ত ব্যবহারঃ অতিরিক্ত চা, কফি, বা ধূমপানও মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার কারণে মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে।
- রক্তচাপের সমস্যাঃ উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপের কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে।
- ধুলাবালি বা পরিবেশগত কারণঃ ধুলাবালি, দূষণ, বা তীব্র শব্দ থেকেও মাথা ব্যথা শুরু হতে পারে।
যদি মাথা ব্যথা নিয়মিত বা অতিরিক্ত হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা হলে কি করণীয়ঃ
কোনো কাজের প্রসার যখন আমাদে মাথা সহ্য করতে না পারে। তখন দেখা যায় যে আমাদের মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। এই অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা যেতে পারেঃ
- আরাম করুনঃ প্রথমেই শান্ত ও নিরিবিলি স্থানে বিশ্রাম নিন। আলো এবং শব্দ থেকে দূরে থাকুন, কারণ এটি মাথা ব্যথা বাড়াতে পারে।
- পানি পান করুনঃ ডিহাইড্রেশনের কারণে অনেক সময় মাথা ব্যথা হয়। পর্যাপ্ত পানি পান করুন, বিশেষ করে যদি শরীরে পানির অভাব থাকে।
- গরম বা ঠান্ডা সেঁক দিনঃ একটি গরম বা ঠান্ডা কাপড় মাথায় বা ঘাড়ে রেখে সেঁক দিলে ব্যথা কমতে পারে। মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে ঠান্ডা সেঁক এবং টেনশন হেডেকের ক্ষেত্রে গরম সেঁক সহায়ক হতে পারে।
- ঘুমানঃ পর্যাপ্ত ঘুম নিন। ঘুমের অভাব হলে মাথা ব্যথা হতে পারে, তাই বিশ্রাম নিয়ে পর্যাপ্ত ঘুমানো উচিত।
- স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুনঃ মানসিক চাপ মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে, তাই ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম করতে পারেন।
- চোখের বিশ্রামঃ দীর্ঘ সময় ধরে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে কিছু সময়ের জন্য চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন এবং চোখের বিশেষ ব্যায়াম করতে পারেন।
- প্যারাসিটামল বা ব্যথানাশক ওষুধঃ অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শে প্যারাসিটামল বা অন্য কোনো ব্যথানাশক ওষুধ নিতে পারেন।
- খাবার খানঃ অনেক সময় খালি পেটে থাকার কারণে মাথা ব্যথা হয়। পুষ্টিকর খাবার খান এবং ক্যাফেইন বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- ডাক্তারের পরামর্শ নিনঃ যদি ব্যথা নিয়মিত বা অত্যন্ত তীব্র হয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এটি কোনো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলে সাধারণত মাথা ব্যথা কমে আসে। তবে, সমস্যা অব্যাহত থাকলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
অতিরিক্ত মাথা ঘোরার কারণ কিঃ
অতিরিক্ত মাথা ঘোরার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শরীরে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন, রক্তচাপের সমস্যা, বা রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া। এছাড়াও, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ক্লান্তি, ঘুমের অভাব, এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল সেবনও মাথা ঘোরার কারণ হতে পারে। কখনও কখনও কান বা অন্তঃকর্ণের সমস্যাও ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে।
যা মাথা ঘোরার কারণ হতে পারে। মাথা ঘোরা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা যেমন বমি বমি ভাব বা দুর্বলতা দেখা দেয়/ তবে তা কোনো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে, যেমনঃ অ্যানিমিয়া, হৃদরোগ, বা মাইগ্রেন। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়ঃ
আমাদের যখন মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে তখন আমরা ঔষুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু এই মাথা যন্ত্রণা কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
- আদা চা পান করুনঃ আদা মাথার যন্ত্রণা কমাতে সহায়ক। আদার টুকরো গরম পানিতে ফুটিয়ে চা তৈরি করে পান করলে মাথা ব্যথা কমে।
- লেবুর রসঃ এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এটি মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিকের কারণে হওয়া মাথা ব্যথায়।
- ঠান্ডা সেঁক দিনঃ একটি কাপড়ে বরফ নিয়ে মাথার কপালে বা ঘাড়ে ঠান্ডা সেঁক দিন। এটি রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত করে এবং মাথা ব্যথা কমায়।
- পুদিনা পাতাঃ পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে চা তৈরি করে পান করতে পারেন অথবা পুদিনার তেল কপালে ম্যাসাজ করলে মাথা ব্যথা হ্রাস পায়।
- পানি পান করুনঃ ডিহাইড্রেশন মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ হতে পারে, তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন। দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করলে ডিহাইড্রেশনের কারণে মাথা ব্যথা কমবে।
- লবঙ্গের পেস্টঃ কিছু লবঙ্গ বেটে তার পেস্ট কপালে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। এটি মাথা ব্যথা কমাতে সহায়ক।
- তুলসী পাতার চাঃ তুলসী পাতা মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ২-৩টি তুলসী পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে চা তৈরি করে পান করুন।
- অতিরিক্ত আলো এবং শব্দ এড়িয়ে চলুনঃ মাথা ব্যথার সময় উজ্জ্বল আলো এবং তীব্র শব্দ থেকে দূরে থাকুন। একটি শান্ত ও অন্ধকার ঘরে বিশ্রাম নিন।
- শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামঃ গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা ধ্যান মাথার যন্ত্রণা কমাতে সহায়ক। এটি মানসিক চাপ হ্রাস করে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
- গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুনঃ একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তাতে পা ডুবিয়ে রাখুন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
এই ঘরোয়া উপায়গুলো মাথা ব্যথা কমাতে সহায়ক হতে পারে। তবে যদি মাথা ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অত্যন্ত তীব্র হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মাথার তালুতে ব্যাথার কারণঃ
মাথার তালুতে ব্যথা হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। এটি সাধারণত মানসিক চাপ বা টেনশন থেকে হতে পারে, যেখানে মাথার পেশিগুলো সংকুচিত হয় এবং ব্যথা সৃষ্টি করে। দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা মাথার তালুতে চাপ সৃষ্টি করে, যা ব্যথার কারণ হতে পারে। এছাড়াও, মাইগ্রেন বা ক্লাস্টার হেডেকের মতো সমস্যাগুলিও মাথার তালুতে ব্যথার কারণ হতে পারে।
কখনও কখনও চুলের গোড়ায় সংক্রমণ (স্কাল্প ইনফেকশন) বা আলোর চোখে পড়ার প্রতি সংবেদনশীলতা থেকেও মাথার তালুতে ব্যথা হতে পারে। যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র হয়, তবে এটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মাথার পিছনে ব্যাথার কারণঃ
মাথার পিছনে ব্যথার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো টেনশন হেডেক, যা সাধারণত মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা দীর্ঘ সময় ধরে একভাবে বসে কাজ করার কারণে ঘটে। এ ধরনের ব্যথা মাথার পেছনে ও ঘাড়ে অনুভূত হয়। এছাড়াও, সার্ভিকাল স্পন্ডিলোসিস বা ঘাড়ের মেরুদণ্ডের সমস্যা থেকেও মাথার পিছনে ব্যথা হতে পারে।
আরো পাড়ুনঃ আমাদের শরীরে কোন কারণে আমাদের চোখ অতিরিক্ত ব্যাথা করে জেনে নিন?
যা দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহারের ফলে দেখা দেয়। মাইগ্রেন এবং ক্লাস্টার হেডেকও মাথার পিছনে ব্যথার একটি কারণ হতে পারে। এছাড়াও, রক্তচাপ বৃদ্ধি, চোখের সমস্যা, বা অপর্যাপ্ত ঘুম থেকেও এই ধরনের ব্যথা হতে পারে। যদি মাথার পেছনের ব্যথা নিয়মিত বা তীব্র হয়, তাহলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণঃ
মাথা ব্যথা বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হতে পারে। সাধারণত মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বা দুশ্চিন্তার কারণে মাথা ব্যথা হয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যারও ইঙ্গিত হতে পারে। নিচে মাথা ব্যথার সম্ভাব্য কিছু রোগের লক্ষণ উল্লেখ করা হলোঃ
- মাইগ্রেনঃ তীব্র মাথা ব্যথা, যা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে এবং সঙ্গে বমি বমি ভাব ও আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা দেখা দেয়।
- উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) রক্তচাপ বেড়ে গেলে মাথায় চাপ বা যন্ত্রণা অনুভূত হতে পারে।
- সাইনাসের সংক্রমণ (সাইনুসাইটিস) সাইনাসে সংক্রমণ হলে কপাল, চোখ, এবং নাকের চারপাশে ব্যথা হতে পারে।
- ডিহাইড্রেশনঃ শরীরে পানি কমে গেলে মাথা ব্যথা হতে পারে, যা প্রায়ই দুর্বলতার সাথেও সম্পর্কিত।
- ক্লাস্টার হেডেকঃ এটি খুবই তীব্র মাথা ব্যথা, যা চোখের চারপাশে বা মাথার একপাশে অনুভূত হয়।
- দৃষ্টিজনিত সমস্যাঃ চোখের সমস্যা, যেমনঃ চোখের চাপে বৃদ্ধি বা চশমার প্রয়োজন হলে দীর্ঘ সময় ধরে মাথা ব্যথা হতে পারে।
- মস্তিষ্কের টিউমারঃ বিরল হলেও, মস্তিষ্কে টিউমার থাকলে নিয়মিত এবং তীব্র মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে।
- মেনিনজাইটিসঃ মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের আশেপাশের ঝিল্লিতে সংক্রমণ হলে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, জ্বর এবং ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
- রক্তশূন্যতা (অ্যানিমিয়া) রক্তশূন্যতার কারণে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে মাথা ব্যথা হতে পারে।
- কোমরের বা ঘাড়ের সমস্যা (সার্ভিকাল স্পন্ডিলাইটিস) ঘাড় বা মেরুদণ্ডের সমস্যার কারণে মাথায় ব্যথা হতে পারে।
মাথা ব্যথা যদি নিয়মিত বা তীব্র হয় এবং অন্যান্য উপসর্গের সাথে আসে, তাহলে এটি কোনো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। তাই, এ ধরনের সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আমাদের এই অতিরিক্ত মাথা ব্যাথার কারণ কি জন্য হয়ে থাকে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা হলে কি করণীয় আমাদের?
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন............www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url