ক্রিপ্টোকারেন্সি কি - ক্রিপ্টোকারেন্সি কীভাবে কাজ করে? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে এই অনলাইনের দুনিয়ায় টাকা ইনকাম করার ক্রিপ্টোকারেন্সি কি। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি কীভাবে কাজ করে অনলাইন প্লাটফর্মে। আসুন জানি? 

ভূমিকাঃ

আজকের এই দুনিয়ায় সব মানুষ অনলাইনে ব্যবহার করে লক্ষ্য-লক্ষ্য টাকা ইনকাম করছে। অনলাইন প্লাটফর্ম অনেক বড় একটা সেক্টর টাকা ইনকাম করার জন্য।

ক্রিপ্টোকারেন্সি-কীভাবে-কাজ-করে
ক্রিপ্টোকারেন্সি-কীভাবে-কাজ-করে        

তাই আপনিও যদি ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনিও পারবেন ব্যবসায় টাকা ইনভেস করে টাকা করতে। তাই জেনে নিন যে ক্রিপ্টোকারেন্সি কি ও এই ক্রিপ্টোকারেন্সি কীভাবে কাজ করে। নিম্নে সব কিছু বিস্তারিত......।

 ক্রিপ্টোকারেন্সি কিঃ

ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো একটি ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মুদ্রা, যা শক্তিশালী ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এটি কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারের নিয়ন্ত্রণে নয়, বরং ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে বিকেন্দ্রীকৃতভাবে পরিচালিত হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য ও সেবা কেনা-বেচা করা যায়। এর মধ্যে বিটকয়েন সবচেয়ে জনপ্রিয়।

আরো পড়ুনঃ অ্যাড ও বিজ্ঞাপন দেখে কীভাবে টাকা ইনকাম করবেন জেনে নিন?

তবে ইথেরিয়াম, রিপলসহ আরও অনেক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগের জন্য ব্যবহৃত হলেও, এর মূল্য ওঠানামা খুব বেশি হওয়ায় এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই সবাই বুঝে শুনে কাজ করবেন। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি কীভাবে কাজ করেঃ

ক্রিপ্টোকারেন্সি মূলত ব্লকচেইন প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে কাজ করে। ব্লকচেইন হলো একটি বিকেন্দ্রীকৃত ডিজিটাল লেজার, যেখানে প্রতিটি লেনদেন একটি "ব্লক" হিসেবে সংরক্ষিত হয় এবং এগুলো একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে, যা "চেইন" তৈরি করে। এটি অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং সহজেই পরিবর্তন বা জালিয়াতি করা সম্ভব নয়। ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন যেভাবে করবেন জেনে নিন?

  1. বিকেন্দ্রীকরণঃ ক্রিপ্টোকারেন্সি কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারের নিয়ন্ত্রণে নয়। বরং এটি বিশ্বব্যাপী অনেক কম্পিউটারের (নোড) মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যা একে বিকেন্দ্রীকৃত মুদ্রা করে তোলে।
  2. লেনদেন প্রক্রিয়াঃ যখন কেউ ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে লেনদেন করে, সেই লেনদেনটি নেটওয়ার্কে থাকা নোডগুলো দ্বারা যাচাই করা হয়। প্রতিটি লেনদেন ব্লকচেইনে একটি নতুন ব্লক হিসেবে যোগ হয়।
  3. মাইনিংঃ লেনদেন নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াকে মাইনিং বলা হয়। মাইনিং করার জন্য কম্পিউটারের মাধ্যমে জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে হয়। যারা এই সমস্যাগুলোর সমাধান করে, তারা পুরস্কার হিসেবে নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি পায়।
  4. ক্রিপ্টোগ্রাফিঃ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেনের নিরাপত্তা বজায় রাখতে শক্তিশালী ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়। এতে প্রতিটি লেনদেন এনক্রিপ্টেড হয়, যা শুধুমাত্র প্রেরক এবং প্রাপক জানতে পারে।
  5. ওয়ালেটঃ ক্রিপ্টোকারেন্সি সংরক্ষণ এবং ব্যবহারের জন্য ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার করতে হয়। এই ওয়ালেটে আপনার প্রাইভেট কী (Private Key) এবং পাবলিক কী (Public Key) থাকে, যা লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হয়।

এই প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি কাজ করে, যা দ্রুত এবং নিরাপদ লেনদেনের সুযোগ দেয়।

ক্রিপ্টোতে কীভাবে টাকা লাগাতে হয়ঃ

ক্রিপ্টোকারেন্সি কয়েন কিনে আপনিও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে টাকা লাগানোর জন্য কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়। নিচে সেই ধাপগুলো উল্লেখ করা হলোঃ

  •  বিশ্বস্ত ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ নির্বাচন করুনঃ

প্রথমে একটি নিরাপদ এবং বিশ্বস্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বেছে নিন, যেমন বাইনান্স (Binance), কয়েনবেস (Coinbase), ক্রাকেন (Kraken) ইত্যাদি। এই প্ল্যাটফর্মগুলো ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা-বেচার জন্য নিরাপদ এবং জনপ্রিয়।

  •  এক্সচেঞ্জে অ্যাকাউন্ট খুলুনঃ

বেছে নেওয়া এক্সচেঞ্জে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ইমেইল, এবং একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড প্রদান করতে হবে। সাধারণত, অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার পরিচয়পত্র জমা দিতে হয় (KYC প্রক্রিয়া)।

আরো পড়ুনঃ নিজের ফোন কাজে লাগিয়ে কীভাবে সহজে টাকা ইনকাম করবেন জেনে নিন?

  •  অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিনঃ

আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা অন্য কোনো পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করে এক্সচেঞ্জ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিন। অনেক এক্সচেঞ্জ ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, এবং ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা জমা করার সুযোগ দেয়।

  •  ক্রিপ্টোকারেন্সি নির্বাচন করুনঃ

টাকা জমা দেওয়ার পর, আপনি কোন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে চান তা বেছে নিন। বিটকয়েন (Bitcoin), ইথেরিয়াম (Ethereum), লাইটকয়েন (Litecoin) সহ অনেক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি আছে।

  •  ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনুনঃ

নির্বাচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে আপনার জমা দেওয়া টাকা ব্যবহার করুন। এক্সচেঞ্জে অর্ডার দেওয়ার মাধ্যমে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে পারবেন। ক্রিপ্টো কেনার পর তা আপনার এক্সচেঞ্জ ওয়ালেটে জমা হবে।

 ডিজিটাল ওয়ালেটে স্থানান্তর করুনঃ

অধিক সুরক্ষার জন্য আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ থেকে ব্যক্তিগত ডিজিটাল ওয়ালেটে স্থানান্তর করুন। এটি আপনাকে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে সহায়ক হবে।

  •  বাজার পর্যবেক্ষণ করুনঃ

ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে মূল্য ওঠানামা হয়, তাই নিয়মিত বাজারের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করুন। যখন মূল্য বাড়ে, আপনি তা বিক্রি করে লাভ করতে পারেন।

এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে টাকা লগ্নি করতে পারেন। তবে, ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ মাধ্যম, তাই বিনিয়োগের আগে ভালোভাবে গবেষণা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়ঃ

ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। তবে, এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ মাধ্যম হওয়ায় ভালোভাবে বুঝে এবং সঠিক কৌশল প্রয়োগ করে আয় করতে হবে। নিচে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার কিছু জনপ্রিয় উপায় উল্লেখ করা হলো পড়ে নিন?

  •  বাই এন্ড হোল্ড (Buy and Hold)

ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার পর দীর্ঘ সময় ধরে ধরে রাখা এবং মূল্য বাড়লে তা বিক্রি করা একটি সাধারণ উপায়। উদাহরণস্বরূপ, বিটকয়েন বা ইথেরিয়ামের মতো বড় মুদ্রা কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করে লাভ করা যেতে পারে।

আরো পড়ুনঃ ইউটিউব চ্যানেল খুলে কীভাবে লক্ষ্য-লক্ষ্য টাকা আয় করবেন জেনে নিন?

  •  ট্রেডিং

ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে মূল্য ওঠানামার সুযোগ নিয়ে লাভ করা সম্ভব। দিনে দিনে (Day Trading) বা সপ্তাহব্যাপী (Swing Trading) লেনদেন করে মুনাফা অর্জন করা যেতে পারে। তবে ট্রেডিংয়ের জন্য ভালো বাজার বিশ্লেষণ ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি-থেকে-আয়
ক্রিপ্টোকারেন্সি-থেকে-আয়        

  •  স্টেকিং (Staking)

কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রমাণিত শেয়ারের মাধ্যমে আয় করার সুযোগ দেয়। এই প্রক্রিয়ায় আপনি আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লক করে রাখেন এবং এর বিনিময়ে আপনি পুরস্কার পান। এটি ব্যাংকে টাকা জমা রাখার মতো একটি প্যাসিভ আয়ের উপায়।

  •  মাইনিং (Mining)

মাইনিং হলো ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন যাচাই করার প্রক্রিয়া। আপনি যদি শক্তিশালী কম্পিউটার ও বিদ্যুতের খরচ বহন করতে পারে। তাহলে মাইনিং করে ক্রিপ্টোকারেন্সি উপার্জন করতে পারেন। এটি মূলত বিটকয়েন বা ইথেরিয়ামের মতো মুদ্রায় ব্যবহৃত হয়।

  •  এয়ারড্রপ (Airdrop)

অনেক নতুন ক্রিপ্টো প্রজেক্ট বিনামূল্যে তাদের মুদ্রা বিতরণ করে, যাকে এয়ারড্রপ বলে। এটি করার জন্য সাধারণত কিছু সহজ কাজ থাকে। যেমনঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা বা অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য মুদ্রা প্রদান করা হয়।

  •  ডিসেন্ট্রালাইজড ফাইন্যান্স (DeFi)

DeFi প্ল্যাটফর্মগুলোতে ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা রেখে সুদ আয় করা যায়। এর মাধ্যমে আপনি ব্যাংকের মতো সুদের হার পেতে পারেন। এটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ধার দেওয়ার মাধ্যমে আয় করার একটি উপায়।

  •  এনএফটি (NFT) তৈরি ও বিক্রয়

আপনি যদি ডিজিটাল আর্ট, মিউজিক বা অন্য কোনো ক্রিয়েটিভ কাজ করেন, তাহলে NFT (Non-Fungible Token) তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন। এনএফটি বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সির একটি জনপ্রিয় অংশ।

  •  রেফারেল প্রোগ্রাম

অনেক ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এবং প্ল্যাটফর্ম রেফারেল প্রোগ্রামের মাধ্যমে আয় করার সুযোগ দেয়। অন্যদের প্ল্যাটফর্মে যোগদান করিয়ে বা ক্রিপ্টো কিনতে সহায়তা করালে আপনি কমিশন বা পুরস্কার পেতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ বাংলা ব্লগিং করে কীভাবে লক্ষ্য- লক্ষ্য টাকা ইনকাম করবেন বিস্তারিত জানুন?

  •  ফিয়াট লেনদেনের পার্থক্য

আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি কম দামে কিনে ফিয়াট মুদ্রায় (যেমনঃ ডলার, টাকা) বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। এটি ফরেক্স ট্রেডিংয়ের মতো কাজ করে। তবে এখানে যদি আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করা সম্ভব, তবে এটি একটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ মাধ্যম। বাজার সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে এবং সুপরিকল্পিত কৌশল প্রয়োগ করে বিনিয়োগ করলে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে ভালো আয় করতে পারেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকারঃ

ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রধানত তিন প্রকারের হতে পারে। যেমনঃ বিটকয়েন (Bitcoin), আল্টকয়েন (Altcoins), এবং স্টেবলকয়েন (Stablecoins)। বিটকয়েন হলো প্রথম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি। আল্টকয়েন বিটকয়েনের বিকল্প মুদ্রা, যেমন ইথেরিয়াম, লাইটকয়েন, এবং রিপল। স্টেবলকয়েন হলো এমন ক্রিপ্টোকারেন্সি, যা ডলারের মতো স্থিতিশীল মুদ্রার সাথে সংযুক্ত থাকে। যেমনঃ ইউএসডি কয়েন (USDC)। প্রতিটি প্রকারের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার রয়েছে।

ক্রিপ্টোকারেন্সির তালিকাঃ

ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। শুধু একটু নিজের মাথা খাঠাতে হবে আর অনলাইন বাজার কেমন চলছে তার উপরে পরিক্ষা করতে হবে। এই ক্রিপ্টোকারেন্সির কিছু তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো যেটি দ্বারা আপনি কিছু জ্ঞান নিতে পারবেন।

  1. বিটকয়েন (Bitcoin - BTC)
  2. ইথেরিয়াম (Ethereum - ETH)
  3. বিনান্স কয়েন (Binance Coin - BNB)
  4. রিপল (Ripple - XRP)
  5. কার্ডানো (Cardano - ADA)
  6. সলানা (Solana - SOL)
  7. ডজকয়েন (Dogecoin - DOGE)
  8. পলকাডট (Polkadot - DOT)
  9. লাইটকয়েন (Litecoin - LTC)
  10. চেইনলিংক (Chainlink - LINK)
  11. ইউএসডি কয়েন (USD Coin - USDC)
  12. টিথার (Tether - USDT)
  13. আভালাঞ্চ (Avalanche - AVAX)
  14. ট্রন (TRON - TRX)
  15. শ্যিবা ইনু (Shiba Inu - SHIB)

এই তালিকায় উল্লেখিত কয়েনগুলো ছাড়াও আরও হাজার হাজার ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে, তবে এগুলো হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বাজারে প্রচলিত কয়েন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালালঃ

ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা হালাল না"কি হারাম, তা নিয়ে ইসলামী স্কলারদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। কিছু স্কলার মনে করেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি হালাল হতে পারে যদি এটি একটি স্বচ্ছ, ন্যায্য এবং বৈধ উপায়ে ব্যবহৃত হয়, যেখানে সুদ বা জুয়ার মতো কোনো হারাম কার্যকলাপ না থাকে। তবে, অন্য স্কলাররা মনে করেন যে ক্রিপ্টোকারেন্সির উচ্চ ঝুঁকি, অস্থিরতা, এবং এর মাধ্যমে জুয়া বা প্রতারণা করার সম্ভাবনা থাকায় এটি হারাম হতে পারে।

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবসার মূল বিবেচনাগুলো জানুন?
  1. সুদের সংশ্লিষ্টতাঃ যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনে সুদের সংশ্লিষ্টতা থাকে, তবে এটি হারাম হতে পারে।
  2. জুয়া বা মেসির (Maisir) ক্রিপ্টোকারেন্সির উচ্চ ঝুঁকির জন্য যদি এটি জুয়ার মতো মনে হয়, তবে এটি হারাম বলে বিবেচিত হতে পারে।
  3. আনিশ্চয়তা (Gharar) ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য উঠা-নামা এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার কারণে অনেক স্কলার এটিকে হারাম মনে করেন।

যারা এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে চান, তাদের জন্য উত্তম হবে ইসলামী স্কলার বা মুফতির পরামর্শ নেওয়া, যারা শারীয়াহ আইন সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে অনলাইনের দুনিয়ায় এই ক্রিপ্টোকারেন্সি কি আমাদের জীবনে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি কীভাবে কাজ করে অনলাইনে।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.........www.stylishsm.com



( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )































এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url