১০ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় - চাকরির পাশাপাশি কি ধরনের ব্যবসা করা যায়? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে কীভাবে খুব সহজে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে চাকরির পাশাপাশি কি ধরনের ব্যবসা করা যায় সহজ নিয়মে? আসুন জানি?

ভূমিকাঃ

আজকের দিনে সব মানুষ প্রায় সরকারি চাকরি করতে পছন্দ করে। কিন্তু জীবন চালাতে ও নিজের স্বপ্ন পূরণ হলে শুধু সরকারি চাকরি দিয়ে কখনো পূরণ হবে না।

১০-হাজার-টাকা-দিয়ে-কি-ব্যবসা-করা
১০-হাজার-টাকা-দিয়ে-কি-ব্যবসা-করা            

তাই আসুন জানি যে চাকরির পাশাপাশি আপনি কীভাবে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে নিজের ব্যবসা করবেন। ও তার সাথে এটাও জানবো যে চাকরির পাশাপাশি কি ধরনের ব্যবসা করা যায় বিস্তারিত নিম্নে জেনে নিন? 

১০ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করাঃ

১০ হাজার টাকা দিয়ে ছোট পরিসরে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। প্রথমত, আপনি অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যেমনঃ জামা-কাপড়, কসমেটিকস বা গৃহসজ্জার সামগ্রী বিক্রি। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা অন্যান্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে কম মূলধন দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করা যায়।

আরো পড়ুনঃ কীভাবে আপনি মুরগী পালন করবেন ও ব্যবসা করবেন জেনে নিন?

দ্বিতীয়ত, হস্তশিল্প বা হোমমেড প্রোডাক্টস তৈরি এবং বিক্রি করা একটি ভালো উদ্যোগ হতে পারে। আপনি যদি সৃজনশীল কাজে পারদর্শী হন। তাহলে গয়না, ব্যাগ, বা ডেকোরেশন আইটেম তৈরি করে স্থানীয় মার্কেট বা অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও, ফুড ডেলিভারি বা হোম কুকিং ব্যবসাও শুরু করা যায়। 

যেখানে আপনি ঘরে বসে খাবার তৈরি করে সরাসরি বিক্রি করতে পারেন। মোবাইল রিচার্জ, মোবাইল এক্সেসরিজ বিক্রি কিংবা ছোটখাটো গ্রোসারি ব্যবসাও ১০ হাজার টাকায় শুরু করা সম্ভব। মূলধন কম হলেও সঠিক পরিকল্পনা এবং ধৈর্যের মাধ্যমে এই ধরনের ব্যবসাগুলোতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

চাকরির পাশাপাশি কি ধরনের ব্যবসা করা যায়ঃ

চাকরির পাশাপাশি ছোট পরিসরে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন। যা সময় এবং বিনিয়োগের দিক থেকে নমনীয়। নিচে কিছু ব্যবসার ধরন উল্লেখ করা হলো যা আপনি চাকরির পাশাপাশি করতে পারেন তাহলোঃ

  1. অনলাইন ব্যবসাঃ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা ই-কমার্স সাইটে জামা-কাপড়, কসমেটিকস, বা হস্তশিল্পের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এটি ঘরে বসে সহজেই পরিচালনা করা যায়।
  2. ফ্রিল্যান্সিংঃ কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মতো ফ্রিল্যান্স কাজ করতে পারেবেন। এটি আপনার নিজের সময় অনুযায়ী পরিচালনা করা সম্ভব।
  3. ফুড ডেলিভারি বা হোম কুকিংঃ যদি রান্না করতে ভালো লাগে, তবে বাড়িতে খাবার তৈরি করে ফুড ডেলিভারি বা ক্যান্টিন এর ব্যবসা করতে পারেন। চাকরির পাশাপাশি এটি সহজে চালানো যায়।
  4. হস্তশিল্প বা হোমমেড পণ্যঃ গয়না, মোমবাতি, সোপ বা অন্যান্য হোমমেড পণ্য তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। এগুলো অনলাইনে বা লোকাল মার্কেটে বিক্রি করা যায়।
  5. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ আপনি বিভিন্ন পণ্যের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। যেখানে পণ্য বিক্রির মাধ্যমে কমিশন আয় করা যায়। এটি খুব সহজ এবং কম সময়সাপেক্ষ।
  6. ড্রপশিপিং ব্যবসাঃ এটি একটি ই-কমার্স ব্যবসা মডেল, যেখানে আপনাকে নিজে থেকে পণ্য মজুত করতে হয় না। পণ্য সরাসরি সরবরাহকারীর কাছ থেকে ক্রেতার কাছে পাঠানো হয়।
  7. ইউটিউবিং বা ব্লগিংঃ যদি আপনার কোনো বিশেষ দক্ষতা বা আগ্রহ থাকে। তাহলে ইউটিউব চ্যানেল বা ব্লগিং শুরু করতে পারেন। এটি আপনাকে চাকরির পাশাপাশি আয়ের আরেকটি উৎস তৈরি করতে সাহায্য করবে।ন
  8. টিউশন বা কোচিংঃ চাকরির পাশাপাশি বাড়িতে বা অনলাইনে টিউশন বা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতে পারেন। এটি একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে।

এই ব্যবসাগুলো সহজে এবং কম সময়ে চালানো যায়, যা চাকরির পাশাপাশি আয়ের উৎস হিসেবে কার্যকরী হতে পারে। সঠিক পরিকল্পনা ও ধৈর্যের মাধ্যমে এসব ব্যবসায় সফলতা অর্জন সম্ভব।

পড়াশুনার পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায়ঃ

পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট ছোট পরিসরে কিছু ব্যবসা করা যায়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য সময়সাপেক্ষ এবং আয় সক্ষম হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অনলাইন ব্যবসা একটি চমৎকার সুযোগ। আপনি ফেসবুক বা ই-কমার্স সাইটে জামা-কাপড়, কসমেটিকস বা গৃহসজ্জার সামগ্রী বিক্রি করতে পারেন, যা ঘরে বসেই সহজে করা সম্ভব।

আরো পড়ুনঃ কীভাবে মাছের চাষ করবেন ও মাছের ব্যবসা করে টাকা আয় করবেন জেনে নিন?

এছাড়া, ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশা, যেখানে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে পারেন। হোমমেড পণ্য তৈরি ও বিক্রয়, যেমনঃ হস্তশিল্প, গয়না বা মোমবাতি তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করাও একটি ভালো ব্যবসা হতে পারে। টিউশনও শিক্ষার্থীদের জন্য লাভজনক একটি ব্যবসা।

যা পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের সুযোগ করে দেয়। এসব ব্যবসা শিক্ষার্থীদের সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চালানো সম্ভব এবং আর্থিক স্বনির্ভরতা অর্জনে সহায়ক। তাই এটি সবাইকে করা উচিত।

স্টুডেন্টদের জন্য বিজনেস আইডিয়াঃ

শিক্ষার্থীদের জন্য ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করা একটি ভালো উপায় হতে পারে, যা পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের সুযোগ করে দেয়। নিচে শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু উপযোগী ব্যবসার আইডিয়া উল্লেখ করা হলোঃ

  1. অনলাইন ব্যবসাঃ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা অন্যান্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে জামা-কাপড়, কসমেটিকস বা গৃহসজ্জার পণ্য বিক্রি করা যায়। অনলাইনে ব্যবসা চালাতে বেশি সময় বা জায়গার প্রয়োজন নেই।
  2. ফ্রিল্যান্সিংঃ কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, বা ভিডিও এডিটিংয়ের মতো কাজগুলো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে করে আয় করা যায়। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য জনপ্রিয় এবং নমনীয় কাজের সুযোগ।
  3. টিউশনঃ ছোট বাচ্চাদের টিউশন দিয়ে সহজেই আয় করা সম্ভব। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে সাধারণ এবং লাভজনক উপায় ঘরে বসে।
  4. হস্তশিল্প ব্যবসাঃ নিজ হাতে তৈরি করা গয়না, ব্যাগ, বা অন্যান্য হস্তশিল্প পণ্য বিক্রি করে ব্যবসা শুরু করা যায়। অনলাইনে বা স্থানীয় মার্কেটে বিক্রি করা যেতে পারে।
  5. ব্লগিং বা ইউটিউব চ্যানেলঃ যাদের লেখালেখির বা ভিডিও বানানোর দক্ষতা আছে, তারা ব্লগিং বা ইউটিউব চ্যানেল শুরু করতে পারেন। এটি ধীরে ধীরে আয়ের উৎস হয়ে উঠতে পারে।
  6. ফুড ডেলিভারি বা হোমমেড ফুড ব্যবসাঃ ঘরে বসে খাবার তৈরি করে ফুড ডেলিভারি সার্ভিস চালানো সম্ভব। এ ধরনের ব্যবসা খুবই জনপ্রিয় এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সহজে পরিচালনা করা যায়।
  7. অনলাইন কোর্স বা স্কিল শেখানোঃ যাদের কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা আছে, তারা অনলাইনে কোর্স তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন। যেমনঃ ভাষা শিক্ষা, প্রোগ্রামিং বা ফটোগ্রাফি শেখানো।
  8. ড্রপশিপিং ব্যবসাঃ ড্রপশিপিংয়ে আপনাকে পণ্য মজুদ করতে হয় না। সরাসরি সরবরাহকারীর কাছ থেকে পণ্য ক্রেতার কাছে পাঠানো হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সময়সাশ্রয়ী ব্যবসা মডেল। এটি আপনি ঘরে বসে করতে পারবেন।
  9. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টঃ বিভিন্ন কোম্পানির জন্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজ পরিচালনা করা, পোস্ট তৈরি করা এবং তাদের অনলাইন উপস্থিতি বাড়ানোর কাজ করা যায়।
  10. ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফিঃ যারা ফটোগ্রাফিতে আগ্রহী, তারা পার্ট-টাইম ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফির কাজ করতে পারেন। যেমনঃ ইভেন্ট কভার করা বা ফটোশুট করা। এই গুলো কাজে খুব সহজে টাকা আয় করা যায়।

এই ব্যবসাগুলো কম মূলধনে শুরু করা যায় এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দেয়।

মার্কেটিং ব্যবসার আইডিয়াঃ

মার্কেটিং ব্যবসায় বিভিন্ন সৃজনশীল ধারণা রয়েছে, যা বর্তমান বাজারের চাহিদা অনুযায়ী উপযোগী। নিচে কিছু জনপ্রিয় মার্কেটিং ব্যবসার আইডিয়া উল্লেখ করা হলো পড়ে নিন কাজে দেবে?

  • ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিঃ

বর্তমানে অনেক ব্যবসা অনলাইনে তাদের উপস্থিতি বাড়াতে চায়। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি শুরু করে ব্যবসাগুলোর জন্য SEO, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এবং ইমেইল মার্কেটিংয়ের সেবা দিতে পারেন।

  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টঃ

বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনা এবং কনটেন্ট ক্রিয়েট করে আয় করতে পারেন। এতে পোস্ট পরিকল্পনা, বিজ্ঞাপন প্রচার, এবং অডিয়েন্স এনগেজমেন্ট করা হয়।

  • এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ

বিভিন্ন পণ্য বা সেবার জন্য এফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবহার করে বিক্রির মাধ্যমে কমিশন আয় করা যায়। ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় উপায়।

  • ইভেন্ট মার্কেটিংঃ 

বিভিন্ন ইভেন্ট যেমনঃ বিয়ে, কর্পোরেট মিটিং বা অন্যান্য বড় অনুষ্ঠান আয়োজন এবং সেগুলোর জন্য মার্কেটিং পরিকল্পনা করা একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে।

  • ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংঃ

ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা পণ্যের প্রচার করা যেতে পারে। যদি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালো ফলোয়ার বেস থাকে। তাহলে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংয়ে কাজ করা সম্ভব।

  • কন্টেন্ট মার্কেটিংঃ

ব্লগ, ভিডিও, বা ইনফোগ্রাফিকের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসার জন্য কন্টেন্ট তৈরি করে তাদের ব্র্যান্ড প্রচার করা যায়। কন্টেন্ট মার্কেটিং বর্তমান বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক টাকা আয় করার জন্য।

  • (SMS) ইমেইল মার্কেটিং সেবাঃ

বিভিন্ন ব্যবসার জন্য SMS বা ইমেইল মার্কেটিং পরিচালনা করে পণ্য বা সেবার প্রচার করা যায়। এটি কম খরচে কার্যকর একটি মার্কেটিং পদ্ধতি।

  • ব্র্যান্ড কনসালটিংঃ

ব্র্যান্ড তৈরির কৌশল, লোগো ডিজাইন এবং ব্র্যান্ডিং পরিকল্পনার মাধ্যমে নতুন বা বিদ্যমান ব্যবসাকে সাহায্য করা যায়। এটি বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের একটি সেবা।

  • ভিডিও মার্কেটিংঃ 

ভিডিও কন্টেন্ট বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি দিক। বিভিন্ন কোম্পানির জন্য প্রমোশনাল ভিডিও, অ্যাডভার্টিজমেন্ট ভিডিও তৈরি করে আয় করা সম্ভব।

  • লোকাল SEO সার্ভিসঃ

ছোট ব্যবসাগুলোর জন্য লোকাল SEO সেবা দিতে পারেন। যা তাদের স্থানীয়ভাবে পরিচিত হতে সাহায্য করবে। এটি বর্তমান বাজারে একটি জনপ্রিয় মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি।

এই ব্যবসাগুলো কম বিনিয়োগে শুরু করা যায় এবং বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনেক চাহিদাপূর্ণ। সঠিক পরিকল্পনা এবং দক্ষতার মাধ্যমে এগুলো থেকে ভালো আয় করা সম্ভব।

অল্প টাকা দিয়ে কি ব্যবসা শুরু করা যায়ঃ

অল্প টাকা দিয়ে ছোট পরিসরে দিক ভেবে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা শুরু করা সম্ভব যদি ইচ্ছা থাকে। যা সময়ের সাথে বাড়ানো যায়। ধরে নিন যে আপনার অনলাইন ব্যবসা একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। যেখানে আপনি জামা-কাপড়, কসমেটিকস বা গৃহসজ্জার সামগ্রী বিক্রি করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বা ই-কমার্স সাইট ব্যবহার করে কম বিনিয়োগে ব্যবসা শুরু করা যায়।

অল্প-টাকা-দিয়ে-কি-ব্যবসা-শুরু-করা-যায়
অল্প-টাকা-দিয়ে-কি-ব্যবসা-শুরু-করা-যায়        

এছাড়া নিজের বাড়িতে রান্না করে আপনি ফুড ডেলিভারি বা হোমমেড ফুড ব্যবসা, যেখানে ঘরে বসে খাবার তৈরি করে বিক্রি করা যায়। তা অল্প পুঁজিতে শুরু করা সম্ভব। ড্রপশিপিং ব্যবসাও একটি জনপ্রিয় মডেল, যেখানে পণ্য মজুদ না করে সরাসরি সরবরাহকারীর কাছ থেকে ক্রেতার কাছে পণ্য পাঠানো হয়।

আরো পড়ুনঃ কীভাবে আপনি ঘরে বসে অনলাইন শপিং করবেন তার কিছু টিপস জেনে নিন?

ফ্রিল্যান্সিং বা কনটেন্ট ক্রিয়েশনও কম বিনিয়োগে শুরু করা যায়, যা থেকে ভালো আয় করা সম্ভব। সঠিক পরিকল্পনা ও ধৈর্যের মাধ্যমে অল্প টাকা দিয়েও একটি সফল ব্যবসা গড়ে তোলা যায়।

ব্যবসা শুরু করার ২০টি টিপসঃ

ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা এবং কৌশল জানা দরকার, যা ব্যবসার সফলতা বাড়াতে সাহায্য করবে। নিচে ব্যবসা শুরু করার ২০টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস উল্লেখ করা হলো জেনে নিন?

  1. ব্যবসার ধারণা নির্বাচন করুনঃ এমন একটি ব্যবসার ধারণা বেছে নিন যা আপনার দক্ষতার সাথে মানানসই এবং বাজারে চাহিদা আছে।
  2. বাজার গবেষণা করুনঃ লক্ষ্যবস্তু গ্রাহকদের চাহিদা এবং প্রতিযোগীদের কার্যক্রম সম্পর্কে ভালোভাবে গবেষণা করুন।
  3. ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করুনঃ একটি সঠিক ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করুন, যেখানে পণ্য, লক্ষ্য, মার্কেটিং এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব থাকবে।
  4. কম খরচে শুরু করুনঃ অল্প মূলধন দিয়ে ছোট পরিসরে ভেবে ব্যবসা শুরু করে ধীরে ধীরে প্রসার করুন। ও সেটি কীভাবে আরো ডেভ্লোপ করা যায় সেটি নিয়ে ভাবুন।
  5. মূলধন সংগ্রহ করুনঃ নিজস্ব সঞ্চয়, বন্ধু-বান্ধব বা ব্যাংকের ঋণ থেকে মূলধন সংগ্রহ করুন।
  6. লক্ষ্য ঠিক করুনঃ স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সেগুলো পূরণের পরিকল্পনা তৈরি করুন।
  7. প্রযুক্তির ব্যবহার করুনঃ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কম খরচে ব্যবসার প্রচার এবং বিক্রয় বাড়ান।
  8. ফ্রিল্যান্সার বা আউটসোর্স করুনঃ কাজের চাপ কমাতে বিশেষজ্ঞদের আউটসোর্সিং করুন। যেমনঃ ডিজাইন, মার্কেটিং বা আইটি সেবা।
  9. ব্র্যান্ড তৈরি করুনঃ ব্যবসার জন্য একটি আকর্ষণীয় নাম, লোগো এবং ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি তৈরি করুন যা সহজে পরিচিত হয়।
  10. মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং, এবং বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে ব্যবসার প্রচার করুন।
  11. প্রথমে গ্রাহক সন্তুষ্টিঃ গ্রাহকদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ মানের পণ্য বা সেবা প্রদান করুন।
  12. পণ্য বা সেবার মান বজায় রাখুনঃ পণ্যের গুণগত মান সবসময় ভালো রাখুন, যাতে গ্রাহক সন্তুষ্টি বাড়ে।
  13. নিয়মিত ফিডব্যাক নিনঃ গ্রাহকদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিন এবং ব্যবসার উন্নতিতে তা প্রয়োগ করুন। যাতে করে ক্রেতারা আপনার সেবা পেয়ে খুশি হয়।
  14. প্রতিযোগিতা বিশ্লেষণ করুনঃ প্রতিযোগীদের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন এবং তাদের থেকে শেখার চেষ্টা করুন। কেননা সিক্ষার কোনো শেষ নেই পৃথীবিতে।
  15. আর্থিক ব্যবস্থাপনাঃ আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখুন এবং খরচ কমানোর উপায় বের করুন।
  16. শৃঙ্খলা ও ধৈর্য বজায় রাখুনঃ ব্যবসা সফল হতে সময় লাগে, তাই ধৈর্য ধরে শৃঙ্খলার সাথে কাজ করে যান।
  17. সঠিক কর্মী নিয়োগ করুনঃ দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী নিয়োগ করুন যারা ব্যবসার সফলতায় বয়ে আনবে ও আপনার কাজের অবদান রাখবে।
  18. আইনগত দিক সুরক্ষিত রাখুনঃ ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ও আইনগত কাগজপত্র ঠিকভাবে প্রস্তুত রাখুন।
  19. ঝুঁকি গ্রহণ করুনঃ নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করুন এবং ঝুঁকি নিতে সাহসী হোন। জীবনে যদি রিক্স না নেন। তাহলে আপনি জীবনে বড় কিছু করতে পারবেন না।
  20. শিখতে থাকুনঃ নতুন নতুন প্রযুক্তি, মার্কেট ট্রেন্ড এবং কৌশল সম্পর্কে শিখতে থাকুন এবং তা ব্যবসায় প্রয়োগ করুন।

এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে ব্যবসা শুরু করা সহজ হবে এবং সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কীভাবে আপনি ১০ হাজার টাকা দিয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করবেন। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে চাকরির পাশাপাশি কি ধরনের ব্যবসা করা যায় খুব সহজে।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন...............www.stylishsm.com



( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )






































এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url