স্টফিন হকিং এর জন্ম কত সালে - স্টফিন হকিং কত সালে মৃত্যবরণ করেন? জেনে নিন বিস্তারিত?

আজকে আমরা জানবো যে স্টফিন হকিং এর জন্ম কত সালে হয়েছিল। এবং তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে স্টফিন হকিং কত সালে মৃত্যবরণ করেছিলেন। আসুন জেনে নি বিস্তারিত?

ভূমিকাঃ

সাইন্সের দুনিয়াতে রাজ করেছেন এই স্টফিন হকিং, তিনি বিভিন্ন ধরনের টেকনোলজি আবিষ্কার করেছেন। দুনিয়াকে অনেক কিছু শিখেছেন। 

স্টফিন-হকিং-কত-সালে-মৃত্যবরণ-করেন
স্টফিন-হকিং-কত-সালে-মৃত্যবরণ-করেন        

তাই আজকে আমরা তার সমন্ধে কিছু বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। তার জীবন কাহিনী কি ধরনের ছিল আজকে সেটি আমরা মূল্ভাব আকারে জানার চেষ্টা করবো। আসুন জানি?

স্টফিন হকিং এর জন্ম কত সালেঃ

সাইন্সের দুনিয়াতে রাজ করা একটি মানুষ যার নাম স্টফিন হকিং। তিনি বিশ্বকে অনেক কিছু শিখেছেন। স্টফিন হকিং ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড শহরে চিকিৎসকের বাসায় জন্ম গ্রহণ করেন।

আরো পড়ুনঃ আল্বার্ট অইনস্টাইন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম সাইন্সটিস কেন বিস্তারিত জানুন?

স্টফিন হকিং কত সালে মৃত্যবরণ করেনঃ

স্টফিন হকিং একজন নামকরা সাইন্সটিস ছিলেন পুরো পৃথিবীর কাছে। তিনি তার মেধা দিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন বিশ্বকে। স্টফিন হকিং ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ কেমব্রিজে তিনি মৃত্যবরণ করে।

স্টফিন হকিং কোন দেশের নাগরিকঃ

স্টফিন হকিং একজন জানামানা সাইন্সটিস ছিলেন। তিনি একজন স্বাভাবিক মানুষের মত ছিলেন না। কিন্তু সে ব্যাক্তি তার মেধা দিয়ে পুরো বিশ্বকে কাপিয়ে দিয়েছে। এই স্টিফেন হকিং যুক্তরাজ্যের একজন নাগরিক ছিলেন।

স্টফিন হকিং কিসের জন্য বিখ্যাতঃ

স্টফিন হকিং এর জন্ম পর থেকে কোনো একটা স্বাভাবিক মানুষের মত তিনি ছিলেন না। কিন্তু সে তার মেধা দিয়ে পুরো বিশ্বকে কাপানোর শক্তি রাখতেন। স্টিফেন হকিং বিখ্যাত ছিলেন তার ব্ল্যাক হোল এবং কোয়ান্টাম থিওরি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য। তিনি "আ ব্রিফ হিস্টোরি অফ টাইম" বইয়ের লেখক এবং থিওরেটিক্যাল ফিজিক্সে তাঁর গবেষণার জন্য সুপরিচিত।

আরো পড়ুনঃ মুকেশ আম্বানি কিভাবে এতো ধনি ব্যাক্তি হলো আপনিও হতে চাইলে জেনে রাখুন

হকিং মাধ্যাকর্ষণ, ব্ল্যাক হোল, এবং মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে তার কাজের জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।

স্টফিন হকিং এর উক্তিঃ

স্টফিন হকিং একজন ব্লাক হোলের খোঁজ করা সাইন্সটিস ছিলেন। তিনি এই পৃথিবীকে অনেক দামি দামি ইনফরমেশোন দিয়েছেন। যেটি দ্বারা এই দুনিয়া অনেক উন্নতি করতে সাধন লাভ করেছেন। আসুন এই স্টফিন হকিং এর কিছু উক্তি জেনে রাখি।

  • আমরা যদি মানুষের জাতি হিসাবে বেঁচে থাকতে চাই। তবে আমাদের অবশ্যই একটি নতুন বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধান করতে হবে।
  • জীবন যতই কঠিন মনে হোক না কেন, আপনি সবসময় কিছু করতে পারেন এবং সফল হতে পারেন।
  • আপনার কাজ যদি আপনাকে ভালোবাসা দেয়, তবে আপনি সফল।
  • আমি শুধু একজন শিশু ছিলাম যে বড় হতে চেয়েছিল এবং তার বিশ্বকে বোঝার চেষ্টা করছিল।
  • তুমি যদি সবসময় রেগে থাকো এবং অভিযোগ করতে থাকো। তাহলে কেউ তোমার জন্য সময় পাবে না।

এই উক্তিগুলি স্টিফেন হকিং-এর জীবনের দর্শন ও চিন্তার গভীরতা প্রকাশ করে।

স্টফিন হকিং রেডিয়েশনঃ

স্টিফেন হকিং রেডিয়েশন, যা হকিং রেডিয়েশন নামেও পরিচিত। হল একটি তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া যা ব্ল্যাক হোল থেকে বিকিরণ নির্গত হয়। ১৯৭৪ সালে স্টিফেন হকিং প্রস্তাব করেছিলেন যে ব্ল্যাক হোল শুধুমাত্র মহাকর্ষীয় টানের কারণে সবকিছু শোষণ করে না। বরং এটি কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কণার বিকিরণও নির্গত করতে পারে।

হকিং রেডিয়েশনের মূল ধারণাটি কোয়ান্টাম মেকানিক্স এবং জেনারেল রিলেটিভিটির সংযোগ থেকে আসে। এর মূল বিষয়গুলি হলঃ

  1. কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনঃ শূন্যস্থানে কণার অস্থায়ী সৃষ্টি এবং বিনাশ হয়। ব্ল্যাক হোলের ইভেন্ট হরাইজনের কাছাকাছি। এই প্রক্রিয়ার সময় একটি কণা ব্ল্যাক হোলের মধ্যে পতিত হতে পারে এবং অন্যটি পালিয়ে যেতে পারে।
  2. তাপীয় বিকিরণঃ এই প্রক্রিয়ার ফলে নির্গত কণাগুলি তাপীয় বিকিরণ হিসেবে প্রকাশিত হয়। এর মানে হল যে ব্ল্যাক হোল আসলে বিকিরণ করছে এবং এটি ধীরে ধীরে তার ভর হারাচ্ছে।
  3. ব্ল্যাক হোল বাষ্পীভবনঃ পর্যাপ্ত সময়ের মধ্যে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্ল্যাক হোল সম্পূর্ণভাবে বাষ্পীভূত হতে পারে।

হকিং রেডিয়েশন একটি গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিক আবিষ্কার ছিল কারণ এটি ব্ল্যাক হোল এবং কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন করে। এটি আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে এবং ব্ল্যাক হোলগুলির প্রকৃতি বোঝার জন্য নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছে।

স্টফিন হকিং কোন রোগে আক্রান্ত ছিলেনঃ

স্টিফেন হকিং মোটর নিউরন ডিজিজ (Motor Neuron Disease) বা অ্যামিওট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস (Amyotrophic Lateral Sclerosis - ALS) নামক এক ধরনের রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এটি একটি নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ, যা মস্তিষ্ক এবং স্পাইনাল কর্ডের মোটর নিউরনগুলি ধ্বংস করে। ফলে পেশীর কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে যায়।

আরো পড়ুনঃ বিল গেটস এর মত আপনিও কিভাবে কোটিপ্রতি হবেন জেনে নিন

এবং অবশেষে পেশীর সম্পূর্ণ অকেজো অবস্থা সৃষ্টি হয়। হকিং যখন ২১ বছর বয়সী ছিলেন, তখন তার এই রোগ নির্ণয় করা হয়েছিল। ডাক্তাররা তখন বলেছিলেন যে তিনি মাত্র কয়েক বছরের বেশি বাঁচবেন না। কিন্তু হকিং দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় এই রোগের সঙ্গে লড়াই করে বিজ্ঞানী হিসেবে তার অসাধারণ কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। 

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে স্টফিন হকিং এর জন্ম কত সালে করেছিলেন। তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে স্টফিন হকিং কত সালে মৃত্যবরণ করেন।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.........www.stylishsm.com




( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )



































এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url