অনলাইন ফ্লাইট টিকিট বুকিং - অনলাইনে বিমানের টিকিট বুকিং
আজকে আমরা জানবো যে কিভাবে অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটার নিয়ম কি ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে বিমানের টিকিট কাটার নতুন নিয়ম কি? আসুন আমরা জেনে নি?
ভূমিকাঃ
আজকের দিনে প্রায় সব মানুষই বিমানে চড়তে চাই। বিমানে চড়ার স্বপ্ন সবার থাকে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যাই যে মানুষ টিকিট কাটার ভয়ে আর চরতে চাই না।
অনলাইনে-বিমানের-টিকিট-কাটার-নিয়ম |
তাই আজকে আমরা জানবো যে কিভাবে আপনি খুব সহজে অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটার নিয়ম গুলো জানবেন ও তার সাথে এটাও জানবেন যে বিমানের টিকিট কাটার নতুন নিয়ম কি? সব বিস্তারিত......।
অনলাইনে প্লেনের টিকিট কাটার নিয়ম কিঃ
অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটার জন্য কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়। নিচে ধাপে ধাপে অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটার নিয়ম দেয়া হলোঃ
- বিমান সংস্থার ওয়েবসাইট বা অ্যাপে যানঃ
প্রথমে আপনার পছন্দের বিমান সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপে যান। যেমন: বাংলাদেশ বিমান, নভোএয়ার, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কিভাবে সহজ প্রদ্ধতিতে কাটবেন জেনে নিন?
- ফ্লাইট অনুসন্ধানঃ
ওয়েবসাইট বা অ্যাপের প্রধান পৃষ্ঠায় গিয়ে "ফ্লাইট অনুসন্ধান" বা "ফ্লাইট বুকিং" অপশনটি খুঁজে বের করুন। এখানে আপনাকে যাত্রার তারিখ, গন্তব্য স্থান এবং যাত্রার স্থান নির্ধারণ করতে হবে।
- ফ্লাইট নির্বাচনঃ
আপনার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী বিমান সংস্থা আপনাকে বিভিন্ন ফ্লাইটের তালিকা দেখাবে। এখান থেকে আপনি আপনার সুবিধামতো ফ্লাইট নির্বাচন করুন।
- ভ্রমণের বিস্তারিত তথ্য প্রদানঃ
নির্বাচিত ফ্লাইটের উপর ক্লিক করার পর আপনাকে যাত্রীদের নাম, জন্ম তারিখ, পাসপোর্ট নম্বর, যোগাযোগের তথ্য ইত্যাদি তথ্য প্রদান করতে হবে।
- সিট নির্বাচনঃ
অনেক সময় ওয়েবসাইট বা অ্যাপে সিট নির্বাচন করার অপশন থাকে। এখানে আপনি আপনার পছন্দের সিট নির্বাচন করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ঘরে বসে কিভাবে বাসের টিকিট কাটবেন জেনে রাখুন?
- পেমেন্টঃ
টিকিটের মূল্য প্রদানের জন্য ওয়েবসাইট বা অ্যাপ আপনাকে বিভিন্ন পেমেন্ট অপশন দেবে। যেমন: ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি। আপনার পছন্দের পেমেন্ট মাধ্যম নির্বাচন করে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
- বুকিং নিশ্চিতকরণঃ
পেমেন্ট সম্পন্ন হলে, আপনার ইমেইলে বা মোবাইল নম্বরে একটি নিশ্চিতকরণ মেসেজ পাঠানো হবে। এই মেসেজে আপনার টিকিটের বিস্তারিত তথ্য থাকবে।
- টিকিট প্রিন্টঃ
আপনি চাইলে ইমেইলে প্রাপ্ত টিকিটটি প্রিন্ট করতে পারেন বা মোবাইলে সংরক্ষণ করতে পারেন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটতে পারবেন।
প্লেনের টিকিট কাটার নতুন নিয়মঃ
বর্তমানে অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটার প্রক্রিয়া আরও সহজ এবং সুবিধাজনক করার জন্য কিছু নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। প্রথমত, যাত্রীরা এখন বিমান সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই টিকিট কাটতে পারেন। এ ক্ষেত্রে, যাত্রীদের নাম, যাত্রার তারিখ, গন্তব্য ইত্যাদি তথ্য প্রদান করতে হয়। তাছাড়া, বিভিন্ন বিমান সংস্থা বিশেষ ছাড় এবং প্রোমো কোডের ধামাকা অফার সুবিধা দিয়ে থাকে, যা অনলাইনে টিকিট কাটার সময় ব্যবহার করা যায়।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে ঈদের দিনে অনলাইনে কিভাবে লঞ্চের টিকিট কাটবেন জেনে নিন?
অনলাইনে পেমেন্ট পদ্ধতিতেও পরিবর্তন এসেছে। এখন ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং, এবং অন্যান্য ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে পেমেন্ট করা যায়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে, যেমন OTP (One Time Password) বা ২-স্তরের যাচাইকরণ। নতুন নিয়মে, যাত্রীরা অনলাইনে সিট নির্বাচন, খাবার অর্ডার এবং অতিরিক্ত প্যাকেজ বুকিং করতে পারেন নিসন্ধে।
এছাড়া, কভিড-১৯ মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রীদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে, যাত্রার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং টিকা সম্পর্কিত তথ্য প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই সব পরিবর্তনের ফলে যাত্রীরা এখন আরও সহজে এবং নিরাপদে অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটতে পারছেন।
প্লেনের টিকিট কিভাবে চেক করবেনঃ
মানুষ অনেক সময় বিমানের টিকিট কাটে কিন্তু পরবর্তিতে কিভাবে বিমানের টিকিট চেক করতে হয়। সেটি হয়তো ভালোভাবে জানে না। তাই বিমানের টিকিট চেক করার জন্য আপনাকে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে।
- বিমান সংস্থার ওয়েবসাইটে যানঃ প্রথমে সেই বিমান সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান যার মাধ্যমে আপনি টিকিট কেটেছেন।
- লগইন করুনঃ বিমান সংস্থার ওয়েবসাইটে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করুন। আপনি যদি প্রথমবার লগইন করছেন তবে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হতে পারে।
- My Booking’ বা ‘Manage Booking সেকশনটি খুঁজুনঃ সাধারণত, ওয়েবসাইটের মেনুতে এই সেকশনটি থাকে। এই সেকশনটিতে ক্লিক করুন।
- টিকিটের তথ্য দিনঃ আপনার বুকিং রেফারেন্স নম্বর (PNR) এবং যাত্রীর শেষ নাম দিয়ে অনুসন্ধান করুন। এই তথ্যগুলো আপনার টিকিটে বা বুকিং কনফার্মেশন ইমেইলে পাওয়া যাবে।
- বুকিং তথ্য যাচাই করুনঃ আপনি টিকিট চেক করার পর, আপনার ফ্লাইটের তারিখ, সময়, এবং অন্যান্য তথ্য দেখতে পাবেন। যদি কোন পরিবর্তন বা আপডেট থাকে, তাও এখানে দেখা যাবে।
- মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করুনঃ অনেক বিমান সংস্থার মোবাইল অ্যাপও আছে, যেখানে আপনি লগইন করে আপনার টিকিট চেক করতে পারেন।
- কাস্টমার সার্ভিসের সাথে যোগাযোগঃ যদি অনলাইনে টিকিট চেক করতে কোন সমস্যা হয়। তাহলে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার কাস্টমার সার্ভিসের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার বিমানের টিকিট চেক করতে পারবেন।
অনলাইনে প্লেনের টিকিট ক্যান্সাল করার নিয়মঃ
আমরা বিমানের টিকিট কাটি যখন আমাদের কোথাও এমারজেন্সি যেতে হয়। অনেক সময় আমরা বিমানের টিকিট কাটি কোথাও ঘুরার জন্য। কিন্তু মাঝে-মাঝে আমাদের আইডিয়া ড্রোপ করতে হয়। কোনো এমারজেন্সি কাজের জন্য। সে ক্ষেত্রে আমাদের বিমানের টিকিট ক্যামসাল করতে হয়। অনলাইনে বিমানের টিকিট বাতিল করার জন্য আপনাকে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে।
( বিমান সংস্থার ওয়েবসাইটে যান ) প্রথমে সেই বিমান সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান যার মাধ্যমে আপনি টিকিট কেটেছেন।
( লগইন করুন ) বিমান সংস্থার ওয়েবসাইটে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করুন। আপনি যদি প্রথমবার লগইন করছেন তবে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হতে পারে।
( My Booking’ বা ‘Manage Booking’ সেকশনটি খুঁজুন ) সাধারণত, ওয়েবসাইটের মেনুতে এই সেকশনটি থাকে। এই সেকশনটিতে ক্লিক করুন।
( টিকিটের তথ্য দিন ) আপনার বুকিং রেফারেন্স নম্বর (PNR) এবং যাত্রীর শেষ নাম দিয়ে অনুসন্ধান করুন। এই তথ্যগুলো আপনার টিকিটে বা বুকিং কনফার্মেশন ইমেইলে পাওয়া যাবে সেখান থেকে চেক করবেন।
( বাতিলকরণ অপশন খুঁজুন ) আপনার বুকিং তথ্য দেখার পর, বাতিল করার অপশন খুঁজে বের করুন। সাধারণত, ‘Cancel Booking’ বা ‘Request Cancellation’ নামে একটি বাটন থাকবে।
( বাতিল করার কারণ দিন ) বাতিল করার সময়, আপনাকে একটি কারণ উল্লেখ করতে হতে পারে। যে কেন আপনি টিকিট বাতিল করতে চাইছেন সে কারণ বাছাই করে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করুন।
( নির্দিষ্ট শর্তাবলী মেনে চলুন ) টিকিট বাতিল করার সময় বিভিন্ন বিমান সংস্থার নিজস্ব শর্তাবলী থাকে। যেমন, কিছু ক্ষেত্রে বাতিল করার ফি দিতে হতে পারে অথবা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাতিল করতে হবে।
( বাতিলকরণ নিশ্চিত করুন ) প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে, আপনাকে একটি কনফার্মেশন ইমেইল পাঠানো হবে। এই ইমেইলে আপনার টিকিট বাতিল হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে এবং টাকা ফেরত পাওয়ার সময়কাল উল্লেখ করা থাকবে।
( কাস্টমার সার্ভিসের সাথে যোগাযোগ ) যদি অনলাইনে টিকিট বাতিল করতে কোন সমস্যা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার কাস্টমার সার্ভিসের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই অনলাইনে আপনার বিমানের টিকিট বাতিল করতে পারবেন।
প্লেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম কিঃ
বিমানের টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য, প্রথমে আপনাকে বিমান সংস্থার কাউন্টারে যেতে হবে। টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং টিকিটের কপি সাথে রাখতে হবে। কাউন্টারে পৌঁছে, টিকিট ফেরতের জন্য নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করতে হবে। ফর্মে আপনার টিকিটের তথ্য, বুকিং নম্বর, যাত্রীর নাম, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।
কাউন্টারে কাজ করা কর্মীদের সাথে আপনার ফেরতের কারণ উল্লেখ করতে হবে এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। টিকিট ফেরতের জন্য নির্ধারিত ফি দিতে হতে পারে এবং ফেরত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কিছু সময় লাগতে পারে।
সফলভাবে টিকিট ফেরত দেওয়ার পরে, কর্মীরা আপনাকে একটি রসিদ প্রদান করবে। কিছুক্ষেত্রে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর, আপনি ফেরতের কনফার্মেশন ইমেইল বা এসএমএস পাবেন।
এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই বিমানের কাউন্টারে টিকিট ফেরত দিতে পারবেন।
রাজশাহী টু ঢাকা প্লেনে ভাড়া কত টাকাঃ
রাজশাহী থেকে ঢাকা বিমানের ভাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হতে পারে। এটি নির্ভর করে এয়ারলাইনের ওপর এবং বুকিংয়ের সময়ের ওপর। সাধারণত, রাজশাহী থেকে ঢাকা বিমানের ভাড়া প্রায় ৩,০০০ থেকে ৭,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে, বিশেষ অফার বা ছুটির মৌসুমে ভাড়ার পরিবর্তন হতে পারে। সঠিক ভাড়া জানার জন্য এয়ারলাইনের ওয়েবসাইট বা টিকেটিং এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সেটি আপনার ক্ষেত্রে ভাল হবে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে হোটেল বুকিং দেওয়ার প্রদ্ধতি গুলো জেনে রাখুন কাজে দেবে?
প্লেনের টিকিটের দাম কত টাকাঃ
বিমানের টিকিটের দাম নির্ভর করে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর। যেমনঃ গন্তব্যস্থল, এয়ারলাইনের ধরন, বুকিংয়ের সময়, এবং আসনের প্রাপ্যতা। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বা ঢাকা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত টিকিটের দাম সাধারণত ৩,০০০ থেকে ৭,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।
বিমানের-টিকিটের-দাম-কত-টাকা |
আন্তর্জাতিক রুটে টিকিটের দাম অনেক বেশি হতে পারে। যেমনঃ ঢাকা থেকে কলকাতা বা ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরের টিকিটের দাম ১০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে।
টিকিটের সঠিক মূল্য জানতে এয়ারলাইনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে বা টিকেটিং এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়াও, বিভিন্ন এয়ারলাইন প্রায়শই বিশেষ অফার ও ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে, যা টিকিটের দাম কমিয়ে দিতে পারে।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পরেছেন অনলাইনে প্লেনের টিকিট কাটার নিয়ম গুলো কেমন। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে প্লেনের টিকিট কাটার নতুন নিয়ম কি।
ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.........www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url