কিভাবে মেডিটেশন করতে হয় - মেডিটেশন কিভাবে কাজ করে? বিস্তারিত জেনে নিন?
আজকে আমরা জানবো যে আমাদের শরীরের জন্য কিভাবে মেডিটেশন করতে হয়। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে মেডিটেশন কিভাবে কাজ করে থেকে আমাদের শরীর ও জীবনে? আসুন জেনে নি?
ভূমিকাঃ
মেডিটেশন করলে আমাদের শরীর সুস্থ্য থাকে ও আমাদের মন সতেজ হয়। কেননা আমাদের শরীর ও মনকে যদি সুস্থ্য ও সতেজ রাখতে হয়। তাহলে অবশ্যই মেডিটেশন করতে হবে।
কিভাবে-মেডিটেশন-করতে-হয় |
তাই আজকে আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনে নিবো যে আমাদের শরীর জন্য মেডিটেশন কিভাবে কাজ করে। ও এই মেডিটেশন কিভাবে কাজ করে থাকে আমাদের মনে। আসুন জানি?
কিভাবে মেডিটেশন করতে হয়ঃ
মেডিটেশন করার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ রয়েছে। তাই আজকে নিয়ে আসলাম আপনাদের জন্য কিছু সহজ মেডিটেশন আসুন জেনে নি?
আরো পড়ুনঃ জীবনে কীভাবে উন্নতি করবেন ও সফলতা নিজের পায়ের নিচে রাখবেন জানুন?
- শান্ত পরিবেশ নির্বাচন করুনঃ প্রথমে এমন একটি স্থান বেছে নিন যেখানে আপনি শান্তি এবং নির্জনতা পাবেন। কোনো ধরনের শব্দ বা ব্যস্ততা সেখানে থাকবে না।
- সঠিক আসনে বসুনঃ আরামদায়ক এবং সঠিক আসনে বসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাটিতে পা ভাঁজ করে, মেরুদণ্ড সোজা রেখে বসার চেষ্টা করুন। আপনি চাইলে চেয়ারে বসেও করতে পারেন।
- চোখ বন্ধ করুনঃ ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করুন এবং শরীরকে সম্পূর্ণ শিথিল করুন।
- শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রতি মনোযোগ দিনঃ আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে ছাড়ুন। শ্বাস-প্রশ্বাসের ধারা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন।
- মনের চিন্তা মুক্ত করুনঃ চিন্তাগুলোকে আসতে দিন, কিন্তু সেই চিন্তাগুলোর মধ্যে না গিয়ে সেগুলোকে মুক্তভাবে প্রবাহিত হতে দিন আপনার মাইন্ডে। বারবার শ্বাসের দিকে মনোযোগ ফিরিয়ে আনুন।
- সময় নির্ধারণ করুনঃ শুরুতে ৫-১০ মিনিটের জন্য মেডিটেশন করুন। ধীরে ধীরে সময় বৃদ্ধি করতে পারেন।
- ধৈর্য ধরে চর্চা করুনঃ প্রতিদিন নিয়মিত চর্চা করলে মেডিটেশন আপনার মানসিক প্রশান্তি এবং সুস্থতা বাড়াবে ও জীবন সুন্দরভাবে গড়ে ওঠবে।
প্রতিদিনের চর্চার মাধ্যমে আপনি মেডিটেশনের উপকারিতা উপভোগ করতে পারবেন।
মেডিটেশন কিভাবে কাজ করেঃ
মেডিটেশন কিভাবে কাজ করে তা বোঝার জন্য আমাদের মস্তিষ্কের কার্যপ্রণালী এবং মনোযোগের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে হবে। মেডিটেশন মূলত মনের প্রশান্তি এবং সুষমার দিকে কাজ করে। এর প্রভাব কীভাবে কাজ করে তা নিচে ব্যাখ্যা করা হলোঃ
- মনোযোগের প্রশিক্ষণঃ মেডিটেশনের মাধ্যমে আমরা আমাদের মনোযোগকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে স্থির রাখতে শিখি। এটি আমাদের মস্তিষ্কের প্রান্তস্থ কর্টেক্স অংশকে সক্রিয় করে তোলে। যা মনোযোগ এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী।
- স্ট্রেস কমানোঃ মেডিটেশন স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল-এর স্তর কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত মেডিটেশন করলে মস্তিষ্কের অ্যামিগডালা অংশে পরিবর্তন ঘটে, যা আমাদের ভয় এবং উদ্বেগের জন্য দায়ী। ফলে আমরা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাই।
- মস্তিষ্কের গঠন পরিবর্তনঃ বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন যে নিয়মিত মেডিটেশন মস্তিষ্কের গঠনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। হিপোক্যাম্পাস, যা শেখার এবং স্মৃতির জন্য ভালো, এটি শক্তিশালী হয়। অন্যদিকে, নেগেটিভ চিন্তা দূর হয়। এবং আবেগের জন্য দায়ী অংশগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে।
- ইমোশনাল ব্যালেন্সঃ মেডিটেশন আবেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি আমাদেরকে নিজের অনুভূতিগুলোকে সচেতনভাবে পর্যবেক্ষণ করতে শেখায়। যা আমাদেরকে সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সহায়ক হয়।
- সচেতনতা বৃদ্ধিঃ মেডিটেশন আমাদেরকে বর্তমান মুহূর্তে থাকার প্রশিক্ষণ দেয়। ফলে আমরা আমাদের জীবনের ছোটখাটো আনন্দ এবং অভিজ্ঞতাগুলোকে পুরোপুরি উপভোগ করতে পারি।
- সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নঃ নিয়মিত মেডিটেশন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ঘুমের মান উন্নত করা, এবং সার্বিক শারীরিক সুস্থতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এই উপায়ে, মেডিটেশন মস্তিষ্ক এবং মনকে প্রশান্ত রেখে সামগ্রিকভাবে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
মেডিটেশন করার ২০টি সঠিক নিয়মঃ
মেডিটেশন করার কিছু সঠিক নিয়ম আছে যা অনুসরণ করলে আপনি এর সর্বোচ্চ উপকারিতা পেতে পারেন। এখানে ২০টি সঠিক নিয়ম তুলে ধরা হলোঃ
- শান্ত পরিবেশ নির্বাচন করুনঃ একটি নিরিবিলি এবং শান্ত জায়গায় মেডিটেশন করুন যেখানে কোনো ধরনের সাইন্ড নেই ও বিরক্তি নেই।
- সঠিক সময় নির্বাচন করুনঃ সকালে বা রাতে, যখন পরিবেশ শান্ত থাকে, সেই সময় মেডিটেশন করা উত্তম।
- আরামদায়ক আসন গ্রহণ করুনঃ সোজা হয়ে বসুন, পিঠ সোজা রাখুন, এবং হাতগুলো হাঁটুর ওপর রাখুন।
- নিয়মিত সময় নির্ধারণ করুনঃ প্রতিদিন একই সময়ে মেডিটেশন করলে তা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হবে।
- শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর মনোযোগ দিনঃ ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন, এতে মন শান্ত হবে।
- মনে কোনো চিন্তা আসলে তা গ্রহণ করুনঃ চিন্তাগুলো আসতে দিন, কিন্তু তাদের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে মনোযোগ জোরে শ্বাসে রাখুন।
- চোখ বন্ধ রাখুনঃ চোখ বন্ধ করে মেডিটেশন করলে মনোযোগ বাড়ে যেকোনো কাজে।
- ধীরে ধীরে শুরু করুনঃ প্রথমে ৫-১০ মিনিট করে শুরু করুন এবং সময় ধীরে ধীরে বাড়ান।
- একটি নির্দিষ্ট মন্ত্র ব্যবহার করুনঃ একটি মন্ত্র বা শব্দ বারবার আওড়াতে পারেন যা আপনার মনকে স্থির রাখবে।
- সচেতনতা বজায় রাখুনঃ মেডিটেশনের সময় আপনার মন যেখানে যাচ্ছে সেখানেই সচেতন থাকুন।
- শারীরিক অবস্থার ওপর মনোযোগ দিনঃ আপনার শরীরের প্রতিটি অংশে মনোযোগ দিন এবং তাদের রিলাক্স করুন।
- মনে কোনো চাপ সৃষ্টি করবেন নাঃ নিজের ওপর কোনো চাপ দিবেন না, মেডিটেশন স্বাভাবিকভাবে করার চেষ্টা করবেন।
- কোনো প্রত্যাশা রাখবেন নাঃ মেডিটেশন থেকে তাৎক্ষণিক ফল পাওয়ার আশা করবেন না।
- সঠিক সময়ে খাদ্য গ্রহণ করুনঃ খাওয়ার পরপরই মেডিটেশন করবেন না, খানিকটা সময় দিন।
- মেডিটেশনের আগে হালকা ব্যায়ামঃ হালকা যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং করলে মেডিটেশন সহজ হয়।
- অযথা চেষ্টা করবেন নাঃ নিজেকে জোর করে মেডিটেশন করানোর চেষ্টা করবেন না। সেটি করলে ক্ষতি হতে পারে।
- মানসিক প্রশান্তিঃ মেডিটেশন করার আগে নিজের মনকে শান্ত করুন।
- নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকুনঃ মেডিটেশনের সময় নেতিবাচক চিন্তা এলে তা পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যান।
- ধৈর্য ধরুনঃ ধৈর্য ধরে নিয়মিত চর্চা করুন, সময়ের সাথে সাথে আপনার অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হবে।
- মেডিটেশনের পর ধীরে ধীরে উঠুনঃ মেডিটেশন শেষে হঠাৎ উঠে যাবেন না, ধীরে ধীরে উঠুন এবং শরীর ও মনকে স্থিতিশীল করুন।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে মেডিটেশন থেকে সর্বোচ্চ উপকারিতা পাবেন এবং মন ও শরীরের প্রশান্তি লাভ করতে পারবেন।
মেডিটেশন করার উপকারিতাঃ
বিশেষজ্ঞদের মতে মেডিটেশন একটি প্রাচীন মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতি যা মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সহায়ক। নিয়মিত মেডিটেশন করার ফলে মনোযোগ বাড়ে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়।
এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত করে। এছাড়াও, মেডিটেশন মানসিক চাপ কমিয়ে আনে। মনকে প্রশান্ত রাখে এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলে। ফলে, সামগ্রিকভাবে এটি আমাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক।
মেডিটেশন করার সঠিক সময়ঃ
কিভাবে মেডিটেশন করতে হয় সেটি আমরা উপরের তথ্য থেকে বুঝতে পেরেছি। এবার জানবো যে মেডিটেশন করার জন্য সঠিক সময় নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, সাধারণত সকাল বেলা, সূর্যোদয়ের আগে বা পরে, মেডিটেশন করার উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচিত হয়। এই সময়ে চারপাশ শান্ত থাকে এবং মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। তবে, কারো পক্ষে সকালে মেডিটেশন করা সম্ভব না হলে রাতে ঘুমানোর আগে মেডিটেশন করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ শরীর সুস্থ্য ও ফিট রাখার জন্য কীভাবে আপনি ডায়েট মেন্টেন করবেন জানুন?
মেডিটেশন-করার-সঠিক-সময় |
ঘুমানোর আগে মেডিটেশন করলে মানসিক প্রশান্তি আসে এবং ঘুম ভালো হয়। সারাদিনের ক্লান্তি ও মানসিক চাপ কমাতে এই সময়ে মেডিটেশন অত্যন্ত কার্যকর। তাই, নিজস্ব রুটিন ও সুবিধামত সময় বেছে নিয়ে নিয়মিত মেডিটেশন করা উচিত।
মেডিটেশন কত প্রকারঃ
মেডিটেশন করলে আমাদের শরীর ও মন ভালো থাকে। মেডিটেশন সাধারণত কয়েকটি প্রধান প্রকারে বিভক্ত। এই প্রকারভেদগুলো বিভিন্নভাবে চর্চা করা হয় এবং তাদের নিজস্ব উপকারিতা রয়েছে। মেডিটেশন এর প্রধান প্রকারগুলো হলোঃ
( মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন ) এই পদ্ধতিতে মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে বর্তমান মুহূর্তে কেন্দ্রীভূত করা হয়। এটি মনকে শান্ত এবং প্রশান্ত রাখতে সাহায্য করে।
( কনসেন্ট্রেশন মেডিটেশন ) এখানে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা হয়। যেমনঃ শ্বাসের গতি, একটি শব্দ, বা একটি মন্ত্র।
আরো পড়ুনঃ পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টেকনিক ও কিছু টিপস জেনে নিন?
( প্রশান্তি মেডিটেশন ) এতে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরকে আরাম দেওয়া হয় এবং মনের চাপ কমানো সাহায্য করে।
( ভিজ্যুয়ালাইজেশন মেডিটেশন ) এই পদ্ধতিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে সুন্দর এবং প্রশান্তিকর দৃশ্য কল্পনা করা হয় মনে।
( মন্ত্র মেডিটেশন ) এখানে একটি শব্দ বা মন্ত্র বারবার পুনরাবৃত্তি করা হয়, যা মনকে প্রশান্ত করে তোলে।
( প্রেমময়-কৃতজ্ঞতা (Loving-Kindness) মেডিটেশন ) এতে নিজে ও অন্যদের প্রতি ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা বৃদ্ধি করার জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
প্রত্যেকটি প্রকারের মেডিটেশন বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কার্যকর হতে পারে এবং ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী চর্চা করা যেতে পারে।
শুয়ে মেডিটেশন করলে কি হয়ঃ
মেডিটেশন করলে কি-কি লাভ পাওয়া যায় সেটি আমরা জানি। মেডিটেশনের বিভিন্ন অঙ্গ রয়েছে। এবার জেনে নিন যে শুয়ে মেডিটেশন করলে কি হয়। শুয়ে মেডিটেশন করলে শরীর ও মনের উপর বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। শুয়ে মেডিটেশন করলে শরীর সম্পূর্ণভাবে আরাম অনুভব করে, যা মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
শুয়ে থাকার কারণে রক্ত চলাচল আরও সুষ্ঠুভাবে হয়, ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায়। এটি মানসিক চাপ কমাতে এবং উদ্বেগ দূর করতে কার্যকরী। শুয়ে মেডিটেশন করার সময় মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে গভীর প্রশান্তির দিকে যেতে পারে, যা ঘুমের গুণগত মান উন্নত করতে সহায়ক।
তবে, অনেক সময় শুয়ে মেডিটেশন করলে সহজেই ঘুম আসতে পারে, যা চর্চার মূল লক্ষ্যকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই, শুয়ে মেডিটেশন করার আগে এ বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন। এ জন্য সব সময় সতর্ক থাকবেন।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে মেডিটেশন করতে হয়। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে মেডিটেশন কিভাবে কাজ করে আমাদের শরীর ও মনে।
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন............www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url