কাঁচা আমের আচার তৈরি রেসিপি - কাঁচা আমের জুস কীভাবে বানায়? বিস্তারিত জেনে নিন?
আজকে আমরা জানবো যে কীভাবে আপনি খুব সহজে কাঁচা আমের আচার তৈরি রেসিপি গুলো জানবেন। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে কাঁচা আমের জুস কীভাবে বানায়। আসুন জানি?
ভুমিকাঃ
কাঁচা আমের আচার সবার পছন্দ হয়ে থাকে। কেননা এই আচার মানুষ বিভিন্ন রেসিপির সাথে খেয়ে থাকে অনেক মজার সাথে।
কাঁচা-আমের-আচার-তৈরি-রেসিপি |
তাই আজকে আমরা ভাল করে জেনে নিবো যে কাঁচা আমের আচার তৈরি রেসিপি কীভাবে ঘরে বসে তৈরি করা যায়। ও এটাও জানবো যে কাঁচা আমের জুস কীভাবে বানায় ঘরে বসে। সব বিস্তারিত......।
কাঁচা আমের আচার তৈরি রেসিপিঃ
কাঁচা আমের আচার একটি জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু খাবার, যা বিভিন্ন মসলার সাথে মিশিয়ে তৈরি করা হয়। নিচে সহজ পদ্ধতিতে কাঁচা আমের আচার তৈরির রেসিপি দেওয়া হলোঃ
উপকরণঃ
- কাঁচা আমঃ ৫-৬টি (মাঝারি সাইজ)
- লবণঃ ২ টেবিল চামচ (পরিমাণমতো)
- চিনিঃ ১ কাপ (আপনার স্বাদ অনুযায়ী কম বেশি করতে পারেন)
- হলুদ গুঁড়োঃ ১ চা চামচ
- শুকনা মরিচ গুঁড়োঃ ২ টেবিল চামচ
- সরিষার তেলঃ ১ কাপ
- পাঁচফোড়নঃ ১ চা চামচ
- মেথি গুঁড়োঃ ১ চা চামচ
- আদা বাটাঃ ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
- রসুন বাটাঃ ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
- ভিনেগারঃ ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক, সংরক্ষণের জন্য)
যেভাবে রান্না করবেনঃ
- আম প্রস্তুতকরণঃ প্রথমে কাঁচা আমগুলো ভালোভাবে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কাটুন। আমের বীজ ফেলে দিন।
- আম মেশানোঃ একটি বড় পাত্রে কাটা আমের টুকরোগুলো নিয়ে তাতে লবণ, হলুদ গুঁড়ো, এবং শুকনা মরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। সবকিছু ভালোভাবে মেশানোর পর আমের টুকরোগুলোকে ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিন, যাতে মসলাগুলো আমের সাথে ভালোভাবে মিশে যায়।
- তেল গরম করাঃ একটি কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করুন। তেল গরম হলে তাতে পাঁচফোড়ন দিন এবং কয়েক সেকেন্ড ভাজুন।
- মসলা ভাজাঃ এরপর, তেলে আদা ও রসুন বাটা (যদি ব্যবহার করেন) দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন, যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায়। এরপর তাতে মেথি গুঁড়ো যোগ করে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন।
- আম মেশানোঃ এবার, তেলের মধ্যে মাখানো আমের টুকরোগুলো দিয়ে দিন এবং হালকা আঁচে ১০-১৫ মিনিট নাড়াচাড়া করুন, যতক্ষণ না আম নরম হয়ে আসে।
- চিনি ও ভিনেগার যোগ করাঃ আম নরম হয়ে এলে তাতে চিনি ও ভিনেগার যোগ করুন। চিনি গলে আচারটি ঘন হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিন।
- আচার সংরক্ষণঃ আচার ঠান্ডা হয়ে এলে একটি পরিষ্কার, শুকনো কাচের বয়ামে ঢেলে সংরক্ষণ করুন। আচারটি কিছুদিন রোদে রেখে দিলে এটি দীর্ঘদিন ভালো থাকবে এবং স্বাদও আরও ভালো হবে।
এইভাবে তৈরি করা কাঁচা আমের আচার ভাত, রুটি, বা পরোটা সঙ্গে উপভোগ করতে পারেন। আচারটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে কয়েক মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে।
কাঁচা আমের জুস কীভাবে বানায়ঃ
কাঁচা আমের জুস, যা "আম পানা" নামেও পরিচিত, গ্রীষ্মকালে একটি খুবই জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু পানীয়। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভব করতে সাহায্য করে। নিচে সহজভাবে কাঁচা আমের জুস তৈরির পদ্ধতি দেওয়া হলোঃ
উপকরণঃ
- কাঁচা আমঃ ২-৩টি (মাঝারি সাইজের)
- চিনি বা গুড়ঃ ৩-৪ টেবিল চামচ (স্বাদ অনুযায়ী)
- ভাজা জিরা গুঁড়োঃ ১ চা চামচ
- লবণঃ ১ চিমটি (স্বাদ অনুযায়ী)
- বিট লবণঃ ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
- পুদিনা পাতাঃ ৫-৬টি (ঐচ্ছিক, স্বাদ বাড়াতে)
- পানিঃ ২-৩ কাপ
- বরফ কুচিঃ পরিবেশনের জন্য (ঐচ্ছিক)
যেভাবে জুস বানাবেনঃ
- আম সিদ্ধ করাঃ প্রথমে কাঁচা আমগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এরপর আমগুলোকে পানিতে সিদ্ধ করুন যতক্ষণ না এগুলো নরম হয়ে যায়। সাধারণত ১০-১৫ মিনিট সিদ্ধ করলেই আম নরম হয়ে যায়।
- আমের শাঁস আলাদা করাঃ আমগুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে খোসা ছাড়িয়ে শাঁসটি আলাদা করে নিন। বীজ ফেলে দিন।
- শাঁস মেশানোঃ একটি ব্লেন্ডারে আমের শাঁস, চিনি বা গুড়, ভাজা জিরা গুঁড়ো, লবণ, বিট লবণ, এবং পুদিনা পাতা (যদি ব্যবহার করেন) দিয়ে ১ কাপ পানি যোগ করুন। সবকিছু ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন যতক্ষণ না মসৃণ একটি মিশ্রণ তৈরি হয়।
- পানি মেশানোঃ ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি একটি বড় পাত্রে নিয়ে তাতে আরও ১-২ কাপ ঠান্ডা পানি মিশিয়ে নিন। আপনার স্বাদ অনুযায়ী মিষ্টি বা লবণ সমন্বয় করুন।
- পরিবেশনঃ এবার একটি গ্লাসে বরফ কুচি দিন এবং তার উপর তৈরি করা কাঁচা আমের জুস ঢেলে দিন। পরিবেশনের আগে জুসের উপর কিছু পুদিনা পাতা ছড়িয়ে দিতে পারেন।
এইভাবে তৈরি কাঁচা আমের জুস গ্রীষ্মের গরমে একদম পারফেক্ট রিফ্রেশিং পানীয় হিসেবে উপভোগ করা যায়। এটি শুধু শরীরকে ঠান্ডা রাখে না, বরং ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখতে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতেও সাহায্য করে।
কাঁচা আমের মিষ্টি আচারঃ
কাঁচা আমের মিষ্টি আচার একটি জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু আচার, যা খেতে মিষ্টি ও টক-মিষ্টি স্বাদের হয়। এটি ভাত, রুটি, বা পরোটা সঙ্গে খাওয়া খুবই উপাদেয়। নিচে সহজভাবে কাঁচা আমের মিষ্টি আচার তৈরির পদ্ধতি দেওয়া হলোঃ
উপকরণঃ
- কাঁচা আমঃ ৫-৬টি (মাঝারি সাইজের)
- চিনিঃ ২-৩ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী)
- লবণঃ ১ টেবিল চামচ
- হলুদ গুঁড়োঃ ১ চা চামচ
- শুকনা মরিচ গুঁড়োঃ ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক, ঝাল পছন্দ করলে)
- মেথি বীজঃ ১ চা চামচ
- সরিষার তেলঃ ১ কাপ
- ভিনেগারঃ ২ টেবিল চামচ (সংরক্ষণের জন্য)
- কালোজিরাঃ ১ চা চামচ
- দারুচিনিঃ ২-৩ টুকরো
- এলাচিঃ ২-৩টি
- লবঙ্গঃ ৩-৪টি
- শুকনা মরিচঃ ২-৩টি
কাঁচা-আমের-মিষ্টি-আচার |
যেভাবে রান্না করবেনঃ
- আম প্রস্তুত করাঃ প্রথমে কাঁচা আমগুলো ভালোভাবে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। আমের বীজ ফেলে দিন।
- লবণ মেশানোঃ আমের টুকরোগুলো একটি বড় পাত্রে নিয়ে তাতে লবণ ও হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিন। এটি আমের টুকরোগুলোকে কিছুটা নরম করবে এবং আচার তৈরির জন্য প্রস্তুত করবে।
- মসলা ভাজাঃ একটি কড়াইতে সরিষার তেল গরম করুন। তেল গরম হয়ে গেলে তাতে মেথি বীজ, কালোজিরা, গরম মসলা, এলাচি, লবঙ্গ, এবং শুকনা মরিচ দিয়ে হালকা ভাজুন। মসলা থেকে সুগন্ধ বের হতে শুরু করলে চুলা বন্ধ করুন।
- আম মেশানোঃ ভাজা মসলার মধ্যে লবণ মাখানো আমের টুকরোগুলো যোগ করুন এবং হালকা আঁচে ১০-১৫ মিনিট নাড়াচাড়া করুন, যাতে আমের টুকরোগুলো নরম হয়ে মসলার সাথে ভালোভাবে মিশে যায়।
- চিনি যোগ করাঃ এরপর, আমের মিশ্রণে চিনি যোগ করুন এবং হালকা আঁচে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না চিনি গলে আমের সাথে মিশে যায়। চিনি গলে গেলে এটি একটি ঘন আকার ধারণ করবে। ঝাল পছন্দ করলে এই সময় শুকনা মরিচ গুঁড়োও যোগ করতে পারেন।
- ভিনেগার যোগ করাঃ আচারটি ঠান্ডা হওয়ার আগে তাতে ভিনেগার যোগ করুন। এটি আচারকে দীর্ঘদিন সংরক্ষণে সহায়ক হবে।
- সংরক্ষণঃ আচারটি ঠান্ডা হয়ে গেলে পরিষ্কার ও শুকনো কাচের বয়ামে ঢেলে সংরক্ষণ করুন। আচারটি কয়েকদিন রোদে রেখে দিলে স্বাদ আরও ভালো হবে এবং দীর্ঘদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।
এইভাবে তৈরি করা কাঁচা আমের মিষ্টি আচার কয়েক মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায় এবং যে কোনো খাবারের সাথে উপভোগ করা যায়। মিষ্টি, টক ও ঝালের সমন্বয়ে এই আচারটি খাবারের স্বাদ আরও বাড়িয়ে তোলে।
কাঁচা আমের টক আচারঃ
কাঁচা আমের টক আচার একটি জনপ্রিয় এবং মুখরোচক আচার, যা খেতে টক ও মসলাদার। এটি খাবারের সঙ্গে খেলে স্বাদ আরও বেড়ে যায়। নিচে কাঁচা আমের টক আচার তৈরির সহজ রেসিপি দেওয়া হলোঃ
উপকরণঃ
- কাঁচা আমঃ ৫-৬টি (মাঝারি সাইজের)
- লবণঃ ২ টেবিল চামচ
- হলুদ গুঁড়োঃ ১ চা চামচ
- শুকনা মরিচ গুঁড়োঃ ১ টেবিল চামচ (স্বাদ অনুযায়ী কমবেশি করা যেতে পারে)
- সরিষার তেলঃ ১ কাপ
- পাঁচফোড়নঃ ১ চা চামচ
- মেথি বীজঃ ১ চা চামচ
- কালোজিরাঃ ১ চা চামচ
- হিংঃ ১ চিমটি (ঐচ্ছিক)
- রসুনঃ ৮-১০টি কোয়া (ঐচ্ছিক)
- ভিনেগারঃ ২ টেবিল চামচ (সংরক্ষণের জন্য)
যেভাবে রান্না করবেনঃ
- আম প্রস্তুত করাঃ প্রথমে কাঁচা আমগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর আমগুলো খোসাসহ ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। আমের বীজ ফেলে দিন।
- লবণ মেশানোঃ কাটা আমের টুকরোগুলো একটি বড় পাত্রে নিয়ে তাতে লবণ এবং হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। আমগুলোকে ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিন, যাতে লবণ এবং হলুদ মসলার সাথে ভালোভাবে মিশে যায়।
- তেল গরম করাঃ একটি কড়াইতে সরিষার তেল গরম করুন। তেল ভালোভাবে গরম হলে তাতে পাঁচফোড়ন, মেথি বীজ, কালোজিরা, এবং হিং দিন এবং কয়েক সেকেন্ড ভাজুন, যতক্ষণ না মসলা থেকে সুগন্ধ বের হয়।
- রসুন ভাজাঃ যদি আপনি রসুন ব্যবহার করেন, তাহলে মসলার সাথে রসুনের কোয়াগুলো ভেজে নিন, যতক্ষণ না সেগুলো সোনালি রঙ ধারণ করে।
- আম মেশানোঃ এবার ভাজা মসলার মধ্যে লবণ মাখানো আমের টুকরোগুলো যোগ করুন এবং হালকা আঁচে ১০-১৫ মিনিট নাড়াচাড়া করুন, যাতে আমের টুকরোগুলো নরম হয়ে আসে এবং মসলার সাথে ভালোভাবে মিশে যায়।
- শুকনা মরিচ গুঁড়ো যোগ করাঃ আম নরম হয়ে এলে এতে শুকনা মরিচ গুঁড়ো যোগ করুন এবং ভালোভাবে মেশান। টক ও ঝাল স্বাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- ভিনেগার যোগ করাঃ আচারটি ঠান্ডা হওয়ার আগে এতে ভিনেগার যোগ করুন, যা আচারকে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে সাহায্য করবে।
- আচার সংরক্ষণঃ আচারটি ঠান্ডা হয়ে গেলে পরিষ্কার, শুকনো কাচের বয়ামে ঢেলে সংরক্ষণ করুন। আচারটি কয়েকদিন রোদে রেখে দিন, যাতে স্বাদ আরও ভালো হয় এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য ভালো থাকে।
এইভাবে তৈরি কাঁচা আমের টক আচার ভাত, রুটি, বা পরোটার সাথে খেতে দারুণ লাগে। এই আচারটি সংরক্ষণ করে কয়েক মাস পর্যন্ত খাওয়া যায়, এবং এটি আপনার প্রতিদিনের খাবারে একটি টক ও ঝাল স্বাদ যোগ করবে।
কাঁচা আমদের ঝাল আচারঃ
কাঁচা আমের ঝাল আচার খেতে খুবই মুখরোচক এবং তীব্র স্বাদের হয়। এই আচারটি ভাত, রুটি, কিংবা পরোটার সাথে খাওয়া যায়। যারা ঝাল পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি আদর্শ আচার। নিচে কাঁচা আমের ঝাল আচার তৈরির সহজ পদ্ধতি দেওয়া হলো:
উপকরণঃ
- কাঁচা আমঃ ৫-৬টি (মাঝারি সাইজের)
- লবণঃ ২ টেবিল চামচ
- শুকনা মরিচ গুঁড়োঃ ২ টেবিল চামচ (স্বাদ অনুযায়ী কমবেশি করা যেতে পারে)
- হলুদ গুঁড়োঃ ১ চা চামচ
- সরিষার তেলঃ ১ কাপ
- পাঁচফোড়নঃ ১ চা চামচ
- মেথি বীজঃ ১ চা চামচ
- কালোজিরাঃ ১ চা চামচ
- রসুনঃ ৮-১০ কোয়া (ঐচ্ছিক, মশলার স্বাদ বাড়াতে)
- ভিনেগারঃ ২ টেবিল চামচ (সংরক্ষণের জন্য)
- শুকনা মরিচঃ ৪-৫টি (তীব্র ঝালের জন্য)
- হিংঃ ১ চিমটি (ঐচ্ছিক)
যেভাবে রান্না করবেনঃ
- প্রস্তুত করাঃ প্রথমে কাঁচা আমগুলো ভালোভাবে ধুয়ে খোসাসহ ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। আমের বীজ ফেলে দিন।
- লবণ মেশানোঃ কাটা আমের টুকরোগুলো একটি বড় পাত্রে নিয়ে তাতে লবণ এবং হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। আমের টুকরোগুলোকে ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিন, যাতে লবণ এবং হলুদ আমের সাথে ভালোভাবে মিশে যায় এবং কিছুটা পানি বের হয়।
- তেল গরম করাঃ একটি কড়াইতে সরিষার তেল গরম করুন। তেল ভালোভাবে গরম হলে তাতে পাঁচফোড়ন, মেথি বীজ, কালোজিরা, এবং হিং যোগ করুন এবং কয়েক সেকেন্ড ভাজুন, যতক্ষণ না মসলা থেকে সুগন্ধ বের হয়।
- রসুন ও শুকনা মরিচ ভাজাঃ মসলার মধ্যে রসুনের কোয়াগুলো এবং শুকনা মরিচ ভেজে নিন, যতক্ষণ না রসুন সোনালি রঙ ধারণ করে এবং শুকনা মরিচ ফেটে যায়।
- আম মেশানোঃ এরপর তেলে ভাজা মসলার মধ্যে লবণ মাখানো আমের টুকরোগুলো যোগ করুন এবং হালকা আঁচে ১০-১৫ মিনিট নাড়াচাড়া করুন। যাতে আমের টুকরোগুলো মসলার সাথে ভালোভাবে মিশে যায় এবং নরম হয়ে আসে।
- শুকনা মরিচ গুঁড়ো যোগ করাঃ এবার শুকনা মরিচ গুঁড়ো যোগ করুন এবং ভালোভাবে মেশান। যাতে ঝালের স্বাদ পুরো আচারটিতে ছড়িয়ে পড়ে।
- ভিনেগার যোগ করাঃ আচারটি ঠান্ডা হওয়ার আগে তাতে ভিনেগার যোগ করুন। এটি আচারকে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে সহায়ক হবে।
- আচার সংরক্ষণঃ আচারটি সম্পূর্ণ ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি পরিষ্কার, শুকনো কাচের বয়ামে ঢেলে সংরক্ষণ করুন। আচারটি কয়েকদিন রোদে রেখে দিলে স্বাদ আরও ভালো হয় এবং দীর্ঘদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।
এইভাবে তৈরি কাঁচা আমের ঝাল আচার খুবই ঝাল এবং মসলাদার হয়, যা ঝালপ্রিয়দের মন কেড়ে নেবে। এটি ভাত, রুটি, কিংবা অন্য যেকোনো খাবারের সাথে পরিবেশন করে উপভোগ করতে পারেন।
আমের আচার কত ধরনের হয়ঃ
আমের আচার বিভিন্ন ধরনের হয় এবং প্রতিটি আচার ভিন্ন স্বাদ এবং বৈচিত্র্য নিয়ে আসে। সাধারণত, আমের আচার প্রধানত তিনটি ধরণের হতে পারে। যেমনঃ মিষ্টি আচার, টক আচার, এবং ঝাল আচার। মিষ্টি আচার সাধারণত চিনি ও মসলা দিয়ে তৈরি হয়, যা খেতে মিষ্টি ও টক-মিষ্টি স্বাদের হয়। টক আচার তৈরি হয় লবণ, হলুদ, এবং বিভিন্ন ধরনের মসলার মিশ্রণে, যা খেতে টক ও মসলাদার হয়।
ঝাল আচার তৈরিতে শুকনা মরিচ ও মসলা ব্যবহার করা হয়, যা খেতে ঝাল ও মশলাদার হয়। এছাড়াও, ভিনেগার দিয়ে তৈরি সংরক্ষিত আচার এবং রোদে শুকানো আচারও বেশ জনপ্রিয়। অঞ্চলভেদে এবং ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী আমের আচার বিভিন্ন ধরনের হতে পজেম। যা স্বাদে ভিন্নতা আনে এবং খাদ্যতালিকায় নতুন মাত্রা যোগ করে। আসা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আপনি কীভাবে খুব সহজে কাঁচা আমের আচার তৈরি রেসিপি তৈরি করবেন। ও এটাও জানলেন যে কাঁচা আমের জুস কীভাবে বানায় ঘরে বসে?
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.........www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url