জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম - বিকাশে ১০০০ টাকায় খরচ কত টাকা? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে কিভাবে আপনি খুব সহজে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো জানবেন। তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে বিকাশে ১০০০ টাকায় খরচ কত টাকা হয়?

ভূমিকাঃ

আমরা অনেকেই জানি যে যে আমাদের জন্ম নিবন্ধন দিয়ে কিভাবে বিকাশ একাউন্ট খুলতে হয়। আরো জানি না যে বিকাশে ১০০০ টাকায় খরচ কত টাকা কাটা হয়।

জন্ম-নিবন্ধন-দিয়ে-বিকাশ-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম
  জন্ম-নিবন্ধন-দিয়ে-বিকাশ-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম                

তাই আসুন জেনে রাখি যে আমরা খুব সহজে জাদুর মতো বিকাশ একাউন্ট খুলবো। তার সাথে আমরা এটাও বলবো যে বিকাশ থেকে ১০০০ টাকায় কত টাকা কাটা হয় আমাদের একাউন্ট থেকে। বিস্তারিত...।

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়মঃ

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে কিছু পদক্ষেপ মেনে চলতে হবে।  তা নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ কর্ব বিকাশ একাউন্ট খোলার চেষ্টা করবেন?

আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন দিয়ে কিভাবে নগদ একাউন্ট খুলবেন জেনে রাখুন?

  1. বিকাশ এজেন্ট বা বিকাশ সেন্টার খুঁজে নিনঃ আপনার নিকটস্থ বিকাশ এজেন্ট বা বিকাশ সেন্টারে যান। আপনি বিকাশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে নিকটস্থ এজেন্টের খোঁজ করতে পারেন।
  2. আবেদন ফর্ম পূরণ করুনঃ বিকাশ এজেন্ট বা বিকাশ সেন্টারে গিয়ে একটি নতুন একাউন্ট খোলার আবেদন ফর্ম পূরণ করুন। এখানে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে।
  3. জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট দিনঃ জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট (জন্ম সনদ) সাথে নিয়ে যান এবং এটি বিকাশ এজেন্টকে জমা দিন। এটি আপনার পরিচয় প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
  4. মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশনঃ আবেদন ফর্ম জমা দেওয়ার পর বিকাশ এজেন্ট আপনার মোবাইল নম্বরটি ভেরিফাই করবেন। তারা আপনার নম্বরের জন্য একটি OTP (One-Time Password) পাঠাবেন যা আপনাকে এজেন্টকে প্রদান করতে হবে।
  5. বিকাশ পিন সেট করুনঃ আপনার বিকাশ একাউন্টে একটি নিরাপদ পিন (PIN) কোড সেট করতে হবে। এই পিনটি আপনি লেনদেনের সময় ব্যবহার করবেন। এই পিনটি আপনি কউকে বলবেন না।
  6. নিশ্চিতকরণঃ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, বিকাশ এজেন্ট আপনার একাউন্টটি চালু করবেন এবং আপনি বিকাশ সেবা ব্যবহার করতে পারবেন।
  7. নোটঃ বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার সময় জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম এবং মোবাইল নম্বরে থাকা নামের মিল থাকা জরুরি। যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারেও যোগাযোগ করতে পারেন।

এভাবেই সহজে আপনি জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন।

বিকাশে ১০০০ টাকায় খরচ কত টাকাঃ

আপনি বিকাশে ১,০০০ টাকা প্রেরণ বা খরচ করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ প্রযোজ্য হয়। এটি নির্ভর করে আপনি কোন সেবা নিচ্ছেন। নিচে কিছু সাধারণ খরচের ধরন দেয়া হলো আসুন জেনে নি?

  • বিকাশ থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো (P2P)

সাধারণত এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে কোনো চার্জ নেই।

আরো পড়ুনঃ নিজের ফোন কাজে লাগিয়ে কিভাবে টাকা আয় করবেন জেনে নিন?

  • ক্যাশ আউট (Cash Out)

এজেন্টের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করার জন্য চার্জ হয়। ১,০০০ টাকার জন্য সাধারণত ১.৮৫% চার্জ প্রযোজ্য, যা ১৮.৫০ টাকা কাটা হয় একাউন্ট থেকে।

  • মার্চেন্ট পেমেন্ট

বিকাশ মার্চেন্টে পেমেন্ট করলে কোনো চার্জ নেই।

  • মোবাইল রিচার্জ

মোবাইল রিচার্জ করতে কোনো চার্জ নেই।

নোটঃ চার্জগুলি সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই সব সময় বিকাশের অফিসিয়াল সোর্স থেকে চার্জ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া উচিত।

বিকাশ একাউন্ট এর মালিকের নাম কিঃ

বিকাশ অ্যাকাউন্টের মালিকের নাম জানা যাবে না। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কারণে বিকাশ অ্যাকাউন্টের মালিকের নাম সরাসরি কোনো ব্যবহারকারী বা তৃতীয় পক্ষকে প্রদান করা হয় না। শুধুমাত্র বিকাশের গ্রাহক সেবা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হতে পারে, তবে তা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এটা আইন ভাবে তৈরি করা হয়েছে।

বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট খোলার নিয়মঃ

বিকাশ দিয়ে মানুষ বেশির ভাগ টাকা লেনদেন করে থাকেন। তাই আসুন জানি যে বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে তা হলোঃ

  • জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদঃ

বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনার একটি বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকতে হবে।

আরো পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লিখে কিভাবে লক্ষ্য-লক্ষ্য টাকা ইনকাম করবেন জেনে নিন?

  • সিম কার্ডঃ

আপনার নিজস্ব মোবাইল সিম কার্ড, যা আপনার নামেই নিবন্ধিত, সেটি ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

  • বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোডঃ

আপনার মোবাইল ফোনে বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করুন। এটি গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে পাওয়া যাবে খুব সহজে।

  • নিবন্ধন প্রক্রিয়াঃ

  1. বিকাশ অ্যাপটি ইনস্টল করার পর সেটি চালু করুন।
  2. প্রথমে "Sign Up" বা "রেজিস্টার" অপশনে ক্লিক করুন।
  3. আপনার ফোন নম্বর দিন এবং OTP (One Time Password) কোডটি দিন।
  4. আপনার পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী ব্যক্তিগত তথ্য দিন।
  5. সেলফি তুলুন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন।

  • PIN সেট করাঃ

  1. আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টের জন্য একটি নিরাপদ PIN (Personal Identification Number) সেট করুন।
  2. এই PIN আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন এবং লেনদেনের জন্য প্রয়োজন হবে। এই পিন অন্য কোনো ব্যাক্তি যেন জানতে না পারে। সেই দিকে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।

  • অ্যাকাউন্ট যাচাইকরণঃ

  1. সমস্ত তথ্য এবং ডকুমেন্ট সাবমিট করার পর, বিকাশের পক্ষ থেকে আপনার অ্যাকাউন্ট যাচাই করা হবে।
  2. যাচাইকরণ সম্পন্ন হলে, আপনার বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট চালু হয়ে যাবে। যেটি দ্বারা আপনি খুব সহজে সবার সাথে সহজ প্রদ্ধতিতে লেনদেন করতে পারবেন।

এই ধাপগুলো অনুসরণ করে সহজেই আপনি বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

কিভাবে বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করতে হয়ঃ

বিকাশ একাউন্ট খুলে মানুষ টাকা সহজ প্রদ্ধতিতে লেনদেন করার জন্য। কিন্রু অনেক সময় দেখা যায় যে কোনো কারণের দ্বারা এই বিকাশ একাউন্টটি আমাদেরকে ডিলিট করতে হয়। তা কিভাবে সঠিক নিয়মে ডিলিট করবেন সে বিষয়ে আজকে আমাদের আলোচনা। আসুন শুরু করা যাক?

  • সর্বপ্রথম আপনাকে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার এর সাথে যোগাযোগঃ

  1. বিকাশ অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার জন্য আপনাকে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
  2. আপনি বিকাশের হটলাইন নম্বর 16247 অথবা +880 2 55663001-3 এ কল করতে পারেন।

  • ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহঃ

  1. কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই করবে। আপনার অ্যাকাউন্টের মালিকানা নিশ্চিত করতে আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, বিকাশ পিন, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হতে পারে।

  • ডিলিটের জন্য অনুরোধ করাঃ 

  1. সমস্ত তথ্য যাচাই করার পরে, কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি আপনার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
  2. একাউন্ট ডিলিটের পর, আপনি আর বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন না এবং আপনার সমস্ত লেনদেনের তথ্য মুছে ফেলা হবে।

  • লিখিত আবেদন (যদি প্রয়োজন হয়)

  1. কিছু ক্ষেত্রে, বিকাশ অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার জন্য আপনার নিকটবর্তী বিকাশ এজেন্ট বা বিকাশ কেয়ারে গিয়ে লিখিত আবেদন করতে হতে পারে।

এভাবে আপনি বিকাশ অ্যাকাউন্ট ডিলিট করতে পারবেন। মনে রাখবেন, একবার ডিলিট করার পর আপনি সেই অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করতে পারবেন না।

কিভাবে বিকাশে টাকা পাঠাতে হয়ঃ

বিকাশে টাকা পাঠানো খুবই সহজ একটি প্রক্রিয়া। প্রথমে, আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে (*247#) ডায়াল করুন অথবা বিকাশ অ্যাপ খুলুন। এরপর 'সেন্ড মানি' বা 'টাকা পাঠান' অপশনটি নির্বাচন করুন। তারপর আপনি যে মোবাইল নম্বরে টাকা পাঠাতে চান, সেই নম্বরটি লিখুন। এরপর আপনি যে পরিমাণ টাকা পাঠাতে চান, তা লিখুন।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে ব্লগ তৈরি করে ও বাংলা ব্লগ লিখে টাকা আয় করবেন জেনে নিন?

কিভাবে-বিকাশে-টাকা-পাঠাতে-হয়
কিভাবে-বিকাশে-টাকা-পাঠাতে-হয়            

সঠিক তথ্য যাচাই করার পর, আপনার বিকাশ পিন কোডটি প্রবেশ করান এবং নিশ্চিত করুন। এভাবে, টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং প্রাপক তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পেয়ে যাবে খুব সহজে।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আপনি কিভাবে খুব সহজে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলবেন। তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে বিকাশে ১০০০ টাকায় খরচ কত টাকা হয়।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন............www.stylishsm.com




( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )

















এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url