ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচার উপায় কি - ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ কি? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে কিভাবে আপনি ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচার উপায় গুলো জানবেন। ও তার সাথে সাথে এটাও জানতে পারবেন যে আমাদের চারপাশে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলো কি-কি? আসুন জানি।  

ভূমিকাঃ

ডেঙ্গু রোগ সাধারণত মশা থেকে ছড়িয়ে থাকে। এই মশা গুলো বিভিন্ন ধরনের ময়লা-আবর্জনা থেকে ইদের বংশ বিস্তার হয়ে থাকে। যা একটি মারাত্মক রোগ হিসাবে ধরা হয়।

ডেঙ্গু-রোগ-থেকে-বাঁচার-উপায়-কি
ডেঙ্গু-রোগ-থেকে-বাঁচার-উপায়-কি        

তাই আজকে আমরা জেনে নিবো যে এই ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচার উপায় কি এবং কিভাবে সহজে রি রোগ প্রতিরোধ করা যায়। তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ কি? সব কিছু বিস্তারিত......।

ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচার উপায় কিঃ

ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচার জন্য কিছু সাধারণ সতর্কতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নিচে ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচার কিছু উপায় দেওয়া হলোঃ

  • মশার কামড় এড়ানোঃ ডেঙ্গু মূলত এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়, তাই মশার কামড় থেকে বাঁচা অত্যন্ত জরুরি। দিনে এবং রাতে মশারি ব্যবহার করুন। বিশেষত ভোরবেলা এবং সন্ধ্যায় মশার কামড়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • মশার বিস্তার রোধঃ ঘরের আশেপাশে কোথাও পানি জমতে দেবেন না, কারণ এডিস মশা জমা পানিতে ডিম পাড়ে। ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, খালি কৌটা, এবং অন্যান্য স্থানগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
  • পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাঃ ঘরের ভিতরে এবং বাইরে পরিষ্কার রাখুন। যেখানে পানি জমতে পারে, এমন জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
  • মশা প্রতিরোধক ব্যবহারঃ মশা তাড়ানোর ক্রিম, স্প্রে বা কয়েল ব্যবহার করুন। মশা তাড়ানোর জন্য নেট বা গ্রিল যুক্ত জানালা দরজা ব্যবহার করুন।
  • সম্পূর্ণ পোশাক পরিধানঃ মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে সম্পূর্ণ হাত এবং পায়ের পোশাক পরার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে যারা মশার কামড়ের সম্ভাবনা বেশি তাদের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
  • সরকারি নির্দেশনা মেনে চলাঃ ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা ও প্রচারণা অনুসরণ করুন। ডেঙ্গু আক্রান্ত এলাকায় সচেতনতা বাড়াতে কাজ করুন। যাতে সবাই সুরক্ষিত থাকে।

এইসব সতর্কতা মেনে চললে ডেঙ্গুর ঝুঁকি কমানো সম্ভব। তবে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণঃ

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণগুলি সাধারণত সংক্রমণের ৪-১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ পায়। ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণগুলো নিম্নে দেওয়া হলোঃ

  1. উচ্চ জ্বরঃ ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ হলো হঠাৎ করে তীব্র জ্বর হওয়া। এই জ্বর সাধারণত ১০৪°F (৪০°C) বা তার বেশি হতে পারে।
  2. তীব্র মাথাব্যথাঃ মাথার সামনের দিকে এবং চোখের পিছনে তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে শুরু করে।
  3. পেশী এবং গাঁটে ব্যথাঃ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে পেশী এবং গাঁটে তীব্র ব্যথা হতে পারে, যা ডেঙ্গুকে "ব্রেকবোন ফিভার" নামেও পরিচিত করে।
  4. চামড়ায় ফুসকুড়িঃ ডেঙ্গুর অন্যান্য লক্ষণের সঙ্গে চামড়ায় ফুসকুড়ি বা লালচে দাগ দেখা যেতে পারে। যা প্রায়শই জ্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে দেখা দেয়।
  5. বমি বমি ভাব এবং বমিঃ ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই বমি বমি ভাব বা বমি অনুভব করেন।
  6. ক্ষুধামন্দাঃ ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে খাবারের প্রতি অনীহা দেখা যায় এবং তারা খাবার খেতে অস্বস্তি অনুভব করতে পারে।
  7. গলা ব্যথা এবং চোখের পিছনে ব্যথাঃ কিছু ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে গলা ব্যথা এবং চোখের পিছনে তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
  8. রক্তপাতঃ গুরুতর ডেঙ্গু ক্ষেত্রে নাক, মাড়ি বা ত্বক থেকে রক্তপাত হতে পারে। এছাড়াও, মলের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে।

যদি উপরের লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি দেখা যায়, তবে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডেঙ্গু রোগ যথাযথ চিকিৎসা ছাড়া মারাত্মক হতে পারে, তাই সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে কি করণীয়ঃ

ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচার উপায় আমরা উপরের তথ্য থেকে পেয়েছি। এবার জানবো যে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় কিছু করা দরকার যা আমাদের অনুসরণ করা উচিতঃ

  • মশা নিয়ন্ত্রণঃ ডেঙ্গু মূলত এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। তাই মশার বিস্তার রোধ করার জন্য বাসা-বাড়ির আশেপাশে পানি জমে না রাখতে হবে। ফুলের টব, ব্যবহৃত টায়ার, কৌটা, ফ্রিজের পিছনে বা এয়ার কুলারের পানি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
  • মশারি এবং মশা প্রতিরোধক ব্যবহারঃ দিনে এবং রাতে মশারির নিচে ঘুমানো উচিত। এছাড়াও, মশা তাড়ানোর ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করা উচিত। বিশেষত সন্ধ্যা এবং ভোরের সময়, যখন এডিস মশা বেশি সক্রিয় থাকে।
  • পরিধানঃ এমন পোশাক পরা উচিত যা শরীরের বেশিরভাগ অংশ ঢেকে রাখে, বিশেষত যেখানে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি। যাতে করে মশারা কোন ধরনের দি দিয়ে কামড়াতে না পারে।
  • বাসার আশেপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাঃ ডেঙ্গু মশা সাধারণত বাড়ির আশেপাশের জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে। তাই আশেপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে এবং মশার বংশবৃদ্ধির স্থানগুলো ধ্বংস করতে হবে।
  • মশার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকারঃ লেমনগ্রাস, নিম, তেজপাতা ইত্যাদি প্রাকৃতিক মশা তাড়ানোর উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • জনসচেতনতা বৃদ্ধিঃ ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন করতে হবে এবং সবাইকে মশার বিস্তার রোধে উদ্যোগী হতে হবে। সবাইকে সতর্ক করতে হবে।
  • প্রচারণা এবং সেবাঃ স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলা উচিত। এবং এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণের প্রচারণায় অংশ নেওয়া উচিত।

ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সচেতনতা এবং সমাজের সমন্বিত প্রচেষ্টাই মূল চাবিকাঠি। সতর্ক থাকুন এবং ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষিত থাকুন।

ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকেঃ

ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই সময়সীমা ১০ দিন পর্যন্তও হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো সাধারণত সংক্রমণের ৪ থেকে ৭ দিন পর শুরু হয়। প্রথমে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, মাংসপেশি ও গিরায় ব্যথা এবং চামড়ায় ফুসকুড়ির মতো লক্ষণ দেখা দেয়।

আরো পড়ুনঃ বিশেষজ্ঞদের মতে ব্রেন টিউমার হলে কীভাবে সহজে রক্ষা পাবেন জেনে নিন?

জ্বর কমার পরেও দুর্বলতা ও ক্লান্তি কিছুদিন ধরে থাকতে পারে। তবে গুরুতর অবস্থায় ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হতে পারে, যা জীবনঘাতী হতে পারে। তাই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচতে কি কি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা উচিতঃ

ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচতে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে এবং দিনে-রাতে পুরো শরীর ঢেকে রাখার মতো পোশাক পরতে হবে। যাতে করে আপনার শরীরে কোনো ধরনের রোগ প্রবেশ করাতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

দ্বিতীয়ত, বাড়ির চারপাশে জমে থাকা পানির উৎসগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। যেমনঃ ফুলের টব, ব্যবহৃত টায়ার, ক্যান, এবং অন্যান্য জিনিস যেখানে পানি জমতে পারে। তৃতীয়ত, মশা নিরোধক স্প্রে বা লোশন ব্যবহার করা এবং ঘরে মশা তাড়ানোর জন্য ভালো মানের মশার কয়েল বা ইলেকট্রনিক মশা তাড়ানোর যন্ত্র ব্যবহার করা উচিত।

এছাড়া, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে বাড়ির ভেতরে ও বাইরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা দরকার, যা ডেঙ্গু ছড়ানোর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।

ডেঙ্গু রোগের কারণ কিঃ

ডেঙ্গু রোগের প্রধান কারণ হলো ডেঙ্গু ভাইরাস, যা এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার পানিতে জন্মায় এবং দিনের বেলায় বেশি সক্রিয় থাকে। ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি প্রধান ধরন রয়েছে। যার যে কোন একটি সংক্রমিত মশার কামড়ের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে।

আরো পড়ুনঃ চিকিৎসকের মতে, হার্ট আট্যাক হলে রক্ষা পাওয়ার কাজ গুলো জেনে নিন?

একবার একজন ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে, সেই ভাইরাসটি তার রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে এবং জ্বর, মাথাব্যথা, মাংসপেশির ব্যথা, এবং গাঁটে ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। তাই, ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের জন্য এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং মশার কামড় থেকে সুরক্ষা পাওয়া জরুরি বেঁচে থাকার জন্য।

ডেঙ্গু রোগীদের খাবারের তালিকাঃ

ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচার উপায় আমরা জেনেছি। এই ডেঙ্গু রোগ যদি কোনো ব্যাক্তির হয়ে থাকে। তাহলে তাকে কিছু খাবারের বিধি-বিধান মেনে চলতে হয়। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পুষ্টিকর এবং সহজপাচ্য খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ডেঙ্গুর সময় শরীরের পানিশূন্যতা এবং রক্তের প্লাটিলেট কমে যায়, তাই খাবারের মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ করা উচিত। ডেঙ্গু রোগীদের খাবারের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলোঃ

( পানি ও ফলের রস ) প্রচুর পানি পান করতে হবে। এছাড়া, নারকেলের পানি, লেবুর রস, তাজা ফলের রস (যেমন: পেঁপে, কমলা) এবং ওরাল স্যালাইন খাওয়া উচিত। 

( ফলমূল ) পেঁপে, কমলা, আম, কলা, আপেল, এবং পেঁপে পাতার রস খাওয়া উপকারী হতে পারে, কারণ এগুলো শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ডেঙ্গু-রোগীদের-খাবারের-তালিকা
ডেঙ্গু-রোগীদের-খাবারের-তালিকা        

( সবজি ) ভিটামিন এবং খনিজসমৃদ্ধ সবজি, যেমন গাজর, বীট, শসা, শাক-সবজি খাওয়া উচিত।

( প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ) সেদ্ধ ডিম, চিকেন স্যুপ, মুরগির মাংস, মাছ, এবং সয়া প্রোটিন খাওয়া ভালো।

আরো পড়ুনঃ এপিন্ডিক্স রোগ থেকে কীভাবে সহজে মুক্তি পেতে পারেন জেনে নিন?

( কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার ) খিচুড়ি, ওটস, সবুজ সবজি দিয়ে তৈরি হালকা স্যুপ, দুধ-ভাত, এবং নরম রুটি খাওয়া যেতে পারে।

( বাদাম ও বীজ ) কাজু, বাদাম, আখরোট, এবং সূর্যমুখী বীজ শরীরের শক্তি যোগাতে সহায়ক।

ডেঙ্গু রোগের সময় হালকা এবং সহজপাচ্য খাবার খাওয়া উচিত, যাতে হজমের সমস্যা না হয়। রোগীকে বারবার অল্প পরিমাণে খেতে উৎসাহিত করতে হবে এবং চিনি ও মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরছেন যে আপনি কিভাবে ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচার উপায় গুলো জানবেন। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলো কি-কি হতে পারে।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.........www.stylishsm.com




( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )























এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url