আল্বার্ট অইনস্টাইন এর জন্ম কত সালে - আল্বার্ট অইনস্টাইন কিসের জনক? জেনে নিন বিস্তারিত?

আজকে আমরা জানবো যে আল্বার্ট অইনস্টাইন এর জন্ম কত সালে হয়েছিলো। এবং তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে আল্বার্ট অইনস্টাইন কিসের জনক। তিনি কি-কি আবিষ্কার করেছেন। আসুন জানি?

ভূমিকাঃ

সাইন্সের একজন বড় তারোকা হচ্ছে এই আল্বার্ট অইনস্টাইন। পুরো বিশ্বজুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ও মানুষের কাছে এই ব্যাক্তি পরিচিত। তিনি তার জীবনে অনেক রিসার্চ করেছেন।

আল্বার্ট-অইনস্টাইন-এর-জন্ম-কত-সালে
আল্বার্ট-অইনস্টাইন-এর-জন্ম-কত-সালে        

তাই এখন স্পষ্টভাবে জেনে নিবো যে আল্বার্ট অইনস্টাইন এর জন্ম কত সালে হয়েছিল এবং তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে আল্বার্ট অইনস্টাইন কিসের জনক ছিলেন। সব কিছু বিস্তারিত......।

আল্বার্ট অইনস্টাইন এর জন্ম কত সালেঃ

আল্বার্ট অইনস্টাইন সাইন্সের একজন বড় তারোকা হিসাবে পুরো পৃথিবীর কাছে পরিচত। তিনি সাইন্সের দুনিয়া রাজত্ব করেছেন। এই আল্বার্ট অইনস্টাইন জন্ম করেন ১৮৭৯ সালে ১৪ই মার্চ। তিনি একটি মধ্যবিত্ত ফ্যামেলিতে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।

আরো পড়ুনঃ স্টফিন হকিং কি ধরনের সাইন্সটিস ছিলেন বিস্তারিত জেনে নিন?

আল্বার্ট অইনস্টাইন কিসের জনকঃ

আল্বার্ট অইনস্টাইন তার জীবনে সে অনেক ধরনের জিনিস নিয়ে রিসার্চ করে গেছেন। তিনি বেশির ভাগ কঠিন জিনিস নিয়ে রিসার্চ করতে ভালবাসত। যেমনঃ গণিত। তিনি বাকি সব গুলোকে কাচা হলেও গণিতে বিষেষভাবে পাকাপুক্ত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের জিনিস নিয়ে রিসার্চ করতে ভালবাসেন। এই জন্য তাকে পৃথিবীর আপেক্ষিকতার তত্ত্বের জনক বলা হয়ে থাকে।

আল্বার্ট অইনস্টাইন ৪০টি মজার কাহিনীঃ

আলবার্ট আইনস্টাইনের জীবনে অনেক মজার কাহিনী আছে। তিনি ১৯৫১ সালের ১৪ মার্চ, আইনস্টাইনের ৭২তম জন্মদিনে, তিনি প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা তাকে ছবি তোলার জন্য অনুরোধ করেন। অনেক ছবি তোলার পর এক পর্যায়ে আইনস্টাইন ক্লান্ত হয়ে যান এবং কিছু মজার মজা ছবি তুলেন। তার জীবনে ঘটে জাবা কিছু মজার কাহিনী নিম্নে দেওয়া হলোঃ 

  • জিভ বের করা ছবিঃ জন্মদিনে ক্লান্ত হয়ে জিভ বের করে ছবি তুলেছিলেন।
  • সাংবাদিকের প্রশ্নঃ একবার এক সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, "আপনি কি রোজ একই স্যুট পরেন?" আইনস্টাইন উত্তর দিয়েছিলেন, "আমার প্রতিদিন সকালে কী পরবো এটা ভাবার সময় নেই।"
  • বাসায় ফেরাঃ একবার বাসা খুঁজে পাচ্ছিলেন না এবং এক বন্ধুকে ফোন করে বাসার ঠিকানা জানতে চেয়েছিলেন।
  • কনফারেন্সে ঘুমঃ কনফারেন্সে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এবং হঠাৎ জেগে উঠে বলেছিলেন, "আপনার প্রশ্নের উত্তর হল ৭২।"
  • পায়জামা পরিহিতঃ একবার কোনো অনুষ্ঠান থেকে ফিরে এসে দেখতে পেলেন বাসায় অতিথি এসেছে। তখন তিনি পায়জামা পরেই অতিথিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
  • নিউটনের গল্পঃ ছাত্রদের বলেছিলেন, "আপনারা নিউটনের থিওরি বুঝলে, আমি খুশি হব। কারণ আমি নিজে তা পুরোপুরি বুঝতে পারিনি।"
  • জায়গা নেইঃ একবার ট্রেনের টিকিট পরীক্ষা করা হোলো এবং আইনস্টাইন তার পকেট, ব্যাগ সব জায়গায় খুঁজে দেখলেন কিন্তু টিকিট খুঁজে পেলেন না। পরবর্তীতে টিকিট পরীক্ষক তাকে চিনে বলেছিল, "টিকিট থাকুক আর না থাকুক, আপনি যেতেই পারেন।"
  • নাম ভুলে যাওয়াঃ একবার একজন বিখ্যাত ব্যক্তির সাথে পরিচয় করানো হলে আইনস্টাইন তার নাম ভুলে গিয়েছিলেন।
  • বাইসাইকেল চালানোঃ তিনি বলেছিলেন, "জীবন বাইসাইকেল চালানোর মতো, আপনার ভারসাম্য রাখতে চলতে হবে।"
  • চুলের পরিচর্যাঃ আইনস্টাইন বলতেন, "আমি চুলের সাথে বেশি ঝামেলা করি না। কারণ এতে আমার ব্রেইন বেশি কাজ করে।"
  • মহাকর্ষঃ তিনি বলেছিলেন, "মহাকর্ষ সময়কালীন মহাবিশ্বের টানাপোড়েন।"
  • বাইরের খাওয়াঃ আইনস্টাইন বলেছিলেন, "বাইরে খেতে গেলে, সব সময় বেশি খাবার অর্ডার করি। কারণ আমি ভালো রান্না করতে পারি না।"
  • খালি বোতলঃ একবার এক সাংবাদিককে খালি বোতল দেখিয়ে বলেছিলেন, "আমার সব কাজ শেষ, এবার বোতল ভরার পালা।"
  • চিঠি লেখাঃ একবার ভুলে গিয়ে নিজের নামেই চিঠি লিখেছিলেন।
  • কনসার্টে ঘুমানোঃ একবার এক কনসার্টে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এবং পরে বলেছিলেন, "সুরের মধ্যে মাধুর্য ছিল।"
  • প্যারিস সফরঃ প্যারিস সফরের সময় ভুল করে টাওয়ারে না গিয়েই টাওয়ারে যাওয়ার গল্প করেছিলেন।
  • বাচ্চাদের প্রশ্নঃ বাচ্চাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেছিলেন, "তোমরা যা জানো তা আমি জানি না।"
  • মহাকাশঃ তিনি বলেছিলেন, "মহাকাশে কোনও স্থান নেই, তাই যা করতে চাই তা করি।"
  • বিশ্রামঃ আইনস্টাইন বলতেন, "বিশ্রামই সৃজনশীলতার মূল।"
  • বিয়েঃ একবার এক বন্ধু তাকে বলেছিল, "তোমার কাজের জন্য বিয়ে করতে পারবে না।" আইনস্টাইন বলেছিলেন, "আমি তো কাজেই বিয়ে করে ফেলেছি।"
  • ঘড়িঃ আইনস্টাইন বলতেন, "ঘড়ি দেখার জন্য সময় নেই।"
  • দুধঃ একবার দুধ খেতে ভুলে গিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, "দুধ তো পানি।"
  • সাধারণ জ্ঞানঃ তিনি বলতেন, "সাধারণ জ্ঞান একটি বিপদ, যা দিয়ে বিশেষ কিছু বোঝা যায় না।"
  • বিচারকঃ একবার বিচারকের সামনে নিজের পক্ষে কথা বলেছিলেন, "আমি তো কেবল নিয়ম ভেঙেছি, নিয়ম তৈরি করিনি।"
  • গানঃ তিনি বলতেন, "গান ছাড়া আমার কোনো জীবন নেই।"
  • দর্শনঃ দর্শনের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, "আমি তো বিজ্ঞানী, দার্শনিক নই।"
  • ঘড়ির সময়ঃ ঘড়ির সময় মিলিয়ে বলেছিলেন, "যতক্ষণ পর্যন্ত ঘড়ি সঠিক সময় দেখাচ্ছে, আমি নিশ্চিন্ত।"
  • শক্তিঃ আইনস্টাইন বলতেন, "শক্তি হল ভীতি, যা আপনি দেখাতে পারেন।"
  • বইঃ একবার বলেছিলেন, "আমি বইয়ের ভিতরেই থাকি।"
  • ঘুমানোঃ তিনি বলতেন, "ঘুম ছাড়া কিছুই হয় না।"
  • খেলনাঃ একবার বলেছিলেন, "খেলনা ছাড়া আমার দিন চলে না।"
  • চিঠিঃ একবার চিঠি লিখতে গিয়ে ভুল ঠিকানায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
  • চিত্রকলাঃ একবার একটি চিত্রকর্ম দেখে বলেছিলেন, "এটি তো কিছুই নয়।"
  • পেঁয়াজঃ তিনি বলতেন, "পেঁয়াজ ছাড়া রান্না অসম্পূর্ণ।"
  • বাইকঃ বাইক চালাতে গিয়ে বলেছিলেন, "বাইক ছাড়া জীবন অসম্পূর্ণ।"
  • সুরঃ তিনি বলতেন, "সুরের মধ্যে জীবনের মানে লুকিয়ে আছে।"
  • মহাকর্ষঃ মহাকর্ষ বোঝানোর সময় বলেছিলেন, "এটি তো জীবন।"
  • রসায়নঃ রসায়নের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, "আমি তো রসায়নবিদ নই।"
  • অঙ্কঃ তিনি বলতেন, "অঙ্ক হলো জীবনের মানে।"
  • মানুষের মনঃ মানুষের মনের কথা জানতে চাইলে বলেছিলেন, "আমি তো মনোবিজ্ঞানী নই।"

আইনস্টাইনের এই মজার কাহিনীগুলো তাকে এক অসাধারণ এবং হাস্যরসিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রমাণ করে। 

আল্বার্ট অইনস্টাইন এর বাণীঃ

আলবার্ট আইনস্টাইনের অনেক বাণী আছে যা মানবজাতির জন্য শিক্ষণীয় ও প্রেরণাদায়ক। এখানে তার কিছু উল্লেখযোগ্য বাণী দেওয়া হলো। আসা করি যে আপনাদের ভাল লাগবেঃ

  • কল্পনা জ্ঞানের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কল্পনা সারা বিশ্বকে ঘুরে দেখতে পারে।
  • জীবন সাইকেল চালানোর মতো। ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে আপনাকে চলতেই হবে।
  • সফল ব্যক্তি হওয়ার চেষ্টা করবেন না, বরং মূল্যবান ব্যক্তি হওয়ার চেষ্টা করুন।
  • অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত হলো এক মহামায়া, যা কেবল একটি অবিরাম চলমান প্রবাহ।
  • আপনি যদি তা সহজভাবে ব্যাখ্যা করতে না পারেন। তবে আপনি তা যথেষ্ট ভালোভাবে বোঝেননি।
আল্বার্ট-অইনস্টাইন-এর-বাণী
আল্বার্ট-অইনস্টাইন-এর-বাণী        
  • একজন মানুষ তার জীবনের মূল্যায়ন করে তার লক্ষ্য ও আশার সাথে মিলিয়ে।
  • অসীম হলো দুটি জিনিসঃ মহাবিশ্ব এবং মানুষের নির্বুদ্ধিতা। এবং আমি মহাবিশ্ব সম্পর্কে নিশ্চিত নই।
  • প্রকৃতির দিকে গভীরভাবে তাকান, এবং আপনি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
  • শিক্ষা হলো যা কেউ আপনার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারে না, এমন একটি সম্পদ।
  • একটি সমস্যা সমাধান করার জন্য আপনাকে তা তৈরি করার সময়ের চেয়ে একটি ভিন্ন মানসিকতায় থাকতে হবে।
  • বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম পঙ্গু, আর ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান অন্ধ।
  • মিথ্যার চেয়ে একটি সত্য কথা বেশি কার্যকর।
  • কল্পনা আপনার গন্তব্য চিহ্নিত করে। জ্ঞান আপনাকে সেখানে পৌঁছে দেয়।
  • আমি এমন কোনো প্রতিভাবান নই। আমি কেবল কৌতূহলী।
  • যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি ভুল করছেন, আপনি নতুন কিছু শেখার পথে রয়েছেন।

আইনস্টাইনের এই বাণীগুলো জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আমাদের নতুন করে ভাবতে ও উপলব্ধি করতে সহায়ক।

আল্বার্ট অইনস্টাইন কতটা পুরষ্কার জিতেছেনঃ 

আলবার্ট আইনস্টাইন তাঁর জীবদ্দশায় অসাধারণ গবেষণা ও তত্ত্বের জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য পুরস্কার হলঃ

( নোবেল পুরস্কার ) ১৯২১ সালে, আইনস্টাইন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান ফোটোইলেকট্রিক ইফেক্টের ব্যাখ্যার জন্য, যা ছিল কোয়ান্টাম তত্ত্বের অন্যতম প্রধান ভিত্তি।

( ক্যাম্পবার্ড মেডেল ) ১৯২৫ সালে, যুক্তরাজ্যের রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি তাঁকে এই পুরস্কারে ভূষিত করে।

( ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক মেডেল ) ১৯২৯ সালে, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী সমাজ থেকে এই পুরস্কার পান।

( কপলি মেডেল ) ১৯২৫ সালে, রয়্যাল সোসাইটি তাঁকে এই পুরস্কার প্রদান করে। যা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।

এছাড়াও, আইনস্টাইন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থার কাছ থেকে অসংখ্য সম্মানসূচক ডিগ্রি ও পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর গবেষণা ও তত্ত্বগুলি পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতের জগতে অবিস্মরণীয় অবদান রাখার জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।

আল্বার্ট অইনস্টাইন ছেলে ও বউঃ

আল্বার্ট অইনস্টাইন একজন নামকরা সাইন্সটিস ছিলেন পুরো বিশ্বের কাছে। তার ফ্যামেলি জীবন কাহিনী হয়তো অনেক ব্যাক্তির কাছে অজানা একটি বিষয় হয়ে আছে। তাই এখন আমরা আলবার্ট আইনস্টাইন এবং তাঁর পরিবার সম্পর্কে কিছু তথ্য জানবো?

স্ত্রীঃ

মিলেৎভা মেরিকঃ আলবার্ট আইনস্টাইনের প্রথম স্ত্রী। তাঁরা ১৯০৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ১৯১৯ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তাঁদের তিনটি সন্তান ছিল।

এলসা আইনস্টাইনঃ মিলেৎভা মেরিকের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পরে, আইনস্টাইন ১৯১৯ সালে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী এলসা আইনস্টাইনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এলসা ছিলেন আইনস্টাইনের দূর সম্পর্কের কাজিন। এলসার সাথে আইনস্টাইনের কোনো সন্তান ছিল না।

সন্তানঃ

লিজারেল আইনস্টাইনঃ আইনস্টাইন ও মিলেৎভার প্রথম সন্তান, একটি মেয়ে। তাঁর জন্ম হয় ১৯০২ সালে, তবে তাঁর সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয় যে, তিনি শৈশবেই মারা যান বা অন্য কারো কাছে পালিত হন।

হান্স আলবার্ট আইনস্টাইনঃ আইনস্টাইন ও মিলেৎভার প্রথম পুত্র সন্তান, জন্ম ১৯০৪ সালে। তিনি একজন বিশিষ্ট প্রকৌশলী ও অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।

এডুয়ার্ড "টেটো" আইনস্টাইনঃ আইনস্টাইন ও মিলেৎভার দ্বিতীয় পুত্র সন্তান, জন্ম ১৯১০ সালে। তিনি মানসিক অসুস্থতায় ভুগতেন এবং বেশিরভাগ সময় মনোবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানে কাটাতেন। ১৯৬৫ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।

আইনস্টাইনের পরিবার তাঁর জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাঁর সন্তানেরা ও স্ত্রী তাঁকে সবসময় সমর্থন ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

আল্বার্ট অইনস্টাইন কত সালে মৃত্যবরণ করেনঃ

আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯৫৫ সালের ১৮ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যু প্রিন্সটন, নিউ জার্সি, যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে।

আরো পড়ুনঃ ইলন মাস্কের কাছে এতো পরিমাণে টাকা কিভাবে আসলো জেনে রাখুন?

আল্বার্ট অইনস্টাইন এর শিক্ষানীয় জীবন কাহিনীঃ

আলবার্ট আইনস্টাইনের শিক্ষানীয় জীবন কাহিনী অনেকের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর জীবন কাহিনীটি নিম্নে দেওয়া হলোঃ

আলবার্ট আইনস্টাইন ১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চ জার্মানির উলম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় তিনি তেমন মেধাবী ছাত্র ছিলেন না। তাঁর ভাষার দখল এবং কথাবার্তা বলার ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে ধীরগতির ছিল। যা অনেকের কাছে বিস্ময়কর লাগতে পারে। তাঁর শিক্ষকরা পর্যন্ত মনে করতেন, তিনি তেমন মেধাবী নন। কিন্তু আইনস্টাইনের মনে জ্ঞানার্জনের প্রবল আগ্রহ ছিল।

ছোটবেলায় তার বাবা তাকে একটি কম্পাস উপহার দেন এবং সেটি দেখেই আইনস্টাইনের মনে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ জন্মে। স্কুলে তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা খুব একটা ভালোভাবে এগোয়নি, ফলে তাকে বাড়িতেই পড়াশোনা করতে হয়। কিন্তু এই সময়ে তিনি একাগ্রভাবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করতেন। ১৬ বছর বয়সে তিনি তাঁর প্রথম বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ লিখেন, যা ছিল "The Investigation of the State of Aether in Magnetic Fields" নামে পরিচিত।

১৯০৫ সালকে বলা হয় আইনস্টাইনের ‘বিস্ময়কর বছর’ বা “Annus Mirabilis”। এই বছরে তিনি বিশেষ আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্বসহ (Special Theory of Relativity) চারটি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। এর মধ্যে বিখ্যাত সূত্র ( 𝐸=𝑚𝑐2 ) অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা ভর ও শক্তির সম্পর্ক প্রকাশ করে।

আইনস্টাইনের জীবনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তার অধ্যাবসায় এবং কৌতূহল। তিনি কখনোই সহজভাবে কোন কিছু মেনে নিতেন না। বরং সব কিছু খুঁটিয়ে দেখার চেষ্টা করতেন। তার এই বৈশিষ্ট্য তাকে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সমস্যার সমাধান করতে সহায়তা করেছে।

আইনস্টাইন ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা ছিল তার জীবনের অন্যতম প্রধান অর্জন।

আলবার্ট আইনস্টাইনের জীবন আমাদের শেখায় যে মেধা এবং কৃতিত্বের চাইতেও অধ্যবসায়, কৌতূহল এবং একাগ্রতা জীবনে সফলতার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরছেন আল্বার্ট অইনস্টাইন এর জন্ম কত সালে হয়েছিল। এবং তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে আল্বার্ট অইনস্টাইন কিসের জনক বলা হয়ে থাকে। পুরো পৃথিবীর মানুষ কেন তাকে চিনে।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.........www.stylishsm.com




( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )





































এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url