ট্রেনের টিকিট কিভাবে কাটতে হয় - ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম কি? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে কিভাবে আপনি খুব সহজে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। কোনো কিছু ভেঝাল ছাড়া। তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে ট্রেনের টিকিটে ভ্যাট কত টাকা নেয় সরকার। আসুন জানি?

ভূমিকাঃ

বাংলাদেশের মানুষ বেশির ভাগ ট্রেনে জায়ায়াত করতে পছন্দ করে থাকে। কেননা ট্রেনের টিকিট একটু কম খরচে হয়ে যায়।

ট্রেনের-টিকিট-কিভাবে-কাটতে-হয়
ট্রেনের-টিকিট-কিভাবে-কাটতে-হয়            

তাই আজকে আমারা জানবো যে সহজ পরিমাণে ট্রেনের টিকিট কিভাবে কাটতে হয়। এবং তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে ট্রেনের টিকিটে ভ্যাট কত টাকা দিতে সাধারণ জনগণকে।

ট্রেনের টিকিট কিভাবে কাটতে হয়ঃ

ট্রেনের টিকিট কাটার প্রক্রিয়া বেশ সহজ। প্রথমে আপনাকে নিকটস্থ বাংলাদেশ রেলওয়ে স্টেশন যেতে হবে। স্টেশনে একটি টিকিট কাউন্টার থাকে যেখানে আপনি ট্রেনের টিকিট কিনতে পারেন। কাউন্টারে গিয়ে আপনার যাত্রার তারিখ, গন্তব্য, এবং ট্রেনের শ্রেণি (যেমন শোভন, শোভন চেয়ার, এসি ইত্যাদি) জানাতে হবে। এরপর টিকিট কাউন্টারের কর্মচারী আপনাকে টিকিটের মূল্য জানাবেন এবং আপনি সেই অনুযায়ী টিকিটের মূল্য পরিশোধ করবেন।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে খুব সহজে বাসের টিকিট কাটবেন কাউন্টার ও অনলাইনে জেনে নিন?

এছাড়াও, আপনি অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারেন। এজন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য প্রথমে ওয়েবসাইটে বা অ্যাপে লগইন করতে হবে, তারপর আপনার যাত্রার তারিখ, গন্তব্য, এবং ট্রেনের শ্রেণি নির্বাচন করতে হবে। এরপর আপনার পছন্দের ট্রেন নির্বাচন করে অনলাইন পেমেন্ট করতে হবে।

পেমেন্ট সফল হলে, আপনি ই-টিকিট পাবেন যা আপনি প্রিন্ট করে বা মোবাইলে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। ট্রেনের টিকিট কাটার এই পদ্ধতিগুলো সহজ এবং সুবিধাজনক।

ট্রেনের টিকিটে ভ্যাট কত টাকাঃ

ট্রেনের টিকিট কাটতে হলে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে হয়। যেমনঃ অনলাইন, কাউন্টার ইত্যাদি। এই ট্রেনের টিকিট আমরা যখন কাটি তার সাথে সাথে আমাদের কাছ থেকে এই টিকিটের ভ্যাট কাটা হয়। একটি টিকিটের ভ্যাট পরে প্রায় ১৫%।

কতদিন আগে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়ঃ

ট্রেনের টিকিট বাংলাদেশে রেলওয়ে আপনি ৫ দিন আগে গেলে টিকিট কাটতে পারবেন। আর যদি কোন ঈদ বা পূজা হয়। সে অপলক্ষে ট্রেনের টিকিট সাধারণত যাত্রার ১০ দিন আগে থেকে কাটতে হবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে এই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে সবাই আগে থেকেই নিজেদের যাত্রার পরিকল্পনা করতে পারে এবং সহজেই টিকিট সংগ্রহ করতে পারে।

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়মঃ

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম গুলো নিম্নে দেওয়া হলো। যাতে করে আপ্নিখুব সহজে এই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারেন।

  • বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করাঃ

প্রথমে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://www.esheba.cnsbd.com) অথবা "Rail Sheba" অ্যাপ ডাউনলোড করে নিবন্ধন করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে খুব সহজে আপনি লঞ্চের টিকিট কাটবেন জেনে নিন?

  •  একাউন্ট তৈরি করাঃ

নতুন ব্যবহারকারী হলে, প্রথমে নিজের একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এজন্য নাম, মোবাইল নম্বর, ইমেইল আইডি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।

  • লগইন করা

নিবন্ধন শেষে ওয়েবসাইটে বা অ্যাপে লগইন করতে হবে।

  •  টিকিট বুকিংঃ

লগইন করার পর, যাত্রার তারিখ, স্টেশন নাম, গন্তব্য স্টেশন এবং ক্লাস নির্বাচন করতে হবে।

  •  ট্রেন নির্বাচনঃ

যাত্রার সকল ট্রেনের তালিকা প্রদর্শিত হবে। আপনার সুবিধামতো ট্রেনটি নির্বাচন করতে হবে।

  •  যাত্রী তথ্য প্রদানঃ

এরপর যাত্রীদের নাম, বয়স, লিঙ্গ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে খুব সহজে বিমানের টিকিট কাটবেন জেনে রাখুন?

  •  পেমেন্ট করাঃ

টিকিট মূল্য পরিশোধ করতে হবে। পেমেন্টের জন্য বিকাশ, নগদ, রকেট, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।

  •  টিকিট কনফার্মেশনঃ

পেমেন্ট সফল হলে, টিকিট নিশ্চিতকরণ মেসেজ এবং ইমেইল পাবেন। এই মেসেজটি সেভ করে রাখুন, যেটি ভ্রমণের সময় আপনার সাথে রাখতে হবে।

  •  প্রিন্ট বা ই-টিকিটঃ

আপনি ইচ্ছে করলে টিকিটটি প্রিন্ট করতে পারেন অথবা ই-টিকিট হিসেবে মোবাইলে সেভ করে রাখতে পারেন।

এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনি অনলাইনে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।

কিভাবে ট্রেনের টিকিট রেজিস্ট্রশন  করেঃ

আপনি যদি রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ট্রেনের টিকিট কাটতে চান। তাহলে আপনি কাটতে পারবেন না। কারণ আপনার ফোন নম্বর যদি রেজিস্ট্রেসন করা না থাকে তাহলে আপনি টিকিট কাটতে পারবেন না। আপনি কিভাবে খুব সহজে রেজিস্ট্রেশন করবেন তা নিন্নে দেওয়া হলোঃ

ওয়েবসাইট/অ্যাপ ডাউনলোডঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://www.esheba.cnsbd.com) এ যান অথবা "Rail Sheba" অ্যাপ ডাউনলোড করুন।

  1.  একাউন্ট তৈরঃ নতুন একাউন্ট তৈরি করতে নাম, মোবাইল নম্বর, ইমেইল আইডি প্রদান করুন।
  2. লগইনঃ নিবন্ধন সম্পন্ন হলে লগইন করুন।
  3.  টিকিট বুকিংঃ যাত্রার তারিখ, স্টেশন, গন্তব্য এবং ক্লাস নির্বাচন করে ট্রেন বাছাই করুন।
  4.  যাত্রী তথ্যঃ যাত্রীর নাম, বয়স, লিঙ্গ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর প্রদান করুন।
  5.  পেমেন্টঃ বিকাশ, নগদ, রকেট অথবা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করুন।
  6.  টিকিট কনফার্মেশনঃ পেমেন্ট সফল হলে টিকিট নিশ্চিতকরণ মেসেজ এবং ইমেইল পাবেন।

এইভাবে সহজেই ট্রেনের টিকিট রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়মঃ

ট্রেনের টিকিট ফেরত আপনি দেওয়ার কিছু নিয়ম আছে। যেগুলো আপনি যদি মেনে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজে ট্রেনের টিকিট ফেরত দিতে পারবেন। তাহলোঃ

ট্রেনের-টিকিট-ফেরত-দেওয়ার-নিয়ম
ট্রেনের-টিকিট-ফেরত-দেওয়ার-নিয়ম        

  •  স্টেশন ক্যান্সেলেশন কাউন্টারঃ টিকিট ক্যান্সেল করতে সংশ্লিষ্ট স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে যান। 
  •  সময়সীমাঃ যাত্রার নির্ধারিত সময়ের আগে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে টিকিট ফেরত দিতে হবে। সাধারণত যাত্রার ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত টিকিট ফেরত দেওয়া যায়।
  •  আবেদন ফরম পূরণঃ টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আবেদন ফরম পূরণ করুন।
  • ফি বাতিলঃ টিকিট ফেরত দেওয়ার সময় আপনার কিছু ফি বাতিল  করা হবে।
  •  প্রমাণপত্রঃ টিকিট এবং জাতীয় পরিচয়পত্র বা অন্যান্য প্রমাণপত্র নিয়ে যান।

এই নিয়মগুলি মেনে সহজেই ট্রেনের টিকিট ফেরত দিতে পারবেন।

কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়মঃ

ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য প্রথমে আপনাকে নিকটস্থ বাংলাদেশ রেলওয়ে স্টেশনে যেতে হবে। স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে পৌঁছে নির্দিষ্ট ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে চাইলে, যাত্রার তারিখ, গন্তব্য এবং ট্রেনের নাম উল্লেখ করে টিকিট কাউন্টার থেকে ইনফরমেশন সংগ্রহ করুন। এরপর আপনার সিরিয়াল এলে টিকিট কাউন্টারে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে টিকিট ক্রয় করতে হবে।

টিকিট কাটার সময় সঠিক ভাড়া প্রদান করুন এবং টিকিট সংগ্রহ করে নিন। টিকিট কাটার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন ট্রেনের টিকিট কিভাবে কাটতে হয় কোনো ধরনের ভেঝাল ছাড়া। তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে ট্রেনের টিকিটে ভ্যাট কত টাকা কাটে সরকার জনগণের কাছে থেকে।

ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের কাছে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.........www.stylishsm.com




( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )





































এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url