নেইমার কয়টি বিশ্বকাপ খেলেছে- ফুটবলের রাজা কে? বিস্তারিত জেনে নিন?
আজকে আমরা জানবো যে ব্রেজিল সারভারের নেইমার কয়টি বিশ্বকাপ খেলেছে এবং তার জীবন কাহিনী। ও তার সাথে এটাও জানবো যে ফুটবলের রাজা কে? আসুন জেনে নি সব কিছু বিস্তারিত......।
ভূমিকাঃ
ফুটবল খেলা এটা শুধু একটা নাম। যারা ফুটবল খেলা পছন্দ করেন তাদের জন্য এই ফুটবল খেলা একটা ফিলিংন্স এর বিষয়। এই ফুটবল খেলা দেখার জন্য মানুষ ৪ বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকে।
নেইমার-কয়টি-বিশ্বকাপ-খেলেছে |
তাই আজকে আমরা জানবো যে নেইমার কয়টি বিশ্বকাপ খেলেছে এবং তার জীবন কাহিনী কি ধরনের ছিলো। ও ফুটবলের রাজা কে সে বিষয় নিয়ে আজকে আমাদের আলোচনা। আসুন জেনে নেওয়া যাক?
নেইমার কয়টি বিশ্বকাপ খেলেছেঃ
নেইমার জুনিয়র (Neymar Jr.) ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে দুটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও, তিনি ২০২২ সালে তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলেছেন। সেই অনুযায়ী, নেইমার মোট তিনটি বিশ্বকাপে খেলেছেন। এ ছাড়া তার কোনো রেকর্ড পাওয়া যায় নি।
আরো পড়ুনঃ লিওনেল মেসির ভক্ত কেন হয়ে যায় মানুষ?
ফুটবলের রাজা কেঃ
ফুটবলের রাজা হিসেবে ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার "পেলে" (Pelé) নাম সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করা হয়। তিনি ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত এবং তার অসাধারণ দক্ষতা, গোল করার ক্ষমতা এবং মাঠে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতার জন্য তাকে ফুটবলের রাজা বলা হয়। এ ছাড়া পেলে মোট ৪টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। তিনি ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬ এবং ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। পেলে ১৯৫৮, ১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিততে সহায়তা করেন, যা তাকে ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
নেইমারের ধর্ম কিঃ
নেইমার একজন খ্রিস্টান। তিনি খ্রিস্টধর্ম অনুসরণ করেন এবং তার বিশ্বাসের প্রতি গভীর আস্থা রাখেন। নেইমার প্রায়ই তার খেলার সময় এবং ব্যক্তিগত জীবনে তার ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটান। তিনি সব দিকে মেনে চলেন।
নেইমারের স্ত্রী ও সন্তানঃ
আসুন আমরা জেনে নি যে নেইমারের স্ত্রী ও সন্তান কয়টি ও তার স্ত্রীর সমন্ধে।
- নেইমারের স্ত্রী
নেইমার বর্তমানে বিবাহিত নন। তবে, তার প্রেমিকা ব্রুনা মার্কেজিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক বেশ পরিচিত। ব্রুনা মার্কেজিন একজন ব্রাজিলিয়ান অভিনেত্রী এবং মডেল। তাদের সম্পর্কটি অনেকবার শুরু এবং শেষ হয়েছে, যা মিডিয়াতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
- নেইমারের সন্তান
নেইমারের একটি সন্তান আছে। তার ছেলের নাম "ডাভি লুকা" দা সিলভা সান্তোস। ডাভি লুকা জন্মগ্রহণ করেন ২০১১ সালের ২৪ আগস্ট। দাভি লুকার মা কারোলিনা দান্তাস, যিনি নেইমারের প্রাক্তন বান্ধবী।
নেইমার তার ছেলের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন এবং সামাজিক মিডিয়ায় প্রায়ই তাদের একসঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেন।
নেইমারের বাড়ি কোথায়ঃ
নেইমারের বাড়ি ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে অবস্থিত। তিনি বার্সেলোনায় খেলার সময় স্পেনেও বসবাস করতেন এবং প্যারিস সেন্ট-জার্মেইন (PSG) দলে যোগ দেওয়ার পর প্যারিসে কিছু সময় কাটিয়েছেন। নেইমারের পরিবারের প্রধান বাড়িটি সাও পাওলোতে থাকলেও, তার বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সম্পত্তি রয়েছে।
নেইমারের কাছে কতগুলো সোনার বুট আছেঃ
নেইমার একজন ভালো ফুটবল খেলোয়ার। তিনি তার প্রতিভা দেখিয়ে মানুষকে মুগ্ধ করেছেন। তার ডিব্লিং শর্ট ও ফুটবল কাটানো দেখে মানুষ মুগ্ধ হয়ে জেত। নেইমারের কাছে সঠিক কতগুলো সোনার বুট (গোল্ডেন বুট) আছে তা জানার জন্য নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। সোনার বুট সাধারণত গোলদাতা হিসেবে প্রদর্শিত হয় এবং এটি বিভিন্ন লিগ এবং টুর্নামেন্টে অর্জন করা হতে পারে। নেইমার অনেক প্রতিযোগিতায় গোলদাতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, তবে সোনার বিটের সংখ্যা সুনির্দিষ্টভাবে জানা নেই।
আরো পড়ুনঃ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জীবন-কাহিনী কত কষ্টকর ছিলো?
নেইমারের কাছে কতগুলো সোনার বল আছেঃ
নেইমারের কাছে কোনো সোনার বল নেই। Ballon d'Or পুরস্কারটি প্রতি বছর বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে প্রদান করা হয়, তবে নেইমার এখন পর্যন্ত এই পুরস্কারটি জিততে পারেননি। তিনি বিভিন্ন সময় এর জন্য মনোনীত হয়েছেন এবং ফাইনালিস্ট হয়েছেন, কিন্তু বিজয়ী হননি।
নেইমারের জীবন কাহিনীঃ
নেইমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র, যিনি নেইমার নামে পরিচিত, ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের মোগি দাস ক্রুজেস শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ফুটবলের প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহী ছিলেন এবং খুব অল্প বয়সেই তার প্রতিভার পরিচয় দেন। নেইমারের বাবা, নেইমার স্যান্টোস সিনিয়র, নিজেও একজন ফুটবলার ছিলেন এবং পরে তিনি নেইমারের ম্যানেজার হন।
নেইমারের-জীবন-কাহিনী |
- শৈশব ও পরিবার
নেইমার খুবই সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসেন। তার বাবা-মা নেইমারের ফুটবল প্রশিক্ষণে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। নেইমার প্রথমে ইনডোর ফুটবল খেলা শুরু করেন এবং তারপর ব্রাজিলের সান্তোস ফুটবল ক্লাবে যোগ দেন।
- পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার
নেইমার ২০০৩ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে সান্তোস এফসি-তে যোগ দেন। সেখান থেকেই তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হয়। ২০০৯ সালে, ১৭ বছর বয়সে তিনি সান্তোসের প্রথম দলে খেলার সুযোগ পান। তার অসাধারণ দক্ষতা এবং গোল করার ক্ষমতা দ্রুতই তাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত করে তোলে।
- এফসি বার্সেলোনা
২০১৩ সালে নেইমার ইউরোপের অন্যতম সেরা ক্লাব এফসি বার্সেলোনায় যোগ দেন। বার্সেলোনায় তিনি লিওনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেজের সাথে গঠন করেন 'এমএসএন' ত্রয়ী, যা ছিল ইতিহাসের অন্যতম ভয়ঙ্কর আক্রমণভাগ। বার্সেলোনার হয়ে নেইমার অনেক শিরোপা জেতেন, যার মধ্যে রয়েছে ২০১৫ সালের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
- প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)
২০১৭ সালে নেইমার ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ট্রান্সফার ফিতে (€২২২ মিলিয়ন) পিএসজি-তে যোগ দেন। পিএসজি-তে তিনি তার অসাধারণ পারফরম্যান্স চালিয়ে যাচ্ছেন এবং দলকে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিরোপা জিততে সাহায্য করছেন।
- আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
নেইমার ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে ২০১০ সালে প্রথম খেলার সুযোগ পান। তিনি ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের নেতৃত্ব দেন। ২০১৬ সালে, নেইমার ব্রাজিলের হয়ে অলিম্পিক সোনার পদক জিতেন।
নেইমার তার পরিবারের প্রতি খুবই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তার ছেলে, ডেভি লুকা, তার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নেইমারের ধর্ম খ্রিস্টধর্ম, এবং তিনি তার বিশ্বাসকে সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি জানতে পেরেছেন নেইমার কয়টি বিশ্বকাপ খেলেছে এবং তার জীবন কাহিনী কি ধরনের ছিলো। আপনি এটাও জানলেন যে ফুটবলের রাজা কে। আসা করি যে আপনার মনে আর কোনো প্রশ্ন নেই।
ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করে দিবেন আপনার প্রিয় মানুষের কাছে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.........www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url