মুরগী পালন করার উপায় কি - দেশী মুরগীর বাচ্চা পালন প্রদ্ধতি? বিস্তারিত জেনে নিন?
আজকে আমরা জানবো যে মুরগী পালন করার উপায় করতে হলে কি কি প্রয়োজন হতে পারে তাদের ভালোভাবে চাষ করার জন্য। এবং তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে দেশী মুরগীর বাচ্চা পালন প্রদ্ধতি কিভাবে করা হয়। আসুন জেনে নি সব কিছু বিস্তারিত?
ভূমিকাঃ
আমরা মুরগী পালন করতে চাই। কিন্তু আমরা হয়তো সঠিক নিয়ম জানি না যে আসলে কিভাবে এই মুরগি পালন করলে আমরা লাভবান হতে পারবো।
মুরগি-পালন-করার-উপায়-কি |
তাই আসুন জেনে নি যে মুরগী পালন করার উপায় কি কি হয়ে থাকে। তাদের চাষ করার জন্য কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এবং দেশী মুরগীর বাচ্চা পালন প্রদ্ধতি কেন করবো, আসুন জেনে নি?
মুরগী পালন করার উপায় কিঃ
মুরগি পালন করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় রয়েছে যা মেনে চললে মুরগি পালন সহজ এবং লাভজনক হতে পারে। প্রথমত, মুরগি পালনের জন্য সঠিক জায়গা নির্বাচন করা প্রয়োজন। জায়গাটি যেন পরিষ্কার, শুকনো এবং বায়ু চলাচল ব্যবস্থা সম্পন্ন হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মুরগির খাদ্য এবং পানির যথাযথ ব্যবস্থা রাখতে হবে। পুষ্টিকর খাদ্য এবং পরিষ্কার পানি সরবরাহ করলে মুরগি সুস্থ থাকে এবং ডিম ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। তৃতীয়ত, মুরগির জন্য সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে সহজ প্রদ্ধতিতে মাছ চাষ করে লাভ-বান হবেন?
গরমে বা ঠাণ্ডায় মুরগি অসুস্থ হতে পারে, তাই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চতুর্থত, মুরগির শেড এবং খাঁচা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে যাতে রোগ জীবাণু না ছড়ায়। পঞ্চমত, মুরগির টিকাদান এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। এছাড়া, মুরগির বংশবৃদ্ধির জন্য ভালো মানের ব্রিডিং ব্যবস্থা রাখাও জরুরি। সবশেষে, মুরগির রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধের জন্য সঠিক ওষুধ ও টিকা প্রদান করতে হবে। এই সকল উপায় মেনে চললে মুরগি পালন সহজ এবং সফল হবে।
দেশী মুরগীর বাচ্চা পালন প্রদ্ধতিঃ
মুরগী পালন করার উপায় ব্যবহার করে আপনি দেশী মুরগীর বাচ্চা পালন একটি সঠিক এবং পরিকল্পিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করলে সফলভাবে করা যায়। এখানে দেশী মুরগীর বাচ্চা পালনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রদ্ধতি দেওয়া হলোঃ
মুরগীর বাচ্চা পালনের সঠিক পদ্ধতি
- জায়গা নির্বাচনঃ
- বাচ্চাগুলোর জন্য একটি নিরাপদ এবং পরিষ্কার স্থান নির্বাচন করুন।
- জায়গাটি যেন যথেষ্ট বড় হয় এবং বাচ্চাগুলোর চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে।
- তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ
- বাচ্চাগুলোর জন্য প্রথম কয়েক সপ্তাহ তাপমাত্রা ৯৫-১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট রাখা উচিত।
- প্রতি সপ্তাহে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রী করে কমাতে হবে যতক্ষণ না এটি ৭০ ডিগ্রী ফারেনহাইটে আসে।
- খাদ্য সরবরাহঃ
- বাচ্চাগুলোর জন্য উন্নত মানের চারা খাদ্য সরবরাহ করতে হবে যাতে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলস পর্যাপ্ত থাকে।
- প্রথম কয়েকদিন মুরগির বাচ্চাদের জন্য 'স্টার্টার ফিড' ব্যবহার করা ভালো।
- পানি সরবরাহঃ
- সবসময় পরিষ্কার ও তাজা পানি সরবরাহ করতে হবে।
- পানির পাত্র প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে।
- আলো ও বায়ু চলাচলঃ
- বাচ্চাদের শেডে পর্যাপ্ত আলো ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
- দিনে অন্তত ১৬-১৮ ঘন্টা আলো সরবরাহ করতে হবে যাতে তারা ভালোভাবে খাবার খায় এবং বড় হতে পারে।
- স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ
- নিয়মিত বাচ্চাগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
- কোনো বাচ্চা অসুস্থ হলে তাকে আলাদা রাখতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ বা চিকিৎসা দিতে হবে।
- স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ শেডঃ
- বাচ্চাগুলোর জন্য একটি আরামদায়ক শেড তৈরি করতে হবে যেখানে তারা নিরাপদে থাকতে পারে।
- শেডে পর্যাপ্ত মেঝে স্থান থাকতে হবে এবং নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
- টিকাদানঃ
- মুরগীর বাচ্চাদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- সময়মত টিকা প্রদান করতে হবে যেমন মারেকস, নিউক্যাসল, গামবোরো ইত্যাদি রোগের বিরুদ্ধে।
এই সকল পদ্ধতি মেনে চললে দেশী মুরগীর বাচ্চা পালন সহজ ও লাভজনক হবে। মুরগীর বাচ্চা পালনের ক্ষেত্রে মনোযোগ ও যত্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই এই বিষয়গুলো নিয়মিত পালন করতে হবে।
সোনালী মুরগি পালন প্রদ্ধতিঃ
মুরগী পালন করার উপায় জানলে আপনি সোনালী মুরগি পালন একটি লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে, তবে এটি সঠিকভাবে করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও নিয়ম মেনে চলা উচিত। সোনালী মুরগি পালন প্রদ্ধতি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
সোনালী মুরগি পালনের সঠিক পদ্ধতি
বাচ্চা সংগ্রহ
- ভালো প্রজাতির সোনালী মুরগির বাচ্চা নির্ভরযোগ্য হ্যাচারি থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
- বাচ্চাগুলো সক্রিয় এবং সুস্থ কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
ব্রুডার হাউস প্রস্তুতি
- ব্রুডার হাউস সঠিকভাবে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
- ব্রুডার হাউসে পর্যাপ্ত তাপমাত্রা, আলো এবং বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
- প্রথম ৩ সপ্তাহ তাপমাত্রা ৩২-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখতে হবে এবং প্রতি সপ্তাহে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি করে কমাতে হবে।
খাদ্য ও পানি সরবরাহ
- উন্নত মানের স্টার্টার ফিড প্রথম ৪ সপ্তাহ বাচ্চাদের খাওয়াতে হবে।
- পরবর্তীতে গ্রোয়ার ও ফিনিশার ফিড দিতে হবে।
- সবসময় পরিষ্কার ও তাজা পানি সরবরাহ করতে হবে।
আলো ও বায়ু চলাচল
- ব্রুডার হাউসে দিনে অন্তত ১৬-১৮ ঘন্টা আলো সরবরাহ করতে হবে।
- পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে পরিবেশ শুষ্ক ও স্বাস্থ্যকর থাকে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকাদান
- নিয়মিত মুরগির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
- সময়মত টিকা দিতে হবে যেমন মেয়ার্ক, নিউক্যাসল, গামবোরো, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগের বিরুদ্ধে।
- রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ভিটামিন সরবরাহ করতে হবে।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা
- মুরগির ঘর ও খাঁচা নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখতে হবে যাতে মুরগিরা সুস্থ থাকে।
পর্যাপ্ত স্থান
- প্রতিটি মুরগির জন্য পর্যাপ্ত স্থান রাখতে হবে যাতে তারা সুষ্ঠুভাবে চলাফেরা করতে পারে।
- ঘরে মুরগির সংখ্যা নির্ধারণ করার সময় প্রতি বর্গফুটে ২-৩টি মুরগির স্থান নিশ্চিত করতে হবে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম
- মুরগিগুলোকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া উচিত যাতে তারা সুষ্ঠভাবে বেড়ে উঠতে পারে।
- বিশ্রামের সময় আলো কমিয়ে দিতে হবে।
সোনালী মুরগির বাচ্চা পালনের সময় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- প্রাথমিক পর্যায়ে মুরগির বাচ্চাগুলোর প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
- খাবার ও পানির পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
- হাউসের তাপমাত্রা নিয়মিত মনিটর করতে হবে।
- মুরগির ঘরে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
এই সকল প্রক্রিয়া মেনে সোনালী মুরগি পালন করলে মুরগিরা সুস্থ থাকবে এবং ভালো ফলন পাওয়া যাবে। মুরগী পালন করার উপায় সঠিক পদ্ধতি ও নিয়ম মেনে চললে সোনালী মুরগি পালন একটি লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে।
দেশী মুরগী পালন ও চিকিৎসাঃ
দেশী মুরগী পালন ও চিকিৎসা একটি লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে, তবে সঠিকভাবে পালন ও চিকিৎসা না করলে এতে সমস্যার সম্মুখীন হওয়া সম্ভব। দেশী মুরগী পালনের জন্য প্রথমেই উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মুরগীর ঘর হতে হবে পরিষ্কার ও শুকনো, যাতে রোগবালাইয়ের প্রকোপ কম থাকে। মুরগীগুলোকে পর্যাপ্ত আলো ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সঠিক খাদ্য সরবরাহ ও পানি সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মুরগীর খাদ্যের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, ও খনিজ পদার্থ থাকতে হবে। দেশী মুরগীর জন্য নিয়মিত টিকা প্রদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেমন নিউক্যাসল, গামবোরো, এবং পক্স রোগের টিকা। এছাড়াও, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ প্রদান করতে হবে। মুরগীর ঘর নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতে হবে এবং মুরগীর বাসস্থানে পর্যাপ্ত জায়গা রাখতে হবে যাতে তারা সুষ্ঠভাবে চলাফেরা করতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মুরগীর মধ্যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সঠিক যত্ন ও চিকিৎসা প্রদান করলে দেশী মুরগী পালন একটি লাভজনক ও স্বাস্থ্যকর উদ্যোগ হতে পারে।
দেশী মুরগীর খাবার কিঃ
দেশী মুরগীর খাবার তাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, দেশী মুরগীর খাদ্য তালিকায় মিশ্রিত শস্য, ফিস মিল, ঝিঁনুকের গুড়া, লবন, ভুট্টা, গম, ধান, এবং চালের কুঁড়া অন্তর্ভুক্ত থাকে। এদের খাদ্যের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, এবং খনিজ পদার্থ থাকা আবশ্যক। প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাছের মাংস, সয়াবিন, এবং গমের কুঁড়া ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, সবুজ শাকসবজি এবং ঘাস তাদের খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা প্রয়োজনীয় ভিটামিন সরবরাহ করে।
দেশী-মুরগীর-খাবার-কি |
মুরগীদের নিয়মিত তাজা পানি দিতে হবে, কারণ পানির অভাব তাদের স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। খাদ্যের সাথে কিছু পরিমাণে খনিজ পদার্থ যেমন ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস যোগ করা প্রয়োজন, যা তাদের ডিমের খোসা শক্ত করতে সহায়ক। মাঝে মাঝে, খাদ্যের মধ্যে অল্প পরিমাণে লবণ মেশানো যেতে পারে, যা তাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন নতুন-নতুন রান্না করার রেসিপি জেনে নিন?
মুরগী পালন করার উপায় মেনে আপনাকে দেশী মুরগীর খাদ্য সরবরাহ করতে হবে নিয়মিত সময়ে, যাতে তারা সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে এবং স্বাস্থ্যকর থাকে। নিয়মিত খাদ্য সরবরাহের পাশাপাশি, খাদ্যের গুণগত মানও বজায় রাখতে হবে। সঠিক যত্ন ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করলে দেশী মুরগী সুস্থ ও উৎপাদনশীল থাকবে।
মুরগীর ঝিমানো রোগের ঔষুধ কিঃ
মুরগীর ঝিমানো রোগ, যা মুলত সংক্রামক ব্যাধি এবং অসুস্থতার লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়, এর চিকিৎসার জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট ঔষুধ ও পদক্ষেপ প্রয়োজন। মুরগীর ঝিমানো রোগের সাধারণ কারণগুলির মধ্যে পরজীবী সংক্রমণ, পুষ্টির অভাব, এবং ভাইরাসজনিত রোগ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এই রোগের চিকিৎসার জন্য নিম্নলিখিত ঔষুধ এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারেঃ
ঔষুধঃ
( এন্টিবায়োটিক ) যেমন অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, এ্যামপিসিলিন ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ডোজ প্রয়োগ করতে হবে।
( এন্টিপ্যারাসাইটিক ঔষুধ ) পরজীবী সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পিপারাজিন, আলবেনডাজল ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
( মাল্টিভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্টস ) পুষ্টির অভাব পূরণের জন্য মাল্টিভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ প্রদান করা যেতে পারে।
প্রতিরোধ ও সেবাঃ
- পুষ্টিকর খাদ্যঃ সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে মুরগীর খাদ্যে পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন, এবং মিনারেল যোগ করা উচিত।
- পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশঃ মুরগীর বাসস্থান নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে এবং জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে।
- পরজীবী নিয়ন্ত্রণঃ নিয়মিত পরজীবী প্রতিরোধক ঔষুধ প্রয়োগ করা উচিত।
- স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ নিয়মিতভাবে ভেটেরিনারি চিকিৎসকের মাধ্যমে মুরগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।
মুরগীর ঝিমানো রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত এবং পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মুরগী পালন করার উপায় ব্যবহার করে আপনাকে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করলে মুরগীর ঝিমানো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
মুরগীর চেনা পায়খানার ঔষুধঃ
মুরগীর চেনা (ডায়রিয়া) পায়খানা হলে, সঠিক ঔষুধ এবং যত্ন প্রদানের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। নিচে মুরগীর ডায়রিয়ার চিকিৎসার জন্য কিছু সাধারণ ঔষুধ এবং যত্নের পদ্ধতি দেয়া হলো:
ঔষুধের ব্যবহার
- এন্টিবায়োটিক
- অক্সিটেট্রাসাইক্লিনঃ এটি মুরগীর ডায়রিয়ার জন্য সাধারণত ব্যবহৃত একটি এন্টিবায়োটিক। মুরগীর খাবারের সাথে মিশিয়ে অথবা পানির সাথে মিশিয়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
- এমপ্রিসিলিনঃ এটি একটি অন্যান্য কার্যকর এন্টিবায়োটিক, যা মুরগীর সংক্রমণ নিরাময়ে সাহায্য করে।
প্রোবায়োটিকস
- ল্যাক্টোব্যাসিলাঃ এটি মুরগীর অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং হজমশক্তি উন্নত করে।
- ইলেক্ট্রোলাইট সল্যুশনঃ ডায়রিয়ার কারণে মুরগীর শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের অভাব পূরণ করতে ইলেক্ট্রোলাইট সমাধান পানিতে মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়
- টিকাঃ মুরগীর জন্য প্রয়োজনীয় টিকা প্রদান করা উচিত, যা তাদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ মুরগীর স্বাস্থ্য নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখা উচিত যাতে যে কোন সমস্যা আগে থেকেই চিহ্নিত করা যায় এবং চিকিৎসা করা যায়।
মুরগীর চেনা (ডায়রিয়া) পায়খানা হলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত এবং প্রয়োজনে ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা দিলে মুরগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
লেখেকের মক্তব্যঃ
আসা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে মুরগী পালন করার উপায় কি ধরনের হয়ে থাকে। তার সাথে সাথে এটাও জানতে পেরেছনে যে দেশী মুরগীর বাচ্চা পালন প্রদ্ধতি কেমন করে করতে হয়।
ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের কাছে।
আর কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.........www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url