আজকে আমরা জানবো যে বাংলাদেশে কোটা কত প্রকার ও কি-কি ভাগ করেছে সরকার সাধারণ জনগণের জন্য। তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে মেধা তালিকায় কোটা কোটা কত পারসেন্ট রেখেছে সরকার। আসুন জেনে নি?
ভূমিকাঃ
আজকের দিনে দেখা যাচ্ছে যে ছাত্র ও ছাত্রীরা বেশ আন্দোলন করছে এই কোটা নিয়ে। কেননা এই কোটা দ্বারা মানুষ বহু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
|
কোটা-কত-প্রকার |
তাই আসুন আমরা জেনে রাখি যে এই কোটা দ্বারা সাধারণ জনগণের উপর কি ধরনের প্রভাব পড়বে। এবং এই কোটা দ্বারা কি-কি করা হবে আসুন জেনে নি?
কোটা কত প্রকারঃ
কোটা দিয়ে আগের মানুষ অনেক ধরনের সুজোগ-সুবিধা পেয়েছে। কোটা যেকোনো কাজে ব্যবহার করলে সে কাজ খুব সহজ হয়ে পড়ে। কোটা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ চাকরির কোটা, শিক্ষাগত কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, নারী কোটা, নৃগোষ্ঠী কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা ইত্যাদি।
বাংলাদেশে মেধা তালিকায় কোটা কত পারসেন্টঃ
আগের দিনে বাংলাদেশে কোটার পারসেন্ট বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ছিলো। যেমনঃ
- মুক্তিযোদ্ধা কোটাঃ ৩০%
- নারী কোটাঃ ১০%
- জেলা কোটাঃ ১০%
- নৃগোষ্ঠী কোটাঃ ৫%
- প্রতিবন্ধী কোটাঃ ১%
কিন্তু এই কোটা দ্বারা ছাত্রদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এই জন্য তারা আন্দোলন করে এই কোটা গুলোকে বাতিল করতে চাইছিলো। কিন্তু করতে পারি নি। তার বদলে সরকার তার দেশবাসির জন্য নতুন ভাবে কোটা তৈরি করে দিয়েছে আপিল বিভাগ থেকে। এখন কোটা নিধারণ করা হবে।
- মেধা তালিকা কোটাঃ ৯৩%
- মুক্তিযোদ্ধা কোটা তালিকাঃ ৫%
- ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী থাকবেঃ ১%
- অন্যান্য কোটা থাকবেঃ ১%
এই গুলো কোটা আপিল বিভাগ থেকে করা হয়েছে সবার জন্য।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা কত পারসেন্টঃ
বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সরকারি চাকরিতে ৩০% সংরক্ষিত রাখা হয়েছিলো। এটি মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য প্রযোজ্য। কোটা সংরক্ষণের এই ব্যবস্থা মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রাখা হয়েছে এবং এটি সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই হিসাব বাদ দেওয়া হয়েছে সরকারের আধিন থেকে। এখন মুক্তিযোদ্ধা কোটা ধরা হবে মাত্র ৫%। এই কোটা কমানোর একমাত্র উদ্দেশ্য হলো যেন মেধাবি ছাত্ররা সব জাইগায় সুজোগ-সুবিধা পায়।
সরকারি চাকরিতে কোটা কত পারসেন্টঃ
আগের দিনে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটার কয়েকটি প্রকার রয়েছে। এগুলো নিম্নরূপঃ
১. মুক্তিযোদ্ধা কোটা: ৩০%
২. নারী কোটা: ১০%
3. আদিবাসী কোটা: ৫%
4. পৌষ্য কোটা: ১০%
5. প্রতিবন্ধী কোটা: ১%
এই কোটা ব্যবস্থা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এই কোটার হিসাব কোনো ছাত্র-ছাত্রীরা মেনে নিবে না। তাই তারা এই কোটার বিষয় নিয়ে অন্দোলন করতে রাস্তায় নেমে পড়ে। তার পরে সরকার ও আপিল বিভাগ নতুন ভাবে কোটার হিসাব করছেন। তাহলোঃ
- মেধা তালিকা কোটাঃ ৯৩%
- মুক্তিযোদ্ধা কোটা তালিকাঃ ৫%
- ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী থাকবেঃ ১%
- অন্যান্য কোটা থাকবেঃ ১%
এখন থেকে এই হিসাব চলবে সবার জন্য। আর এই কোটার হিসাব মেনে নিয়েছে।
কোটা মানে কিঃ
কোটা মানে বাংলাদেশে হলো একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বা শতাংশসংখ্যক আসন বা সুযোগ নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির মানুষ বা গোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত রাখা সব কিছু। কোটা ব্যবস্থা সাধারণত প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, নারীরা এবং অন্যান্য বিশেষ শ্রেণির মানুষের জন্য তৈরি করা হয়। যাতে তারা শিক্ষা, সরকারি চাকরি এবং অন্যান্য সুবিধায় সঠিক প্রতিনিধিত্ব পেতে পারে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। যেমনঃ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, নারী কোটা, আদিবাসী কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা ইত্যাদি। কোটা ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে সমতা আনার প্রচেষ্টা করা হয়। এখন এই সব কোটার মান কমে গেছে।
কোটা আন্দোলনে কত জন মারা গেছেঃ
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে এখন পর্যন্ত কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে এই আন্দোলনের সময় কিছু সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন সময়ে পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে, যেখানে কিছু ছাত্র আহত হয়েছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনটি বিশেষ করে ২০২৪ সালে তীব্র আকার ধারণ করেছিল এবং সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্ররা এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল।
এই কোটা অন্দোলনে বেশ ২০ জনের ও বেশী মানুষ মারা গেছে। তার মধ্য এক ছাত্র কোটা অন্দোলনের জন্য নিজের প্রাণ ত্যাগ করছে। তার নাম হচ্ছে আবু সাঈদ। তিনি আগামি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে যেন এই রকম কিছু না হয় সে জন্য তিনি বুকে গুলি খেয়েছেন। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে শহিদ হয়েছে। যত দিন ছাত্র-ছাত্রী থাকবে। ততদিন আবু সাঈদের নাম থাকবে ইনশাল্লাহ্।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশে কোটা কত প্রকার ও কি-কি রয়েছে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে মেধা তালিকায় কোটা কোটা কত পারসেন্ট রেখেছে সরকার।
ভালো লাগলে শেয়ার করবেন সব ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ও কমেন্ট করবেন আরো কিছু জানার থাকলে।
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url