সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং শতকরা কতজন - কোন ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতার চাহিদা বেশি? বিস্তারিত জেনে নিন?
আজকে আমরা জানবো যে সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং শতকরা কতজন রয়েছে। এবং তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে পুরো বিশ্বে কোন ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতার চাহিদা বেশি রয়েছে। আসুন জানি
ভূমিকাঃ
আজকের দিনে সবাই ঘরে বসে ইনকাম করতে চাই। এর এই ঘরে বসে ইনকাম করার একটাই সোর্স হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করা।
সারা-বিশ্বে-বাংলাদেশী-ফ্রিল্যান্সিং-শতকরা-কতজন |
তাই আসুন জেনে রাখি যে সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং শতকরা কতজন রয়েছে এবং এই ফ্রিল্যান্সিং জগতে কোন ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতার চাহিদা বেশি মার্কেটে। সব কিছু বিস্তারিত......।
সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং শতকরা কতজনঃ
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং একটি ক্রমবর্ধমান শিল্প। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা বিশ্বে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা শতকরা প্রায় ১৫-২০ শতাংশ। বাংলাদেশের তরুণ সমাজ ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এছাড়া, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা উদ্ভাবনী কাজের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে। ফলে, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তারা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতিও পাচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ আপনি কিভাবে খুব সহজে মোবাইল থেকে টাকা ইনকাম করবেন জেনে রাখুন?
কোন ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতার চাহিদা বেশিঃ
ফ্রিল্যান্সিং করে মানুষ দিন দিন লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ইনকাম করছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জগতে বিভিন্ন ধরনের দক্ষতার চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে কিছু বিশেষ দক্ষতার চাহিদা বেশিঃ
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সং এর টাকা পাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি জেনে নিন?
- গ্রাফিক ডিজাইনঃ লোগো, ব্যানার, পোস্টার, সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স ইত্যাদি ডিজাইন করার কাজের জন্য দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের প্রয়োজন হয়।
- ডিজিটাল মার্কেটিংঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন), SEM (সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং) এবং কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের দক্ষতার চাহিদা ব্যাপক।
- লেখালেখি ও কন্টেন্ট ক্রিয়েশনঃ ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, কপিরাইটিং, প্রুফরিডিং এবং এডিটিংয়ের কাজের জন্য ভাল লেখকদের চাহিদা রয়েছে।
- ভিডিও এডিটিং ও অ্যানিমেশনঃ ভিডিও এডিটিং, মোশন গ্রাফিক্স এবং অ্যানিমেশন সৃষ্টির কাজে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্টঃ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ও উন্নয়নের কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের প্রয়োজনীয়তা বেশি।
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্সঃ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করার জন্য দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা রয়েছে, যারা প্রশাসনিক, প্রযুক্তিগত ও সৃজনশীল সহায়তা প্রদান করে থাকে।
এই দক্ষতাগুলো অর্জন করে ফ্রিল্যান্সাররা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে উচ্চ বেতনে কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন।
বাংলাদেশে নাম্বার ওয়ান ফ্রিল্যান্সার কেঃ
বাংলাদেশে নাম্বার ওয়ান ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিচিত হয়েছেন। তন্মধ্যে একজন পরিচিত ফ্রিল্যান্সার হলেন শামীম আহসান। তিনি ফ্রিল্যান্সিং খাতে তার বিশাল অভিজ্ঞতা এবং সাফল্যের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। তবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন, তাই নির্দিষ্টভাবে একজনকে নাম্বার ওয়ান হিসেবে চিহ্নিত করা কঠিন।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং আয়ঃ
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং আয়ের সম্ভাবনা বর্তমানে বেশ ভালো। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা এবং বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে অনেকেই ঘরে বসেই আয় করছেন। ফ্রিল্যান্সিং খাতে আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে কাজের ধরণ, দক্ষতা, এবং সময়ের উপর। সাধারণত, ফ্রিল্যান্সাররা গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করে থাকেন।
বাংলাদেশে-ফ্রিল্যান্সিং-আয় |
একটি জরিপে দেখা গেছে যে, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা মাসে গড়ে $100 থেকে $2000 পর্যন্ত আয় করে থাকেন। অভিজ্ঞ এবং উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সাররা আরও বেশি আয় করতে পারেন। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা বিশেষ করে আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, এবং পিপল পার আওয়ারের মতো জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে কাজ করছেন।
আরো পড়ুনঃ ব্লগ সাইটে বাংলা আর্টিকেল লিখে লক্ষ্য-লক্ষ্য টাকা ইনকাম করার সোর্স জানুন?
এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। যা বাংলাদেশের জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি দিন হিসাবে বিবেচিত খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম।
ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশের অবস্থান কততমঃ
ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের মধ্যে অন্যতম। বিভিন্ন গবেষণা এবং প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেখা গেছে যে, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং আয়ে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে একটি।
২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত পেওনিয়ার (Payoneer) এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ফ্রিল্যান্স আয়ে বাংলাদেশ ( তৃতীয় ) অবস্থানে ছিল। এটি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা বিশ্ববাজারে তাদের প্রতিভা এবং দক্ষতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি আগ্রহ বেড়ে চলেছে, যা ভবিষ্যতে আরও উন্নতি বয়ে আনবে।
সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কততম বাজার রয়েছেঃ
বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং বাজারে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান উল্লেখযোগ্য। শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে, এবং এর বাজার শেয়ার প্রায় ৮%। এই চার্ট থেকে দেখা যায় যে ভারত, ফিলিপাইন, পাকিস্তান এবং অন্যান্য কিছু দেশও এই বাজারে উল্লেখযোগ্য অংশীদারিত্ব পালন করছে।
শীর্ষ দেশগুলোর বাজার শেয়ারঃ
যুক্তরাষ্ট্রঃ ১৬%
ভারত: ২৪%
ফিলিপাইন: ১৪%
আরো পড়ুনঃ অ্যাড ও ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করবেন সহজ উপায় জেনে রাখুন?
পাকিস্তান: ৯%
বাংলাদেশ: ৮%
যুক্তরাজ্য: ৭%
কানাডা: ৬%
রাশিয়া: ৪%
অস্ট্রেলিয়া: ৩%
জার্মানি: ২%
গবেষণা থেকে জানা গেছে যে ফ্রিল্যান্সিং জগতে এরাই সবাই ইনকাম করে খাচ্ছে। তাই আজ থেকে আপনিও শুরু করুন ইনশাল্লাহ, আপনিও জীবনে সফল হবেন।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং শতকরা কতজন রয়েছে। তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে কোন ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতার চাহিদা বেশি ফ্রিল্যান্সিং জগতে।
ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.........www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url