ব্লগিং করে টাকা আয় করার নিয়ম ২০২৪ - ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় করা যায়? বিস্তারিত জেনে নিন?
ব্লগিং করে টাকা আয় করার নিয়ম আজকাল সবার কাছে পানির মতো সোজা হয়েগেছে। টাকা ইনকাম করার জন্য শুধু আপনার একটা ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম জানতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ভূমিকাঃ
আজকের দিনে সব মানুষ প্রায় ঘরে বসে ইনকাম করতে চাই। কিন্তু সবাই ডিসিশোন নিতে কিছু ভুল করে ফেলে। বিধায় তারা টাকা ইনকাম করতে সফল হয় না।
ব্লগিং-করে-টাকা-আয়-করার-নিয়ম |
এই জন্য আজকে আমরা জানবো যে সঠিক নিয়মে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে হয়। টাকা ইনকাম করতে হলে শুধু একটু মেধা লাগাতে হবে। বাকিটা আপনি এই ব্লগ থেকে জানতে পারবেন।
ব্লগিং করে টাকা আয় করার নিয়মঃ
আজকাল ব্লগিং পুরো বিশ্বের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আয়ের দিক দিয়ে। ব্লগিং করে আয় করার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। কিছু কিছু বিষয় জানতেও শিখতে হবে তাহলে আপনি খুব সহজে ব্লগিং করতে পারবেন।
বিষয়বস্তু নিবার্চনঃ
আপনার যে বিষয়ে দক্ষতা ও আগ্রহ রয়েছে সে বিষয় নিয়ে আপনি ব্লক শুরু করতে পারেন। আপনি যদি ব্লক শুরু করেন তাহলে আস্তে আস্তে সে ব্লক গুলো প্রচারিত হবে মানুষের কাছে। আর বর্তমানে ট্রেন্ডিং ও জনপ্রিয় কিছু ব্লগ রয়েছে যেগুলো নিয়ে কাজ করলে আপনি খুব সহজেই মানুষের কাছে প্রচার পরিচালনা হতে পারবেন। যেমনঃ উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, খাবার রেসিপি, লাইফ স্টাইল, জীবন কাহিনী, ধনী ব্যক্তির জীবন কাহিনী, ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে কিভাবে খুব সহজে টাকা ইনকাম করা যায়?
এগুলো টাইটেল নিয়ে আপনি ব্লগ লিখলে খুব সহজেই আয় করতে সক্ষম হবে। ব্লগিং এর মধ্যে দুই ধরনের ভাগ রয়েছে। একটি হচ্ছে 'ওয়ার্ডপ্রেস' ও অন্যটি হচ্ছে 'ব্লগার'এই দুটোরই কাজ কিছুটা একই ধরনের। শুধু পার্থক্য এতটুকু যে ওয়ার্ডপ্রেস বর্তমান সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম মানুষের কাছে। এই ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করার ফলে আপনি খুব সহজে এবং এর অনেক প্ল্যাগিন ও থিম পাওয়া যায়। সেগুলো নিয়ে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস শুরু করতে পারেন।
কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস শুরু করতে হলে আপনি নিজের পকেট থেকে কিছু টাকা ব্যয় করতে হবে গুগলকে দেওয়ার জন্য। আর অপরদিকে ব্লগার হচ্ছে একটি বিনামূল্য প্ল্যাটফর্ম এই ব্লগিং করার জন্য গুগল আপনাকে পুরোপুরি ফ্রিতে পারমিশন দিবে। যেটি সবার জন্যই ভালো তাই আপনাদের যেটি ভালো হয় আপনারা সেটি বেছে নিন। আর আজ থেকে কাজ শুরু করুন আর টাকা ইনকাম করা শুরু করুন।
ডোমেন হোস্টিংঃ
ডোমেন কেনার সময় মনে রাখবেন ডোমেনটি যেন সহজ এবং মনে রাখার মত ডোমেন হয়। এবং নাম নির্বাচন করার সময় আপনার ব্লগের বিষয়বস্তু সম্পসারিত তার সাথে যোগ করতে হবে। আর হোস্টিংয়ের কাজ হচ্ছে, প্রোভাইডার নির্বাচন করা যা আপনার ব্লকে দ্রুত এবং নিরাপদ রাখবে। এ দুটো মিলিয়ে তৈরি হয় একটি ব্লক সাইট।
ডোমেইন হোস্টিং কাজ শেষে আপনাকে তারপরে কাজ করতে হবে ডিজাইন নিয়ে। আপনার ব্লগের মধ্যে আপনাকে কালার কাস্টমাইজ করতে হবে। কিভাবে ব্লগটি সুন্দরভাবে গড়ে তোলা যায় সে দিকে কাস্টমাইজ করতে হবে। এবং ডিজাইনটি যেন একটি মানুষের চোখে লাগে সেভাবে কাজ করতে হবে। তারপর একটি আকর্ষণীয় থিম ব্যবহার করবেন আপনার ব্লগ সাইডে।
এইসব কাজ শেষ হয়ে গেলে তারপরে আপনি আপনার ব্লগে কনটেন্ট লেখা শুরু করবেন। আপনি চেষ্টা করবেন প্রতিদিন ১-২ করে কনটেন্ট লিখার আপনার ওয়েবসাইটে। প্রতিদিন কন্টেন্ট পাবলিশ করলে গুগোল বুঝতে পারে যে আপনি রেগুলার কন্টেন্ট পাবলিশ করেন। যার ফলে আপনার লিখা কন্টেন্ট সবার সামনে ওয়েবসাইটে দেখানোর চেষ্টা করে গুগল।
( SEO ) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন দু ধরনের হয়ে থাকে। 'অন পেজ এসিও' ও 'অফ পেজ এসিও' অন পেজ এসিও হল। টাইটেল, মেটা ডিস্ক্রিপশন, হেডিং, ইত্যাদি আপনার ব্লগে সবকিছু সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। এবং নতুন নতুন ভালো কিবোর্ড বেছে নিতে হবে। আর অফ পেজ এসিও হলো। অন্যান্য যারা উচ্চ লেভেলের বা উচ্চ মানের যাদের ওয়েবসাইট আছে। যেমন উইকিপিডিয়া, প্রথম আলো, এসব থেকে ব্যাকলিং নিবার চেষ্টা করবেন।
আয়ের উৎসবঃ
আপনার এই ব্লক সাইট থেকে যেভাবে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন তা হলো: আপনি যে আপনার ব্লক ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট লিখে পাবলিশ করছেন। সেটি হাজার হাজার মানুষ সার্চ করবে। সার্চ করার পর যখন কোন ব্যক্তি আপনার ব্লক সাইডে আসবে। তখন গুগল তার নিজের এড বা প্রোডাক্ট এর এড সেখানে সেই ব্যক্তিকে দেখাবে। সে অ্যাড দেখানোর ফলে আপনি গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে।
তারপরে আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমনঃ অন্য কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট এর অ্যাড যদি আপনি আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে দেখান। আর সেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও কোন ব্যক্তি যদি সে অ্যাড দেখে সেই প্রোডাক্টটি কিনতে ইচ্ছুক হয়। তাহলে আপনি আরো ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে পারবেন।
তারপরে আপনি স্পন্সারসিপ পোস্ট দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে রিভিউ নিতে পারবেন। এগুলো বিভিন্ন ধরনের ট্রিক দিয়ে আপনি একটা ওয়েবসাইট থেকে অনেক ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ঘরে বসে খুব সহজে। এরকম বিভিন্ন ধরনের দিক পাওয়া যায় যেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন শুধু কাজটা আপনার এতোটুকুই যে কোন কিছু না ভেবে ভাই কাজটি শুরু করে ফেলেন দেখবেন টাকা পানির মত আপনার উপরে পড়বে।
ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়মঃ
আজকেরে বর্তমান ডিজিটাল যুগে মানুষ ঘরে বসে ইনকাম করতে সবাই চায়। আর এটি বিভিন্ন ধরনের দিক রয়েছে ইন্টারনেট প্রযুক্তির জগতে তার ভিতরে একটি হচ্ছে ব্লগ। এই ব্লগিং শিখে আপনি ঘরে বসে খুব সহজে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। তার জন্য কিছু আপনাকে কাজ শিখতে হবে। আর ব্লগিং খুব সহজ কাজ যে কেউ খুব সহজে এটি শিখে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য যা যা জানা প্রয়োজন তা হলঃ
সর্বপ্রথম আপনাকে ডোমেন ও হোস্টিং কিনতে হবে। আর মনে রাখবেন আপনি ডোমেন নামটি যেন মানুষের কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়। এবং সেই ডোমেন নামটি সংক্ষিপ্ত আকারে আপনার ব্লগে যোগ করতে হবে। তারপর আপনাকে হোস্টিং কিনতে হবে। হোস্টিংটি হচ্ছে আপনার ব্লক সাইডে দ্রুত কাজ করবে। এবং আপনার ব্লক সাইট খুবই উচ্চ মানের করে তুলবে। ডোমেইন ও হোস্টিং কেনার সময় মাথায় রাখবেন যে। হোস্টিং প্রোভাইডারটি যেন পুরোপুরি ভাবে রিয়েল আর নিরাপদ হয়। আর সাপোর্ট সার্ভিস যেন ২৪/৭ কাস্টমার সার্ভিস থাকে।
আরো পড়ুনঃ ইউটিউব থেকে কিভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করবেন?
তাহলে সে প্রোভাইডারটি নির্বাচন করবেন। ডোমেইন হোস্টিং কেনার পর আপনি একটি পেয়ে যাবেন গুগলের ওয়েবসাইট। সেখানে আপনি প্রতিদিন কনটেন্ট লিখবেন যেটাতে আপনি বেশি দক্ষ বা আপনার বেশি আগ্রহ আছে সে বিষয়বস্তু নিয়ে আপনি আপনার ব্লগে কনটেন্ট লিখবেন। এর মধ্যে কিছু 'অপশন' দিচ্ছি এগুলোর মধ্যে লিখলে আরো ভালো হয়। যেমনঃ তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যবান লাভ শরীর, ভ্রমণ, ভালো ভালো খাবারের রেসিপি, মানুষের লাইফ স্টাইল, ধনী ব্যক্তিদের জীবন কাহিনী, ইত্যাদি এসব কনটেন্ট নিয়ে আপনি যদি কাজ করেন। তাহলে মানুষের কাছে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়।
কোন ওয়েবসাইট ভালোঃ
ওয়েবসাইট বলতে আপনি ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করতে চাইলে দুই ধরনের ওয়েবসাইট আছে। একটি হচ্ছে "ওয়ার্ডপ্রেস' আরেকটি হচ্ছে ব্লগার ওয়েবসাইট। ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে একটি জনপ্রিয় বায়ুবহুল ওয়েবসাইট। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস এ কাজ করতে হলে আপনাকে নিজের পকেট থেকে কিছু টাকা ব্যয় করতে হবে। তার বিনিময়ে আপনি এক্সেস পাবেন গুগল থেকে। অপরদিকে আছে ব্লগার গুগোল ফ্রি সার্ভিস দিয়ে থাকে। আপনি ব্লগার নিয়ে কাজ করলে গুগল থেকে আপনাকে গুগল ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য অনুমতি দিবে। আপনি ব্লগার নিয়ে কাজ করলে কোন টাকা ছাড়াই আপনি গুগলে কাজ করতে পারবেন। তাই আপনার কে এটি বেছে নিতে হবে যে কোনটি আপনার জন্য ভালো।
মনিটাইজেশন করার নিয়মঃ
ব্লগ থেকে আয় করার অনেক গুলো নিয়ম আছে। তা হলো......।
- গুগল অ্যাডসেন্স গুগোল ওয়াডসেন্স আপনার ব্লগে যোগ করতে হবে। তারপরে গুগলে প্রদর্শন করেন। তার পরে আপনি আপনার ব্লগে আসা ভিজিটর থেকে ক্লিক বা বিভিন্ন ধরনের ইমপ্রশন থেকে টাকা আয় করুন খুব সহজে।
- আপনার ব্লগে আপনি চাইলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারেন। অন্য কোন কোম্পানির এড বা প্রোডাক্ট আপনার ব্লগ সাইটে অ্যাড আকারে দেখিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
- আপনি বিভিন্ন ধরনের বড় বড় কোম্পানির স্পন্সর পোস্ট লিখে তাদের কাছ থেকে টাকায় করতে পারেন। বা আপনি নিজেও আপনার ব্লক সাইডে আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
- এগুলো জিনিস আপনার কাছে যদি থাকে বা আপনি ম্যানেজ করে ছোট ছোট কাজ থেকে শুরু করতে পারেন তাহলে একসময় গিয়ে দেখবেন আপনি ঠিক সঠিক উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারছেন খুব সহজে।
ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় করা যায়ঃ
আজকের এই বর্তমান যুগে ব্লগিং বর্তমানে আয়ের একটি অনেক বড় বিষয় হয়ে উঠেছে মানুষের কাছে। মানুষ বিভিন্ন ধরনের উপায় ও ব্লগ থেকে আয় করে নিচ্ছে। তাই আজকে আমরা জানবো ব্লক থেকে কি ধরনের আয় করা যায়।
ব্লগ-থেকে-কি-ধরনের-আয়-করা-জায় |
ব্লগ শুরু করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে ভালো মানের ডোমেইন হোস্টিং রাখা লাগবে। তারপর সেখানে কনটেন্ট লিখে গুগলে পাবলিশ করতে হবে। গুগল থেকে অ্যাপ্রভাল দিলে তারপর আপনার কনটেন্ট গুগলে যাওয়া শুরু করবে। তারপর আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন যখন ১০০ টা করে ক্লিক বা ভিজিটর আসা শুরু করবে। তখন গুগল আপনাকে গুগল এডসেন্স দিবে। সেটা দিবার মানে হল আপনার ব্লগে যে আর্টিকেল আছে সে আর্টিকেল মানুষ যখন পড়বে। তখন গুগল তার বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা এড সেই ব্লক সাইডে মানুষদের দেখাবে। আর সেটি দেখানোর বিনিময়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন গুগল থেকে।
ডিজিটাল পণ্য বিক্রিঃ
আপনি চাইলে আপনার ব্লক সাইডে ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন। এটি করার জন্য আপনাকে নিজের লেখা ই-বুক আপনার ব্লগে বিক্রি করতে হবে। মানুষ যেখানে বিভিন্ন ধরনের বই অনলাইনে কিনে থাকে। সেরকম বই আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাড বা প্রোডাক্ট হিসেবে দেখাতে হবে মানুষদেরকে। তাহলে মানুষ সেখান থেকে কিনতে আগ্রহ হবে। এছাড়া আপনি আপনার ওয়েবসাইটে যে কনটেন্ট লিখেন সে কনটেন্টগুলো অন্য জনের জন্য লিখে দিলে সেখান থেকে আপনি খুব সহজে টাকায় করতে পারবেন।
ইনকামঃ
আপনি যদি সঠিক পরিমাণে আপনার ওয়েবসাইট চালাতে পারেন। রেগুলার কাজ করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের এড বা প্রোডাক্ট মানুষের জন্য দেখাতে পারেন। এভাবে যদি রেগুলার কাজ করেন। তাহলে মিনিমাম আপনি প্রতিমাসে প্রায় "এক লক্ষ টাকা" ইনকাম করতে সাফল্য হবে। এজন্য আজ থেকে কাজ শুরু করুন।
ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল নিতে হয়ঃ
ব্লগ থেকে আয় করতে হলে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট এপ্রুভাল নিতে হয় গুগল থেকে। বিশেষ করে আপনি যদি বিজ্ঞাপন এফিলেট মার্কেটিং এর মাধ্যমে কাজ করে থাকেন। তাহলে সে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ্রভাল আপনার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি দিক তা হল...।
ব্লগ-থেকে-এপ্রুভাল-নেওয়া |
গুগল এপ্রুভালঃ
- আপনি যদি আপনার ব্লগ সাইডে রেগুলার কন্টেন্ট পাবলিশ করেন এবং কনটেন্ট গুলোর মানসম্পন্ন হয়। এবং আপনি যদি রেগুলার কাজ করে থাকেন। তাহলে গুগল আপনাকে অবশ্যই অ্যাপ্রভাল দিবে গুগলে কাজ করার জন্য।
- আপনার ব্লগ সাইট যদি নতুন নতুন হয় তাহলে গুগল পরামর্শ অনুযায়ী নতুন ব্লগে এডসেন্স পেতে একটু সময় লাগে। কিন্তু আপনার ব্লগের সাইট যদি ছয় মাস বা তার অতিরিক্ত সময় লেগে থাকে। তাহলে আপনি আপেল পেয়ে যাবেন খুব সহজে।
- আপনার ব্লগ সাইটে একটি গোপনীয়তা নীতির পৃষ্ঠা থাকতে হবে যেটা প্রাইভেসি নামে খ্যাত।
- আপনার ব্লগে প্রতিটা পৃষ্ঠা কনটেন্ট সবগুলোর মানসম্পন্ন রাখতে হবে এবং সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।
- আপনার ব্লগ সাইটে আপনার পাঠকের সংখ্যা এবং তাদের ক্রিয়া-কলাপ এর পরিমাণ বেশি পরিমাণে থাকতে হবে।
- আপনার ব্লগে যে সব কনটেন্ট আছে বা আপনি যেসব প্রোডাক্ট বা এড দেখাচ্ছেন। সেগুলো যেন বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে মানুষের কাছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো পরিমাণে টাকা আয় হতে শুরু করে তাহলে আপনি একটি ভাল ব্যবসায়ী প্রভাব বিস্তার করেন। যে কোন কোম্পানির ব্র্যান্ড বা সেখানে কাজ করার উপস্থাপনা জানাতে পারেন।
- আপনার ব্লগ সাইডে অ্যাপ্রভাল নিতে হলে আপনার গুগল এডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজিটাল পূর্ণ, বিক্রি মানুষের সাথে যোগাযোগ বিশ্বাসযোগ্য কনটেন্ট। তাদের সাথে ভালো ব্যবহার এবং কি সবার সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবেন। এভাবে আপনি প্রত্যেকটি মানুষের কাছে যোগাযোগ রাখলে আপনার ও আপনার ব্লক সাইটের উচ্চমান আরো বেড়ে যাবে।
ব্লগ থেকে প্রতিমাসে কত টাকা আয় করা যায়ঃ
ব্লগ থেকে ইনকাম করতে হলে সবার আগে দেখতে হবে আপনার ব্লগের ফ্যাক্টরের মান কি রকম। আপনার ব্লগে ট্রাফিক বিষয়বস্তু আয় স্ট্রিম এবং দক্ষতা উচ্চ মানের আছে কি'না। আর এগুলো উচ্চমানের করতে হলে যা যা করা লাগবে তার নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
ব্লগের ট্রাফিকঃ
আপনার ব্লগ সাইটে যদি উচ্চ ট্রাফিক হয় উচ্চ ট্রাফিক মানে বেশি ভিজিটর। বেশি ভিজিটর হলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটে বেশি পরিমাণে বিজ্ঞাপন, এফিলেট মার্কেটিং, এবং বিভিন্ন ধরনের পণ্যের বিক্রির অ্যাড দেখাতে পারবে। যাতে করে আপনার ব্লগে আই বেড়ে যাবে।
আর আপনার ব্লগ সাইটে যদি ভিজিটর কম আসে তাহলে আপনার আয়ের পরিমাণ কমে যাবে। এজন্য যত বেশি ভিজিটর তত বেশি আয়।
ব্লগ-থেকে-প্রতিমাসে-কত-টাকা-আয়-করা-জায় |
আয় স্ট্রিমঃ
গুগল অ্যাডসেন্স আপনার ব্লগে যদি গুগল বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আপনি এই করতে পারেন। তাহলে সাধারণত আপনি প্রতি মাসে আয় করবেন ইম্প্রেশন থেকে $১থেকে $১০০ আয় করা সম্ভব।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার পণ্য বা অন্য কোন বড় কোম্পানির পণ্য আপনি যদি আপনার ব্লগ সাইট থেকে কোন কাস্টমারকে বিক্রি করতে পারেন। তাহলে আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন। আর যেহেতু আপনার ওয়েবসাইট থেকে সে পণ্যটি কিনবে। এজন্য আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে আলাদা ইনকাম হবে। কেউ যদি আপনার ওয়েবসাইটে এসে কোন প্রোডাক্ট কিনে। তাহলে আপনি ব্লক ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারবেন $১০ থেকে $১০০ তার উপরে।
আপনি যদি আপনার ব্লক পোস্টে উচ্চ মানের কনটেন্ট লিখতে পারেন আর সেখানে যদি ভিজিটরের সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে আপনি একটি পোস্ট থেকে আয় করতে পারবেন $৫০ থেকে $৫০০ তারও বেশি।
ব্লগ থেকে প্রতিমাসে আয় করার টিপসঃ
- প্রারম্ভিক স্তরঃ
ট্রাফিক আয় প্রতিমাসে পাবেনঃ ১০০০ থেকে ১০,০০০ভিজিটর।
সম্ভাব্য আয়ঃ $২০ থেকে $২০০।
- মধ্যম স্তরঃ
ট্রাফিক আয়ঃ ১০,০০০ থেকে ৫০,০০০ভিজিটর।
সম্ভাব্য আয়ঃ $২০০ থেকে $২০,০০০।
- উন্নত স্তরঃ
ট্রাফিক আয়ঃ ৫০,০০০থেকে ১,০০,০০০ভিজিটর।
সম্ভাব্য আয়ঃ $২০০ থেকে $২,০০০।
- পেশাদার স্তরঃ
ট্রাফিক আয়ঃ ১,০০,০০০ বা তার বেশি হতে পারে।
সম্ভাব্য আয়ঃ $ ৫,০০০থেকে $১০,০০০ বা তার বেশি।
ব্লক সাইট থেকে টাকা তৈরি করতে হলে সেটি নির্ভর করে আপনার চেষ্টার উপর। আপনার কনটেন্ট এর উপর আপনার ট্রাফিকের উপর আপনার আইসক্রিমের উপর এগুলো সব কিছু একত্রে মিলে সব যখন উচ্চমান বা ভালো আকারে ( Rank ) করবে গুগলে। তখন দেখবেন আপনার টাকা ইনকাম করা ছেলেখেলা মনে হবে।
ব্লগিং কিঃ
আজকের যুগে চলে এসেছে ইন্টারনেট প্রযুক্তির বিশেষভাবে ব্যবহার মানুষের কাছে। আর এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষ দিন দিন লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে অনলাইন থেকে। ব্লক হচ্ছে একটি টাকা ইনকাম করার মূলত ঘরে বসে খুবই সহজ উপায়।
ব্লগিং হচ্ছে আপনার নিজের চিন্তা ভাবনা, জ্ঞান, এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করার একটি প্ল্যাটফর্ম। এই প্লাটফর্মে আপনি বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা বা আগ্রহ অনুযায়ী আপনি কন্টেন্ট লিখতে পারেন। যেটি মানুষ গুগলে গিয়ে পড়ার সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে। আর এটি এখনকার দিনে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মানুষের কাছে। ব্লক এ কাজ করতে হলে আপনি যেকোনো পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করতে পারেন। যেমন, ,আপনার যদি ভ্রমণ করতে ইচ্ছা হয়, বা জীবনের কিছু ঘটনা, বা দৈনিক জন জীবনের কিছু কথা, বা ইন্টারনেট প্রযুক্তি, শিক্ষা চিকিৎসা, ফিন্যান্সিং, এগুলো নিয়ে আপনি কন্টেন্ট লিখতে পারেন।
ব্লগিং কি |
আপনার ব্লগ হচ্ছে দ্বিমুখী যোগাযোগের মাধ্যম পাঠকরা আপনার ব্লগে এসে। বিভিন্ন ধরনের মতামত দিতে পারবে যে মতামত আপনি আলোচনা করে আরও বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট লিখতে পারবেন। বা আপনি একটি কমিটি তৈরি করতে পারবেন। একটি সফল ব্লক পরিচালনা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত কাজ করতে হবে। এবং প্রতিদিন আপডেট খবর বা কথা আপনার ব্লগে কনটেন্ট অনুযায়ী লিখতে হবে।
তাহলে নিয়মিত আপনি গুগল থেকে ভিজিটর পেতে শুরু করবেন। আর আস্তে আস্তে দেখবেন আপনি সেই ওয়েবসাইট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি ছোট থেকে শুরু করেন তাহলে একসময় দেখবেন যে আপনি ব্লগ করতে করতে অনেক কিছু শিখে পারবেন। এবং কি বিভিন্ন ধরনের কাজও পেতে শুরু করবেন এজন্য কোন কিছু চিন্তাভাবনা না করে আজ থেকে ব্লগিং করা শুরু করুন।
ব্লগ এক্টিভ ইনকাম কিঃ
ব্লগ সাইডে কাজ করে মানুষেরা প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। শুধু মানুষেরা কেন আপনিও পারবেন যদি চেষ্টা করেন। ব্লগে একটিভ ইনকাম বলতে বোঝানো হয়েছে যে। আপনি যখন কোন ফাইবার বা আপওয়ার্কে একাউন্ট খুলবেন। তখন ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দিবে। তখন আপনি সে কাজটি হাতে নিয়ে আপনি সে কাজটি করে ক্লায়েন্টকে বুঝিয়ে দিবেন। তার বিনিময়ে ক্লায়েন্ট আপনাকে পরিমাণ অনুযায়ী টাকা দিবে। এটি হচ্ছে বেসিক ব্লগে অ্যাক্টিভ ইনকাম।
ব্লগ-এক্টিভ-ইনকাম-কি |
এক কথায় বলা যায় যে, আপনি কাজ করলে টাকা পাবেন। আর না করতে পারলে কিছুই পাবেন না। এটি হচ্ছে একটিভ ইনকাম।
ব্লগ প্যাসিভ ইনকাম কিঃ
আজকের ইন্টারনেট জগতে সবচেয়ে কম সময় টাকা ইনকাম করার মোস্ট থেরাপি হলো ব্লগিং করা। ব্লগিং করে আপনি ঘরে বসেই খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর কিছু মান-বন্টন রয়েছে সেগুলো লক্ষ্য করে আপনি কাজ করলে অবশ্যই ভালো কিছু করতে পারবেন। ব্লগে একটি প্যাসিভ ইনকাম আছে।
ব্লগ-প্যাসিভ-ইনকাম-কি |
প্যাসিভ ইনকাম কি? প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে আপনি আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রতিদিন কনটেন্ট লিখবেন। তখন সেটি গুগলে পাবলিশ হবে এটির মানে হচ্ছে আপনি যত বেশি কনটেন্ট লিখবেন। তত বেশি গুগলে পাবলিক হতে শুরু করবে। আর আপনার কন্টেনগুলো মানুষ গুগলে সার্চ করবে। আর যতদিন গুগল আছে ততদিন আপনার কন্টেন্ট থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন কাজ না করেও।
তার মানে, প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে আপনি একবার যদি কাজ করে ফেলেন ভালোভাবে। তারপরে আপনি যদি কাজ না করেন তাও আপনি গুগল থেকে টাকা পেতে থাকবেন। এটি হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম। এক কথায় বলা যায় যে, প্যাসিভ ইনকাম আপনি আপনার নিজের জন্য করবেন। এখন কষ্ট করবেন এক বছর পর পায়ের উপর পা তুলে খাবেন নিশ্চিন্ত।
লেখকের মক্তব্যঃ
ব্লগিং করে টাকা আয় করার নিয়ম ২০২৪ কি ধরনের হয়। আমরা তা জানলাম ও তার সাথে সাথে আমরা এটাও জানলাম যে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম কি। টাকা ইনকাম করার সহজ নিয়ম হলো ব্লগিং করা। ব্লগিং করলে আপনি ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনাদের যদি এই ঘরে বসে ইনকাম করা ভাল লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করে দিবেন।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন...... www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url