কি খেলে শরীর ফিট থাকে - শরীর ফিট রাখার উপায় কি? জেনে নিন বিস্তারিত?
আজকে আমরা জানবো যে কি করলে ও কি খেলে শরীর ফিট থাকে। কেননা শরীর ফিট থাকলে সব কিছু ভাল লাগে। এর সাথে সাথে আমরা এটাও জানবো যে শরীর ফিটনেস রাখার গুরুত্ব কি। বিস্তারিত...।
ভূমিকাঃ
আমাদের নিত্যদিনের জীবনে আমরা বুঝতে পারি না যে কি খেলে শরীর ফিট রাখা যায়। এবং কি কি করলে আমাদের শরীর ভাল ও সুস্থ্য রাখা সম্ভব।
কি-খেলে-শরীর-ফিট-থাকে |
কি খেলে শরীর ফিট থাকেঃ
আমাদের শরীর ফিট রাখতে হলে আমাদেরকে সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য বজায় রাখতে হবে। এবং কি আমাদের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন যুক্ত খাবার রাখতে হবে। যেমন, শাকসবজি ফলমূল হোল গ্রেইন ইত্যাদি এসব স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার যা আমাদের শরীরে প্রোটিন জোগাতে সাহায্য করে। প্রোটিন যুক্ত খাবারের মধ্যে পড়ে মাছ মাংস ডিম ডাল বাদাম ইত্যাদি আমাদের শরীরে বেশি গঠনের সাহায্য করে থাকে।
এছাড়া শাকসবজি ফলমূল আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল খনিজ পদার্থ পূরণ করতে সহায়ক। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আমাদের শরীর সুস্থ রাখে। আর হোল গ্রেইন খাবার হচ্ছে যেমন, ব্রাইন রাইস, ওটস, গোমের পাউরুটি, ইত্যাদি এসব খাবার আমাদের শরীরে শক্তি যোগায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের পেট ভরে রাখে।
আরো পড়ুনঃ শরীর থেকে কিভাবে খুব সহজে কালো দাগ দূর করবেন?
এসব খাবারের পাশাপাশি আমাদেরকে কিছু চর্বি জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমনঃ অ্যাভেকোডা, অলিভ অয়েল, এবং কি বাদাম, এগুলো খাওয়া আমাদের জন্য স্বাস্থ্য প্রয়োজনী একটি দিক। এগুলো সব প্রোটিনযুক্ত খাবার আমাদের শরীর ফিট রাখার জন্য এসব খাবার আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
এবং সবচেয়ে বড় একটি বিষয় হলো যে আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন যেন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা বিশ্রাম নেওয়া যায় সে সুযোগ-সুবিধা রাখতে হবে। এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করতে হবে। এগুলো খাদ্যভ্যাস আপনি আপনার জীবন যাত্রার সময়ে যদি ধরে রাখতে পারেন। তাহলে আপনার শরীর ফিট থাকবে এবং সুস্থ থাকবে।
শরীরিক ফিটনেস রাখার গুরুত্বঃ
আমাদের নিত্যদিনের জীবনে শরীর ফিটনেস রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা শরীর সামগ্রিক সুস্থতা ও দীর্ঘ স্থায়ু নিশ্চিত করে। আমরা যদি আমাদের শরীর ফিটনেস বজায় রাখতে পারি তাহলে আমাদের শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকিপূর্ণ দিক কমে যায়। যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্ত চাপ ইত্যাদি। শরীর ফিটনেস রাখার জন্য আমাদের নিয়মিত প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। এবং কি আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রোটিন যুক্ত খাদ্য যোগ করতে হবে।
যাতে করে আমাদের শরীর শক্তিশালী হয়ে ওঠে ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। শরীর ফিট রাখার কারনে এন্ডরফিন উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে এবং কি মানসিক চাপ কমায় ও স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন ঘটে। শরীর ফিট থাকলে যেকোনো কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং দৈনিক জন কাজ করতে শরীরে ফুর্তি আসে। এছাড়া শরীর ফিটনেস একটি আত্মবিশ্বাস বাড়ায় যা আমাদের জীবনযাপনে চলতে সাহায্য করে। এবং আমাদের জীবন আনন্দময় হতে ওঠে। তাই সুস্থ ও সুখী জীবন যাপন করতে চাইলে নিজের শরীর ফিটনেস রাখতে হবে।
শরীর ফিট রাখার ১০ টি উপায়ঃ
আমরা আমাদের জীবনে প্রত্যেকটি ব্যক্তি নিজের শরীর ফিট রাখতে চাই। কিন্তু কিছু কিছু কারণে আমরা রাখতে পারি না। তাই আসুন জেনে নিই শরীর ফিট রাখার উপায়ঃ
- শরীর ফিট রাখার জন্য আমাদের প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। যেমন, দৌড়ানো, হাটা, সাইকেলিং করা, জিমে যাওয়া, সাঁতার কাটা, ইত্যাদি এসব করে আপনি ব্যায়াম করতে পারেন।
- শরীর ফিট রাখার জন্য আমাদেরকে স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য খেতে হবে। যেগুলোতে প্রোটিন যুক্ত থাকে যেমন শাকসবজি ফলমূল দুধ ডিম ইত্যাদি।
- প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গেলাস পানি পান করতে হবে পানি পান করলে আমাদের শরীর থেকে টক্সিন রোগ দূর হয়। এবং আমাদের শরীরে কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে তাই পানি পান করতে হবে।
- শরীর সুস্থ রাখার জন্য সবচেয়ে বড় কাজ হলো প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। ঘুম আমাদের শরীরে মানসিক চাপ কমায় এবং আমাদের সুস্থ শরীর রাখতে সাহায্য করে। এবং আমাদের শরীর ফিট রাখে।
- স্ট্রেস কমানো খুবই জরুরী কেননা স্ট্রেস না কমলে আমাদের শরীরের মানসিক চাপ বেড়ে যাবে আমরা কোন কাজ করতে পারবো না সহজে। তাই একটি কমানোর জন্য আমাদের প্রতিদিন মেডিটেশন, যোগব্যায়াম,এবং কি শখের চর্চা করতে হবে। এতে করে আমাদের শরীর থেকে স্ট্রেস কমে যাবে এবং নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
- শরীর ফিট রাখার জন্য আমাদের শরীরের উপরে কিছু যাবত সময় গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত। কেননা আমাদের স্বাস্থ্য কেমন অবস্থায় আছে সেটি আমরা পরীক্ষার দ্বারা জানতে পারবো। এবং আমরা নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে নিজে সচেতন হতে পারব।
- শরীর ফিট রাখার জন্য সর্বপ্রথম ওজন কমাতে হবে। ওজন কমানোর দিকগুলো সব সময় মেনে চলুন। এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নিজের ওজন কমান।
- ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক এটি পুরো বিশ্বের মানুষ জানে। তাই শরীর ফিট রাখার জন্য আমাদের এই ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করতে হবে। এটি আমাদের শরীরের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকারক হয়ে থাকে তাই এগুলো এড়িয়ে চলুন।
- আমাদের নিত্যদিনের খাবারের সাথে ভিটামিন ও খনিজ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে থাকা সাপ্লিমেন্টস আমাদের শরীরে পুষ্টি যোগান দেয়।
- কোন স্বাস্থ্য সমস্যা হলে সরাসরি ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। না জেনে শুনে কখনো কোন কাজ করতে যাবেন না। এতে করে শরীরের ক্ষতি হতে পারে তাই সবকিছু ভাবনা চিন্তা করে করবেন।
শরীরিক ফিটনেস বজায় রাখার কৌশলঃ
শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার জন্য কিছু কৌশল অনুসরণ করতে হবে তা নিম্নে দেওয়া হল,,
- নিয়মিত ব্যায়াম
আপনাকে প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে ফিটনেস সঠিক রাখার জন্য। ১৫০ মাঝারি গতিতে ও ৭৫ নিম্নে গতিতে আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে। যেমন, হাটা, সাইকেলিং করা, ফুটবল খেলা, সাঁতার কাটা, ইত্যাদি।
- সুষম খাবার
আপনার খাদ্য তালিকায় সুষম খাদ্য রাখাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ যেমন প্রোটিনযুক্ত ফাইবারযুক্ত খাবার শাকসবজি ফলমূল ইত্যাদি।
- পর্যাপ্ত পানি পান
শারীরিক কৌশল ও শরীর ফিট রাখার জন্য পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের শরীরে তাই প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। পানি খেলে আমাদের শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায় এবং আমাদের শরীরে কোর্সগুলো হাইড্রেটেড রাখে।
- পর্যাপ্ত ঘুম
প্রতি রাতে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরী। কেননা পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমালে আমাদের শরীরে ও হরমোনের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো উচিত।
- ধূমপান ও মদ্যপান
আমাদের শরীরের ধূমপান ও মদ্যপান খুবই বিপদজনক। তাই এগুলো খাওয়া থেকে নিজেকে এড়িয়ে চলতে হবে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। এই দুটো জিনিস। তাই এই গুলোকে না বলুন।
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
প্রত্যেক বছরে অত্যন্ত একবার হলেও নিজের শরীরের পরীক্ষা করানো উচিত। কেননা আমাদের শরীর কি পরিমাণে রয়েছে কোন ধরনের সমস্যা আছে কি'না সেটি জানতে হবে। কোন সমস্যা থাকলে সরাসরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
আপনি যদি এইগুলো নিয়মাবলী মেনে চলতে চলবেন। এবং মাঝে মাঝে হাঁটাচলা এবং ফাঁকে ফাঁকে ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে ব্যায়াম করা এগুলো ঘোড়াও উপায়ে নিজের শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব। তাই এগুলো নিয়মাবলী মেনে চলবে।
শারীরিক ফিটনেস কাকে বলেঃ
শারীরিক ফিটনেস বলতে বোঝানো হয়েছে যে, আমাদের শারীরিক ফিটনেস বা আমাদের দেহ হচ্ছে প্রতিটি অঙ্গের কর্মকর্তার অংশ। এই ফিটনেস দ্বারা আমাদের শরীরে সম্পর্কিত বজায় রাখে। এটি একটি ব্যক্তির ধ্বনির দল জীবনের কাজকর্ম পরিচালনা যোগ্য ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। যে সেই সার্বিক প্রিফিশোনসি ও সামর্থ্যকে প্রভাবিত করে।
শরীরিক-ফিটনেস-কাকে-বলে |
এর মাধ্যমে একটি ব্যক্তির নিজের জীবনে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার যোগ্য ভাবে সম্পন্ন করতে পারে। এবং সে তার শারীরিক ফিটনেস ও শরীর সুস্থ শক্তিশালী রাখতে সক্ষম হয়। এজন্য আমাদের প্রত্যেকের শারীরিক ফিটনেস সুস্থ রাখতে হবে।
শারীরিক ফিটনেস রাখার রুটিনঃ
শারিরীক ফিটনেস বজায় রাখার জন্য আমাদেরকে কিছু ফিটনেস রুটিন অনুসরণ করে চলতে হবে। এবং সেই ফিটনেস রুটিনে যেন আমাদের নিত্যদিনের কাজকাম ব্যায়াম প্রোটিন যুক্ত খাবার থাকে। সেগুলো নিয়ে আজকে আমাদের আলোচনাঃ
- নিয়মিত ব্যায়াম
পুরো সপ্তাহে জুড়ে আপনাকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত দেন যারা আমাদের শরীর সুস্থ ও ফিটনেস ভালো থাকে এবং মানসিক চাপ কমে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার
প্রতিদিন আমাদের প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে যেমন শাকসবজি, ফলমূল ও অন্যান্য উচ্চ গুণগত পুষ্টিকর খাবার এগুলো খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী শরীর সুস্থ রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া হিসেবে এড়িয়ে রাখবেন নিজেকে। প্রতিদিন পানি ৭ থেকে ৮ গ্লাস খাওয়া ভালো।
আরো পড়ুনঃ শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য কি ধরনের ডায়েট করা প্রয়োজন?
- সুন্দর জীবন যাপন
আমরা যদি আমাদের স্বাস্থ্য ফিটনেস এর পাশাপাশি জীবন সুন্দর রাখতে চাই তাহলে আমাদেরকে নিয়মিত ঘুম ব্যায়াম এগুলো পালন করতে হবে এবং ধূমপান মদ্যপান থেকে নিজেকে হাজারো দূরে রাখতে হবে কেননা এই দুটি জিনিস আমাদের শরীরের ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।
- পরামর্শ
আমাদের শরীর কি অবস্থায় আছে এবং কোন ধরনের সমস্যা যদি মনে হয়। তাহলে সঙ্গে সঙ্গে কোনো ভালো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুসরণ করে নিজের শরীর সুস্থ রাখার চেষ্টা করবেন। শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখতে এগুলো নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে আপনাকে। তাহলে আপনার শারীরিক ফিটনেস সুস্থ এবং দেহ সুস্থ মন সুস্থ আপনার জীবন সুন্দর।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনেরা বুঝতে পেরেছেন যে কি খেলে শরীর ফিট থাকে। আমরা আমাদের ফিটনেস কিভাবে বজায় রাখবো। এবং তার সাথে সাথে এটাও জানতে পেরেছেন যে শরীরিক ফিটনেস রাখার গুরুত্ব কেমন। আসা করি সব কিছু বিস্তারিত ভাবে জেনে গেছেন।
ভালো লাগলে কমেন্ট ও প্রিয় মানুষের কাছে শেয়ার করবেন।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন......www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url