কিভাবে পড়াশোনায় মনযোগী হওয়া যায় - সহজে পড়া মনে রাখার উপায় কি? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে কিভাবে পড়াশোনায় মনযোগী হওয়া যায়? যেটি আমাদের জীবনে খুব দরকার। তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে খুব সহজে পড়া মনে রাখার উপায় কি। বিস্তারিত জানুন...।

ভূমিকাঃ

আমাদের নিত্যদিনের জীবনে একটি বড় সমস্যা হলো আমরা যখন পড়তে বসি। তখন আমাদের মনোযোগ থাকে অন্য কোথায়। আমরা সঠিক ভাবে পড়ায় মন বসাতে পারি না।

কিভাবে-পড়াশুনায়-মনযোগী-হওয়া-জায়
কিভাবে-পড়াশুনায়-মনযোগী-হওয়া-জায়            

তাই আজকে আমরা বিস্তারিত ভাবে জানবো যে কিভাবে পড়াশোনায় মনযোগী হওয়া যায়। এবং আমরা সেই পড়াগুলো কিভাবে খুব সহজে পড়া মনে রাখার উপায় গুলো কি। জেনে নিন বিস্তারিত...।

কিভাবে পড়াশোনায় মনযোগী হওয়া যায়ঃ

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য প্রথমেই দরকার একটি সুশৃঙ্খল রুটিন তৈরি করা। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়াশোনা শুরু ও শেষ করার মাধ্যমে মস্তিষ্কে একটি স্থায়ী সময়সূচি গঠন করা সম্ভব। পাশাপাশি, পড়াশোনার পরিবেশও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরিবিলি এবং আরামদায়ক পরিবেশে পড়াশোনা করার ফলে মনোযোগ বাড়ে। পড়ার সময় মোবাইল ফোন, টিভি এবং অন্যান্য বিঘ্নিত উপকরণ থেকে দূরে থাকা উচিত।

আরো পড়ুনঃ নিজের মাইন্ড কিভাবে শান্ত রাখবেন ও নিজের আত্তে আনবেন জেনে নিন?

এর পাশাপাশি, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া এবং প্রতিটি লক্ষ্য অর্জনের পর নিজেকে পুরস্কৃত করা মানসিক প্রেরণা জাগায়। নিয়মিত বিরতি নেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ নোট তৈরি করা এবং পাঠ্যবস্তু সম্পর্কে গবেষণামূলক পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে পড়াশোনায় গভীর মনোযোগী হওয়া যায়। সর্বোপরি, অধ্যবসায় এবং আত্মবিশ্বাস পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার মূল চাবিকাঠি।

খুব সহজে পড়া মনে রাখার উপায় কিঃ

খুব সহজে পড়া মনে রাখার উপায় বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে সব মানুষের কাছে। কিন্তু আপনাকে সঠিকটি বেছে নিতে হবে। নিম্নে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল। যেটি আপনার কাজে আসবে?

  •  পরিকল্পিত সময়সূচিঃ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়াশোনা শুরু ও শেষ করুন। এটি আপনার মস্তিষ্ককে প্রস্তুত করে এবং মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  • ছোট ছোট অংশে পড়াঃ বড় বড় অধ্যায় বা বিষয়বস্তুকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে পড়ুন। এতে মস্তিষ্কে বেশি সময় ধরে তথ্য সংরক্ষণ করা সহজ হয়।
  • নোট তৈরি করাঃ পড়াশোনার সময় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বা সংজ্ঞা নোট করুন। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং পরে পুনরাবৃত্তি করতে সাহায্য করে।
  • বুঝে পড়াঃ মুখস্থ করার চেয়ে বুঝে পড়া ভালো। বুঝে পড়লে তা মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ হয়।
  • আলোচনা করাঃ পড়া নিয়ে বন্ধু বা সহপাঠীর সাথে আলোচনা করুন। এটি তথ্যের পুনরাবৃত্তি করে এবং মনে রাখতে সাহায্য করে।
  • বিরতি নেওয়া: একটানা অনেকক্ষণ পড়ার চেয়ে মাঝেমধ্যে বিরতি নেওয়া ভালো। এতে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে এবং তথ্য মনে রাখা সহজ হয়।
  • চিত্র ও ডায়াগ্রামঃ পড়ার সময় চিত্র বা ডায়াগ্রামের ব্যবহার করুন। চিত্র বা গ্রাফিক্যাল উপস্থাপনা মস্তিষ্কে সহজে মনে থাকে।
  • পুনরাবৃত্তি করাঃ পড়া শেষে তা পুনরাবৃত্তি করুন। নিয়মিত পুনরাবৃত্তি তথ্যকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে মস্তিষ্কে ধরে রাখে।
  • মনোযোগ বৃদ্ধি করাঃ পড়ার সময় মোবাইল, টিভি বা অন্যান্য বিঘ্নকারী উপকরণ থেকে দূরে থাকুন। নিরিবিলি পরিবেশে পড়াশোনা করুন।
  • পর্যাপ্ত বিশ্রামঃ পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিন। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং তথ্য সংরক্ষণে সাহায্য করে।

এই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করে খুব সহজে পড়া মনে রাখা সম্ভব।

কিভাবে পড়ার রুটিন তৈরি করবোঃ

একটি কার্যকর পড়ার রুটিন তৈরির জন্য নীচের ছকটি অনুসরণ করতে পারেন। এই ছকটি দৈনিক ভিত্তিতে আপনার পড়াশোনার সময়সূচি তৈরি করতে সাহায্য করবে।                                                                            

সময়

বিষয়

কাজের বিবারণ

৬ঃ০০-৭ঃ০০

গণিত

আইসিটি

৭ঃ০০-৭ঃ৩০

বিরতি

সকালের নাস্তা ও বিশ্রাম

৭৩০ঃ-৮ঃ৩০

ইংরেজি

প্রবন্ধ লেখার অনুশীলন

৮ঃ৩০-৯ঃ৩০

বিজ্ঞান

অধ্যায় ৫: নিউটনের সূত্র

৯ঃ৩০-১০ঃ০০

বিরতি

হালকা খাবার ও বিশ্রাম

১০ঃ০০-১১ঃ০০

ইতিহাস

অধ্যায় ২: মুক্তিযুদ্ধ

১১ঃ০০-১২ঃ০০

বাংলাঃ

কবিতা 'আমার সোনার বাংলা' ব্যাখ্যা

১২ঃ০০-১ঃ০০

বিরতি

দুপুরের খাবার ও বিশ্রাম

১ঃ০০-২ঃ০০

আইসিটি

মাইক্রোসফট এক্সেলের প্র্যাকটিস

২ঃ০০-৩ঃ০০

গৃহকার্জ

ক্লাসের নোটস রিভিউ ও হোমওয়ার্ক

৩ঃ০০-৩ঃ৩০

বিরতি

বিকেলের নাস্তা ও বিশ্রাম

৩ঃ৩০-৪ঃ৩০

ফিজিক্স

অধ্যায় ৪: বৈদ্যুতিক বর্তনী

৪ঃ৩০-৫ঃ৩০

রসায়ন

অধ্যায় ৭: রাসায়নিক বিক্রিয়া

৫ঃ৩০-৬ঃ৩০

শরীরিক ব্যায়ম

বাইরে হাঁটা বা ব্যায়াম

৬ঃ৩০-৭ঃ০০

বিরতি

হালকা খাবার ও বিশ্রাম

৭ঃ০০-৮ঃ০০

সৃজনশীল লেখা

কল্পকাহিনী বা নিজের ভাবনা লেখা

৮ঃ০০-৯ঃ০০

পুনরাবৃত্তি

দিনের পড়া পুনরাবৃত্তি

৯ঃ০০-৯ঃ৩০

রাতের খাবার

রাতের খাবার খাওয়া

৯ঃ৩০-১০ঃ০০

বিনোদন

টিভি দেখা বা মিউজিক শোনা

১০ঃ০০-১০ঃ৩০

পর্জালোচনা

পরবর্তী দিনের পরিকল্পনা ও নোট তৈরি

১০ঃ৩০-১১ঃ০০

বিশ্রাম

ঘুমানোর প্রস্তুতি

রুটিনটি ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও সময়সূচি অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারেন। প্রতিটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করুন এবং মধ্যবর্তী বিরতি রাখার চেষ্টা করুন। এটি আপনার পড়াশোনাকে সুমঙ্গল কার্যকর করবে।

কিভাবে পড়ায় মন বসানো যায়ঃ

পড়ায় মন বসানোর কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে যা আপনাকে আরও মনোযোগী ও প্রোডাক্টিভ করতে পারে। প্রথমত, একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন এবং সেই রুটিন অনুযায়ী প্রতিদিন পড়াশোনা করুন। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে মনের অস্থিরতা কমে যায় এবং একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। দ্বিতীয়ত, পড়ার জায়গা নির্বাচন করুন যেখানে শান্তি ও নিরিবিলি পরিবেশ থাকে। মনোযোগ বিঘ্নিত করে এমন সবকিছু এড়িয়ে চলুন।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে ঘরে বসে অন-লাইনে কাজ করে লক্ষ্য-লক্ষ্য টাকা আয় করবেন?

তৃতীয়ত, ছোট ছোট বিরতি নিন। দীর্ঘসময় ধরে একটানা পড়াশোনা করলে মন ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই প্রতি এক ঘণ্টা পড়ার পর ৫-১০ মিনিটের বিরতি নিন। এতে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে এবং মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। চতুর্থত, প্রয়োজনীয় নোটস তৈরি করুন এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো মার্ক করুন। এতে পাঠ্যবস্তু দ্রুত মনে রাখা সহজ হয়। পড়ার সময় কোনো বিষয় বুঝতে সমস্যা হলে বন্ধু, শিক্ষক বা অনলাইনের সাহায্য নিন।

পড়ার আগে এবং পরে হালকা ব্যায়াম বা মেডিটেশন করুন যা মনকে শান্ত করে এবং একাগ্রতা বৃদ্ধি করে। সবশেষে, নিজেকে প্রতিদান দিন। ছোট ছোট লক্ষ্য অর্জনের পর নিজেকে ছোট্ট কিছু উপহার দিন যা পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াবে। এইসব পদ্ধতি মেনে চললে পড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং ফলাফল উন্নত হবে।

পড়াশুনার জন্য কোন প্রদ্ধতি ভালোঃ

পড়াশোনার জন্য কয়েকটি কার্যকর পদ্ধতি রয়েছে যা আপনাকে ভালো ফলাফল অর্জনে সহায়তা করতে পারে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি দেওয়া হলোঃ

  • SQ3R পদ্ধতিঃ

  1. Survey (পর্যবেক্ষণ): প্রথমে পুরো অধ্যায় বা বিষয়টি দ্রুত পড়ে নিন যাতে এর সারমর্ম সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
  2. Question (প্রশ্ন): নিজেকে কিছু প্রশ্ন করুন যা পড়ার সময় উত্তর খুঁজে পাবেন।
  3. Read (পড়া): মনোযোগ সহকারে অধ্যায়টি পড়ুন এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করুন।
  4. Recite (পুনরাবৃত্তি): যা পড়েছেন তা নিজে নিজে পুনরাবৃত্তি করুন বা নিজের ভাষায় বলুন।
  5. Review (পুনর্মূল্যায়ন): পুরো বিষয়টি আবারও একবার পড়ে নিন এবং নোটস তৈরি করুন।

  • ফেইনম্যান টেকনিকঃ

  1. যে বিষয়টি পড়ছেন তা সোজাসুজি ভাষায় এবং সহজভাবে কারো কাছে ব্যাখ্যা করুন। এতে আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন কোন জায়গায় আপনার ঘাটতি রয়েছে এবং তা পুনরায় শিখতে পারবেন।

  • পমোডোরো টেকনিকঃ

  1. ২৫ মিনিট মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করুন এবং তারপর ৫ মিনিটের বিরতি নিন। এই প্রক্রিয়া বার বার করুন। চারটি ২৫ মিনিটের সেশন শেষে দীর্ঘ বিরতি নিন।

  • মাইন্ড ম্যাপিংঃ

  1. একটি কাগজের মাঝখানে প্রধান বিষয়টি লিখুন এবং সেখান থেকে বিভিন্ন শাখায় বিষয়টির উপ-বিষয়গুলি লিখুন। এতে বিষয়বস্তুর সংযোগগুলো সহজে বোঝা যায়।

  • এ্যাক্টিভ লার্নিংঃ

  1. সক্রিয়ভাবে প্রশ্ন করা, আলোচনা করা এবং প্রয়োগ করা। পাঠ্যবস্তু নিয়ে আলোচনা করলে তা দ্রুত মনে থাকে এবং বুঝতে সহজ হয়।

  • ফ্ল্যাশকার্ড ব্যবহারঃ

  1. গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফ্ল্যাশকার্ডে লিখে নিন এবং নিয়মিত সেগুলো পুনরাবৃত্তি করুন। এতে ছোট ছোট তথ্য দ্রুত মনে রাখা যায়।

  • রুটিন মেনে চলাঃ

  1. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি পড়াশোনার প্রতি একাগ্রতা বৃদ্ধি করে এবং নিয়মিততা বজায় রাখে।

এই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করে আপনি আপনার পড়াশোনার প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর ও ভালোভাবে পরিকল্পনা করতে পারেন।

পড়া মুখস্ত করার উপায় কিঃ

পড়া মুখস্ত করার জন্য প্রয়োজন সঠিক কৌশল এবং নিয়মিত অনুশীলন। প্রথমত, পড়ার সময় মনোযোগ বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো রকমের বিঘ্ন বা বিবাত ছাড়াই পড়াশোনা করলে মস্তিষ্ক তথ্যগুলো দ্রুত ধারণ করতে পারে। দ্বিতীয়ত, পড়ার সময় নোট তৈরি করা খুবই উপকারী। কারণ, লিখে রাখার মাধ্যমে বিষয়বস্তু সহজে মনে রাখা যায়। তৃতীয়ত, বড় বড় পাঠগুলো ছোট ছোট অংশে ভাগ করে পড়া উচিত। এতে মস্তিষ্কের উপর চাপ কম পড়ে এবং প্রতিটি অংশ ভালোভাবে মুখস্ত হয়।

পড়া-মুখস্ত-করার-উপায়-কি
                                                                পড়া-মুখস্ত-করার-উপায়-কি                                                                                                

চতুর্থত, পড়া বিষয়টি নিজের ভাষায় বুঝে এবং ব্যাখ্যা করে দেখতে হবে। এটি ফেইনম্যান টেকনিক নামে পরিচিত, যা কঠিন বিষয়গুলো সহজভাবে মনে রাখতে সাহায্য করে। পঞ্চমত, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিতভাবে পড়াশোনা করতে হবে। নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করলে পড়া দীর্ঘমেয়াদে মনে থাকে। এছাড়াও, বিভিন্ন মেমরি টেকনিক যেমনঃ মাইন্ড ম্যাপিং, ফ্ল্যাশকার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। সর্বোপরি, পড়ার সময় বিশ্রাম নেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শরীর ও মনের সুস্থতা মনে রাখার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। 

কিভাবে পড়াশুনা করা উচিতঃ

পড়াশোনা করা উচিত এমন কিছু নিয়ম ও কৌশল রয়েছে যা অনুসরণ করলে আপনি আরও বেশি কার্যকরভাবে পড়াশোনা করতে পারবেন। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল দেয়া হলোঃ

  1. প্রতিদিনের জন্য একটি সময়সূচি তৈরি করুন। কোন সময় কোন বিষয় পড়বেন এবং কতক্ষণ পড়বেন তা নির্ধারণ করে নিন। একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মেনে চললে পড়ার বিষয়গুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন।
  2. এমন একটি স্থানে পড়াশোনা করুন যেখানে বিঘ্ন ঘটবে না। নিরিবিলি এবং শান্ত পরিবেশ পড়াশোনার জন্য উপযুক্ত।
  3. বড় পাঠগুলো ছোট ছোট অংশে ভাগ করে পড়ুন। এতে করে প্রতিটি অংশ ভালোভাবে মনে রাখা সহজ হবে।
  1. পড়ার সময় নোট তৈরি করুন। নিজের ভাষায় বিষয়টি লিখে রাখলে তা মনে রাখা সহজ হয়।
  2. নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একবার পড়ে ভুলে না গিয়ে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করলে পড়া বিষয়গুলো দীর্ঘমেয়াদে মনে থাকে।
  3. বিষয়বস্তু মনে রাখার জন্য মাইন্ড ম্যাপিং একটি কার্যকরী কৌশল। এতে করে বিভিন্ন তথ্য একটি চার্টে একত্রিত করে সহজেই মনে রাখা যায়।
  4. পড়ার সময় বিভিন্ন প্রশ্ন তৈরি করুন এবং সেগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে বিষয়টি বুঝতে এবং মনে রাখতে সুবিধা হয়।
  5. দীর্ঘ সময় ধরে একটানা পড়াশোনা না করে মাঝে মাঝে বিরতি নিন। এটি মস্তিষ্ককে রিফ্রেশ করে এবং মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ায়।
  6. পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম পড়াশোনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  7. পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ এবং ইতিবাচক মনোভাব থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে পড়াশোনা করতে ভালো লাগে এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।

এই কৌশলগুলো অনুসরণ করলে আপনার পড়াশোনার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে এবং ভালো ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যা আপনি কিভাবে পড়াশোনায় মনযোগী হওয়া যায় সেটি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে খুব সহজে পড়া মনে রাখার উপায় কি ধরনের হয়ে থাকে।

ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও আপানদের প্রিয় মানুষের কাছে শেয়ার করে দিয়েন।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন......www.stylishsm.com






( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )















এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url