কিডনীতে পানি জমলে কি করতে হয় - কিভাবে কিডনি সুস্থ্য রাখা যায়? সবকিছু বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে কিডনীতে পানি জমলে কি করতে হয় এর কিছু বিশেষ গুণ। এবং কি তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে কিভাবে কিডনী সুস্থ্য রাখা যায়। তাহলে আসুন শুরু করা যাক?

ভূমিকাঃ

আমাদের শরীরে কিডনী একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে আমাদের সঠিক রাখার জন্য। কিডনী সুস্থ্য থাকলে আমাদের ভাল থাকে।

কিডনিতে-পানি-জমলে-কি-করতে-হয়
কিডনিতে-পানি-জমলে-কি-করতে-হয়                

তাই আজকে আমরা কিডনী সমন্ধে সব কিছু জানবো যে কিভাবে আমাদের কিডনী সুস্থ্য রাখা যায়। এবং কি কিডনী সমন্ধে বিশেষ কিছু খাবারের গুণ জানবো?

কিডনীতে পানি জমলে কি করতে হয়ঃ

কিডনিতে পানি জমা বা কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় নানান মানুষ ভোগে থাকেন এই সমস্যা হাইড্রোনেফ্লোসিস এর কারণে হয়ে থাকে। এটি একটি গুরুত্ব তার সমস্যা। এটি হলে আপনি সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কি ধরনের চিকিৎসা নিলে ভালো হয় তা নিন্নরূপ...।

চিকিৎসকের পরামর্শঃ

কিডনিতে পানি জমাট বাঁধলে আপনাকে ভালো কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে হবে। চিকিৎসক সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আপনার সেই সমস্যা সমাধান বের করতে সক্ষম হবে। পরীক্ষার মধ্যে আপনাকে আলট্রনোসাইড, সিটি স্ক্যান, এম,আর,আই এগুলো করতে বলবে। কেননা, এগুলোর মাধ্যমে আপনার কি ধরনের রোগ হয়েছে সেটি ভালোভাবে বুঝতে পারবে চিকিৎসক। 

কিডনির সমস্যা হলে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তবে পানির পরিমাণ সম্পর্কে আপনার চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। কেননা, অতিরিক্ত পানি খেলে কিডনির অ্যাপেন্ডিসাইড ব্যথা করতে শুরু করে। কিডনি সুস্থ রাখতে হলে আপনাকে খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। লবণ কিডনির কার্যকারিতা ও কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। যেটির কারণে কিডনিতে পানি জমাট বাঁধার সমস্যা বেড়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে খুব সহজে চোখের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাবেন?

আপনার কিডনিতে যদি পানি জমাট বাধে। তাহলে সব সময় ওষুধ খেয়ে সমাধান হয় না। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য তখন সেটি সার্জারি করতে হবে। সার্জারি দ্বারা কিডনির ব্লকেজ দূর হয়। এবং সেখানে পানি জমাট  বাঁধার সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয় সার্জারি। কিডনি সুস্থ রাখতে আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, সঠিক ওজন বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে, এবং কি ধূমপান থেকে নিজেকে বিরতি রাখতে হবে। 

কিভাবে কিডনি সুস্থ্য রাখা যায়ঃ

আমাদের কিডনি আমাদের শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে আমাদের শরীর নিয়ন্ত্রণ রাখে। আমাদের শরীরে কিডনি সঠিক পরিমাণে থাকায় আমাদের শরীরের ফুর্তি ও শরীর ভালো পরিমাণে হাঁটাচলা করতে পারে। এই কিডনি একটি অঙ্গ যার রক্ত পরিবেশন করে এটি বর্জ্য পদার্থ দূর করে এবং শরীরে তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে। কিডনি সুস্থ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জীবনে তা কিছু নিম্নরূপ...।

কিভাবে-কিডনি-সুস্থ্য-রাখা-জায়
কিভাবে-কিডনি-সুস্থ্য-রাখা-জায়            

  1. আমাদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। কেননা পানি পান করলে আমাদের কিডনি সুস্থ ও সবল পরিপূর্ণ ভাবে থাকে। পানি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। এবং কিডনি কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। 
  2. আমরা যে প্রতিদিন খাবার খেয়ে থাকি সে খাবারে লবণের মাত্রা কমে দিতে হবে। অতিরিক্ত লবণ খেলে আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হয়। যা আমাদের কিডনির জন্য ক্ষতিকারক দিক হিসেবে প্রমাণিত।
  3. আমাদের প্রতিদিন শরীর সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। ব্যায়াম কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৩০-৫০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। যেমন, হাঁটা,দৌড়ানো, সাইকেলিং ইত্যাদি।
  4. নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। বেশি ওজন যেন না বাড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেননা বেশি ওজন হলে কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করে।
  5. ধূমপান থেকে বিরতি থাকতে হবে। ধূমপান কিডনির মারাত্বক ভাবে ক্ষতি করে থাকে। এবং কি ক্যানন্সের ঝুঁকি বাড়ায়।
  6. আমাদের উচ্চ্ক রক্তচাপ না হয়। সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এর জন্য ৬ মাস পর পর রক্তচাপ পরীক্ষা নিরক্ষা করা উচিত। 
  7. এগুলো বিধি-বিধান আপনি যদি মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনার কিডনি পরিপূর্ণভাবে সুস্থ থাকার মান বেড়ে যাবে।

কিডনির পাথরের লক্ষণঃ

কিডনি পাথরের লক্ষণ এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন ধরনের কারণে হতে পারে। এই কিডনির ভিতরে কঠিন পদার্থ জমা হয়ে পাথরের আকার ধারণ করে। যা মন্ত্রনালী দিয়ে পাথর বেরিয়ে যাবার সময় তীব্রভাবে ব্যথা অনুভব সৃষ্টি করে নিচে। কিডনি পাথরের কিছু লক্ষণ উল্লেখ করা হলোঃ

  • তীব্র পিঠে ব্যথা

কিডনি পাথরের একটি মূলত লক্ষণ হল পিঠের নিচের অংশে বা তার পাশে তীব্রভাবে ব্যথা অনুভব করানো। এই ব্যথা হলে আপনার শরীরের কোমরের নিচের দিকে এবং কি পাঁজরের নিচের অংশে শুরু হয়ে। এবং মূত্রনালী দিয়ে বেরিয়ে আসে কিডনির পাথর।

  • মূত্রের রং পরিবর্তন

কিডনিতে পাথর থাকলে মূত্রের রং পরিবর্তন হয়ে যায় মূত্রের রং হয়ে যায় লালচে, গোলাপী, ও বাদামী, ধরনের এরকম যদি লক্ষণ আপনার ভিতরে থেকে থাকে। তাহলে বুঝে নিবেন আপনার মূত্রে মিশে আছে পাথর।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে খুব সহজে পেটের মেদ কমাবেন?

  • প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া

পেটের ভেতর পাথর থাকায় আপনার প্রসবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া অনুভব সৃষ্টি হতে পারে।

  • ঘন ঘন প্রস্রাব

আপনার কিডনিতে যদি পাথর থেকে থাকে। তাহলে দেখবেন আপনার ঘন ঘন প্রসাব লাগবে। এবং কি কিছুদিনের মধ্যে আপনার প্রসবের চাপ অতিরিক্ত ভাবে বেড়ে যাবে। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার পেটে পাথর রয়েছে।

  • বমি বমি ভাব

কিডনিতে পাথর থাকায় একটি শরীরে বমি বমি ভাব বা আপনার বমি হতে পারে। এটি কিছুক্ষণ পরপর ঘটতে পারে আপনার সাথে আর এটি সাধারণত তীব্র ব্যথার কারণ হয়ে ওঠে।

  • জ্বর বা ঠান্ডা লাগা

আপনার পেটে পাথর থাকার কারণে সংক্রামক রোগ জনিত হতে পারে যার ফলে আপনার জ্বর বা ঠান্ডা খুব শীঘ্রই লেগে যেতে পারে। এজন্য এগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে হবে।

কিডনির সমস্যা হলে কি কি খাওয়া নিষেধঃ

আমাদের জীবনে যদি কিডনির সমস্যা ঘটে থাকে তাহলে আমাদের নিত্যদিনের খাদ্যভাসের কিছু পরিবর্তন করতে হবে। কেননা অতিরিক্ত খাবার আমাদের শরীর ও কিডনির কার্যক্ষমতা কমে আসতে পারে। তাই নিম্নে দেওয়া হলো কিছু খাবার নিষেধও নিম্নাবলি...।                                                                   

খাবারের ধরণ

নিষিদ্ধ খাবার

কারণ

লবন

অতিরিক্ত লবণ, প্রত্রিয়াজাত খাবার

কিডনীর উপর রক্তচাপ সৃষ্টি করে।

প্রোটিন

গরুর মাংস, মুরগীর মাংস

কিডনীর রক্তর পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে।

পটাশিয়াম

কলা, কমলা, আলু, টমেটো, শাঁক

শরীরে পটাশিয়াম নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেয়।

ফসফরাস

দুধ, দই,

কিডনীর বিশেষ ভাবে ক্ষতি করে থাকে।

প্রত্রিয়াজাত খাবার

ফাস্টফুড, প্যাকেটজাতীয় স্ন্যাক্স

আমাদের শরীরে লবণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

চিনি

অতিরিক্ত চিনি, মিষ্টিজাতীয় খাবার

ডায়াবের্টিস এবং কিডনীর সমস্যার ঝঁকি।

ক্যাফেইন

চা, কফি, ইত্যাদি

কিডনীর উপর মারাত্তক ক্ষতিকারক প্রভাব।

কিডনীর সমস্যা হলে আপনাকে এই সব খাবার খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরতি থাকতে হবে। না থাকলে আপনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মখীন হতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ আপনি কি দাঁতের ব্যাথা নিয়ে ভুগছেন এখনি জানুন?

কিডনির ড্যামেজের লক্ষণঃ

আমাদের শরীরে যখন কিডনি ড্যামেজ বা কোন ক্ষতির দিক বয়ে আসে তখন আমরা একেবারেই বুঝতে পারি না কিডনির সমস্যা আমাদের শরীরে আস্তে আস্তে দেখা দেয় যেটির কারণে আমাদের শরীর বদলাতে শুরু করে এবং কি কিডনির বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। তা কিছু নিম্নরূপ...।

  1. কিডনির সমস্যা হলে প্রথমত আপনার মুত্রের রং পরিবর্তন হয়ে যাবে। 
  2. মূত্র করার সময় মূত্রের মধ্যে ফেনা জাতীয় জিনিস দেখা দিবে।
  3. মুত্রের সময় মূত্রের রাস্তা দিয়ে রক্ত বের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
  4. আস্তে আস্তে দেখা যাবে আমাদের শরীর থেকে মূত্রের পরিমাণ কমে যাবে। 
  5. যেকোনো ছোট কাজ করতে গিয়ে আমাদের শরীর খুব সহজেই ক্লান্তি হয়ে পড়বে এবং শরীরের শক্তিমান কমে আসবে। 
  6. আমাদের মুখ হাত পা ফুলতে শুরু করবে এবং আমাদের শরীর গঠিত অতিরিক্ত কিডনির নির্দেশনা দিতে পারে।
  7. আমাদের শরীরের ত্বকে চুলকানি ও শুষ্কতা দেখা দিবে এবং ত্বকে র‍্যাশ বা ঘা জাতীয় হয়ে পড়বে।
  8. আস্তে আস্তে আমাদের খাবার প্রতি চাহিদা কমে যাবে এবং মুখে যেকোন ধরনের খাবারের স্বাদ পাওয়া যাবে না।
  9. বেশি রোদে থাকাই বা ছোট ছোট কাজ করায় অতি সহজে মাথা ঘুরে বা অজ্ঞান হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। মনোযোগের ঘাটতিও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে।
  10. আমাদের শরীরে কিডনির সমস্যা থাকলে ঘন ঘন বমি বমি ভাব হবে। এবং সময় গতিতে বমি হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
  11. আমাদের শরীরের পেশিতে খিচুনি বা ব্যথা অনুভব তৃপ্তি পায় এবং কি পায়ের পেশিতে খিঁচুনি বেশি হতে পারে।
  12. কিডনির সমস্যা থাকলে আমাদের শরীরে হঠাৎ করে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। এবং কি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা বেশ কঠিন হয়ে পড়বে। 
  13. কোন কিছু খেলে আমাদের মুখে স্বাদ অনুভব হবে না এবং কি মুখ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াবে। 

কিডনী ড্যামেজের লক্ষণ গুলি বেশী মানুষের দেখা যায় না। তবুও এ লক্ষণ গুলোকে কখনো অবহেলা করবেন না। উপরের ছকের যে লক্ষণ গুলি দেওয়া রয়েছে, সে লক্ষণ গুলি আপনার মধ্য যদি থাকে। তাহলে সময় থাকতে কোনো ভাল চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিন। এবং কি নিজের অসুস্থ্যতা দূর করার চেস্টা করুন। কেননা এ জীবনে সুস্থ্য জীবন-যাপন প্রত্যেক ব্যাক্তিরই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

কিডনী ভাল রাখার খাদ্যঃ

কিডনিকে সুস্থ ও কার্যকর রাখতে আপনাকে সঠিক পরিমাণে খাদ্যভ্যাস মেনে চলতে হবে। কেননা কিডনি ভালো রাখার জন্য বিশেষ কিছু খাদ্যের গ্রহণ করা খুবই আবশ্যক। যেগুলো খেলে আমাদের কিডনি বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাধন করে। তা কিছু নিম্নরূপ...।

  • পানিঃ

পানি আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করতে হবে কেননা আমাদের শরীর ও কিডনির জন্য বিশেষ উপকারী জিনিস হল পানি এটি আপনাকে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ধূমপান করলে আমাদের স্বাস্থ্যর কি ভয়ানক ক্ষতি হয় জেনে নিন?

  • বেরি ফলঃ

বুলবেরি, স্ট্রবেরি, রাষ্পবেড়ি, কিডনির জন্য বিশেষভাবে উপকারী এদের মধ্যে পাওয়া যায় এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে। এটি কিডনির জন্য বেশ উপকার।

  • শাকসবজিঃ

আপেল পেয়ারা আঙ্গুর বাঁধাকপি ফুলকপি গাজর ইত্যাদি এগুলো খাবারে ভিটামিন ও মিনারেল ভরপুর ভাবে থাকে। যা আমাদের কিডনির জন্য বিশেষভাবে উপকারিতা কার্যকর ক্ষমতা উন্নত সাধন করে।

  • মাছঃ

স্যামন, ট্রাউট, মাকেরেল, ইত্যাদি মাছে ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা আমাদের কিডনির জন্য খুবই ভালো খাবার। এই খাবার সপ্তাহে ২ বার খাওয়া উচিত।

  • লবণ যুক্ত খাবারঃ

যেগুলো খাবারে বেশি পরিমাণে লবণ থাকে সেগুলো খাবারকে এড়িয়ে চলতে হবে। এবং কি লবণযুক্ত বেশি খাবার খেলে আমাদের কিডনির রক্তচাপ উচ্চমান করে তোলে। তাই লবণযুক্ত খাবার থেকে বিরতি থাকুন।

  • বাদাম ও বীজঃ

আমন্ড, আখরোট,চিনাবাদাম, এবং কি সূর্যমুখী বীজ এটি আমাদের কিডনির জন্য বেশ উপকারী।


এটির মধ্য থাকা প্রোটিন কিডনির কার্যক্রমকে উন্নত করতে সাহায্য করে। কিডনির সুস্থ রাখার জন্য আপনাদেরকে এই সব খাবার খেতে হবে। এই খাবারের পাশাপাশি আপনি সময় সময় শারীরিক পরীক্ষা করাবেন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

কিডনি ব্যথার লক্ষণঃ

কিডনি ব্যাথা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। কিডনি ব্যথা করলে আমাদের কোমরের পিছনে তীব্র আকৃতিতে ব্যথা অনুভব করে। কিডনি ব্যথা করলে আমাদের মূত্রের রং পরিবর্তন হয়ে যায়। ঘন ঘন মূত্রত্যাগ হয় মূত্রত্যাগের সাথে সাথে সময় সময় রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিডনি ব্যথা করলে আমাদের তলপেটে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করে এবং এর সাথে সাথে আমাদের হাত-পা মুখ ফুলতে শুরু করে।

আরো পড়ুনঃ আপনার শরীরে জন্ডিস দেখা দিলে কি কি করণীয়?

যা কিডনি রোগের সংকেত বহন করে আপনার যদি কয়েক মাস পর বা কয়েক বছর পর ভালো কোনো চিকিৎসকের কাছে এই কিডনি রোগের চিকিৎসা না করান। তাহলে দেখবেন যে আপনার কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিবে এবং সেটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ হিসেবে পরিচিতি পাবে। তাই কিডনি ব্যথার রোগ কে অবহেলা করবেন না। এটির কারণে মানুষ মারাও যেতে পারে।

লেখকের মক্তব্যঃ

কিডনীতে পানি জমলে কি করতে হয় তা আপনেরা জানলেন তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে কিভাবে কিডনী সুস্থ্য রাখা যায় এর বিভিন্ন ধরনের দিক ও কৌশল। আসা করি আপনার কিডনী নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই মনে।

ভাল লাগলে সবার মাঝে শেয়ার করে দিবেন। যাতে করে অন্যরাও কিডনীর যত্ন নিতে পারে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন......www.stylishsm.com







( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )





 




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url