জন্ডিস এর লক্ষণ কি - জন্ডিস হলে কি-কি খাওয়া যাবে না? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে জন্ডিস এর লক্ষণ কি এবং এটা কেন ঘটে? তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে জন্ডিস হলে কি ঔষুধ খাব? সব কিছু জেনে নিন বিস্তারিত ভাবে।আসুন শুরু করা যাক?

ভূমিকাঃ

আমরা যখন অতিরিক্ত রোদে ঘুরা-ফেরা করি। তখন এই রোদ সহ্য না করতে পেরে আমাদের শরীরে জন্ডিস দেখা দেয়। এই জন্ডিস হওয়ার মূল লক্ষণ হচ্ছে রোদ।

জন্ডিস-এর-লক্ষণ-কি
জন্ডিস-এর-লক্ষণ-কি            

তাই আজকে আমরা জানবো যে জন্ডিস হলে কি করতে হয়। এবং তার সাথে এতাও জানবো যে জন্ডিস হলে কি ঔষুধ খাব। আসুন জেনে নিন?

জন্ডিস এর লক্ষণ কিঃ

জন্ডিস বা পিতরোগ হল একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় ফলে আমাদের চোখ সাদা ও চোখের টিস্যু গুলি হলুদ হয়ে যায়। আপনার যদি জন্ডিস হয়ে থাকে তাহলে নিচে কিছু লক্ষণ দেওয়া হলঃ

  1. জন্ডিস হলে আপনার সাধারণত লক্ষণ হবে যে আপনার চোখের সাদা অংশ ও চোখের টিস্যু গুলি হলুদ হয়ে যাবে। 
  2. আপনার প্রসাবের রং গাঢ় হলুদ বা বাদামী রঙের হয়ে উঠবে। 
  3. আপনার মলের রং ফ্যাকাসে বা সাদা ফেনা ফেনা হয়ে যাবে।
  4. আপনার শরীরে অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা মনে হবে। 
  5. কোন কিছু খাবার ইচ্ছে করবে না। আপনার পেটে ক্ষুধা ক্ষুধা থেকে যাবে।
  6. অনেক সময় বমি বমি ভাব হবে কিংবা বমি হয়ে যেতে পারে আপনার। 
  7. জন্ডিস হলে আপনি শরীরে ডান পাঁজরের নিচে এবং কি পেটে ব্যথা অনুভূতি হতে শুরু করবে। 
  8. জন্ডিস হলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আপনার পা ও পেট ফুলে যাবার সম্ভাবনা থাকে। 
  9. শরীররে বিভিন্ন অঙ্গে চুলকানি শুরু হয়ে জেতে পারে। যেটি দ্বারা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

এগুলো লক্ষণ যদি আপনার ভেতরে থাকে তাহলে আপনার জন্ডিস হয়েছে। আর এই জন্ডিস হবে মাত্রই আপনাকে কোন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা বা ওষুধ সেবন করতে হবে। জন্ডিস রোগটি মোটেই ভালো না এই জন্ডিস রোগের কারণে আমাদের লিভার ও পিত্তথলির বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন।

জন্ডিস হলে কি কি খাওয়া যাবে নাঃ

জন্ডিস হলে আমাদের খাদ্যাভাসের ওপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত কেননা জন্ডিস একটি মারাত্মক রোগ যা আমাদের শরীর ও লিভারের সাথে সাথে চোখ ও শরীরের ক্ষতি করে ফেলে তাই জন্ডিস হলে যেসব খাওয়া উচিত না তাহলে...।

  • ফ্যাটযুক্ত খাবার

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পাকোড়া, সিঙ্গারা, সমুচা, বার্গার চিপস, মাটন, বিফ, ইত্যাদি এইসব খাবার খাওয়া যাবে না।

  • চিনি ও মিষ্টি খাবার

রসগোল্লা, রসমালাই, গোলাপ জামুন, মিষ্টি পানীয়, ক্যান্ডি, কেক, পেস্ট্রি, ডোনাট, এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও মিষ্টি জাতীয় ক্যালরি থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক একটি দিক।

  • প্রক্রিয়াজাত খাবার

ক্যানড স্যুপ, সসেজ, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, এই গুলো খাবারের প্রিজারভেটিক ব্যবহার করা হয়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের লেগে ভালো না।

  • অতিরিক্ত লবণ ও মসলা

পটেটো চিপস, প্রেটজেল, এসব খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ যুক্ত থাকে। এর সাথে সাথে যেসব খাবারে অধিক পরিমাণে মসলা যুক্ত থাকে সেসব খাবার থেকে বিরতি থাকতে হবে। কেননা এসব খাবার খেলে আমাদের লিভারের উপরে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। যেটির কারণে আমাদের শরীরে হজমের মাত্রা কমে আসে যার কারণে আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে।

  • খাবারের মান

আপনি কাঁচা বা সঠিকভাবে রান্না না করা মাছ-মাংস খেলে লিভারের উপর চাপ পড়ে যেটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক। এর পাশাপাশি আপনাকে ধূমপান থেকে বিরতি থাকতে হবে। কেননা ধূমপান করলে সর্বপ্রথম লিভারের ক্ষতি হয় এজন্য জন্ডিস হলে এইসব খাবার থেকে আপনাকে বিরতি থাকতে হবে।

জন্ডিস হলে কি ডিম খাওয়া যাবেঃ

জন্ডিস হলে ডিম খাওয়া নিয়ে কিছু পদক্ষেপ রয়েছে। তবে সাধারণত ভাবে ডিম খাওয়া নির্ভর করে সেই ব্যক্তির স্বাস্থ্যের উপর এবং চিকিৎসকের পরামর্শের উপর আসন কিছু পরামর্শ জেনে নেই,,,

  • ডিম খাওয়া সুবিধা

ডিমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ যা আমাদের শরীরকে বেশি পূর্ণ গঠন ও শক্তি জোগাতে সাহায্য করে থাকে এছাড়া ভিটামিনের পাওয়া যায় ভিটামিন বি১২ ভিটামিন ডি আয়রন ও জিঙ্ক। যা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। 

  • ডিম খাওয়ায় সাবধানতা

সিদ্ধ ডিম করে ডিম খাওয়া ভালো কারণ সিদ্ধ ডিমের আমাদের হজমের শক্তি বাড়িয়ে তোলে এবং লিভারের উপরে চাপ কম পড়ে। আর ভাজা ডিম মশলাদার ডিম না খাবার উত্তম। কারণ এতে লিভারের চাপ উচ্চ মানে বাড়িয়ে তোলে।

  • চিকিৎসকের পরামর্শ

জন্ডিস হলে ডিম খাওয়ার আগে আপনি অবশ্যই অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডিম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ডিম খাবার কারণে আমাদের লিভারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য জন্ডিস হলে যদি আপনার ডিম খাওয়ার ইচ্ছে করে। তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার চেষ্টা করবেন। না হলে পরে দেখা যেতে পারে যে ডিম খাবার ফলে আপনার শরীরে থাকা জন্ডিসের মাত্রা আরো বেড়ে যেতে পারে তাই এসব খাবার খাওয়ার আগে পরামর্শ নিয়ে খাবেন আর পরামর্শ না নিতে পারলে এইসব খাবার এড়িয়ে চলবেন।

জন্ডিস রোগীর খাবার তালিকাঃ

আমরা যখন বেশি বেশি করে রোদে ঘুরে বেড়াই তখন দেখা যায় সে রোদটি আমাদের গায়েও মাথায় লেগে যে বসে। তখন আমাদের শরীরে জন্ডিস ধরা দেয়। আরে জন্ডিস হলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির দিক বয়ে আনে। তাই জন্ডিস হলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত নিম্নে দেওয়া হলো,,,                                                                             

খাবারের ধরন

খাবারের নাম

বিশেষ নির্দেশনা

শাকসবজি

পালং শাক, ব্রোকলি, গাজর, শসা, লাউ

হালকা সেদ্ধ বা রান্না করে খাওয়া উচিত

ফলমূল

আপেল, পেঁপে, কলা, বেরি, পেয়ারা

তাজা ফল খাওয়া উত্তম, ফলের রসও চলতে পারে

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য

সেদ্ধ ডিম, চিকেন ব্রেস্ট, মাছ

সেদ্ধ বা গ্রিল করা ভালো, ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন

শর্করা সমৃদ্ধ খাদ্য

লাল চাল, ওটমিল, গোটা গমের রুটি

কম তেলে রান্না করা উচিত

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার

কম ফ্যাটযুক্ত দুধ, দই, পনির

অল্প পরিমাণে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী

পানীয়

পর্যাপ্ত পানি, লেবুর রস, তাজা ফলের রস

সুপ এবং হালকা পানীয় খেতে পারেন

জন্ডিস হওয়া রোগীরা নিসন্ধে এই সব খাবার খেতে পারবে। এ ছাড়া আরো কিছু যদি খাবার ইচ্ছা করে। তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। এতে করে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়বেন না।

জন্ডিস হলে কি ঔষুধ খাবঃ

জন্ডিস হলে যে কোন ওষুধ সেবন করার আগে অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কেননা দেখা যায় জন্ডিসের চিকিৎসা রোগের কারণে আমাদের শরীরের লিভার ও চোখের টিস্যুর ক্ষতি হয়ে থাকে তাই যে কোন ওষুধ ভেবে চিন্তে খাওয়া উচিত।

  • এন্টি ভাইরাল ওষুধ

যদি জন্ডিস হবার পরে দেখেন যে আপনার ভাইরাসজনিত হেপাটাইটিসের কারণে জন্ডিস হয়েছে।তাহলে চিকিৎসকের অনুযায়ী আপনি অ্যান্টি ভাইরাস ওষুধ খেতে পারেন।

  • হেপাটোপ্রোটেক্টিভ ঔষুধ

জন্ডিসের কারণে আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ শরীরে দেখা দেয়। এবং কি লিভারেরও অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই লিভার সুরক্ষা পূর্ণ গঠন রাখার জন্য আপনাকে এই ওষুধটি দিতে পারে চিকিৎসক।

  • পেইন রিলিভার

জন্ডিসের কারণে আপনার শরীরে যদি ব্যথা বা অসুস্থ মনে হয়। তাহলে প্যারাসিটামল বা অন্য কোন নিরাপদ রিলিভার দেওয়া হয়ে থাকে।

  • এন্টিবায়োটিক

জন্ডিসের কারণে আপনার শরীরে যদি কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রামক রোগ থাকে। তাহলে চিকিৎসক আপনাকে অবশ্যই এন্টিবায়োটিক দিতে পারে।

জন্ডিস হলে এগুলো ওষুধ আপনাকে সেবন করতে বলবে চিকিৎসক। কিন্তু না জেনে শুনে কখনো নিজে নিজে কোন ওষুধ সেবন করতে যাবেন না। না হলে জন্ডিসের কারণে অনেক সময় দেখা যায়। বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির দিকে পড়ে বসে মানুষ। তাই নিজেই সতর্ক থাকবেন।

জন্ডিস হলে কি কি করতে হয়ঃ

আপনার যদি জন্ডিস হয়ে থাকে তাহলে সেই রোগটি দ্রুত সারানোর চেষ্টা করবেন। জন্ডিস হলে যেগুলো করতে হবে তা হল...।

  • জন্ডিসের করণীয়

জন্ডিস হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জন্ডিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জন্ডিস হলে আমাদের শরীরের সাথে সাথে লিভারের ও বেশ কিছু ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই জন্ডিস হলে আপনি শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যাতে করে লিভারের উপর চাপ কম পড়ে এবং আপনার শরীর সুস্থ থাকে।

  • খাদ্যাভ্যাস মেনে চলু্ন

জন্ডিসের সময় সহজে হজম হয় এমন খাবার খেতে হবে। যেমন, শাকসবজি গাজর পালং শাক সবুজ শাক ইত্যাদি এসব খাবার খেতে হবে। সাদা ভাত ডাল এবং সবজি স্যুপের মত হালকা খাবার খেতে হবে। এর সাথে সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন। কেননা পানি পান করলে আমাদের শরীর থেকে টক্সিন রোগ দূর হয়ে এবং হাইড্রোজেশন বজায় রাখে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবেন।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে খুব সহজে পেটের মেদ কমাবেন?

মসলাযুক্ত খাবার তেলযুক্ত খাবার চর্বিযুক্ত খাবার এসব খাবারকে এড়িয়ে চলবেন। জন্ডিস অবস্থায় থাকাকালীন কোন কিছু খাবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিবেন। কেননা একটু ভুলের কারণে হয়তো, আপনার এই রোগটি বেশি পরিমাণে ঝরে যেতে পারে। তাই নিজে থেকে কখনো কোন কাজ করতে যাবেন না। সবসময় পরামর্শ নিয়ে কাজ করবেন এবং নিজের সতর্কতা বজায় রাখবেন।

লিভারে জন্ডিস হলে কি হয়ঃ

লিভার জন্ডিস হলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। জন্ডিসের মূল কারণ হচ্ছে বিলিরুবিন নামক এক পদার্থের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। যা সাধারণত লিভার দ্বারা প্রতিক্রিয়া জাত হয়ে আমাদের শরীরে বের হয়ে যায়। যখন লিভার এই প্রতিক্রিয়াটি সঠিকভাবে করতে পারেনা তখন আমাদের শরীরে দেখা দেয় জন্ডিস।

লিভারে-জন্ডিস-হলে-কি-হয়
লিভারে-জন্ডিস-হলে-কি-হয়            

লিভার জন্ডিসের লক্ষণ নিম্নরূপ...।

  1. জন্ডিসের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হচ্ছে যে গায়ের চামড়া এবং চোখ হলুদ হয়ে যাবে। 
  2. জন্ডিস হলে প্রসাবের রং গারো হলুদ বা বাদামি রঙের হয়ে যায়।
  3. আপনার মলের রং সাদা ফ্যাকাশে হয়ে উঠবে।
  4. বলের গন্ধ শক্তিশালী ও অপ্রীতিকর হয়ে দাঁড়াবে।
  5. শরীর অসুস্থ ও বমি বমি ভাব মনে হবে কোন কিছু খেতে ইচ্ছা করবে না। 
  6. জন্ডিস হলে খেয়াল করে দেখা যায় যে শরীরের ডান দিকের উপরের অংশ ব্যথা করতে শুরু করে পেটে। 

জন্ডিস লিভারের কারণ নিম্নরূপ...।

  1. ভাইরাসজনিত হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি, এই সব ভাইরাস দ্বারা সংক্রামক হলে জন্ডিস দেখা দেয়।
  2. অতিরিক্ত মধ্যপানের কারণে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যেটি আমাদের শরীরে জন্ডিসের লক্ষণ হয়ে দাঁড়ায়।
  3. কিছু কিছু ওষুধ এবং রাসায়নিকের প্রভাবে লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  4. জন্ডিস হাওয়ায় পিত্তনালীতে পাথর ও টিউমারের কারণে লিভারের সমস্যা হতে পারে।

জন্ডিস হলে করণীয়...।

আপনার শরীরে যদি জন্ডিস ধরা পড়ে বা দেখা দেয়। তাহলে দেরি না করে সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কাজ করা শুরু করুন। এর পাসাপাশি পর্যাপ্ত পরিমানে সারাদিনে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম দেওয়ার চেষ্টা করবেন। সেসব খাবারের চর্বিজুক্ত,তেলজুক্ত, থাকে। সেসব খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। পানি আমাদের শরীরে হাইড্রোজেশনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। তাই পানি করা করতে হবে।

যেসব কারণে আমাদের লিভারের উপর চাপ পড়বে সেই সব কাজ থেকে নিজেকে বিরতি রাখতে হবে। লিভার জন্ডিস একটি  গুরুত্বর সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় আমাদের জীবনে। তাই এই লিভার জন্ডিস হলে সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবসস্থা গ্রহণ করবেন। এবং এই জন্ডিস রোগকে কখনো অবহেলা করবেন না।

লেখেকের মক্তব্যঃ

আপনেরা হয়তো জেনে গেছেন যে জন্ডিস এর লক্ষণ কি ভাবে হয়ে থাকে আমাদের জীবনে। তার সাথে সাথে আপনি এটাও জেনে গেছেন যে জন্ডিস হলে কি ঔষুধ খাব জেটির কারণে আমরা এই রোগ থেকে তারতারি মুক্তি পেতে পারি।

আসা করি জন্ডিস নিয়ে আপনাদের মনে কোনো প্রশ্ন নেই। থাকলে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর পোস্টি সবার মাঝে শেয়ার করে দিন।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন......www.stylishsm.com







( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )










এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url