ডায়েট করার নিয়ম কি - ডায়েট করার খাদ্য তালিকা? জেনে নিন বিস্তারিত?

আজকে আমরা জানবো যে ডায়েট করার নিয়ম কি এবং এটি করলে আমাদের শরীরে কি লাভ হয়। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে ডায়েট করার খাদ্য তালিকা কেমন রাখা উচিত? সব কিছু বিস্তারিত।

ভূমিকাঃ

আমরা আমাদের নিত্যদিনের এই শরীর নিয়ে নানান ধরনের সমস্যায় থাকি। জেটির কারণে আমরা ভালভাবে কোনো ধরনের কাজ করতে পারি না। সব কাজে বাধা-বাধা লাগে।

ডায়েট-করার-নিয়ম-কি
ডায়েট-করার-নিয়ম-কি            

তাই আজকে মারা জানবো যে ডায়েট করার নিয়ম কি এবং এটি করলে কি উপকার হয় আমাদের শরীরে। এবং ডায়েট করার কিছু খাদ্য তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো?

ডায়েট করার নিয়ম কিঃ

আপনি যদি আপনার শরীর সুস্থ রাখতে চান এবং ওজন কমাতে চান খুব সহজে তাহলে আপনাকে ডায়েট করার নিয়ম মেনে চলতে হবে। ডায়েট করার কিছু নিয়ম নিম্নে দেওয়া হল,,,

  • সঠিক পরিমাণে খাবার

আপনার শরীর সুস্থ রাখার জন্য আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিতে হবে যেমন শাকসবজি ফলমূল শস্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এবং চর্বিযুক্ত খাবার এগুলো খাবারে ভিটামিন ভরপুর থাকে। আর হ্যাঁ আপনাকে চিনি যুক্ত খবর এড়িয়ে চলতে হবে।

  • নিয়মিত খাবার

সারাদিনে তিনবার খাবার খাবেন এবং দুবার হালকা নাস্তা গ্রহণ করবেন। আর মনে রাখবেন যে, দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকবেন না।

আরো পড়ুনঃ শরীর ফিট রাখার জন্য কি কি করা উচিত?

  • পানি পান

আপনাকে প্রতিদিন সারা দিনে কমপক্ষে 8 থেকে 10 গ্লাস পানি পান করতে হবে। পানি শরীরের টক্সিন দূর করে এবং মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। যেটি দ্বারা আমরা শরীরে শক্তি পাই।

  • পরিমিত খাবার

সারাদিনে যেগুলো খাবার খাচ্ছেন সেগুলো পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করবেন কোন কিছু খাবার বেশি খেতে যাবেন না। বেশি খাওয়া থেকে বিরতি থাকবেন সে খাবারগুলোকে আপনি ছোট ছোট অংশে ভাগ করে খেতে পারেন বহু সময় ধরে।

  • প্রোটিন খাবার

আপনাকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। কেননা প্রোটিন আমাদের শরীরে বেশি গঠনে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

  • শাকসবজি ও ফলমূল

আপনার সারাদিনের খাদ্য তালিকায় শাকসবজির ফলমূল অবশ্যই যোগদান করবেন। এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ভিটামিন মিনারেল সরবরাহ করে থাকে। আমাদের শরীরে তাই এগুলো খাবার প্রতিদিন ভাবা উচিত।

  • ব্যায়াম ও ঘুম

আপনাকে প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি পড়াতে সাহায্য করে। এবং আমাদের শরীরে শক্তি জগতে বিদ্যমান এর পাশাপাশি আপনাকে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে আমাদের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এবং ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই পরিমাণ মতো ঘুমাতে উচিত।

ডায়েট শুরু করার আগে যারা ডায়েট করে তাদের কাছে কিছু পরামর্শ নেবেন। এতে করে আপনি অনেক ভাল পরিমাণে ডায়েট করা শিখে যাবেন। এবং আপনার ডায়েট দ্বারা আপনার শরীর সুস্থ ও জীবনযাপন ভালো কাটতে শুরু করবে।

ডায়েট করার খাদ্য তালিকাঃ

ডায়েট করার জন্য আপনার কিছু পরিণত পুষ্টিমাণ খাবার খেতে হবে যেগুলো খাবার খাওয়া উচিত তা নিম্নে দেওয়া হলো...।                                                                          

সময়

খাদ্য

পরিমাণ

মন্তব্য

সকাল

৭ঃ৩০

গরম পানি ও লেবু

১ গ্লাস

খালি পেটে পান করুন

সকাল

৮ঃ০০

ওটস ও চিড়া

১ বাটি

সাথে দুধ ও মধু হোগ করতে হবে

সকাল

১০ঃ০০

ফলের সালাদ

১ বাটি

বিভিন্ন ধরনের তাজা ফল ব্যবহার করতে হবে

দুপুর

১ঃ০০

ব্রাইন রাইস, মুরগী কিং বা মাছ, সবজি

১ প্লেট

পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন

বিকাল

৪ঃ০০

বাদাম ও দই

১ মুঠো বা ১ কাপ

স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হিসাবে

সন্ধ্যা

৬ঃ৩০

সবজি বা চিকেন স্যুপ

১ বাটি

হালকা স্যুপ খান

রাত

৮ঃ০০

রুটি, ডাল,সবজি

১-২ টা রুটি ও ১ বাটি ডাল

পরিমাণ মত খাবেন

রাত

৯ঃ৩০

দুধ বা হালকা স্ন্যাক্স

১ গ্লাস

দুধের সাথে হালকা হলুদ মিধিয়ে খেতে পারেন।

এই গুলো খাবার আপনি যদি মেনে চলতে পারেন। তাহলে দেখবেন যে আপনার জন্য ডায়েট করা খুবই সহজ হয়ে যাবে। এবং কি আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।

১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্টঃ

দশ কেজি ওজন কমানোর জন্য আপনাকে একটি ডায়েট ভারত মেনটেন করে চলতে হবে। এই ডায়েট আপনি মেনটেন করে চলতে পারলে আপনার আস্তে আস্তে ওজন কমতে শুরু করবে। আসুন জেনে নি কিছু ওজন কমানোর ডায়েট চ্যাট সম্বন্ধে...।

  • সকালের খাবার

এক গ্লাস গরম পানি সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খাবেন সাথে এক চামচ চিনি দিয়েও খেতে পারেন। এক বাটি ওটমিল দুধ, জল, ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করতে পারেন। দিয়ে পান করবেন এর সাথে একটি কলা, বা আপেল, কমলা, খেতে পারেন। তারপর কিছুক্ষণ পরে আপনি এক কাপ গ্রিনটি খেতে পারেন। এর সাথে সাথে কলা আপেল বা বাদাম খেতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ চা খাওয়ার উপকারিতা কি আমাদের শরীরে?

  • দুপুরের খাবার

দুপুরের খাবার আপনাকে ব্রাউন রাইস বা ১-২ রুটি খেতে হবে। এক বাটি সবজি ও তার সাথে মুরগির মাংস সালাদ গাজর টমেটো লেটো ইত্যাদি এগুলো দিয়ে আপনি দুপুরের খাবার খেতে পারেন। 

  • বিকেলের খাবার

বিকালে সবাই হালকা কিছু খেয়ে নিজের পেট ভরাই। এজন্য আপনি এক কাপ গ্রিনটি কিংবা এক মুঠো বাদাম বা ফল খেতে পারেন। এছাড়া সন্ধ্যার দিকে আপনি এক বাটি চিকেন সুখ খেতে পারেন।

  • রাতের খাবার

১-২ টি রুটি বা ব্রাইন রাইস খেতে পারেন। এর সাথে সাথে ডাল সবজি খেতে পারে। এবং ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ ও দুধের সাথে ডিম বা হরলিক্স খেতে পারে। 

  • গুরুত্বপূর্ণ টিপস

  1. আপনাকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। 
  2. চিনি জাতীয় খাবার ও মিষ্টি জাতীয় খাবার এসব খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। 
  3. ফাস্টফুড মুখোশ খাবার এগুলো খাবারকে না বলুন। 
  4. প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে যাতে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে। 
  5. ফলমূল শাকসবজি প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। 
  6. বেশি মসলাযুক্ত ভাজা ও তেল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলবেন। 

এগুলো বিধি বিধান মেনে চললে আপনি দেখবেন যে আস্তে আস্তে আপনার শরীর কমতে শুরু করবে আপনার ডায়েট করার কাজ বৃদ্ধি পাবে।

৭ দিনে ওজন কমানোর উপায়ঃ

৭ দিনে ওজন কমানোর জন্য ও শরীর সুস্থ রাখার জন্য আপনাকে বেশ কিছু কার্যকলাপ অনুসরণ করে চলতে হবে। প্রথমে বলা যেতে পারে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস করে গরম জল ও তার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করা উচিত। এতে করে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। তারপর সকালের নাস্তায় আপনি ওটমিল, সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন। তারপর সকাল ১১ টার সময় আপনি চাইলে গ্রিনটি অথবা কিছু বাদাম খেয়ে পেট ভরতে পারেন।

৭-দিনে-ওজন-কমানোর-উপায়
৭-দিনে-ওজন-কমানোর-উপায়                

তারপর দুপুরে আপনার খাবার হচ্ছে ব্রাউন রাইস রুটির সঙ্গে সবজি মুরগির মাংস মাছ সালাত ইত্যাদি এসব খাওয়া। এসব খেলে আমাদের শরীরে প্রোটিন হয় মিনারেলের শক্তি বৃদ্ধি পায়। বিকেলের দিকে আপনি চাইলে হালকা স্ন্যাক্স বা ফল জাতীয় জিনিস খেতে পারেন। এগুলো খাবার সাথে সাথে আপনি চাইলে সবজি সুপ অথবা চিকেন সুপ খেতে পারেন।

এগুলো খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে এর কোন বিকল্প নেই। রাতের খাবার আপনি রুটি, ডাল সবজি দই ইত্যাদি খেতে পারেন। আর হ্যাঁ মনে রাখবেন, এগুলো খাবার খেয়ে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এবং ৩০ মিনিট হাঁটাচলা করতে হবে। তাহলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের শরীরে সুস্বাস্থ্য খাদ্য গঠন আকারে থাকবে।

আর হ্যাঁ, একটি জিনিস মনে রাখবেন যে চিনি জাতীয় খাবার ও মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাবেন না। এগুলো বেশি খাওয়া থেকে নিজেকে বিরতি রাখবেন। আপনি যদি এই ডায়েট অনুসরণ করে চলতে পারেন। তাহলে দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে আপনার স্বাস্থ্যকর ওজন কমতে শুরু করবে।

ডায়েট করার জন্য কি কি করতে হয়ঃ

ডায়েট করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ ও বিভিন্ন ধরনের কাজ অনুসরণ করতে হবে। আপনি যে একটি ডায়েট করবেন সে লক্ষ্যটি আগে স্থির করবেন। তারপর সে লক্ষ্য অনুযায়ী একটি খাদ্য তালিকা তৈরি করবেন। এবং সে খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনের খাদ্য যেন পুষ্টিকর খাবার থাকে। যেমন শাকসবজি ফলমূল প্রোটিন মিনারেল যুক্ত খাবার যোগ করবেন।

আরো পড়ুনঃ আমাদের নিত্যদিনের কফি খাওয়ার উপকারিতা কি?

এবং মনে রাখবেন আপনার খাদ্য তালিকায় যেন চিনি জাতীয় খাবার ও মিষ্টি জাতীয় খাবার যেন না থাকে। সেদিকে পুরোপুরি ভাবে খেয়াল রাখবেন। তারপর নিয়মিত সময়ে খাবার খাওয়া। খাওয়া-দাওয়া শেষে পরিমাণ মতো ৮ থেকে ১০ গেলাস পানি সারাদিনে পান করা। ছোট ছোট পরিমাণে খাবারগুলোকে ওভার রুটিন থেকে রক্ষা করা। প্রয়োজন পরিমাণ অনুযায়ী প্রতিদিনের ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো এবং মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করবেন।

সপ্তাহে অত্যন্ত তিন থেকে চার দিন ব্যায়াম করবেন এবং শরীরে মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে দেন তাই ব্যায়াম করা উচিত। সর্বশেষ ধৈর্য আপনার এটিই হবে যে। আপনি আপনার রুটিন এভাবে সাজিয়ে যদি মানতে পারেন। তাহলে দেখবেন আপনার শরীর স্বাস্থ্য আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। এবং আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনেরা ডায়েট করার নিয়ম কি ধরনের হয় এবং ডায়েট করার খাদ্য তালিকা হিসাবে আপনাদের আর কোনো ধরনের প্রশ্ন নেই। থাকলে আমাকে কমেন্ট করবেন।

ভাল লাগলে সবার মাঝে শেয়ার করে দিবেন। যাতে সবাই শিখতে পারে।

আরো কিক্সহু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন......www.stylishsm.com






( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url