দাঁত ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি - দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর ঔষুধ? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে দাঁত ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি। যেটি করলে আমরা দাঁত ব্যাথা মুক্তি পাবো। এবং তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর ঔষুধ কিভাবে খাওয়া উচিত। 

ভূমিকাঃ

আমাদের নিত্যদিনের মধ্য এই দাঁত অনেক বেশী ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই আজকে আমরা দাঁত ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি। সব কিছু জানবো ও...

দাঁতের-ব্যাথা-থেকে-মুক্তি-পাওয়ার-উপায়
দাঁতের-ব্যাথা-থেকে-মুক্তি-পাওয়ার-উপায়            

তার সাথে সাথে আমরা দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর ঔষুধ কিভাবে খাওয়া উচিত। সেটি আমরা এই ব্লগ থেকে সব কিছু বিস্তারিত জানবো। আসুন শুরু করা যাক?

দাঁত ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কিঃ

আজকের দিনে আমাদের জীবনে এই দাঁত ব্যাথা খুবই যন্ত্রনাদায়ক হয়ে উঠেছে। আর এটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে আমরা যখন অতিরিক্ত ভারী খাবার বা দাঁতের সাথে জোরাজুরি করে কোন খাবার খেয়ে নিই। তখন দাঁতের ক্ষয় সংক্রামক, মারীর সমস্যা, কিংবা দাঁতের গোড়ায় সমস্যা, দেখা দিতে পারে। এগুলো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু করণীয় দিক রয়েছে সেগুলো হল...।

লবণ পানি দিয়ে কুলকুলি করাঃ

দাঁত ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হলো লবণ পানি দিয়ে কুলকুলি করা এটি সাধারণত কার্যকারী উপায়। দাঁত সুস্থ রাখার জন্য এটি করলে দাঁতের ভেতরের জীবাণু দূর হয়। এবং দাঁতের প্রভাব কমে। এ নিয়ম করার জন্য আপনাকে প্রথমে এক গ্লাস গরম পানিতে আদা চা চামচ লবণ মিশাতে হবে। তারপর মিশ্রণটি দিয়ে মুখের ভেতর ধুয়ে ফেলুন এবং কুলকুলি করুন। এটি আপনাকে প্রতিদিন কয়েকবার করে করতে হবে দিনে-রাতে।

আরো পড়ুনঃ ৩ থেকে ৫ বছরের বাচ্চাকে কি খাওয়ানো উচিত?

ঠান্ডা সেকঃ

ঠান্ডা শেক দ্বারা দাঁতের ব্যথা কমানোর সম্ভব হয় এই থেরাপিটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে একটি নরম কাপড়ে বা তাওয়ালে বড় বা ঠান্ডা পানি দিয়ে ভিজে নিতে হবে। তারপর আক্রান্ত স্থানে এটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট চেপে ধরে রাখুন। যাতে মারে পুরোপুরি ভাবে ঠান্ডা হয়ে যায়। তারপর আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কয়েকবার এটি দিনে করুন। তাহলে দেখবেন আপনার এই সেক দেবার মাধ্যমে আপনার দাঁত ও মারি আরাম পাবে। 

লবণ তেলঃ

প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিসেপটিক এবং ব্যথানাশক দূর করার জন্য মানুষ দাঁতে ও দাঁতের মাড়িতে তেল লবণ ব্যবহার করে। থাকে আসুন জেনে নিন এর ব্যবহার বিধি। প্রথমে আপনি কে একটি তুলার টুকরোতে কয়েক ফোঁটা লবণ তেল নিতে হবে। তারপর আপনার দাঁতে বা মাড়িতে যেখানে ব্যথা আছে সেই স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এটি দিনে ২-৩ করে ব্যবহার করবেন। তারপরে দেখবেন আপনার দাঁতের ব্যথা আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠবে।

রসুন ব্যবহার বিধিঃ

রসুন দ্বারা থেরাপি দিলে আমাদের দাঁতের ব্যথা আস্তে আস্তে কমে আসে এই থেরাপি দেওয়ার কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। যেটি হল রসুন থেরাপি দিয়ে দাঁত সুস্থ রাখতে হলে আপনাকে একটি রসুন থেত করে তা আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে। তারপরে আপনি চাইলে রসুন কুয়াটিকে চিবিয়েও খেতে পারেন। এটি দিনে ২-৩ বার মুখে লাগান। তারপরে দেখবেন যে আপনার দাঁতের ব্যথা আস্তে আস্তে দুর হতে শুরু করেছে।

এগুলো সাথে সাথে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দোষ গ্রহণ করতে পারেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দোষ গ্রহণ করলে আপনার অস্থায়ী দাঁত বা মারি ব্যথাযুক্ত থেকে মুক্তি পেতে পারে খুব সহজে। এই মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি ডাক্তারের কাছ থেকে পিপারমিন্ট টি ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। এই পেপারমিন্ট টি ব্যাগ আপনার মারি বা দাঁতের আঘাত স্থানে ঠান্ডা অনুমান রাখতে সাহায্য করে। 

আমাদের দাঁতের মারি সুস্থ ও আরাম পায় আক্রম স্থানে এটি সর্ব পক্ষে 20 মিনিট রাখতে হবে। আঘাত স্থানে এটি কয়েকবার দিনে করতে হবে। এতে করে আমাদের দাঁত ও মাড়ি পুরোপুরি সুস্থ থাকার  দাঁত ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপাইয়ের নির্ভরশীলতা বেড়ে যাবে। তাই এটি অবশ্যই করা উচিত আমাদের সুস্থ রাখার জন্য।

দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর ঔষুধঃ

আমাদের জীবনে হাত-পা ব্যথা করলে আমরা সহ্য করে নিতে পারি। কিন্তু আমাদের দাঁত বা মারি ব্যথা করলে আমরা কিছুতেই সহ্য করতে পারি না। আমাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। এবং কি কোন কিছু খুব সহজে খাওয়া যায় না। দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায় তা কিভাবে খাওয়া উচিত তার নিম্নরূপ...।

প্যারাসিটামলঃ (Paracetamol) প্যারাসিটমল দাঁতের ব্যথা কমাতে অনেক কার্যকর। এটি প্রতিদিন ৩-৪ বার ৫০০-১০০০ মি.গ্রা. ডোজ নিতে পারেন। এবং মনে রাখবেন যে এই ডোজের মাত্রা যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায়। কিং বা দীঘ সময় ধরে এই ওষুধ ব্যবহার করবেন না।

আইবুপ্রোফেনঃ (Ibuprogen )এই ওষুধ নন স্টেরয়ডাল এন্টি যা আমাদের দাঁতের প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি প্রতিদিন ৩-৪ বার এবং ২০০-৪০০ মী.গ্রা. ডোজ নিতে পারবেন। আমার মনে রাখবেন যে এই ওষুধ আমাদের দেহের পাকস্থলীর সমস্যার জন্য কারণ। তাই এটি খাবার সময় সর্তকতা অবলম্বন করবেন। এবং এটি খাবারের পর খাবেন। যাতে করে আমাদের দাঁতের মারি বা দাঁত আরাম পেয়ে থাকে।

দাঁতের-জন্ত্রনা-কমানোর-ঔষুধ
দাঁতের-জন্ত্রনা-কমানোর-ঔষুধ                

ন্যাপ্রোক্সনঃ (Naproxen) এই ওষুধটি খুবই শক্তিশালী Nsaid যা আমাদের দিঘাস্থস্থী ব্যথা কমায়।

এই ওষুধ আপনি দিনে 2 বার খাবেন এবং এর ডোজ সাধারণত ২৫০-৫০০ মি. গ্রা. নিতে পারবেন। এই ওষুধ আপনি দিঘ সময় ধরে খাবেন না কখনো। আর যদি বেশি প্রয়োজন পড়ে। তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই ওষুধ খাবেন।

লিডোকেইন জেলঃ (Lidocaine Gel) এই একটি  আনেসথেটিক ওষুধ যা সরাসরি আক্রান্ত স্থানে দিলে সাথে সাথে প্রয়োগ করে। আপনার দাঁতে বা মারিতে যেখানে ব্যথা অনুভব হচ্ছে সেই স্থানে পরিমাণ মতো এই জেলটি লাগান। আর নির্দেশিত পরিমাণে ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না।

বেঞ্জকেইন জেলঃ(Benzocaine Gel)  এই জেলটি দুই বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন না। এটি শুধু বড়দের জন্য ব্যবহার যোগ্য।

এগুলো থেরাপি যদি আপনি মেনে চলতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার মারে ব্যথা ও দাঁত ব্যথা কিছু দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠবে। এবং এই থেরাপি গুলো নিয়মিত ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। তাহলে দেখবেন আপনি ব্যথা থেকে মুক্ত পেয়ে যাবেন।

দাঁতের মাড়িতে যন্ত্রণা হলে কি করণীয়ঃ

দাঁতের মাড়িতে যন্ত্রণা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন দাঁতের সংক্রামক মাড়ি ব্যথা দাঁতের গোড়ায় সমস্যা ইত্যাদি এসব কারণে দাঁতে বা মাটিতে ব্যথা হয়ে থাকে এসব কার্যকর করার জন্য কিছু নিয়মাবলী রয়েছে তাহলেঃ

প্রথমে আপনাকে লবণ পানি দিয়ে কুলকুলি করে মুখের ভিতর পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর এক গ্লাস গরম পানিতে আধা চামচ লবণ মিশাতে হবে সে মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে মুখের ভেতর নিয়ে কুলকুলি করতে হবে এটি প্রতিদিন দুই ২-৩ করতে হবে।

দাঁতের-মাড়িতে-জন্ত্রনা-হলে-কি-করনীয়
দাঁতের-মাড়িতে-জন্ত্রনা-হলে-কি-করনীয়            

লবণ তেল প্রাকৃতিক এন্টিসেপোটিক এটি দাঁতের ব্যথা নাশক দূর করতে সাহায্য করে। একটি তুলোর টুকরোতে কয়েক ফোটা লবণ তেল নিন। তারপর যেখানে যন্ত্রণা হচ্ছে সেই স্থানে এটা লাগান। এটি দিনে দুই ২-৩ করে যন্ত্রণা স্থানে লাগালে। আপনার ব্যথা তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে খুব সহজে চোখের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাবেন?

টি ট্রি অয়েল, এটি মারির সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগে। এটি ব্যবহার করার জন্য পানি দিয়ে পাতলা করে টি ট্রি অয়েল মুখ পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করুন। এবং তার সাথে সাথে টি ট্রি অয়েল সরাসরি ব্যবহার করবেন না। এটি খুব শক্তিশালী হতে পারে, দিনে একবার এটি ব্যবহার করবেন।

মধু ও লবঙ্গ পেস্ট এই প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। এটি ব্যবহার করার জন্য মধু এবং লবঙ্গ গুঁড়ো একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপর আপনার দাঁত বা মারের যন্ত্রণা স্থানে এটি ভালোভাবে লাগাতে হবে। এটি পুরো দিনে ২-৩ বার লাগাবেন ক্ষতস্থানে। তাহলে দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।

আপনি এগুলো ব্যবহার করে দাঁতের মারির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এবং এটির ব্যবহার করেও যদি ফলাফল না আসে। তাহলে আপনাকে দুশ্চিন্তার হবার কোন দরকার নেই। আপনি কোন ভাল ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে পারেন। ডাক্তাররা বড় ধরনের সমস্যা এড়ানোর সমাধান দিতে পারে। তাই আপনার দাঁতও মারে নিয়ে কোন চিন্তা করার দরকার নাই।

দাঁতের পোকা দূর করার সহজ উপায়ঃ

দাঁত ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় ও দাঁতের পোকা দূর করার জন্য একটিভিটি বা সাধারণত সমস্যা খাদ্য দ্বারা বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়ে থাকে। দাঁতের পোকা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু ঘরে উপায় রয়েছে আমাদের জীবনে। আসুন তা জেনে নিয়ে দাঁতের সুরক্ষা জন্য কাজ করা যাক।

লবঙ্গ দিয়ে তেল তৈরি এটি ব্যবহারের ফলে দাঁতের ব্যাথা নাশক ও কীটপতঙ্গ মুখের দুর্গন্ধ ও পোকা দূর করতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহার করার জন্য একটি তুলার টুকরাতে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল নিন। তারপরে আক্রান্ত স্থানে ক্যাভিটির স্থানে এটি প্রয়োগ করুন এটি দিনে ২-৩ বার করবেন তাহলে হবে।

দাঁতের-পোকা-দূর-করার-সহজ-উপায়
দাঁতের-পোকা-দূর-করার-সহজ-উপায়            

তেল টানা হলো প্রাচীন আয়ুর্বেদী পদ্ধতি যা মুখের ব্যাকটেরিয়াও টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে প্রথমে এক টেবিল চা চামচ নারিকেল তেল মুখে নিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে কুলকুলী করুন। তারপর তেলটি ফেলে দিন এবং মুখটি ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন তারপর মুখের ভেতর ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ওয়াশ করুন। এভাবে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে করবেন।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে খুব সহজে আপনার পেটের মেদ কমাবেন?

বেকিং সোডা ব্যবহারের ফলে আমাদের দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে থাকে বেকিং সোডা আপনি দাঁতের ব্যথা দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন এটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে চা চামচে কিছু বেকিং সোডা নিতে হবে তারপর পানি দিয়ে সেটি পেস্ট তৈরি করতে হবে তারপর ব্রাশের সাহায্যে এটি দাঁতে লাগিয়ে 2 মিনিট ধরে ব্রেশ করতে হবে। এটি প্রতিদিন একবার করে করলে হবে। এই নিয়ম অনুসরণ করলে খুব সহজে  দাঁত ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় বেড়ে যাবে।

দাঁতের ব্যথা মারের ব্যথা ও দাঁতের পোকা দূর করার জন্য এগুলো হচ্ছে ঘড়িও পদ্ধতি যেটি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে দাঁতের বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এটি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করবেন তাহলে আপনার জন্য ভালো হবে।

দাঁত ব্যাথার জন্য এন্টিবেটিকঃ

দাঁতের ব্যথা, ও সংক্রমের ব্যথা, দাঁতের মাড়ি ব্যথা ইত্যাদি এসব রোগ থেকে খুব সহজে মুক্তি পেতে পারেন। কিছু এন্টিবেটিক ওষুধ খেয়ে আপনাদের শরীরে ব্যথা বিষ সবকিছু নিম্ন মনে করে তোলে। তাই এই এন্টিবেটিক কিভাবে খাওয়া উচিত তা নিম্নরূপ...।

আমোক্সিসিলিনঃ (Amoxicillin) এই ওষুধ দাঁতের সংক্র্মকের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করে থেকে। এটি সাধারণত বড়দের জন্য প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম করে তিনবার দিনে খাওয়া উচিত। 

এটি খাবার সময় মনে রাখবেন যে এই দুধ নির্ধারিত ডোজ এই ডোজ প্রতিদিন আপনাকে নিতে হবে তবুও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। 

দাঁত-ব্যাথার-জন্য-এন্টিবেটিক
দাঁত-ব্যাথার-জন্য-এন্টিবেটিক            

মেট্রোনিডাজলঃ (Metronidazole)  এই ওষুধ সাধারণত দাঁতের মাড়ির ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়,,

এ ওষুধ শুধুমাত্র বড়দের জন্য এটি প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম করে দিনে দুই থেকে তিনবার খাওয়া উচিত এ ডোজ নির্ধারিত ডোজ তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হেডস গ্রহণ করবেন। 

ক্লিনডামাইসিনঃ (Clindamycin) এই ওষুধ ব্যবহৃত হয়ে থাকে দাঁতের সংক্রামো রোগের চিকিৎসার জন্য।

আরো পড়ুনঃ আপনি কি কিডনির সকল ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে চাই?

এটি ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন যে কোন বাচ্চা বা ছোট মানুষ যেন এই ওষুধ না খেয়ে বসে। এ ওষুধ শুধু বড় মানুষের জন্য আর বড় মানুষেরা যখন এটি সেবন করবেও তখন ৩০০ থেকে ৪৫০ মিলিগ্রাম করে দিনে তিন থেকে চার বার খেতে হবে।

এই ওষুধ সেবন করার সময় খেয়াল রাখবেন এই ওষুধটি ডাক্তার দ্বারা নির্ধারিত যে ডোজ আপনাকে দিয়েছে সে ডোজ অনুযায়ী খেতে হবে। 

দাঁতের মাড়ি স্বাস্থ্য রাখার উপায়ঃ

দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার জন্য আপনাকে কিছু নিয়মিত কাজ করতে হবে যেটি করলে আপনার দাঁত যথার্থ ভাবে পরিষ্কার ও সুস্থ রাখা সম্ভব। তা করনীয় কিছুঃ

নিয়মিত ব্রাশঃ

আপনাকে দিনে অত্যন্ত দুবার করে ব্রাশ করতে হবে বিশেষ করে সকাল ও রাতে ঘুমানোর আগে। 

তারপর নরম ব্রিসেলযুক্ত টুথ ব্রাশ ব্যবহার করবেন এবং টুথপেস্ট ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন যেন বেশি পরিমাণে তুত পেশ না হয়ে যায়। বেশি পরিমাণে টুথপেস্ট ব্যবহার করলে আমাদের দাঁতের মাড়ির সমস্যা হয়। এজন্য প্রয়োজন অনুযায়ী টুথপেস্ট ব্রাশের উপরে নিবেন।

ব্রাশ করার সময় জোরে জোরে ব্রাশ কখনো করবেন না এতে করে আমাদের দাঁতের মাড়ির সমস্যা হয়ে যায়। এবং সেখান থেকে রক্ত বের হওয়ার সুযোগ থাকে তাই আলতো করে ব্রাশ করবেন।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ

আপনি চেষ্টা করবেন যে যে কোন জিনিস খাবার সময় সে খাবারটি যেন সুষম খাদ্য এবং কি ভিটামিন দ্বারা ও মিনারেল সমৃদ্ধি থাকে। 

ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি এবং ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ,দুই,ফল,শাকসবজি, পনির এগুলো বেশি করে খাবেন।

তিনি যুক্ত খাবার এবং পানীয় জাতীয় খাবার এগুলি দাঁতের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাই চেষ্টা করবেন এগুলো সমৃদ্ধ খাবার কে এড়িয়ে চলার জন্য।

খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবেন পানি আমাদের মুখের লালা উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। এবং মুখের ব্যাকটেরিয়া ও খুদি খুদি দানা খাবারগুলোকে বের করে দেয় দাঁতের ফুটো থেকে।

তামাক এবং মদ্যপান থেকে বিরতিঃ

দাঁত ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় মেনে আপনি চেষ্টা করবেন যে তামাক ও মধ্যপ্রাণ এইসব খাবার থেকে নিজেকে বিরতি রাখতে। কেননা এ, খাবারগুলোর কারণে আমাদের দাঁতের মাড়ির রোগ দাঁতের সংক্রমণ, রোগ এবং দাঁতের ক্ষয় হয়ে যাবার ক্ষতি নানা দিক দিয়ে আমাদের মুখের ক্ষতি হয়ে দাঁড়ায়। তাই এগুলো খাবার থেকে বিরতি থাকবেন।

দাঁতের নিয়মিত পরিক্ষাঃ

আমাদের সময় সময় দাঁতের পরিক্ষা করা উচিত। কেননা পরিক্ষা করার ক্ষেত্রে আমরা আমাদের দাঁতের প্রতি যত্নশীল হবো। তাই পরিক্ষা উচিত...।

দাঁতের-নিয়মিত-পরিক্ষা
দাঁতের-নিয়মিত-পরিক্ষা            

আপনার দাঁতের যত্ন নেবার পাশাপাশি সময় সময় আপনার দাঁতের চিকিৎসা নেওয়া উচিত এই চিকিৎসা আপনি প্রতি ৬ মাস পর পর ১ বার ডাক্তারখানা থেকে নিতে পারেন। নিয়মিত দাঁতের স্কেল এবং ক্লিন করায় মারের জন্য প্রতিরোধের ক্ষমতা হয়ে দাঁড়ায়। তাই ৬ মাস পর পর দাঁত ক্লিন করবেন ও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কাজ করবেন।

আরো পড়ুনঃ আপনার জন্ডিস হলে যা যা করণীয়?

প্রাকৃতিক উপায়ঃ

আপনি যদি ঘরে বসে দাঁতের যত্ন নিতে চান তাহলে আপনাকে কিছু কথা নিয়ম অনুসারি মেনে চলতে হবে যেমনঃ লবণ পানি হালকা পরিমাণ গরম করে দাঁতের মাড়ির জন্য আপনাকে কুলকুলি করতে হবে। 

এরপর অ্যালোভেরা জেল অথবা নারিকেল তেল মাড়িতে মাসাজ করুন। এতে করে আমাদের মাড়ি সুস্থ থাকে এবং নরম আকারে থাকে। এতে করে আমাদের দাঁতও সুস্থ পরিমাণে থাকে।

লেখকের মক্তব্যঃ

দাঁত ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি ও তার সাথে সাথে আপনি এটাও জানতে পেরেছেন যে দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর ঔষুধ কি ধরনের হতে পারে। তাই আসা করি আপনার আর দাঁতের ব্যাথা নিয়ে মনে কোনো ধরনের প্রশ্ন নেই।

দাঁত বিষয় নিয়ে আপনার বন্ধু ও পরিবারের সাথে এই ব্লগটি শেয়ার করে দিন। যাতে করে তারাও দাঁতের সঠিক পরিমাণে যত্ন নিতে পারে।

আরোপ কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন......www.stylishsm.com







( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url