চোখের ব্যাথা দূর করার উপায় কি - চোখ ব্যাথার ড্রপের নাম কি? বিস্তারিত জেনে নিন?
চোখের ব্যাথা দূর করার উপায় কি এটা হয়তো আমরা সবাই জানি না। তাই আজকে আমরা সব কিছু বিস্তারিত জানবো। তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে চোখের ভিতরে ব্যাথা হওয়ার কারণ কি।
তাহলে আসুন শুরু করা যাক?
ভূমিকাঃ
আজকে আমরা জানবো যে কিভাবে চোখের ব্যাথা খুব সহজে দূর করা যায়। এবং তার সাথে সাথে এটাও জেনে রাখবো যে চোখের ভিতরে ব্যাথা হওয়ার কারণ কি।
চোখের-ব্যাথা-দূর-করার-উপায় |
আমাদের চোখের কি কারণে এত সমস্যা হয়। যেটা আমরা সহজে বুঝে ওঠতে পারি না। তাই আজকে আমরা জানবো যে সঠিক নিয়মে চোখের যত্ন নেওয়ার কৌশল?
চোখের ব্যাথা দূর করার উপায়ঃ
চোখের ব্যাথা অনেকেরই অনেক কারণেই হতে পারে যেমন। ক্লান্তির কারণে, সংক্রামকের কারণে, এলার্জির কারণে, এবং বিভিন্ন ধরনের ধুলাবালি, ও আঘাতের কারণে, চোখের ব্যথা হতে পারে। এসব ব্যথা দূর করার জন্য আমাদেরকে নিয়মিত কিছু কার্যক্রম করতে হবে তাহলো,,,
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম
আমাদের শরীরে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। এতে করে আমাদের শরীর ও চোখ দুটোই পুরোপুরি সুস্থ থাকে।
আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে যে আমাদের কোন কাজ অনুযায়ী আমাদের চোখে যেন বেশি পরিমাণে চাপ না পড়ে। কোন দিক দিয়ে আঘাতের শিকার না হয় আমাদের চোখ সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতি ২০ মিনিটে ২০ সেকেন্ড দূরে তাকিয়ে থাকুন। এতে করে আমাদের চোখের দৃষ্টিভঙ্গি ক্লিয়ার থাকে।
আরো পড়ুনঃ দাঁত ব্যাথা থেকে কিভাবে খুব সহজে মুক্তি পাবেন?
- ঠান্ডা প্যাকের ব্যবহার
আমাদের চোখে ব্যথা অনুভব হলে তার উপর ঠান্ডা প্যাক বা ঠান্ডা কাপড় দিয়ে চেপে রাখুন। এতে করে ব্যথা কমতে সাহায্য করে ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
- আই ড্রপ ব্যবহার
চোখের শুষ্কতা দূর করার জন্য কিছু কৃত্রিম অশ্রু ও আই ড্রপ ব্যবহার করা উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
চোখে ব্যাথা হলে এটি দিনে কয়েকবার প্রয়োগ করুন আপনার চোখের উপর কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটি ব্যবহার করবেন। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ব্যবহার করবেন।
- চোখের ব্যায়াম
চোখের ব্যায়াম করার জন্য ও চোখের ক্লান্তি ও লাল ভাব দূর করার জন্য আপনাকে প্রতিদিন চোখের ব্যায়াম করা উচিত।
চোখের ক্লান্তি কমানোর জন্য ব্যায়াম একটি অতি আবশ্যক চোখের জন্য এই ব্যায়ামটি কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখকে বন্ধ রাখতে হবে। তারপর কিছুক্ষণ পেরিয়ে গেলে কয়েকবার পলক ফেলুন। দেখবেন আপনার চোখের সাথে সাথে পলকের ব্যায়াম হয়ে যাচ্ছে। এতে করে আমাদের চোখের দৃষ্টিভঙ্গি ভালো থাকে।
- চোখের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার
চোখের দৃষ্টি ও চোখ ভালো রাখতে আমাদেরকে নিয়মিত কিছু ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন, গাজর,পালংশাক, টমেটো, সাইট্রাস ইত্যাদি নিয়মিত খেতে হবে।
ওমেগা - ৩ ফ্যাটি এডিস সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন, মাছ,বাদাম, তেলযুক্ত খাবার ইত্যাদি।
- পানি পান করা
আমাদের প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে পানি পান করলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে। এবং শরীরের পাশাপাশি আমাদের চোখেরও হাইড্রেটেড সুস্থ রাখে। তাই নিয়মিত পানি পান করতে হবে।
- চোখের আঘাত থেকে রক্ষা,
চোখে কোন প্রকার ধুলাবালি বা ময়লা আবর্জনা যেন না ঢুকে পড়ে। সেজন্য সুরক্ষা অনুযায়ী আমাদের চশমা ব্যবহার করা উচিত।
চোখে কোন প্রকার হাত না দিয়ে চোখের ময়লা বের করুন পানির ছিটা দিয়ে। হাতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। যেটি আমাদের চোখে গেলে চোখ লাল ও চোখের ক্ষতি করতে। পারে তাই রুমাল বা পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে হবে।
- আলোর প্রতি সংবেদনশীল কমানো
আমাদের চোখে যদি সূর্যের আলো অতিরিক্ত পড়ে তাহলে দেখবেন যে আমাদের চোখ কিছুক্ষণের জন্য ঝাপসা বা অন্ধকার হয়ে যায়। সেটির কারণ হচ্ছে, সূর্যের উজ্জ্বলকৃত আলো। এটি থেকে বাঁচার জন্য আমাদের সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত। সানগ্লাস ব্যবহার করলে সূর্যের আলো চোখের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে আমাদের চোখ স্বাভাবিক থাকে এবং চোখে কোন ক্ষতির দিক দেখা যায় না।
চোখের ভিতরে ব্যাথা হওয়ার কারণ কিঃ
আমাদের চোখের ভেতরে ব্যাথা বিভিন্ন ধরনের দিক থেকে হতে পারে সেগুলো হলঃ
- চোখের ক্লান্তি
আমরা যখন অনেক সময় ধরে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকি বা মোবাইল ও টিভির স্কিনের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে এটির কারণে আমাদের চোখ ক্লান্তি হয়ে পড়ে।
আবার অনেক সময় দেখা গেছে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম না নিলে আমাদের চোখ লাল হয়ে থাকে। এবং চোখ ব্যথা করে যখন আমরা দীর্ঘ সময় ধরে চোখ খুলে রাখি। তখন এইরকম সমস্যা দেখা দেয়। জার কারণে অতিরিক্ত চাপ পড়ে আমাদের চোখে। এজন্য এসব সমস্যা থেকে দূরে করতে হলে বিশ্রাম ৭-৮ ঘন্টা নিতে হবে।
- শুষ্ক চোখ
আমাদের চোখে প্রয়োজনীয় আদ্রতা ও রশ্মি না থাকলে চোখের শুষ্ক রূপ দেখা দিতে পারে।
তাই কৃত্তিম অশ্রু বা আই ড্রপ ব্যবহার না করলে আমাদের চোখ কখনো সুস্থ হয়ে উঠবে না। তাই আদ্রতা ও শুষ্ক রূপ দেখা দিলে অবশ্যই আই ড্রপ ব্যবহার করবেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
- সংক্রামক রোগ
আমাদের চোখে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রামক এর মাধ্যমে আমাদের চোখে গেলে তখন আমাদের চোখ খুব জ্বালাপোড়া ও ব্যথা করে।
এ ব্যথার জন্য বিভিন্ন ধরনের রোগ ও আইনস্টাইল বা কোরিনাল রোগ আলসার দেখা দিতে পারে।
- চোখের চাপ বৃদ্ধি
চোখের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জন্য গ্লুকোমা বা চোখের অভ্যন্তরে চাপ বৃদ্ধির কারণে চোখের ভিতরে বা চোখের মনি ব্যাথা করতে পারে।
চোখের চাপ বৃদ্ধি এই সমস্যা দেখা দিলে আপনার চোখের নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত দিকে যাবে এবং চোখের বিভিন্ন দিক দিয়ে ক্ষতি করে ফেলবে।
চোখের-ভিতরে-ব্যাথা-হওয়ার-কারণ |
- ইউভাইটিস
আমাদের চোখের মধ্যে যখন ইউভা নামক চোখের মধ্যে স্তর যখন প্রদাহিত বা ক্ষতি হয়। তখন ইউভাইটিস রোগ দেখা দেয়।
এই রোগ আপনার চোখে দেখা দিলে তখন খেয়াল করবেন আপনার চোখের ভিতর ব্যাথা, লালচে ভাব, এবং আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা দেখা দিবে। এবং আপনি সূর্যের আলোতে তাকাতে পারবেন না।
- সাইনাস সংক্রামক
সাইনাস সংক্রামক এর রোগের ফলে চোখের ভিতরে চাপ ও ব্যথা অনুভূতি হয়। এবং চোখের ভিতরে জ্বালাপোড়া করে সাইনাসের চাপ বৃদ্ধির ফলে আমাদের চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমরা ঐসব কাজ করবো না যাতে আমাদের চোখের কোন ক্ষতি হয়। সে কাজগুলো থেকে আমরা বিরত থাকবো।
চোখের ভ্রু ব্যাথা হওয়ার কারণঃ
চোখের ভ্রু ব্যথা হবার কারণ এটি কোন গুরুত্বের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যেটা কখনো অবহেলা করা ঠিক হবে না তাই নিচের কিছু নিয়মাবলী জেনে নিন...।
অনেক সময় আমরা কম্পিউটারের সামনে মোবাইল বা টিভির স্ক্রিনের সামনে দীর্ঘ সময় ধরে তাকিয়ে থাকি। যাতে করে আমাদের চোখ ব্যথা করে এই চোখ ব্যথার ফলে আমাদের মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। এবং মাথা ব্যথা থেকে আস্তে আস্তে ভ্রু ব্যথা হতে শুরু করে। আমাদের চোখ যখন অনেক সময় ধরে একটা জিনিসের উপরে তাকিয়ে থাকে তখন আমাদের চোখের ঝাপসা পরিণতি দেখা দেয় যেটা আমাদের চোখের জন্য খুবই ক্ষতিকারক দিক।
চোখের-ভ্রু-ব্যাথার-কারণ |
আপনি প্রতিদিন চেষ্টা করবেন যে ২০ মিনিটের মধ্যে ২০ সেকেন্ড দুরত্বে তাকানোর। চেষ্টা। এতে করে আমাদের চোখের দৃষ্টিভঙ্গি ভালো থাকে। আরও খেয়াল রাখবেন যে। চোখের স্নেহজনিত সমস্যা যেন না হয়। এটি হলে আমাদের চোখের মধ্যে ট্রাইজেমিনাল নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যার কারণে আমাদের চোখের সাথে সাথে ভ্রুর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবং ভ্রুর তীব্র মানে ব্যথা অনুভব করতে পারে।
এজন্য ভ্রু ব্যথা থেকে বিরতি হতে হলে আমাদের চোখের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। চোখের আশেপাশে যে ছোট ছোট কণা টিস্যু থাকে। সেগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার পানিতে প্রতিদিন পরিস্কার করতে হবে। এইসব রোগ থেকে নিজের চোখকে রক্ষা করতে হবে। তাহলে আমাদের চোখের সাথে সাথে ভ্রু ব্যথা কমে আসবে।
চোখ ব্যাথা ড্রপের নামঃ
আমাদের চোখ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার জন্য ব্যথা করতে পারে। আর এইসব ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা চোখে বিভিন্ন ধরনের ড্রপ ব্যবহার করে থাকি। এজন্য কখন কোন ড্রপ ব্যবহার করা উচিত আসুন জেনে নেওয়া যাক?
- আর্টিফিশিয়াল টিয়াসঃ ( Artificial Tears )
এই ড্রপ সাধারণত আমাদের চোখের শুষ্ক রোগ সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
ব্র্যান্ডের নামঃ রিফ্রেশ টিয়াস, টিয়ারন্যাচরাল, সুস্টেইন, ইত্যাদি।
- অ্যান্টিবায়োটিক আই ড্রপঃ ( Antibiotic Eye Drops )
এই ড্রপ ব্যবহার করা হয় চোখের সংক্রামক রোগ দূর করার জন্য যা খুবই একটি ভালো মানের এন্টিবেটিক আই ড্রপ।
চোখ-ব্যাথ-ড্রপের-নাম |
ব্র্যান্ডের নামঃ টোব্রামাইসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন,
- এন্টি - ইনফ্লেমেটরি আয় ড্রপঃ ( Anti- inflammatory Eye Drops )
এটি আমাদের চোখের প্রদাহ ও ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।
ব্র্যান্ডের নামঃ কেটোরোল্যাক,প্রেডনিসোলন,
- এন্টিহিস্টমিন আয় ড্রপঃ ( Antihistamime Eye Drops )
এই ড্রপ সাধারণত আমাদের চোখের এলার্জি জনিত রোগের ব্যথা, চুলকানি, জ্বালাপোড়া, ইত্যাদি সব কিছু কাজে ব্যবহৃত হয়।
আরো পড়ুনঃ কিডনি রোগ থেকে কিভাবে খুব সহজে মুক্তি পাবেন?
ব্র্যান্ডের নামঃ অলপাটাডাইন, কোটটিফেন ইত্যাদি।
- ডিকনজেস্টেন্ট আয় ড্রপ" ( Decongestant Eye Dropos )
আমাদের চোখের লালচে ভাব ও ফোলাভাব কমানোর কাজে এটি ব্যবহার করে হয়ে থাকে।
ব্রেন্ডের নামঃ নাইফাজলিন, টেট্রহাইড্রোজেলিন, ইত্যাদি।
এগুলো ড্রপ আপনি যদি নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের চোখে ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে আপনি যেকোনো চোখ ব্যথা চোখ জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন খুব সহজে।
বাম চোখ ব্যাথা করলে কি করণীয়ঃ
বাম চোখ ব্যথা করলে আমাদের সাথে সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যাতে করে আমাদের সেই চোখটি আরাম পাওয়া যায় এবং কীর্তিব্রতা কমানো যায় চোখের এজন্য নিচে কিছু করণীয় দেওয়া হল...।
- বিশ্রাম নেওয়া
আমাদের বুঝতে হবে যখন আমরা দীর্ঘ সময় ধরে যখন না ঘুমিয়ে থাকি। তখন আমাদের শরীরের সাথে সাথে আমাদের চোখেরও ক্ষতি হয়ে থাকে। এজন্য চোখে বেশি পরিমাণ চাপ ফেলা যাবে না। চোখে লালচে ভাব আনা যাবে না, এজন্য প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়মিত বিশ্রাম নিতে হবে। এতে করে চোখের ও শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
বাম-চোখ-ব্যাথা-করলে-কি-করণীয় |
চোখ যদি অতিরিক্ত ব্যাথা অনুভব দেয় তাহলে আপনাকে একটি পরিষ্কার কাপড় সুন্দরভাবে ভিজিয়ে চোখের উপরে আস্তে আস্তে করে চাপতে হবে। এতে করে আমাদের চোখ ঠান্ডা পানি পেয়ে কিছুক্ষণের জন্য নরমাল অবস্থায় ফিরে আসবে। এবং চোখের ফোলা ও জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করবে।
- চোখের ঘষা থেকে বিরতি থাকতে হবে
আমাদের চোখে যখন কোন কিছু ধুলাবালি পড়ে তখন আমরা না বুঝে জোরে জোরে চোখে ঘষা দিয়ে থাকি। এতে করে আমাদের চোখের চুলকানি রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে। এটি চোখের সংক্রামক ও আঘাতে ঝুঁকি বাড়ায়। তাই কোন কিছু চোখে পড়লে আমরা সুন্দরভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখকে ধোয়ার চেষ্টা করব আর চোখকে ঘষাঘষি করবো না।
আরো পড়ুনঃ আপনার জন্ডিস হলে কি কি করণীয় কাজ?
বাম চোখে ব্যাথা হলে আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করব যাতে করে আমাদের চোখ আরাম পায়। এবং তীব্রতা কমে আসে। অতিরিক্ত বেশি সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করা উচিত। যেহেতু চোখের বিষয় এজন্য যত তাড়াতাড়ি পারবেন সরাসরি পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করবেন। চোখকে অবহেলা কখনোই করবেন না। চোখ আছে বলে এই পৃথিবী আমাদের কাছে এত সুন্দর মনে হয়।
মাথা ও চোখ ব্যাথার কারণঃ
আমাদের মাথা ও চোখের ব্যথা খুব সাধারন সমস্যা কেননা মাথা চোখ এগুলা সবকিছুই আমাদের একটি সাথে জড়িত রয়েছে। এজন্য একটি ব্যথা করলে আরেকটি ব্যথা অটোমেটিক শুরু হয়ে যায় । তাই আমরা চেষ্টা করব মাথা ও চোখকে সবসময় ঠান্ডা করে রাখার যে কোন কাজের ক্ষেত্রেই হোক এগুলো ঠান্ডা রাখার উপায় মেনে নেওয়া হল...।
- মাইগ্রেন
মাইগ্রেন হল একটি সাধারণত মাথার একপাশে তীব্র ব্যথার সাথে সাথে চোখ ব্যথার কারণ হয়ে থাকে আর এটি ব্যথা করার মূল কারণ হচ্ছে। আমাদের চোখে অতিরিক্ত আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা, আর এগুলো দেখা দিলে আমাদের শরীরে বমি বমি ভাব এবং শরীর তীব্র আকারে গরম হতে থাকে।
- ক্লাস্টার
কোলেস্টর হেডেক ব্যথা করলে তখন বুঝতে পারবেন আমাদের চোখের আশেপাশে অনুভূতি হবে। এবং আমাদের শরীর তীব্র হঠাৎ করে ব্যথা করতে শুরু করবে। এবং এটি দিনে কয়েকবার হতে পারে আমাদের সাথে। এছাড়া মানুষ যখন অতিরিক্ত টেনশন করে বসে কোন কাজের ক্ষেত্রে। তখন দেখা যায় তাদের মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায় এবং মাথায় বেশি চাপ চারপাশে মাথার যন্ত্রণা এগুলোর করনের জন্য আমাদের চোখ ব্যথা শুরু হয়ে যায়।
আবার আমরা অনেক সময় ধরে কম্পিউটারের সামনে, মোবাইল, বা টিভির স্ক্রিনের, সামনে দীর্ঘ সময় ধরে তাকিয়ে থাকি। যাতে আমাদের চোখের ক্ষতি হয়, এবং চোখ ক্লান্তি হয়ে পড়ে এসব কারণে আমাদের মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়।কোন কারনে যদি আমাদের চোখ বা মাথায় তীব্রভাবে আঘাত বা ব্যথা লাগে তাহলে বুঝতে পারবেন যে আমাদের শীঘ্রই চিকিৎসা নেওয়া জরুরী। মাথা ব্যথা ও চোখ ব্যথার কারণ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।
সেটি নির্ভর করে ব্যক্তিগত শারীরিক মানসিক চাপের উপর। আপনার দীর্ঘস্থায়ী যদি ধরে কোন কাজ করেন, বা কোন মানসিক চাপে থাকেন। তাহলে আপনার মাথা ব্যথা করবে চোখ ব্যথা করবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য সময় থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কাজ করবেন। কেননা মাথা ব্যথা ও চোখ ব্যথা খুবই খারাপ এটি মানুষকে ভয়াবহ অবস্থায় নিয়ে যায়।
ডান চোখ ব্যাথা করলে কি করণীয়ঃ
ডান চোখ ব্যাথা হলে তা বিভিন্ন ধরনের কারণ হতে পারে যেমন মানুষের শারীরিক চাপ, মানসিক সমস্যা, চোখের ধুলাবালি পড়া। এই সব কারণে চোখ ব্যথা হয়ে থাকে। আপনার চোখে যদি তীব্র ব্যথা হয় বা দীর্ঘস্থায়ী ধরে ব্যাথা থেকে থাকে। তাহলে আপনি একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনার চোখ ভালো করতে পারেন। এছাড়া আপনি প্রতিদিন একটি পরিষ্কার কাপড় নিয়ে তাতে ঠান্ডা জল ভিজিয়ে আপনার চোখে সেক দিন।
ডান-চোখ-ব্যাথা-করলে-কি-করণীয় |
এতে করে আপনার চোখে জ্বালাপোড়া কমবে, এবং চোখ ফোলা থেকে বিরতি থাকবেন। খেয়াল রাখবেন যে,আপনার কোন কাজ অনুযায়ী আপনার চোখে যেন বেশি পরিমাণ চাপ না পরে। যেমন, দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটারে বসবেন না, মোবাইল ফোন চালাবেন না, কোন এক দিকে একভাবে তাকিয়ে থাকবেন না। এতে করে আপনাদের চোখের দৃষ্টিভঙ্গি কমে আসে, এবং চোখের আলো রশ্মি কমতে শুরু করে। সারাদিনে ৭-৮ ঘন্টা বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
এতে করে আমাদের শরীরও চোখ দুটি সুস্থ থাকে। চোখে যদি কোন ধুলাবালি বা জ্বালাপোড়া করে তাহলে হাত দিয়ে জোরে জোরে চোখ ঘষা দিবেন না। এতে করে চোখের ভেতর চুলকানি রোগ দেখা দিতে পারে। এটি সংক্রামক ও আঘাতের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ডান চোখ ব্যথা হলে এগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তাতে আপনি আরাম পাবেন। আর অতিরিক্ত ব্যাথা অনুভব করলে আপনি কোন বিশেষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে পারেন। যাতে করে আপনার চোখ সুস্থ থাকে।
চোখের জ্বালাপোড়া দূর করার ড্রপঃ
চোখের জ্বালাপোড়া একটি সাধারন সমস্যা এটি বিভিন্ন ধরনের কারণে হতে পারে। এগুলো কর্ম ক্ষমতা কমিয়ে দেয় চোখের। এবং চোখের দৃষ্টিভঙ্গি রশ্মি আস্তে আস্তে কমাতে থাকে। তাই এগুলো সঠিক পরিমাণ রাখার জন্য কিছু ড্রপ ব্যবহার করতে হয় তাহলেঃ
- আর্টিফিশিয়াল টিয়াস
এই ড্রপ আপনার চোখের শুষ্কতা ও জ্বালাপোড়া দূর করতে সাহায্য করবে। এবং এই গ্রুপ ব্যবহার করলে আপনি চোখের আদ্রতা বজায় রাখবে।
- লুব্রেকেটিং আয় ড্রপ
এটি একটি চোখের সুরক্ষামূলক কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ড্রপ ব্যবহার ফলে চোখের জ্বালা পোড়া ও চোখের আদ্রতা ফিরিয়ে আনার জন্য এজন্য ব্যবহৃত হয়।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে খুব সহজে আপনার পেটের মেদ কমাবেন?
অ্যাডোব ব্যবহার করার সময় মনে রাখবেন যে, আপনার হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ড্রপের সঠিক মাত্রা এবং সময় মেনে চলবেন যদি কোন কারণে কন্টাক্ট লেন্স পড়েন। তাহলে ড্রপ ব্যবহার করার আগে লেন্স খুলে ফেলুন। এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর আবার পড়ুন।
চোখে ড্রপ দেবার সময় খেয়াল রাখবেন যে, ড্রপ দেওয়ার সময় যেন আপনার হাত চোখের সাথে স্পর্শ না হয়। এগুলো নিয়ম অনুসরণ করে আপনি ড্রপ ব্যবহার করবেন। চোখে অতিরিক্ত জ্বালাপোড়া ভাব থাকলে কমে আসবে। চোখে দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন ইত্যাদি।
লেখকের মক্তব্যঃ
চোখের ব্যাথা দূর করার উপায় কি আসা করি আপনেরা বুঝতে পেরেছেন। তার সাথে সাথে আপনি হয়তো এটাও বুঝতে পেরেছেন যে চোখের ভিতরে ব্যাথা হওয়ার কারণ কি। এই সব সমাধান দেওয়া আছে আমাদের এইখানে।
তাই ভাল লাগলে এই পোষ্টটি সবার কাছে শেয়ার করে দিবেন। তারাও যেন চোখের যত্ন নিতে পারে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন......www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url