আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার - কৃক্রিম বুদ্ধিমাত্তার বৈশিষ্ট্য কি? বিস্তারিত জানুন?
আজকে আমরা জানবো যে কিভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার করতে হয়। এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা আমাদের পৃথিবী আজ অনেক উন্নত করে ফেলেছে। তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে কৃক্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য কি ধরনের হয়ে থাকে। আসুন জেনে নি?
ভূমিকাঃ
পৃথিবি আজ কোথায় থেকে কোথায় চলে গেছে সেটি কল্পনার বাইরে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার কিরে প্রায় মানুষ সব ধরনের কাজ খুব সহজ ভাবে করে ফেলছে। আপনি ও পারবেন করতে।
আর্টিফিশিয়াল-ইন্টেলিজেন্স-এর-ব্যবহার |
তাই আজকে আমরা জেনে নিবো যে কিভাবে এই টেকনোলজি ব্যবহার করে সব ধরনের কাজ করা যায়। কৃক্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য গুলো ভালোভাবে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন?
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহারঃ
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এ আই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ আই এর ব্যবহার স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবসা, শিক্ষা, বিনোদন, পরিবহন, এবং নিরাপত্তা সহ নানান ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়। স্বাস্থ্যসেবায় এআই রোগ নির্ণয়, চিকিৎসার পরামর্শ প্রদান, এবং রোগীর তথ্য বিশ্লেষণে সহায়ক। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে, এআই গ্রাহক সেবা উন্নত করা, বাজার বিশ্লেষণ, এবং কার্যকর বিপণন কৌশল নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ব্লগিং শিখে খুব সহজে টাকা ইনকাম করবেন?
শিক্ষাক্ষেত্রে, এটি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষা প্রদানে সহায়তা করে। বিনোদন শিল্পে এ আই সঙ্গীত, ছবি, এবং ভিডিও তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিবহন খাতে, স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চালনায় এআই এর ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিরাপত্তা ক্ষেত্রেও, এ আই মুখের পরিচিতি, আচরণ বিশ্লেষণ, এবং বিপদ সংকেত সনাক্তকরণে কার্যকর। সংক্ষেপে, এ আই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি ও সাফল্য এনে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এর ব্যবহার আরও ছড়িয়ে পরবে পুরো দুনিয়াতে।
কৃক্রিম বুদ্ধিমাত্তার বৈশিষ্ট্যঃ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) বা এআই এর কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একে অনন্য করে তোলে। নিচে এআই এর কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলোঃ
- শিখন ক্ষমতাঃ এ আই সিস্টেমগুলি বড় ডেটাসেট থেকে শিখতে পারে এবং সময়ের সাথে সাথে উন্নতি করতে পারে। এটি মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদমের মাধ্যমে সম্ভব হয়।
- স্বয়ংক্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ এ আই সিস্টেমগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যা মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম।
- প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণঃ এ আই মানুষের ভাষা বুঝতে ও প্রক্রিয়া করতে পারে। এটি চ্যাটবট, ভাষান্তর সেবা, এবং ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টে ব্যবহৃত হয়।
- দেখার ক্ষমতাঃ এ আই সিস্টেমগুলি ছবি এবং ভিডিও বিশ্লেষণ করতে পারে। এটি ফেস রিকগনিশন, চিকিৎসা চিত্র বিশ্লেষণ এবং স্বয়ংচালিত গাড়িতে ব্যবহৃত হয়।
- ডেটা বিশ্লেষণঃ এআই দ্রুত এবং কার্যকরভাবে বড় ডেটাসেট বিশ্লেষণ করতে পারে, যা ব্যবসায়িক পূর্বাভাস, বিপণন কৌশল এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহায়ক।
- বুদ্ধিমত্তামূলক আচরণঃ এ আই মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করতে পারে, যেমন সমস্যার সমাধান, পরিকল্পনা করা এবং শেখা।
- রোবোটিক্সঃ এ আই রোবোটিক্সের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় যেখানে রোবটগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে, যেমন উৎপাদন, স্বাস্থ্যসেবা এবং গৃহস্থালি কাজ।
- অনুকরণ ক্ষমতাঃ এ আই মানুষের আচরণ এবং চিন্তা প্রক্রিয়া অনুকরণ করতে পারে, যা বিভিন্ন কাজের সলিশোন এবং মডেলিংয়ে ব্যবহৃত হয়।
- বিভিন্ন ক্ষেত্রের অভিযোজনঃ এ আই বিভিন্ন ক্ষেত্র ও পরিস্থিতিতে অভিযোজিত হতে পারে এবং বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম।
- উদ্ভাবনী ক্ষমতাঃ এ আই নতুন নতুন ধারণা ও সমাধান উদ্ভাবন করতে পারে, যা গবেষণা ও উন্নয়নে সহায়ক।
এ আই এর এই বৈশিষ্ট্যগুলি একে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং কার্যকরী প্রযুক্তিতে পরিণত করেছে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবন এবং কাজের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাচ্ছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধাঃ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) বা এ আই এর বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে যা আমাদের দৈনন্দিন জীবন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের কাজে অনেক উন্নতি ও সহজতা নিয়ে এসেছে। নিচে এআই এর কিছু প্রধান সুবিধা উল্লেখ করা হলোঃ
( স্বয়ংক্রিয়করণ ) এ আই এর মাধ্যমে বিভিন্ন পুনরাবৃত্তিমূলক এবং সময়সাপেক্ষ কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করা যায়। এর ফলে মানুষের কাজের চাপ কমে এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
( দ্রুত ডেটা বিশ্লেষণ ) এ আই বড় ডেটাসেট দ্রুত এবং সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে পারে, যা ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক। এটি ব্যবসার জন্য মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।
( ব্যক্তিগতকৃত অভিজ্ঞতা ) এ আই ব্যবহার করে গ্রাহকদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত অভিজ্ঞতা তৈরি করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, নেটফ্লিক্স এবং অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী সুপারিশ প্রদান করে।
আর্টিফিশিয়াল-ইন্টেলিজেন্স-এর-সুবিধা |
( স্বাস্থ্যসেবা ) এআই স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা পরিকল্পনা, এবং রোগীর পর্যবেক্ষণে সহায়ক হয়।
( সাইবার সুরক্ষা ) এ আই সাইবার সুরক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় যা সাইবার আক্রমণ সনাক্ত এবং প্রতিরোধ করতে সহায়ক।
( প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ) এ আই প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত হয়, যা চ্যাটবট, স্বয়ংক্রিয় ভাষান্তর এবং ভার্চুয়াল সহকারী তৈরিতে সহায়ক।
( যানবাহন ) এ আই স্বয়ংচালিত গাড়ি এবং ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টে ব্যবহৃত হয়, যা সড়ক নিরাপত্তা ও যানজট কমাতে সাহায্য করে।
( শিক্ষা ) এ আই শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় যা ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষা পরিকল্পনা এবং শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে সহায়ক।
( ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত ) এ আই ব্যবসায়িক ডেটা বিশ্লেষণ করে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক তথ্য প্রদান করে।
( কৃষি ) এ আই কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় যা ফসল উৎপাদন, জমি ব্যবস্থাপনা এবং কীটনাশক ব্যবহারে সহায়ক।
( বিনোদন ) এ আই বিনোদনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় যা গেম ডেভেলপমেন্ট, অ্যানিমেশন এবং কনটেন্ট তৈরি করতে সহায়ক।
এই সুবিধাগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী প্রযুক্তিতে পরিণত করেছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাচ্ছে এবং মানুষের জীবনকে সহজ ও উন্নত করছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ দিকঃ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর অনেক সুবিধা থাকলেও এর কিছু খারাপ দিকও রয়েছে যা আমাদের সচেতনভাবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। এআই এর খারাপ দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম হলোঃ
এ আই এর ব্যবহারের ফলে কর্মসংস্থান হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়, কারণ অনেক কাজ স্বয়ংক্রিয়করণ হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শ্রমিকরা তাদের চাকরি হারাতে পারে এবং বেকারত্বের হার বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও, এআই এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারে অনৈতিকতা দেখা যায়, যা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ইনকাম করার সহজ টেকনিক?
এ আই এর আরেকটি খারাপ দিক হলো এর উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা। যখন আমরা অতিরিক্তভাবে এ আই এর উপর নির্ভর করি, তখন মানুষ নিজের সমস্যা সমাধানে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অক্ষম হয়ে পড়তে পারে। এছাড়াও, এআই এর উন্নয়নের সাথে সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত না হয়, তবে এটি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যেতে পারে এবং মানবজাতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সবশেষে, এআই এর উন্নয়ন ও ব্যবহারে নৈতিকতা এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করা জরুরি, অন্যথায় এটি সামাজিক বৈষম্য বৃদ্ধি করতে পারে এবং মানবাধিকারের প্রতি অমর্যাদা প্রদর্শন করতে পারে। সুতরাং, এআই এর খারাপ দিকগুলো বিবেচনা করে এর সঠিক ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
কৃক্রিম বুদ্ধিমত্তা কোথায় ব্যবহৃত হয়ঃ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর কিছু প্রধান ব্যবহার ক্ষেত্র হলোঃ
- স্বাস্থ্য সেবা
রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পরিকল্পনা করতে
মেডিকেল ইমেজিং ও ডায়াগনস্টিক বিশ্লেষণে
রোগীদের সঠিক সময়ে সেবা দেওয়ার জন্য চ্যাটবট ও ভার্চুয়াল সহকারী হিসেবে
- ব্যবসা ও বাণিজ্য
গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য ও সেবা সুপারিশ করতে
গ্রাহক সেবা ও সহায়তা প্রদানে চ্যাটবট হিসেবে
বিপণন ও বিজ্ঞাপনে ডেটা বিশ্লেষণ ও ব্যক্তিগতকৃত বিজ্ঞাপন তৈরি করতে
- বিনোদন
মিউজিক ও ফিল্ম সুপারিশ করতে
গেম ডিজাইন ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অভিজ্ঞতা তৈরিতে
কনটেন্ট ক্রিয়েশন ও এডিটিং-এ সহায়তা করতে
- পরিবহন
স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চালনা করতে (স্বয়ংচালিত গাড়ি)
রুট অপটিমাইজেশন ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা করতে
ড্রোন ও অন্যান্য অটোনমাস যানের নেভিগেশন ও নিয়ন্ত্রণে
- শিক্ষা
শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা প্রদান করতে
শিক্ষার গতি ও শেখার ধরন অনুযায়ী সহায়তা করতে
অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্মে কোর্স সুপারিশ করতে
- আর্থিক সেবা
বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে এবং ঝুঁকি মূল্যায়নে
ব্যাংকিং ও ক্রেডিট কার্ড সেবা প্রদানে
আর্থিক টাকা জাল কি'না সেটি সনাক্ত করতে
- গ্রাহক সেবা
কল সেন্টারে স্বয়ংক্রিয় সেবা প্রদান করতে
কাস্টমার ফিডব্যাক ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা করতে
গ্রাহকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য চ্যাটবট হিসেবে
- উৎপাদন ও রোবোটিক্স
উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অটোমেশন ও রোবট ব্যবহার করতে
মান নিয়ন্ত্রণ ও প্রক্রিয়া অপটিমাইজেশনে
রক্ষণাবেক্ষণ পূর্বাভাস ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা করতে
এইসব ক্ষেত্রের বাইরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আরও অনেক জায়গায় ব্যবহৃত হচ্ছে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন নতুন সুযোগ ও সুবিধা প্রদান করছে।
কৃক্রিম বুদ্ধিমত্তার ১০টি ভয়ঙ্কার দিকঃ
কৃক্রিম বুদ্ধিমত্তা এর ব্যবহার করে মানুষ তার জীবনের কঠিনতম কাজ গুলো খুব সহজে করতে পারে। কিন্তু এর কিছু খারাপ দিক রয়েছে তা কিছু নিম্নে দেওয়া হলোঃ
নিয়ন্ত্রণ হারানোঃ
এ আই সিস্টেমগুলি যদি খুব বেশি ক্ষমতাশালী হয়ে যায়, তাহলে তারা মানব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, যা বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
নির্বাচিত পক্ষপাতিত্বঃ
এ আই সিস্টেমগুলি পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নিতে পারে যদি তারা পক্ষপাতমূলক ডেটায় প্রশিক্ষিত হয়, যা সামাজিক বৈষম্য বাড়াতে পারে।
নিরাপত্তা ঝুঁকিঃ
এ আই সিস্টেমগুলি হ্যাকিং ও সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে আসে, যা সংবেদনশীল তথ্য চুরি ও ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গোপনীয়তা লঙ্ঘনঃ
এ আই প্রযুক্তি ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে, যা গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঝুঁকি বাড়ায়।
কর্মসংস্থান হ্রাসঃ
এ আই সিস্টেমের অটোমেশন ও রোবোটিক্স কর্মীদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি বাড়ায়, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
অস্ত্রায়ণঃ
এ আই প্রযুক্তি সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে অটোনমাস অস্ত্র সিস্টেম তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে, যা যুদ্ধের নিয়ম ও নৈতিকতা লঙ্ঘন করতে পারে।
নির্ভরতা বৃদ্ধিঃ
মানুষ এ আই সিস্টেমের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারে, যা দক্ষতা ও সৃজনশীলতার হ্রাস ঘটাতে পারে।
বৈষম্য বৃদ্ধিঃ
এ আই সিস্টেমগুলি সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়াতে পারে, যদি তারা শুধু ধনী ও শক্তিশালীদের সুবিধা দেয়।
নির্ভুলতার অভাবঃ
কিছু পরিস্থিতিতে এআই সিস্টেমগুলি ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যা বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
নৈতিক ও আইনগত সমস্যাঃ
এ আই সিস্টেমের ব্যবহার নৈতিক ও আইনগত প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে, যার সমাধান এখনও সুস্পষ্ট নয়।
এই সমস্ত ভয়ঙ্কর দিকগুলি এড়ানোর জন্য আমাদের সঠিক নিয়ন্ত্রণ, নীতিমালা ও প্রবিধান প্রয়োজন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কাকে বলেঃ
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) হল কম্পিউটার সিস্টেম বা মেশিনের মধ্যে মানুষের মতো চিন্তা, শেখা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সন্নিবেশিত করার প্রযুক্তি। এটি এমন একটি ক্ষেত্র যা মেশিনকে বুদ্ধিমান করে তোলার জন্য প্রোগ্রামিং করে যাতে তারা বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে পারে যা সাধারণত মানুষের বুদ্ধিমত্তা প্রয়োজন।
মানুষ যেটি করতে পারবে না সেটি এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স করতে পারবে নিসন্ধে। এ আই এর বিভিন্ন শাখা রয়েছে, যেমন মেশিন লার্নিং, ডীপ লার্নিং, প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ, এবং রোবোটিক্স। এআই প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ, চিত্র ও ভাষা চিনতে, এবং বৃহৎ পরিমাণ ডেটা বিশ্লেষণ করতে ব্যবহৃত হয়।
এটি স্বাস্থ্যসেবা, বিনোদন, আর্থিক সেবা, এবং স্বচালিত যানবাহন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ ও কার্যকর করে তুলছে। তবে এআই এর উন্নয়নের সাথে সাথে নৈতিক এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়গুলিও গুরুত্ব পাচ্ছে, যাতে প্রযুক্তিটি মানবজীবনের জন্য নিরাপদ এবং উপকারী হয়।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক কেঃ
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এর জনক হিসেবে পরিচিত জন ম্যাকার্থি একজন মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তিনি ১৯৫৫ সালে "আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স" শব্দটি প্রবর্তন করেন এবং ১৯৫৬ সালে অনুষ্ঠিত ডার্টমাউথ সম্মেলনে এআই গবেষণার ভিত্তি স্থাপন করেন। এই সম্মেলনটিকে আধুনিক এআই গবেষণার সূচনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ম্যাকার্থি শুধুমাত্র এআই শব্দটি প্রবর্তন করেননি, তিনি লিস্প প্রোগ্রামিং ভাষাও তৈরি করেন, যা এআই গবেষণায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তার কাজের মাধ্যমে এআই এর তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ভিত্তি স্থাপন করা হয়, এবং তার অবদানের জন্য তিনি এআই এর অন্যতম প্রধান প্রবর্তক ও পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি আপনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার কি ধরনের হয় আমাদের জীবনে সেটি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তার সাথে সাথে এটাও বুঝতে পেরেছেন যে কৃক্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশষ্ট্য গুল আমাদের জীবনে ঘটে থাকে সব কিছু বিস্তারিত ভাবে জেনে গেছেন।
ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করে দিবেন আপনার প্রিয় মানুষের কাছে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন......www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url