এপেন্ডিক্স কেন হয় - এপেন্ডিক্স হলে কি করণীয়? কারণগুলো জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে আমাদের নিত্যদিনের জীবনে এই এপেন্ডিক্স কেন হয়। এর কারণ গুলো কি ধরনের হয়। এবং তার সাথে সাথে জানবো যে এপেন্ডিক্স এর ব্যাথা কথায় হয়। এবং কেন হয়।

ভূমিকাঃ

আমাদের জীবনে এই এপেন্ডিক্স কেন হয় এর আসল কারণ হয়তো আমরা সবাই জানি না। এর ক্ষতিকারক দিক কি ধরনের ভয়াবহ হতে পারে। সেটি আমরা জানি না।

এপেন্ডিক্স-ব্যাথা-কেন-হয়
এপেন্ডিক্স-ব্যাথা-কেন-হয়                

তাই আসুন আজকে আমরা বিস্তারিত ভাবে জনাবো যে এপেন্ডিক্স এর ব্যাথা কথায় হয়। এবং ব্যাথা হওয়ার কারণ কি। আসুন শুরু করা যাক?

এপেন্ডিক্স কেন হয়ঃ

এপেন্ডিক্স হলো একটি সাধারণ সমস্যা যা সংক্রামক এর ফলে ঘটে থাকে। আমাদের শরীরে এটি ছোট আঙ্গুলের মত অংশে যার নিচের ডানদিকে অবস্থিত আমাদের প্রদাহ গ্রস্থ বা সংক্রামক দ্বারা ঘটে থাকে।

আরো পড়ুনঃ কি কি কারণে হার্ট আট্যাক হওয়ার ঝুঁকি থাকে?

এপেন্ডিক্স হলে আমাদের শরীরে বাধা ও ব্লকেজ সৃষ্টি করে। যেমন ধরা যায়, সুটুলের কোন দ্বারা অ্যাপেন্ডিক্স এর খোলকে ব্লক করে রাখতে পারে। লসিকা টিস্যু ফুলে আমাদের এপেন্ডিক্স খোলকে ব্লক করতে পারে। আমাদের শরীরে থাকা ভাইরাস ভাবে ব্যাকটেরিয়া সংক্রামক হয়ে এপেন্ডিক্স রোগে ছড়াতে পারে। এই সব কারণে এপেন্ডিক্স রোগ দেখা দেয় আমাদের শরীরে।

এপেন্ডিক্স এর বেশ কিছু লক্ষণঃ

  1. নাভির চারপাশে ব্যথা শুরু হয়ে যাবে এবং কি সে ব্যথাটি ডানদিকে তলপেটে চলে যাবে।
  2. খাবারের প্রতি অরুচি ভাব আসবে।
  3. সময় সময় বমি বমি ভাব লাগবে বা বমি হবার সম্ভাবনা থাকবে। 
  4. খুব তাড়াতাড়ি শরীরে জ্বর আসার সম্ভাবনা থাকবে এবং প্রসবের লাইনে জ্বালাপোড়া দেখাবে। 
  5. ডায়রিয়া ও কুষ্ঠ কাঠিন্য রোগের মত এপেন্ডিক্স রোগ আমাদের শরীরে ক্ষতিকারক দিক বয়ে আনবে।
  6. এগুলো লক্ষণ আপনাদের মধ্যে দেখা দিলে আপনি বুঝে নিবেন যে আপনার  এপেন্ডিক্স রোগ হয়েছে।

এপেন্ডিক্স এর ব্যথা কোথায় হয়ঃ

এপেন্ডিক্স হলো একটি বৃহদান্ত্রের সঙ্গে ছোট অংশ যা তলপেটে অবস্থিত। এটি ব্যাখ্যা করার মূল সমস্যা হলো এটি আমাদের সংক্রামক এর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আসুন জেনে নিই এপেন্ডিক্স এর ব্যথা কোথায় হয়?

আমাদের নাভির চারপাশে এপেন্ডিক্স প্রথমত পর্যায়ে ব্যথা অনুভব করাই এবং এটি তীব্র ধীরে ধীরে আকারে কিছুক্ষণ পর নিচের দিকে হেঁটে সরে যায়। এ ব্যথা যখন ডান দিকে সরে যায় তখন এপেন্ডিক্স তার তীব্র পরিমাণে রোগীকে ব্যথা অনুভূতি করায় যার। কারণে রোগী প্রচন্ড পরিমাণে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এপেন্ডিক্স ব্যথা এটা ক্রমগত থাকে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যথা বাড়তে থাকে।

তলপেটে যদি কোন দিক দিয়ে ব্যথা বৃদ্ধি পায়। তাহলে চেপে ছেড়ে দেবেন না চেপে ছেড়ে দেওয়ার ফলে ব্যথার পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। এপেন্ডিক্স হলে আপনার বমি বমি ভাব আসবে, শরীরের জ্বর থাকবে, কোন খাবার প্রতি রুচি থাকবে না, এবং পেট ফোলা ভাব হয়ে যাবে। তাই  এপেন্ডিক্স হলে সরাসরি ভালো চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেবার চেষ্টা করবেন।

এপেন্ডিক্স হলে কি করণীয়ঃ

অ্যাপেন্ডিক্স হলে আপনাকে সর্বপ্রথম ভালো কোন চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেবার চেষ্টা চেষ্টা করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। এপেন্ডিক্স হলে যা যা করবেন তাহলে,,,

  • চিকিৎসকের পরামর্শ

এপেন্ডিক্স এর লক্ষণ দেখা দিলে আপনাকে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এবং এই অ্যাপেন্ডিসাইডের জটিলতা রোধ প্রতিরোধ করতে হবে।

  • ব্যথানাশক গ্রহণ

এপেন্ডিক্স এর ব্যথা কমানোর জন্য নিচ থেকে কোন ধরনের ব্যথার ওষুধ খাবেন না। না হলে দেখা যাবে আপনার সমস্যা আরো জটিল পরিমাণে হয়ে আসবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করবেন। 

  • খাদ্য ও পানীয় এড়িয়ে চলা

চিকিৎসকের পরামর্শ না পাওয়া পর্যন্ত কোন কিছু আগ বাড়িয়ে খেতে যাবেন না বা পান করবেন না। এটি সার্জারির জন্য প্রস্তুতিতে সহায়তা হবে।

আরো পড়ুনঃ কিডনির সকল প্রকার রোগ থেকে মুক্তি পেতে চাই?

  • চিকিৎসকের পদক্ষেপ

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করাবেন। চিকিৎসক রোগের শারীরিক পরীক্ষা করবেন। এবং প্রয়োজনে পরীক্ষার মাধ্যমে এপেন্ডিক্স নিশ্চিত করবেন।

  • এন্টিবায়োটিক থেরাপি

সার্জারির আগে বা পরে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। 

  • অপারেশনের পর যত্ন

অপারেশন সেই সবার পর আপনাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যাতে করে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন। এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা বিশ্রাম করতে হবে। এবং শারীরিক পরিশ্রম অপারেশন পর এড়িয়ে চলবেন। এর সাথে সাথে সবসময় চিকিৎসকের সাথে নির্দেশনা নিবেন। এবং সে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবেন আর খেয়াল রাখবেন যে। এপেন্ডিক্স দেখা দিলে কখনও অবহেলা করবেন না। এটি একটি ভয়াবহ রোগ।

এপেন্ডিক্স এর ওষুধঃ

এপেন্ডিক্স হলো একটি জরুরী চিকিৎসা যা আমাদের এ রোগ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে নেওয়া উচিত। এর চিকিৎসা নেবার পর কিছু ওষুধ দেওয়া হয় আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য। আসুন জেনে নি, সেই ওষুধ গুলির নাম?

এপেন্ডিক্স-এর-ঔষুধ
এপেন্ডিক্স-এর-ঔষুধ            

  • মেট্রোনিডাজোল

এই ওষুধটি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রামক নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে কাজে ব্যবহার করা হয়। 

  • সিপ্রোফ্লোক্সাসিন

গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া সংক্রামক নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকর। 

আরো পড়ুনঃ ধূমপান করলে আমাদের স্বাস্থ্যর কি ভয়ানক ক্ষতি হয় জেনে নিন?

  • পাইপেরাসিলিন

সংক্রামক ভারতে ব্যবহৃত হয় এবং এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। 

  • প্যারাসিটামল

হালকা থেকে মাঝারি ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকারিতা। 

  • আইবুপ্রোফেন

প্রদাহজনিত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে।


এগুলো ওষুধ যদি আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেয়ে থাকেন। তাহলে আপনার অ্যাপেন্ডিক্স রোগ থেকে আস্তে আস্তে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

এপেন্ডিক্স হলে কি কি খাওয়া যায়ঃ

এপেন্ডিক্স রোগীর সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার দরকার তার অপারেশনের পরে। তাই আসুন জেনে নেই কিছু পুষ্টিকর খাবার। যেটা এপেন্ডিক্স রোগীকে খাওয়ানো উচিত।                                                                         

খাদ্যদ্রব

উদাহরণ

পুষ্টিগত সুবিধা

শাকসবজি

ব্রকলি, গাজর, পালং শাক, বাঁধাকপি

ফাইবার, ভিটামিন, ও মিনারেল

ফল

আপেল, কলা, পেয়ারা, বেরি

ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, হাইড্রেশন

প্রোটিন

চিকেন ব্রোথ, মাছ, ডাল, মাংস

প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড

দানা জাতীয় খাবার

ব্রাউন রাইস, ওটস, পুরো গমের পাউরুটি

ফাইবার, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম

দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য

কম ফ্যাটযুক্ত দুধ, দই, পনির

ক্যালসিয়াম, প্রোটিন

সুপ

চিকেন সুপ, ভেজিটেবল সুপ

হাইড্রেশন, প্রোটিন, মিনারেল

তরল পদার্থ

পানি, নারকেলের পানি, ফলের রস

হাইড্রেশন, ইলেকট্রোলাইট

এই গুলো খাবার যদি আপনি মেন্টেন করে চলতে পারেন। তাহলে আপনার এপেন্ডিক্স এর পেট ব্যাথা  ও আরো নানান ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভবনা থাকবে। তাই এই গুলো খাবার মেনে চলবেন।

এপেন্ডিক্স এর অপারেশন করতে খরচ কতঃ

এপেন্ডিক্স এর অপারেশন বিভিন্ন ধরনের উপায়ে বিভিন্ন জায়গাতে করা হয়। তা কিছু নিম্নরুপ...।

  • সরকারি হাসপাতাল

সরকারি হাসপাতালে সাধারণত চিকিৎসা করার জন্য খরচ কম হয় সেখানে শুধুমাত্র ওষুধপত্র,টেস্ট, এবং অন্যান্য খরচ থাকে সরকারি হাসপাতালে অপারেশনের খরচা সাধারণত ৫,০০০ থেকে ২০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ জন্ডিস হলে কি কি উপায়ে রক্ষা পাবেন?

  • বেসরকারি হাসপাতাল

বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা খরচা একটু বেশি হতে পারে যেমন ঢাকার অভিজাত এলাকায় হাসপাতালের খরচা তুলনামূলক বেশি হয়। বেসরকারি হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসা করা "ফি" সাধারণত বেশি ধরে। কারণ এর আধুনিক উন্নত সুবিধা পরিবেশনা প্রদানকারী হাসপাতালে খরচা একটু বেশি পরিমানে হয়ে থাকে। বেসরকারি হাসপাতালে এপেন্ডিক্স চিকিৎসা করতে হলে আপনাকে ৩০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকার প্রয়োজন পড়তে পারে।

এখন সেটি আপনার উপরে ডিপেন্ড করে যে আপনি আপনার রোগের চিকিৎসা কোন জায়গা থেকে করাবেন। যেটি আপনার মনে ভালো হয় আপনি সেই জায়গা থেকে অপারেশন করাতে পারবেন।


এপেন্ডিক্স হলে কিভাবে বুঝবোঃ

এপেন্ডিক্স অসুস্থতার কারণগুলি ও অন্যান্য অসুস্থতা প্রবণতা সম্পর্কে থেকে আলাদা। তাই আসুন জেনে নি কিছু কারণঃ

  • ব্যথা

এপেন্ডিক্স এর প্রথম লক্ষণ হল পেটের ডান পাশে অথবা নাভির নিচে ব্যথা করতে শুরু করবে এই ব্যথা প্রাথমিকভাবে মিলে যেতে পারে এবং অনেক বড় আকারে ব্যাথা যন্ত্রণা পরিবর্তনশীল হতে পারে। 

  • মিশ্র দাবা

অনেক সময় দেখা যায় যে এপেন্ডিক্স এর রোগীদের শরীরে মিশ্র প্রাকৃতির দাবা হয়ে থাকে। যা পাঁচানোর জন্য অনুপাত যুক্ত হতে পারে আমাদের শরীরে।

  • জ্বালাপোড়া

এপেন্ডিক্স রোগীর অসুস্থতার জন্য পেটের বাম দিকে অথবা পুরো পেটে জ্বালাপোড়া অনুভব হতে পারে।

  • জটিল অবস্থা

অনেক সময় দেখা যায় এপেন্ডিক্স এর দক্ষতা খুবই অসুস্থতা একটি সাধারণ পেটব্যথা দ্বারা শুরু হয়ে থাকে। যখন মার্জনায় ও হরমোনে মৃত্যু সুস্থতা দেখা দেয় তখন এগুলি লক্ষণ দেখা যায়।

লেখকের মক্তব্যঃ

আমি আসা করছি যে আপনাদের মন থেকে এপেন্ডিক্স কেন হয় এবং কি এই এপেন্ডিক্স এর ব্যাথা কথায় হয়। সব কিছু জানতে পেরেছেন পুরোপুরি ভাবে বিস্তারিত।

তাই ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও সবার মাঝে শেয়ার করবেন। যাতে সবাই সতর্ক থাকতে পারে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন......www.stylishsm.com





( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url