ঠান্ডা পানি খেলে কি হয় - ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার ক্ষতিকারক দিক? বিস্তারিত জেনে নিন?
ভূমিকাঃ
আমরা সকলেই ঠান্ডা পানি পান করে থাকি ও সময় গতিতে গরম গরম পানি পান করি যা আমাদের ভালো না খারাপ দিক তা আমরা বুঝতে পারি না।
ঠান্ডা পানি খাওয়ার উপকারিতা |
এজন্য আজকে আমরা জানবো ঠান্ডা পানি খেলে কি হয় এবং তার সাথে জানব গরম পানি খাবার উপকারিতা কি আমাদের শরীরে। তাই আসন শুরু করা যাক?
ঠান্ডা পানি খেলে কি হয়ঃ
ঠান্ডা পানি হলো সেই পানি যা ফ্রিজে রেখে বরফে পরিণত করে তারপর সেটি খাওয়া হয়। এই ঠান্ডা পানির পান করা হয় সাধারণত গরমের সময় তৃষ্ণা মেটানোর জন্য। ঠান্ডা পানি পান করলে আমাদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। তারপর আমাদের তৃষ্ণা মেটায় তবে ঠান্ডা পানি বেশি পরিমানে খাবার ভালো নয়। গরমের সময় ঠান্ডা পানি পান করলে আমাদের শরীর থেকে তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
এবং আমাদের শরীর ঠান্ডা রাখে যার কারণে আমাদের শরীর অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেয়ে থাকে। ব্যায়াম করার পর বা দৌড়াদৌড়ি করার পর আমরা যদি ঠান্ডা পানি পান করি তাহলে আমাদের শরীর দ্রুত পরিচালনা হয়ে থাকে। এবং আমাদের শরীর থেকে ক্লান্তি দূর হয়।
ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার ক্ষতিকারক দিকঃ
বেশি পরিমাণে ঠান্ডা পানি পান করলে আমাদের শরীরে বেশ অনেক অসুবিধা দেখা দিতে পারে। যেমন, ঠান্ডা পানি পরিমাণ যদি বেশি হয় আমাদের শরীরে তাহলে আমাদের শরীরে বদ হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠান্ডা পানি খাদ্য হজমের প্রতিক্রিয়া ধরন শক্তি কম করে দেয়। ঠান্ডা পানি বেশি পরিমাণে পান করলে গলা ব্যথা ও গলা বসে যাবার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঠান্ডা পানি খাওয়ার ক্ষতিকারক দিক |
ঠান্ডা পানি স্বাভাবিক মাত্রা থেকে যদি অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে থাকে আর সেটি যদি পান করা হয়। তাহলে আমাদের শরীরে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। ঠান্ডা পানি বেশি পরিমাণে পান করলে সবথেকে ভয়ংকর ক্ষতির দিক হলো আমাদের শরীরের রক্ত সংকোচন। অতিরিক্ত সংকুচিত হয়ে যায়। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগে সংকুচিত হতে পারে মানুষ।
ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খেলে কি ক্ষতি হয়ঃ
ফ্রিজের ঠান্ডা পানি হলো সেই পানি যেটি ফ্রিজের সময় ধরে রেখে তারপর খাওয়া হয় তৃষ্ণা মেটানোর জন্য। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি অনেকেই পান করে থাকে। কারণ এটি তৃষ্ণা মেটাতে দ্রুত সাহায্য করে এবং শরীর ঠান্ডা রাখে। কিন্তু ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করলে আমাদের বদহজমের প্রক্রিয়া প্রচলনা ধীরগতি হয়ে যায়। এবং কি আমাদের পাকস্থলীর তাপমাত্রা হ্রাস করে খাদ্য হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফ্রিজের পানি ঠান্ডা অতিরিক্ত পান করলে আমাদের গলা ব্যথা, জ্বর, কাশি, সর্দি, ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের রোগের সম্মুখীন হতে পারে আমাদের শরীর।
ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাওয়ার নিরাপদ উপায়ঃ
- ফ্রিজের ঠান্ডা পানি সীমিত ভাবে পান করতে হবে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করা যাবে না।
- ফ্রিজ থেকে সরাসরি ঠান্ডা বরফ পানি বের করে কিছুক্ষণ রেখে দেবার পর যখন সেটি হালকা গরম পানিতে পরিণত হবে তখন সেটি পান করলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
- ঠান্ডা পানি পান করার সময় মনে রাখবেন যে ঠান্ডা পানি সব সময় আস্তে আস্তে পান করা ভালো এতে করে আমাদের শরীরে ঠান্ডা পানি সহজে গ্রহণ করতে পারে যাতে করে কোন ডিহাইড্রেশন হয় না।
- শীতকালে বা ঠান্ডা মৌসুমে এই ফ্রিজের ঠান্ডা পানি থেকে দূরে থাকতে হবে। শীতের সময় ঠান্ডা পানি একদম খাবেন না।
- ঠান্ডা পানি খেলে মানুষের তৃষ্ণা খুব দ্রুত মেটে। কিন্তু তার সাথে সাথে তাদের শরীরে বদ হজমের সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু পানি খাবার চেষ্টা করবেন ঠান্ডা।
গর্বভাবস্থায় ঠান্ডা পানি খেলে কি হয়ঃ
গর্ভাবস্থায় মহিলারা সাধারণত তাদের শরীরে গরমের পরিমাত্রা একটু বেশি থাকে সাধারণ মানুষের চেয়ে। এজন্য তাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য তাদের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য মিডিয়াম ঠান্ডা পানি পান করানো উচিত। এতে করে তার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কিছুটা কমে আসে। ঠান্ডা পানি পান করলে এটি তৃষ্ণা মেটায়। এবং শরীরে হাইড্রেশন বাড়াতে সহায়ত করে যা গর্ব অবস্থায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভবতী মহিলারা যদি ঠান্ডা পানি পান করেন।
গর্ভাবস্থায় ঠান্ডা পানি খেলে কি হয় |
তাহলে তাদের শরীরের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে ঠান্ডা পানি। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি পরিমাণে পান না করে বসে। বেশি পরিমাণে পান করলে সে মহিলার সর্দি-কাশি জ্বর ইত্যাদি সমস্যায় ভুগতে পারেন। এবং তার পেটে থাকা সন্তানের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠান্ডা পানি বেশি পরিমাণে পান করলে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের ইউমেন সিস্টেম কিছুটা দুর্বল হতে পারে। যা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা করতে পারে।
গর্বভাবস্থায় মহিলাদের বিশষজ্ঞের পরামর্শঃ
বিশেষজ্ঞরা বলে গেছেন যে গর্ব অবস্থায় খুব বেশি ঠান্ডা পানি পান করা যাবে না। নরমাল পানি বা হালকা ঠান্ডা পরিমাণ পানি পান করা উত্তম গর্ভবতী মহিলাদের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা হওয়া চলবে না। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত নরমাল পানি। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের খাবার ও পানীয় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ সবসময় সঠিক পরিমাণে রাখতে হবে। এবং খুব বেশি ঠান্ডা পানি ও খুব বেশি গরম পানি তা এড়িয়ে চলতে হবে। গরমের সময় গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জন্য ঠান্ডা পানি পান করা স্বস্থিদায়ক হতে পারে। তবে শীতের সময় ঠান্ডা পানি খেলে তার পরিমাণ অবসর্তি সৃষ্টি করতে পারে।
খালি পেটে ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার উপকারিতাঃ
খালি পেটে ঠান্ডা পানি খাওয়া বলতে বোঝানো হয়ে থাকে দিনের শুরুতে। কেননা সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা খাবার সাথে সাথে সবাই ঠান্ডা পানি খেতে পছন্দ করেন। এই ঠান্ডা পানি খেলে হয়তো কারো কারো সতেজতা ও আরামদায়ক সকাল মনে হয় ও তারা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সকাল বেলা খালি পেটে ঠান্ডা পানি খেলে শরীর হাইড্রেট থাকে। এবং শরীরে একটি পূর্ণ পরিচালনা সক্ষম করতে সাহায্য করে।
এবং এটি সারাদিনের কাজ করতে প্রস্তুত করে মানুষকে। ঠান্ডা পানি পান করলে শরীরের বিপাকীয় হাড় বেড়ে ওঠে এবং কি শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। খালি পেটে ঠান্ডা পানি পান করলে শরীরের ভেতর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দেয়। এবং কে কিডনি ও লিভারের কার্যকারিতা কাজ নিম্ন সাধন করে থাকে।
খালি পেটে ঠান্ডা পানি খাওয়ার অউপকারিতাঃ
খালি পেটে ঠান্ডা পানি খেলে পেটের মধ্যে বদ হজমের প্রতিক্রিয়া পরিচালনা বন্ধ করে দেয়। এবং মানুষের পেট ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি খেলে গলা ব্যথা এবং গলা বসে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। ঠান্ডা পানির খাবার ফলে আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালনা গতি আস্তে আস্তে কমতে থাকে। যার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মাথা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলে গেছেন যে খালি পেটে ঠান্ডা পানি না খেয়ে। বরং হালকা ঠান্ডা বা সাধারণত তাপমাত্রা পানি পান করা উচিত সাধারণ মানুষদের। খালি পেটে ঠান্ডা পানি খাবা ভালো।
কিন্তু অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি বা অতিরিক্ত সময় ধরে ঠান্ডা পানি খাওয়া এটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক দিক। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি আমরা নরমাল পানি পান করি ব্রেকফাস্ট এর আগে। তাহলে আমাদের শরীরের বদহজম ক্ষমতা ক্ষয় হয়ে যায়। এবং আমাদের শরীর যেকোনো কাজ করতে প্রস্তুত থাকে।
গরম পানি খাওয়ার উপকারিতাঃ
গরম পানি খাবার উপকারিতা হলো এই গরম পানি পান করলে হজম প্রতিক্রিয়ার ক্ষমতা বাড়ে। এবং পেটের মধ্যে থাকা খাদ্য দূরত্ব হজম করতে সক্ষম। এই গরম পানি এই গরম পানি নিয়মিত পান করলে এটি শরীর থেকে গ্যাস অস্টিক এবং হজম সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। গরম পানি পান করলে আমাদের শরীর থেকে টক্সিন দূর হয়। গরম পানি আমাদের শরীরের লিভার ও কিডনি ভালো রাখতে বেশ কার্যকারিতা উন্নত সাধন।
গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা |
এর সাথে আমরা আরো দেখতে পারি যে গরম পানি পান করলে আমাদের শরীরে রক্ত প্রসারিত তেজ বেড়ে যায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এবং এর মধ্যে দিয়ে আমাদের হৃদয়ের রোগ ও অঙ্গের কার্যকারিতা শক্ত ও মজবুত উন্নত কাজ করে। গরম পানি পান করলে মাংসপেশির ব্যথা, শীতলতা, অনেক ভালো থাকে। যার কারণে আমাদের শরীর একটু রিলাক্স ফিল করে থাকে। গরম পানি আমাদের শরীরের স্নায়ুতন্ত্রকে শিথিল করে এবং মানসিক শান্তি প্রদান করে।
গরম পানি খাওয়ার সঠিক নিয়মঃ
গরম পানি পান করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে এই গরম পানি যেন অতিরিক্ত গরম না হয়। গরম পানির তাপমাত্রা এমন রাখা উচিত। যাতে সেটি পান করলে আমাদের শরীরে আরাম ও শরীর সুস্থ থাকে। আপনার যদি গলা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে গরম পানির সাথে একটু লবণ মিশিয়ে উসুম-উসুম গরম করে সেটি নিয়ে গুলগুলা করতে থাকেন। আপনার গলা ব্যথা দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে দূর হয়ে যাবে। সকালে খালি পেটে গরম পানি বেশ উপকারে আমাদের শরীরের জন্য।
এটি আমাদের শরীরের প্রতিক্রিয়াকে প্রচলন করে তোলে। এবং কি সারাদিনের জন্য যেকোন কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তাই আমাদের নিয়মিত গরম পানি পান করা উচিত। তবে খেয়াল রাখবেন পানি যেন অতিরিক্ত গরম না হয়।
রাতে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতাঃ
রাতে ঘুমানোর আগে গরম পানি খাওয়া বেশ উপকারিতা আমাদের শরীরের জন্য। গরম পানি পান করে ঘুমালে আমাদের শরীর ও মনের উপর একটি বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যা আমাদের শরীর সুস্থ রাখার একটি নিয়মিত দিক। রাতের সময় গরম পানি পান করে ঘুমালে আমাদের শরীর থেকে টক্সিন দূর হয়। শরীরের মধ্যে কিডনি ও লিভারের কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে। এবং কি আমাদের স্নায়ুতন্ত্র শিথিল হয়।
যা একটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং ঘুমের মান ভালো রাখতে সাহায্য করে গরম পানি। রাতে গরম পানি পান করলে বিপাক প্রতিক্রিয়া ঘটে আমাদের শরীরে। গরম পানির খাবার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ সহায়তা হতে পারে। গরম পানি পান করার ফলে এটি আমাদের শরীরে থাকা ফ্যাক্ট চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং শরীর করে তুলে স্লিম।
রাতে গরম পানি খাওয়ার বিশেষ প্রদ্ধতিঃ
গরম পানি পান করার সময় মনে রাখবেন পানি যেন অতিরিক্ত গরম না হয় সে পানি একদম খাবেন না। পানের তাপমাত্রা এমন হওয়া উচিত যেটি খেলে আমাদের শরীরের আরামদায়ক নিম্নসাধন হয়। এবং গলাতে কোন জ্বালাপোড়া না হয়। রাতে ঘুমানোর আগে দুই গ্লাস গরম পানি পান করা উচিত এটি আমাদের ঘুম ভালো আসার সম্ভাবনা বাড়ে। এবং আমাদের শরীরকে শিথিল রাখতে ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রাতে প্রতিদিন ঘুমানোর আগে গরম পানি পান করা উচিত কিন্তু অতিরিক্ত পান করবেন না সর্বোচ্চ ২ গ্লাস। গরম পানি পান করার ক্ষেত্রে আমাদের শরীর সুস্থ আরামদায়ক থাকে। এবং শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে তাই গরম পানি পান করা উচিত।
গরম পানির সাথে লেবু খাওয়ার উপকারিতাঃ
গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে পান করা খুবই জনপ্রিয় একটি কাজ আমাদের শরীরের জন্য। এটি সাধারণত সকলের রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া উচিত মানুষদের। কেননা গরম পানি আর লেবু মিশিয়ে তার রস পান করলে আমাদের শরীর খুবই সুস্থ পরিমাণে থাকে। গরম পানির সাথে লেবু পানি পান করলে আমাদের শরীরের হজম প্রতিক্রিয়া উৎসারিত হয়। লেবুর রসে পাওয়া যায় প্রাকৃতিক ডিক্রিফায়ার যেটি আমাদের শরীর সতেজ রাখতে সাহায্য করে থাকে।
গরম পানির সাথে লেবু খাওয়ার উপকারিতা |
লেবুর রসের এসিড পেটের এনজাইম গুলিকে সংগ্রহ করে যা খাদ্য হজম সাহায্য করতে সাহায্য করে। গরম পানির সাথে লেবুর পানি মিশিয়ে পান করলে আমাদের শরীরের রক্তনালিকে প্রসারিত করে। এবং ভিটামিন সি যোগায় আমাদের শরীরে। এছাড়াও আমাদের শরীরের লিভার কিডনি বেশ অনেকগুলো প্রতিক্রিয়া সুস্থ রাখে এবং আমাদের শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে লেবুর পানি।
গরম পানির সাথে লেবু খাওয়ার সঠিক নিয়মঃ
গরম পানির সাথে লেবু মেশানোর সময় খেয়াল রাখবেন যাতে করে পানি অতিরিক্ত পরিমাণ গরম না হয়। না হলে আমাদের শরীর আরামদায়ক পাবে না এবং গলা জ্বালাপোড়া করবে। প্রতি গ্লাস গরম পানির সাথে একটি তাজা লেবুর অর্ধেক রস মিশিয়ে নিন। অতিরিক্ত লেবু ব্যবহার করবেন না। কারণে এতে অ্যাসিডিক পাওয়া যায়। খালি পেটে গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে পান করলে আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকার। বিশেষজ্ঞেরা বলে গেছেন যে গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে খাওয়া বিশেষ করে সকালে খুবই ভালো।
আমাদের পেট সুস্থ্য থাকে। গরম পানির সাথে লেবু খেলে হজমের উন্নতি, ডিটক্রিফিকেশন, রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধি, ইমিউন সিস্টামের উন্নতি, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ত্বকের উজ্জ্বলতা সাধন ইত্যাদি এই সব পাওয়া যায় গরম পানির সাথে লেবু পানি পান করলে।
মধু দিয়ে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতাঃ
মধু দিয়ে গরম পানি মিশিয়ে পান করলে আমাদের দেহ সুস্থ থাকে। এবং কি এটা খেলে আমাদের মুখে স্বাদ বাড়ে। মধু গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার রয়েছে আমাদের জন্য। এই মধু আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহজ করে। মধুতে প্রাকৃতিক এন্টিব্যাকটেরিয়াল থাকে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং এটি সস্তা জন্য খুবই ভালো এবং ফ্যাট কমাতে খুবই কার্যকর।
গরম পানি দিয়ে মধু খাবার সময় খেয়াল রাখবেন প্রতি গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ মধু মেশাতে হবে। অতিরিক্ত মধু ব্যবহার না করাই ভালো কারণ অতিরিক্ত মিষ্টি হয়ে গেলে আমাদের শরীরে ফ্যাক্ট বেড়ে যেতে পারে। এভাবে গরম পানি দিয়ে মধু মিশিয়ে খেলে আমাদের হজম শক্তি বাড়ে এবং যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে আমাদের শক্তি ও মনোবল বাড়ে।
মধু এবং গরম পানি একসাথে মিশিয়ে খেলে হজমের উন্নতি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ওজন নিয়ন্ত্রণ, গায়ের রং উজ্জ্বল বৃদ্ধি, গলা ব্যথা, কাশি উপশম, এগুলো সব কিছু সঠিক পরিমাণে আনতে মধু ও গরম পানি খুবই সহায়ক। এটি শরীর ও মনের লেগে খুবই উপকারী।
লেখকের মক্তব্যঃ
ঠান্ডা পানি খেলে কি হয় ও তার সাথে সাথে আমরা এটাও জানলান যে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা কি? এবং এই সব পানি খেলে আমাদের শরীরের কি ধরনের ক্ষতি বা লাভ গ্রহণ করতে পারি তা মারা জানলাম। তাই আসা করি আপনেরা ঠান্ডা পানি খেলে কি হয় সব কিছু বুঝতে পেরেছেন।
আমার এই লিখটি যদি পছন্দ হয়। তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন সবার মাঝে।
আপনাদের আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন......www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url