মুকেশ আম্বানির জীবন কাহিনী কি - মুকেশ আম্বানির জন্ম? বিস্তারিত জেনে নিন?

মুকেশ আম্বানির জীবনী কাহিনী কি কি ধরনের ছিল এবং মুকেশ আম্বানির ব্যবসায়িক জীবন কি ধরনের ছিল। তা আজকে আমরা বিস্তারিত ভাবে জানবো।

ভূমিকাঃ

মুকেশ আম্বানির জীবনী কাহিনী কি? হয়তো কম বেশী বিশ্বের সবাই জানে। কেননা মুকেশ আম্বানি হচ্ছেন যে পৃথিবীর ( Rich Man ) হিসাবে তার নাম ধরা হয়।

মুকেশ আম্বানির জীবন কাহিনী কি
মুকেশ আম্বানির জীবন কাহিনী কি        

মুকেশ আম্বানির তার ব্যবসায়িক জীবন ও তার পরিবার নিয়ে খুব হাসি খুশি থাকেন ইন্ডিয়ায়। তার ফ্যামেলি খুব নরম মনের সবাই মানুষ। তাই মুকেশ আম্বানির সম্পর্কে আমরা আরো ভালোভাবে জানবো।

মুকেশ আম্বানির জন্মঃ

মুকেশ আম্বানির জন্ম হয়েছিল ১৯ এপ্রিল ১৯৫৭ সালে ইয়েমেনের আদেনে। মুকেশ আম্বানি হচ্ছেন ধীরুভাই আম্বানি এবং কোকিলাবেন আম্বানির প্রথম সন্তান। তার পিতা ধীরুভাই আম্বানি ছিলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠার মালিক। মুকেশ আম্বানি শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন মুম্বাইয়ের হেল গ্রেঞ্জ হাই স্কুল থেকে। এবং সেখানে পড়াশোনা শেষ করে তিনি মুম্বাইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন।

আরো পড়ুনঃ লিওনেল মেসির জীবন কাহিনী কত ভয়াবহ ছিলো?


মুকেশ আম্বানি পড়াশোনা করতেন ইঞ্জিনিয়ার হবার জন্য তিনি ইঞ্জিনিয়ার লাইনে পড়াশোনায় সনাত্মক ডিগ্রি অর্জন করেন মুম্বাইয়ের ইন্ডাস্ট্রিজ অফ কেমিক্যাল টেকনোলজি কলেজ থেকে। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি স্টান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এমবিএ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যবসায় যোগদানের জন্য তিনি আর পড়াশোনা করতে পারলেন না তিনি মাঝপথেই পড়াশোনা ছেড়ে দিলেন।

মুকেশ আম্বানির জীবন কাহিনী কিঃ

মুকেশ আম্বানি ভারতের বিখ্যাত তম ধনী ও খুবই দক্ষ প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত পান। মুকেশ আম্বানি হচ্ছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামকরা একজন চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসেবে তিনি সেখানে কর্মরত রয়েছেন। তার কর্মরত থাকাই সেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুকেশ আম্বানি বিপুল সাফল্য নিজেরাই আয়ত্তে অর্জন করেছেন। তার কিছু জীবন কাহিনী নিচে উল্লেখ করা হলো...।

মুকেশ আম্বানির জীবন কাহিনী
মুকেশ আম্বানির জীবন কাহিনী            

ব্যাক্তিগত জীবনঃ মুকেশ আম্বানির বিয়ে হয়েছে নিতা আম্বানির সাথে। তাদের বিয়ের আগে নিতা আম্বানি ছিলেন একজন স্কুল টিচার। তাদের মোট (৩) সন্তান আছে আকাশ, ঈশা, ও আদরের অনন্ত।

সম্পদঃ মুকেশ আম্বানি বহু সময় ধরে  ভারতের ধনী ব্যাক্তি হিসাবে পরিচয় নিয়ে আছেন। মুকেশ আম্বানির ধন সম্পদ প্রায় ধরা যায় বিলিয়ন ডলার। এবং তার সাথে সাথে তিনি বিশ্বব্যাপি ধনীর নামে তিনি পরিচিত পেয়েছেন।

দানশীল ও সমাজসেবাঃ মুকেশ আম্বানি ও তার পুরো পরিবার দানশীল ও সমাজসেবায় জড়িত থাকে।মুকেশ আম্বানির ফ্যামেলি শিক্ষা, চিকিৎসার জন্য ব্যায়-বহুল টাকা দান করে থাকেন। মুকেশ আম্বানির আয়ত্তে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন বিভিন্ন ধরনের সমাজ সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি  আরো বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবায় রয়েছেন মুকেশ আম্বানির ফ্যামেলি।

মুকেশ আম্বানির পুরস্কারঃ মুকেশ আম্বানির জীবন অনেক অনুপ্রেণামূলক কাহিনী ছিলো। তিনি জীবনে অনেক কঠোর পরিশ্রম ও বুদ্ধিমাত্রা দ্বারা তিনি ধন-সম্পদ করেছেন। যেটা দ্বারা তিনি আজ পুরো বিশ্বের কাছে একজন ধনী ব্যাক্তি হিসাবে পরিচয় পান। 

 মুকেশ আম্বানির ব্যবসায়িক জীবনঃ

মুকেশ আম্বানি ভারতের একজন দক্ষতা ও প্রভাবশালী সফল বিজনেসম্যান। তিনি রিয়ালান্স ইন্ডাস্ট্রিজ নেতৃত্বে হয়ে সফল অর্জন করেছেন ব্যবসার জীবনে। এই রিয়ালেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ছিল ধীরুভাই আম্বানির যিনি মুকেশ আম্বানির পিতা ছিলেন। তার ব্যবসায়ী জীবনের কিছু দিক বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো...।

রিয়ালেন্স ইন্ডাস্ট্রিজে প্রথম ধাপঃ মুকেশ আম্বানি ১৯৮১ সালে রিয়াল এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এ যোগদান দিয়েছিলেন। তিনি তার পিতার ধীরুভাই আম্বানির সাথে প্রথম প্রথম কাজ শুরু করে কোম্পানির ব্যবসা সম্বন্ধে বিস্তারিত জানার জন্য। আস্তে আস্তে তিনি ব্যবসার সব জ্ঞান ও বুদ্ধি নিতে শুরু করলেন যেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিজনেস করার ক্ষেত্রে।

মুকেশ আম্বানির ব্যবসায়িক জীবন
মুকেশ আম্বানির ব্যবসায়িক জীবন            

মুকেশ আম্বানি প্রথম রিয়ালেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ পলিয়েস্টার ফাইবার উৎপাদনে মনোনিবেশ করেছিলেন। মুকেশ আম্বানির কোম্পানির যেকোনো উৎপাদন প্রোডাক্ট বা বিক্রি করার বৃদ্ধি মুকেশ আম্বানি খুবই ভালো করে জানতেন যেটি তাকে আরো বুদ্ধিমান ও বিজনেসম্যান নামে একটি খ্যাতি অর্জন করে দিয়েছে। 

টেলিকম ও ডিজিটাল বিপ্লবঃ মুকেশ আম্বানি  রিলায়েন্স ইনফাকম ২০০২ সালে রিয়ালেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ টেলিকম খাতে প্রবেশ করেছিলেন এবং এই রিয়ালেন্স ইনফোকম চালু করেছিলেন। তার সাথে সাথে তিনি ২০১৬ সালে মুকেশ আম্বানি রিয়ালেন্স জিও চালু করেন। এই জিও ইন্টারনেট ব্যবহার করি মানুষের ভারতের টেলিকম শিল্প একটি বিপ্লব অবদান রেখেছে। মাত্র কিছু বছরের মধ্যে এই জিও পুরো ভারতবর্ষের মধ্যে মানুষের প্রিয় ও আকর্ষণের একটি মোবাইল নেটওয়ার্ক হয়ে উঠেছে। 

খরচা ব্যবসাঃ মুকেশ আম্বানি রিয়ালেন্স রিটেল নামক একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন যার বর্তমানে ভারতের অনেক বড় একটি খুরচা ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। এই সংস্থা দ্বারা তিনি বিভিন্ন ধরনের পরিসেবা করে থাকেন জনগণকে। যেমন খাদ্য, ইলেকট্রনিক্স, পোশাক, দৈনিক সব প্রয়োজনীয় সব ধরনের জিনিস সেই সংস্থায়ী পাওয়া যায়। 

মুকেশ আম্বানির সম্পদ কতঃ

মুকেশ আম্বানি হচ্ছে ভারতের একজন শীর্ষ ধনী ও দক্ষতা বিজনেসম্যান হিসেবে গণনা করা হয়। তিনি ব্যবসার মাধ্যমে আজ তিনি কোটিপতি হওয়ার সফলতা অর্জন করেছেন। মুকেশ আম্বানির কাছে এ পর্যন্ত ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী তিনি $৯০ বিলিয়ন থেকে আজ $১০০ বিলয়োন পর্যন্ত চলে গেছেন। যা একটি বিশ্বের মধ্যে তিনি আজ অনেক বড় স্থান পেয়েছেন ধনী ব্যক্তিদের মাঝে।

এছাড়াও তিনি তার সাইডে আরও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করছেন । বাণিজ্য রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর মত শেয়ার ফোল্ডার বিভিন্ন জায়গায় টাকা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছেন। যেখান থেকে তিনি বসে বসে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম তাই আজ তিনি কোটিপতি হয়ে দাঁড়িয়েছেন। সত্যি কথা বলতে কি এক সময় কষ্ট করলে উপরওয়ালা সাহায্য করে তোমাকে কোটিপতি হওয়ার জন্য। 

নীতা আম্বানির পানির দাম কতঃ

নিতা আম্বানি হচ্ছে মুকেশ আম্বনির স্ত্রী এবং কি তিনি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের মেম্বার পার্শন। নিতা আম্বানি তার বিলাসবহুল জীবন ও তার শখ নিয়ে মানুষের কাছে তিনি বেশী পরিচিত।

পানির মূল্যঃ

নিতা আম্বানি যে পানি পান করে থাকে তা হলো "অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আ মোদিগ্লিয়ানি"। এই পানি হচ্ছে বিশ্বের নামকরা ও দামি পানি হিসাবে পরিচিত পায়। নিতা আম্বানির এই পানি "অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আ মোদিগ্লিয়ানি" প্রতিলিটার ৭৫০ হয়ে থাকে। এর দাম ধরা যায় প্রায় $ ৬০,০০০ মার্কিন ডলার। যা ভারতের টাকা হিসাব করলে আসবে ৪৫ লক্ষ্য রুপি।


আরো পড়ুনঃ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জীবন কাহিনী কি?


এই পানির বোতলটি ২৪ ক্যারেট সোনার প্রলেপে দিয়ে মোড়ানো থাকে। এবং এই পানির মধ্য ছোটো ছোটো স্বর্ণ মেশানো থাকে। যা এটি একটি পানি নয়। এটি একটি বিলাস-বহুল সামগ্রী হিসাবে পরিচিতি পায়।

মুকেশ আম্বানির ব্যয়সায়িক কৌশলঃ

মুকেশ আম্বানি তার নেতৃত্ব ও বুদ্ধিমত্তার দ্বারা তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজকে ভারতের অন্যতম ও অনেক উচ্চ পদে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তার ব্যবসায়িক কৌশল তাকে আজ এনে দিয়েছে রিয়ালেন্সকে বিশ্বব্যাপী খাঁটি অর্জন করার চাবিকাঠি। মাথায় বুদ্ধি থাকলে মানুষ খুব সহজে মুকেশ আম্বানির মতো হতে পারবে। ব্যবসায়িক কিছু কৈশল...।

মুকেশ আম্বানির ব্যবসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্যময় এবং বিভিন্ন টেকনিক কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। তিনি বেশিরভাগ পেট্রোকেমিক্যাল, তেল শোধনাগার, টেলিকম, খুচরা ব্যবসা ইত্যাদি তিনি এই গুলো খরচ থেকে হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছেন। মুকেশ আম্বানি সবসময় নতুন বাজারে প্রবেশের জন্য উ উনমুখো হয়ে থাকেন। তিনি বিভিন্ন প্রযুক্তি চিন্তাভাবনা ধারণার মাধ্যমে বাজারে সব কিছু নতুন সেবা দিতে খুবই পারে সাধারণ মানুষকে। এর সাথে সাথে মুকেশ আম্বানির প্রতিযোগিতামূলক কৌশল হলো তার জিও ইন্টারনেট।

এই জিও ইন্টারনেট দ্বারা রিলায়েন্স জিওর বাজারে সঞ্চয়ের মূল্য উচ্চমানের সেবা দিয়ে থাকে। তাই তাকে এই প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ মনে করা হয় মুকেশ আম্বানি কে। তারপর তিনি সঠিক সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপের ধারা বাজার দখলের কৌশল জানেন। তিনি জানেন বাজারে কখন তার প্রোডাক্ট বা যে কোন পণ্য খুব সহজেই কেনা-বেচা  আদান প্রদান করা হবে সেটি তিনি ভালো করেই জানেন। এজন্য তিনি জিও এবং রিলায়েন্স রিটেল এর মাধ্যমে ভারতের বড় বড় শেয়ার বাজার গুলোতে তার পূর্ণ কেনাবেচা করাতে সক্ষম হয়েছেন। 

মুকেশ আম্বানির বাড়িঃ

মুকেশ আম্বানির বাড়ির নাম অ্যান্টিলিয়া। এটি মুম্বাইয়ের আল্টামাউন্ট রোড়ে অবস্থিত। এই রোড় অন্যতম ও নামকরা এলাকার মধ্য একটি। 

বাড়ির বর্ণানাঃ

অ্যান্টিলিয়া বিশ্বের  মধ্য নামকরা ও দামী বাড়ির হিসাবে পরিচিত পেয়েছে। এই অ্যান্টিলিয়া ২৭ তলা বিশিষ্ট্য রয়েছে। এই বাড়ির ধরা যায় ৪০০,০০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে রয়েছে। এই অ্যান্টিলিয়া বাড়ি স্থাপত্য ও বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ও ঐতিহ্যবাহী নকশার আইকন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। মুকেশ আম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলিয়া বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে। যেমনঃ  হেলিপ্যাড, মাল্টি-লেভেল পার্কিং, একটি সুগন্ধে ভরা বিশাল বাগান। নিজেস্ব সুমিংপুল, থিয়েটার, ও জিমনেশিয়াম ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ ইলন মাস্কের বিলাস-বহুল জীবন কাহিনী?


মূকেশ আম্বানির বাড়ি
মূকেশ আম্বানির বাড়ি            

বাড়ির মূল্যঃ

মুকেশ আম্বানির অ্যান্টিলিয়া বাড়ি বিশ্বের নামকরা ও দামী বাড়ি নামে পরিচিত পেয়ে থাকে। তার বাড়ির অ্যান্টিলিয়ার দাম হচ্ছে $২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ভারতীয় টাকা হিসাব করলে পাওয়া যায় প্রায় ১৫ কোটি হাজার রুপি। যা বিশ্বের ধনীর বারিগুলোর মধ্য একটি। মুকেশ আম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলিয়া এটা বিশ্বের সবাই চিনে। যা একটি সামাজিক ও আর্থিক অবস্থানের বিশেষ একটি প্রতিকার। 

মুকেশ আম্বানি কেমন মানুষঃ

মুকেশ আম্বানির জন্ম হয়েছিল ১৯ এপ্রিল ১৯৫৭ সালে ইয়েমেনের আদেনে। মুকেশ আম্বানি হচ্ছেন ধীরুভাই আম্বানি এবং কোকিলাবেন আম্বানির প্রথম সন্তান। তার পিতা ধীরুভাই আম্বানি ছিলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠার মালিক। তিনি ভারতের শীর্ষ ব্যবসায়িক মানুষ। দেখা গেছে যে ২০২৪ সালের দিকে মুকেশ আম্বানির ইনকাম ১১৩. ৭ বিলিয়ন ডলারের কাছে পৌঁচ্ছায় গেছে।


আরো পড়ুনঃ বিল গেটস এর জীবন কাহিনী কি সাধারণ মানুষের মত?


তিনি খুব দয়ালি একজন মানুষ। তার বাড়ি থেকে কখনো কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। তিনি সবাইকে সম্মান ও ভালোবাসা দিয়ে চলেন। যেটা মানুষ খুবই পছন্দ করে। এ ছাড়া তিনি বিশ্বের ১১ তম ধনী ব্যাক্তির নামে পুরো বিশ্বের কাছে পরিচতি লাভ করেছেন। তাই বলা যায় যে মুকেশ আম্বানি একজন ভাল মানুষ এবং সবাই তাকে ভালবাসে।


মুকেশ আম্বানির সাক্ষাতকারঃ

মুকেশ আম্বানি তার জীবনের অনেক কিছু অর্জন করেছেন তার ব্যবসায়ী জীবন দ্বারা। তিনি তার রিলায়েন্স, ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, ও ব্যবসায়ী দর্শন উদ্বোধন হিসেবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারের সাথে কথা বলেছেন। তে হলো...।

মুকেশ আম্বানির পিতা ধীরুভাই আম্বানি তিনি বহুৎ স্বপ্ন কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা এ অবস্থানে গিয়েছিলেন তাই মুকেশ আম্বানি বলেছেন আমরা সবসময় নতুন উদ্বোধনের উপর জোর দিয়েছি এবং কি নতুন প্রযুক্তির গ্রহণ করতে কখনো দ্বিধাবন্ধ করে নি। আমাদের কাছে মূল উদ্দেশ্য হলো সকল মানুষের চাহিদা পূরণ করা আমার জিও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ দ্বারা। মুকেশ আম্বানির কাছে এই জিও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ একটি বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছিল।

টেলিকম সেক্টরে প্রবেশ করার পর এর উচ্চ মানের সেবা প্রদান করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে হয়েছিল মুকেশ আম্বানির কাছে। তাও তিনি কখনো হার মেনে নিই তিনি বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি দক্ষতা ও বিশাল নেটওয়ার্ক দ্বারা কাজ করার পর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে পেরেছেন। তাই আজ ভারতের প্রত্যেকটি ব্যক্তি তাকে জিও রিলায়েন্স কোম্পানির জন্য ধন্যবাদ জানাই। যে তার জিও রিলায়েন্স কোম্পানি দ্বারা মানুষের ইউজ পরিমান চাহিদা পূরণ হয় ইন্টারনেট সংযোগ দ্বারা।

মুকেশ আম্বানির খুরচা বাজারের সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিভিন্ন ধরনের জিওমার্ট এর মাধ্যমে গ্রাহকদের প্রত্যেকটি পণ্য সেবা দেবার চেষ্টা করেন। এছাড়া আরো বেশি মানুষকে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করতে চান। এবং বিভিন্ন টেকনিক দিয়ে সেখান থেকে কেনাকাটার অভিজ্ঞতা আর উন্নত করতে চান ।ভবিষ্যতে এরা প্রযুক্তি গণ উন্নয়ন করবেন এবং বাকি গ্রাহকদের আরও বেশি করে সুযোগ সুবিধা করে দেবেন। 

মুকেশ আম্বানির নেটওয়ার্কঃ

মুকেশ আম্বানির ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক সম্পর্কে সবাই হয়তো জানে না। তিনি ভারতের এক বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে তার নাম রয়েছে। তার ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন সামাজিক এবং ব্যবসায়ী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে থাকেন। যেখানে বড় বড় মানুষেরা ওঠা-বসা করে। তিনি তার রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন বিভিন্ন সামাজিক কাজে মুকেশ আম্বানি ও তার পুরো ফ্যামিলি জড়িত থাকে। তার ফ্যামিলি বিভিন্ন ধরনের সংস্থা চালান।

যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং গরিব মানুষের উন্নয়নের জন্য সবসময় কাজ করে যান মুকেশ আম্বানি ও তার পরিবার। মুকেশ আম্বানি শুধু ব্যবসার ক্ষেত্রে মোকাবেলা ভারতে করেন না তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে সংযোগিতায় আছেন। তার আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়ীদের সুযোগ এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করে থাকে সাধারণ মানুষদের। 

মুকেশ আম্বানির নিজস্ব পরিবারঃ

মুকেশ আম্বানির নিজস্ব পরিবার বলতে বঝানো হয়েছে যে তিনি অনেক কোটিপতি মানুষ হিসাবে পরিচিত। মুকেশ আম্বানির নেটওয়ার্ক অনেক বড়। সত্যি কথা বলতে কি তার নেটওয়ার্ক বলতে এ সব কিছু না। তিনি এত বড় কোটিপতি মানুষ হয়েও জীবনে কখনো মাছ-মাংস খান নি কারণ। তিনি নন ভেজিটেরিয়ান। এজন্য তাকে মানুষ বিজনেসম্যান হিসেবে পড়ে আগে একজন সৎ মানুষ ও ন্যায় মানুষ হিসেবে তাকে ভালোবাসে।

মুকেশ আম্বানির পরিবার
মুকেশ আম্বানির পরিবার        

তার বউ হচ্ছে নিতা আম্বানি। এবং তাদের ৩টি সন্তান আছে। আকাশ, ঈশা, ও অনন্ত। তার দুই ছেলে মুকেশ আম্বানিকে সাহাজ্য করে থাকেন তার বাবার কম্পানিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তার সব সময় হাসি খুশি থাকেন। তাদের মধ্য কোনো ধরনের ভেঝাল- কেচাল দেখা যায় না। তারা সবাই একে-অপরের সাথে বন্ধুর মত সবাই থাকেন। যা মানুষের দৃষ্টি আর্কশন করে থাকে।

লেখকের মক্তব্যঃ 

মুকেশ আম্বানির জীবন কাহিনী কি ধরনের ছিল এবং কি মুকেশ আম্বানির ব্যবসায়িক কৌশল কি রকম হয়। আসা করি আপনেরা ভাল ভাবে বুঝতে পেরেছেন। মুকেশ আম্বানি পুরো বিশ্বের একজন ধনী ব্যাক্তি ও নামকরা একজন মানুষ। তাই আপনাদের যদি মুকেশ আম্বানির জীবন কাহিনী পড়ে ভাল লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করে দিবেন।

এবং আপনাদের যদি আরো বিখ্যাত ব্যাক্তির সম্পর্কে জানতে ইছা করে। তাহলে আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি চেস্টা করবো আপনার মনের মত কিছু নতুন করে ব্লগা লিখার।


আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন...... www.stylishsm.com






( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url