লিওনেল মেসির জীবন কাহিনী কি - লিওনেল মেসির কাছে কতগুলো সোনার বুট আছে? বিস্তারিত জেনে নিন?

লিওনেল মেসির জীবন কাহিনী কি ধরনের ও তার সাথে আমরা জানবো যে লিওনেল মেসির কোন দেশের নাগরিক। সব কিছু বিস্তারিত আজকে আমরা জানবো।

আসুন শুরু করা যাক?

ভুমিকাঃ

লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। যিনি "লিও" মেসি নামে বেশি পরিচিতি পেয়ে থাকে পুরো বিশ্বের মানুষের কাছে। লিওনেল মেসিকে কেউ চিনি না এই রকম কেউ না। লিওনেল মেসিকে সবাই মনের মধ্য গেঁথে রাখে।

লিওনেল মেসির জীবন কাহিনী
লিওনেল মেসির জীবন কাহিনী                

লিওনেল মেসি হচ্ছে পুরো পৃথিবীর নামকরা একজন ফুটবল প্লেয়ার। তার জীবনে সে অনেক গুলো ফুটবল ম্যাচ খেলেছেন। আজকে তার সমন্ধে পুরো পুরি ভাবে জানবো।

লিওনেল মেসির জীবন কাহিনীঃ

লিওনেল মেসির জীবন কাহিনী হলো তার জীবন খুবই নিষ্পাপ ও গরিব খানার মধ্যে দিয়ে গেছে। কারণ তার পরিবার ছিল খুবই দরিদ্র ও গরিব। যার কারণে সে ছোটকাল থেকে অনেক কিছু ত্যাগ করে এসেছে। লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। যিনি বিশ্বের কাছে লিও মেসি নামে পরিচিত। লিওনেল মেসি হচ্ছে বিশ্বের আধুনিক ও জনবহুল একজন ফুটবলার। যিনি তার কৌশল ও প্রতিবাদে পুরো বিশ্বমান মানুষের কাছে তিনি এক হাতি অর্জন করেছেন। 

লিওনেল মেসির বাল্য জীবনঃ

জন্মঃ জুন মাসের ২৪ তারিখ ১৯৮৭ সালে আর্জেন্টিনার রোজারি শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন হোর্হে মেসি একজন ছোটখাটো স্টিল কার কারখানার কর্মী ছিলেন। এবং মাতা ছিলেন সেলিয়া মেসি একজন খন্দকালীন পরিচালিত ছিলেন তাদের পরিবারের খুবই তারা নিম্নমানের ছিল।

লিওনেল মেসির সমস্যাঃ  লিওনেল মেসির ছোটবেলায় শৈশবে বৃদ্ধির হরমন জনিত একটি রোগ ছিলো যার ফলে সে শারীরিক ও বৃদ্ধির দিক থেকে বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। তার চিকিৎসা করার জন্য পরিমাণ মত টাকা ছিল না তাদের পরিবারের কাছে তারা এতটাই নিম্নমানের ছিল।

ফুটবল ক্যারিয়ার শুরুঃ  লিওনেল মেসি তিনি ফুটবল খেলা শুরু করেন নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ একটি ক্লাব থেকে। এই ক্লাব থেকে লিওনেল মেসির ফুটবল খেলা শুরু করে থাকেন।


আরো পড়ুনঃ মুকেশ আম্বানির জীবন কাহিনীর রহস্য?


বার্সেলোনায় ক্যারিয়ারঃ  তখন সাল্টা ছিল প্রায় ২০০০ খানিক লিওনেল মেসি তার পুরো পরিবারের সাথে বার্সেলোনায় স্থানান্তরিত হন। লিওনেল মেসি মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে তিনি ফুটবল খেলা শুরু করেন। এবং কি তিনি এফসি বার্সেলোনায় "লা মাসিয়া" যোগদান করেন। লিওনেল মেসিকে এই ক্লাব যোগদান দেওয়ার পর এই ক্লাব লিওনেল মেসির চিকিৎসা করানোর জন্য ব্য্য-বহুল টাকা দিয়েছেন তার চিকিৎসা করানোর জন্য।

পেশাদার ক্যারিয়ারঃ  লিওনেল মেসি তার জীবনের প্রথম ম্যাচ খেলেন ১৬ বছর বয়সে বার্সেলোনার হয়ে। সেখান থেকে তিনি ফুটবল জীবন শুরু করেন। এই খেলার মধ্য লিওনেল মেসি ২০০৪ সালে বার্সেলোনায় হয়ে প্রথম ম্যাচে গোল করেন।

ক্লাব ক্যারিয়ারঃ  বার্সেলোনার হয়ে লিওনেল মেসি ফুটবল খেলার মাধ্যমে তিনি অনেক শিরোপা জিতেছেন। মানুষের মনে জাইগা করেছেন। যার মধ্য রয়েছে ১০টি লা লিগ,৭টি কোপা দেল রে, ও রয়েছে ৪টি উয়েফা চ্যাম্পিয়োন লিগ জিতেছেন লিওনেল মেসি।

আন্তজার্তিক ক্যারিয়ারঃ  লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ২০২১ সালে। তার পরে তিনি কোপা আমেরিকা খেলে তিনি শিরোপা নিজের নামে করেছেন। ও তার পরে লিওনেল মেসি ২০১৪ সালে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে নিয়ে জান লিওনেল মেসি। এবং সেখানে খেলে তিনি সবার মাঝে লিওনেল মেসি এই নামটিকে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। এবং সে ম্যাচটিতে তিনি এবং তার দল রানার আপ হয়েছিলেন।

পুরস্কার ও সন্মাননাঃ  লিওনেল মেসি প্রায় ৭ বার ডি'অর জিতেছেন। যা একটি বিশ্ব রেকর্ড হিসাবে ধরা হয়। আবার দেখা যায় যে লিওনেল মেসি বহুবার পুরস্কার অর্জন করেছেন এই ফুটবল জীবনে। তার সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রায় ৬ বার জিতেছেন "ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু" পুরস্কার।


লিওনেল মেসির ব্যাক্তিগত জীবনঃ

লিওনেল মেসির জীবন কাহিনী কি ও তার ব্যাক্তিগত জীবন কি রকম হয়ে থাকে আসুন আমরা বিস্তারিত ভালভাবে জেনে নি?

লিওনেল মেসি শুধু ফুটবল মাঠে তার প্রতিভা দেখান বা ফুটবল খেলে তিনি মানুষের মনে জাইগা করেছেন বিসয়টা কিন্তু তাই নয়। তিনি একজন ভালো মানের মানুষ ও আদর্শ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত পেয়েছি সকল মানুষের কাছে। তার পরিবারের প্রতি তার ভালোবাসা দানশীল ও তার দক্ষ সরল তাকে বানিয়েছে মানুষের কাছে ব্যক্তি ও সরল জীবন যাপনের একটি প্রতিষ্ঠিত মূর্তি। 

বিবাহ ও সন্তানঃ লিওনেল মেসি তার শৈশবের প্রেমিকার অন্তোনেলা রোকুজ্জর সাথে বিবাহ করেন তাদের পরিচয় হয়েছিল নিশি যখন পাঁচ বছর বয়সের ছেলে ছিল তখন থেকে তাদের পরিচয়। মেসির বউ ছোটকাল থেকে মেসির ফ্যামিলির সাথে উঠাবসা করত। এজন্য মেসির ফ্যামিলির মেম্বাররা তাকে ছোটবেলা থেকে বন্ধু হিসেবে দেখত। এবং তিনি খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন মেসির ফ্যামিলির সাথে। 

লিওনেল মেসির ব্যাক্তিগত জীবন
লিওনেল মেসির ব্যাক্তিগত জীবন            

বিবাহঃ মেসির বিয়ে হয় ২০১৭ সালে ৩০ শে জুন একটি বিশাল আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে মেসি ও তার স্ত্রী এক সাথে সাত জনমের আবদ্ধ হয়। লিওনেল মেসির বিয়ের অনুষ্ঠানে বিশ্বের দামি দামি ফুটবল প্লেয়াররা তার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। 

সন্তানঃ লিওনেল মেসি ও অন্তোনেলার তিনটি সন্তান আছে ছেলে। তাদের মধ্যে একজনের নাম হচ্ছে ( থিয়াগো ) তার জন্য ২০১২ সালে আরেকটি নাম হচ্ছে ( মাতেও ) তার জন্য ২০১৫ সালে এবং শেষে আরেকটি সন্তান আছে ( সিরো ) তার জন্ম ২০১৮ সালে এই নিয়ে মোট তাদের তিনটি পুত্র সন্তান এবং একটি হ্যাপি ফ্যামিলি।

লিওনেল মেসির দানশীলতা ও সমাজসেবাঃ লিওনেল মেসি লিও মেসি ফান্ডেশন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় সহযোগিতা করার জন্য। তিনি বিভিন্ন কার্যক্রম ও পরিকল্পনার মাধ্যমে এই সংস্থা চালিয়ে থাকেন। এই সংস্থার যত ধন সব মেশিন নিজ দায়িত্বে চালান সমাজসেবা দানশীলতার দিক দিয়ে মেসির কোন মোকাবেলা নেই।

চিকিৎসা সেবাঃ মেসি অসহায় শিশুদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তাদের জন্য ফ্রি চিকিৎসার জন্য। মেসি নিজের পকেট থেকে অর্থ ব্যয় করেন শিশুদের জন্য ও শিশুদের চিকিৎসার জন্য এবং তার সাথে সাথে তিনি বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করে দিয়েছেন। যাতে করে কোন শিশু চিকিৎসা পেতে দেরি না হয়। মেসি যখন সময় পায় তখন সেই শিশুদের সাথে গিয়ে বিভিন্ন খেলাধুলার মাধ্যমে সময় কাটিয়ে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ নেইমারের কষ্টকর জীবন-কাহিনী?

লিওনেল মেসির শখঃ লিওনেল মেসি সময় পেলে সে তার পরিবারের সাথে সময় কাটাতে খুবই ভালোবাসেন। তার তিন ছেলে ও তার বাসায় একটি পালতু কুকুর আছে যার সাথে তিনি মজা করে খেলাধুলা করেন। এবং তাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দিয়ে তাদের সাথে হাসিখুশি থাকেন। লিওনেল মেসি ফুটবল ক্যারিয়ার জীবনে বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি সবকিছুই করেছেন। তার কাছে বিশ্বের দামি দামি গাড়ি পাওয়া যাবে। যেমন ফেরারি, মার্সিডিজ, আরব বিভিন্ন ধরনের বিলাসবহন গাড়ি। 

ট্যাটুঃ মেসির শরীরের মধ্যে বেশ কিছু ট্যাটু রয়েছে এই ট্যাটুগুলো দ্বারা সে বোঝাতে চায় তার পরিবারকে সে কতটা ভালোবাসে এই ট্যাটুর মধ্যে পাওয়া যায়। তার মায়ের মুখায়ব, বাম হাতে আছে তার স্ত্রীর চোখ এবং তার ছেলেদের নাম।

লিওনেল মেসির সরলতাঃ লিওনেল মেসি ফুটবল জীবনে ফুটবল মাঠে কাউকে কোনদিন ইচ্ছা করে মেরে খেলেন নি। বরঞ্চ তাকে সবাই টার্গেট করে মারার জন্য। মেসির ফুটবল খেলার ধরন একটু বাকি খেলোয়াড়দের থেকে আলাদা সে বেশি দৌরে খেলে না। সে বুঝে বুঝে আস্তে আস্তে মাঠে প্রদর্শন করে খেলে।

যতক্ষণ পর্যন্ত সে বল না পাবে তখন সে কারো পিছে দৌড়ায় না। মেসির এ টেকনিকে খেলাটা মানুষ দেখে খুবই তার প্রতি মুগ্ধ হয়ে যায়। মেসি মাঠে যে রকমই খেলুক না কেন মাঠের বাইরে আসে একজন নরম মনের মানুষ ও সরলতা দিয়ে সবাইকে ভালোবাসেন।


লিওনেল মেসি কোন দেশের নাগরিকঃ

লিওনেল মেসি হচ্ছে বিখ্যাত আর্জেন্টিনার একজন স্থায়ী নাগরিক। তিনি ২৪ জন ১৯৮৭ সালে আর্জেন্টিনার রোজারি শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মেসি তার দেশে বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলে থাকেন এবং আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন বহুত বার তার সাথে  বলা যায়।

নিওনেল মেসি কোন দেশের নাগরিক
নিওনেল মেসি কোন দেশের নাগরিক            

তিনি দীর্ঘ সময় ধরে স্পেনে বাস করেছেন এবং কি ২০০৫ সালে স্পেনের নাগরিক তত্ত্ব অর্জন করেছিলেন। এই অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তাই বলা যেতে পারে লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার স্থায়ী নাগরিক হবার পাশাপাশি স্পেন দেশের নাগরিক হিসেবে ধরা যায়।


আরো পড়ুনঃ বিল গেটস এর জীবন কাহিনী কি সাধারণ মানুষের মত?


লিওনেল মেসির কাছে কতগুলো সোনার বল আছেঃ

ইতিহাস থেকে জানা যায় যে লিওনেল মেসির কাছে মোট (৭)টি ব্যালন ডি`অর বা শোনার বল আছে। ডি`অর ব্যালন হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ একটি পুরস্কার যেটি ফ্রান্স ফুটবল একদিন কৃতিপক্ষ  বিশ্বের সেরা প্লেয়ারদের কে দিয়ে থাকে। মেসি এ পুরস্কার জিতেছিলেন ২০০৯ সালের ২০১০ ২০১১-২০১২-২০১৫ ২০১৯ এবং ২০২১ সালে এই অর্জনকৃত পুরস্কার ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পেয়েছেন লিওনেল মেসি। 

লিওনেল মেসির কাছে কতগুলো সোনার বুট আছেঃ

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে লিওনেল মেসির কাছে এ পর্যন্ত (৬) টি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন সু অথবা সোনার বুট পাওয়া গেছে সোনার বুট পুরস্কার প্র ইউরোপিয়ান যেসব লীগ ফুটবল টিম খেলানো হয় সেখান থেকে সর্বাধিক গোলদাতা কে এই পুরস্কার প্রদান করা হয় তার মধ্যে লিওনেল মেসি পুরস্কার গুলো জিতেছেন ২০০৯ সালে ২০১০ ২০১১ ২০১২ ২০১৩ ২০১৬ ২০০০ ২০১৭ ২০১৮-২০১৯ মৌসুমে এই সাফল্য পুরস্কার দীর্ঘস্থায়ী শ্রেষ্ঠত্বের দেওয়া হয় বিশ্বের কিছু বিখ্যাত ফুটবল প্লেয়ারদের কে তার মধ্যে লিওনেল মেসি একজন।

আরো পড়ুনঃ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জীবন কাহিনী কি ছিলো?


লিওনেল মেসির বিশ্ব রেকর্ডঃ

লিওনেল মেসি হচ্ছে ইতিহাসের আধুনিক ফুটবলের একজন জনপ্রিয় নেত্রী ও বিশ্ব রেকর্ডের অধিকারী একজন পুরুষ। তিনি তার খেলার প্রতিভা দক্ষতা ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা তাকে এই পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এই ফুটবল খেলার মাধ্যমে লিওনেল মেসি বিভিন্ন ধরনের রেকর্ড গড়েছেন ফুটবল মাঠে এবং কি বিভিন্ন ধরনের রেকর্ড ভেঙেছেন। আসুন কিছু জেনে নিই  লিওনেল মেসির বিশ্ব রেকর্ড সম্বন্ধে...।

ক্লাব রেকর্ডঃ

লা গিয়ায় সর্বাধিক গলে লিওনেল মেসি মোট ৪৭৪ টি গোল করে একটি বিশ্ব রেকর্ড করে রেখেছেন। বার্সেলোনায় খেলার সময় লিওনেল মেসি খুব চমৎকার একটি রেকর্ড গড়েছেন। তিনি ৬৭২ টি গোল করেছেন যা একটি সর্বাধিক গোলের রেকর্ড। বার্সেলোনার হয়ে লিওনেল মেসি মোট ম্যাচ খেলেছেন ৭৭৮টি। তারপর বলা যায় লা লিগার মসুমে তিনি ২০১১-২০১২ মৌসুমে লিওনেল মেসি। ৫০ টি গোল করে রেকর্ড করেছেন এছাড়াও লা গিয়ায় তিনি ৩৬ টি হ্যাটট্রিক করেছেন। 

আন্তর্জাতিক বিশ্ব রেকর্ডঃ

লিওনেল মেসি এ পর্যন্ত ৭ বার ডি"অর ফেলে জিতেছেন তার সাথে সাথে তিনি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন খুঁজিতেছেন ৬ বার তার সাথে সাথে তিনি ২০১২ সালে লিওনেল মেসি ১৯১টি গোল করে একটি বিশ্ব রেকর্ড নিজের নামে করেছেন। মেসিকে উয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি ১২৩ টি গোল করেছেন। 

লিওনেল মেসির অন্যান্য রেকর্ডঃ

লা গিয়ায় লিওনেল মেসি এ মৌসুমে সর্বাধিক ২০১৯ থেকে ২০২০ মৌসুমে তিনি ২১ টি অ্যাসিস্ট করেন। তার সাথে সাথে বলে যে লিওনেল মেসি বার্সেলোনার হয়ে যখন ম্যাচ খেলেছেন তখন তিনি ৩৫ টি শিরোপা জিতে নিজের নামে করেছেন। যার মধ্যে ছিল ১০ টি লা লিগা, সব ঠিক কোপা দলরে, এবং ৪টি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন শিরোপা। লিওনেল মেসি ২০১২ সালে বায়ার লেভার কুসেনের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলেন যে ম্যাচে লিওনেল মেসি একসাথে পাঁচটি গোল করেন যা একটি বিশ্ব রেকর্ড হিসেবে ধরা যায়। 

লিওনেল মেসি ২০২৪ সালে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ জিতেছেন বিশ্বে একটি রেকর্ড করেছিলেন। তার খেলা দেখে বিশ্বের সবাই তাকে ভালবেসে ফেলেছিলো। প্রথম ম্যাচ সৌদিয়ার সাথে হেরে গিয়েছিলো। তার পরে শুরু হলো আসল খেলা। তার পর থেকে আর্জেন্টিনা একটাও ম্যাচ হেরে নি পর-পর সব ম্যাচ জিতেছেন। মেসির পুরো ম্যাচের মধ্য শুধু একটি প্লাটিক মিস করেছিল। তার পরে একটাও প্লান্টিক আর মিস হয় নি মেসির পায়ে।

আর্জেন্টিনা ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ
আর্জেন্টিনা ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ            

এই দক্ষতার সাথে খেলে মেসি ও তার টিম মেম্বার সবাই ফাইনালে পৌচ্ছায় ফ্যারান্স এর বিমুখে। সেই খেলা ছিল জীবন যুদ্ধের একটি খেলা। অবশেষে আর্জেন্টিনা ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ জিতে যায়। সেই দিন ছিল মেসির জীবনের সবচেয়ে বড় দিন। আর এই দিনকে সবাই মনের মধ্য গেঁথে রেখেছে ইতিহাসের মতো।

লিওনেল মেসির খেলার কৌশলঃ

লিওনেল মেসি হচ্ছে একজন পৃথিবীর নামকরা ফুটবলার যার প্রতিভা ও কৌশল দেখে মানুষ তার প্রতিমুক্ত হয়েছে। মেসির খেলার কিছু কৌশল নিম্নে দেওয়া হলো...।

বল নিয়ন্ত্রণ ড্রিবলিংঃ

প্লেনের মেসির দল নিয়ন্ত্রণ খুবই অসাধারণ একটি দৃশ্য তিনি বল পায়ের আকাশের খুব কম ভুল করে থাকেন এবং বিপক্ষ খেলোয়াড়দের চোখে সহজে ধুলো দিতে পারে। মেসি খুবই একটি জনপ্রিয় ডেব্লিং হয়ে থাকে মানুষের কাছে। কেননা মেসি টিবলিং দেবার সময় খুবই দক্ষ ও কৌশলের সাথে দিয়ে থাকে। যা বাকি প্লেয়ারদের চোখে ধুলো দিয়ে খুব সহজে বিভ্রান্ত করতে পারেন। 

গোল স্টিয়ারিং ক্ষমতাঃ

মেসির ফিনিশিং দক্ষতা প্রত্যেকটা মানুষের কাছে একটি জনপ্রিয় দায়ী। কেননা মিশিয়ে যে কোন অবস্থান থেকে কন্যার থেকে গোল দিতে সক্ষম এবং কি বাকি প্লেয়ারদের কে বল দিয়ে গোল দেওয়াতে সক্ষম লিওনেল মেসি।  মেসি তার শরীরের ভারনিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের দূরত্ব অতীতে বল নিয়ে আগাতে পারেন। এবং কে ক্লিয়ার সামনে আসলে তাদেরকে খুব সহজে ডেবলিংক দিতে পারেন।

লিওনেল মেসির খেলার কৌশল
লিওনেল মেসির খেলার কৌশল                

দ্রুত পাসিংঃ

লিওনেল মেসির প্রাচীন দক্ষতা খুবই স্মরণীয় ও ধাঁধা লাগানো হয়ে থাকে। নিশি পাশ দেবার সময় অত্যন্ত নিপী ভেবে বল কাজ করে অন্য প্লেয়ারদের কাছে এবং সুযোগ পেলে গোল দিবার সুযোগ করে দেন অন্য প্লেয়ারদেরকে লিওনেল মেসি। মেসির বললে ধরনের গতি খুবই দক্ষ তিনি বল নিয়ে ডিফেন্সকে ভেদ করে গুলির কাছে পৌঁছে যান। শুধু বললে দৌড়ানো নয় বা ডিব্লিং ও পাসিং করানো নয় মেসি প্লান্টিক শর্ট মারতে ও খুবই দক্ষ। প্লান্টিক শর্ট মেরে তিনি তার দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান।

মেসির খেলার কৌশল ও জ্ঞানঃ

মেসির খেলার দৃষ্টিভঙ্গি খুবই অসাধারণ বাকি প্লেয়ারদের থেকে। তিনি মাঠে বেশি দৌড়ে খেলেন না তিনি মাঠে পরিস্থিতির প্রত্যেকটা অংশ নিজের মাথায় রাখেন এবং চোখ দিয়ে দেখেন। যাতে করে তার খেলার গতিবিধি বোঝার ক্ষমতা সীমানা বেড়ে যায়। মেসির পায়ে বল থাকাকালীন তিনি কৌশলগতভাবে সঠিক সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে সব ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। কখন বল দিতে হবে, কখন পাসিং করতে হবে, কখন ডেবলিংক দিতে হবে, এই সবে তিনি খুবই দক্ষ বাকি প্লিয়ারদের থেকে। 

লিওনেল মেসির ফ্রী কিকঃ

লিওনেল মেসির ফ্রী কিক নেওয়ার সময়  খুবই সতর্কতা অবলম্বন করে থাকেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের কর্ণার ও মাঠের দ্রুত স্থান থেকে নিখুত্ন শর্ট দিতে সক্ষম। যাতে করে মেসির পায়ের বল আটকানো কষ্টকর হয়ে পড়ে বাকি প্লেয়ার ও গোল কিপারের জন্য।


লিওনেল মেসির ফ্যাশন স্টাইলঃ

লিওনেল মেসি সে একজন অসাধারণ ফুটবলার ও প্রতিভার জন্যই মানুষের কাছে পরিচয় পাই না। তিনি একজন ফ্যাশন ও স্টাইল সচেতনার জন্য পরিচিত পায় সকল মানুষের কাছে। তিনি সরল ও দৈনিকদিন ফ্যাশন স্টাইল থেকে বিশ্বব্যাপী মেয়েদের প্রেমিকদের ও সাধারণ মানুষের মধ্যেও জনপ্রিয় করে তুলেছে লিওনেল মেসিকে। লিওনেল মেসি দৈনিক জীবনে খুবই সরলতা ও আরামদায়ক পোশাকের জন্য বিখ্যাত তিনি।

লিওনেল মেসি সাধারণত টি শার্ট জিন্স এবং ফুটবল খেলার সময় আর্জেন্টিনার হাফপ্যান্ট পড়তে পছন্দ করেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের অ্যাওয়ার্ড শোতে গেলে প্রায় স্যুট, ব্লেজার, এবং ব্র্যান্ড শার্ট পড়ে থাকেন। এগুলো পড়লে তার ফিটনেস এবং ফেসকে খুবই কুইট করে তোলে। মেসি তার ক্লাব বা জাতীয় দলের ফুটবল খেলার সময় তিনি ডিজাইনের জার্সি পরতে পছন্দ করেন এবং তার জার্সির পিছে ১০ নাম্বার আইকনিক পরিচিতি দিয়ে থাকে।

মেসি তার জীবনে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের বুট পড়েন । যা বিশেষ তার জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে। তারপরে বলা যায় মেসির হেয়ার স্টাইল। লিওনেল মেসি হচ্ছে একজন সাধারন প্রকৃতির সরল ও নরোমিয় মানুষ। তাই তিনি সোজা চুলের স্টাইল বজায় রাখেন । কিছু বছর ধরে মেসি তার দাড়ি বৃদ্ধি করেছে। সে তার চেহারাতে দাড়িটি পরিপূর্ণ ও সুদর্শন করেছে। তাই তিনি দাড়ি পরিষ্কার ও গুছিয়ে রাখেন।

লিওনেল মেসির নিজস্বভাবে ( Messi Store ) রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের পোশাক ও বিভিন্ন ধরনের ফুটবল বুট এক সিরিজ ইত্যাদি সবকিছু পাওয়া যায়। লিওনেল মেসির স্টাইল ও ফ্যাশন ব্যক্তিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কেননা মেসি হচ্ছেন একজন নরমিয় ও সরলতার মানুষ। তিনি আধুনিক মিশলে তৈরি করে ফ্যাশন সেন্স তার একটি স্টাইল হিসেবে আইকন রাখে পুরো বিশ্বের কাছে উপস্থিতি এক নতুন প্রজন্মের উদাহরণ।

লিওনেল মেসির দানশীল কাজঃ

লিওনেল মেসি শুধু ফুটবল মাঠে নয় মানব সেবায় ও সমাজ সেবার ক্ষেত্রে তিনি একটি বড় উদাহরণ পুরো বিশ্বের কাছে। তার দানশীলতার কোন মোকাবিলা নেই তিনি সমাজসেবার জন্য বিভিন্ন ধরনের দানশীল করে থাকেন সাধারণ মানুষের জন্য। 

যেমন ধরা যেতে পারেঃ

লিওনেল মেসি ২০০৭ সালে `লিও মেসি ফাউন্ডেশন` প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এ ফাউন্ডেশনটি সাধারণত বিশ্বের অসহায় দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা ও চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে করা হয়েছিল। লিওনেল মেসি ফাউন্ডেশন বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন জায়গায় স্কুল নির্মাণ করে দিয়েছেন শিশুদের জন্য যাতে করে তারা সঠিক সময়ে পড়াশোনা করে তাদের বাবা মায়ের নাম ও দেশের নাম উজ্জল করতে পারে।

মেসি ফাউন্ডেশনে লিওনেল মেসি শিশুদের জন্য ভালো খাবার শিক্ষা ইত্যাদির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এর অর্থ মেসি নিজে ব্যায় করেন। লিওনেল মেসির জন্মদিনে আর্জেন্টিনায় বিভিন্ন সুস্থ ও চিকিৎসা প্রকল্পে তিনি অনেক বড় সহযোগিতা করেছিলেন রোজারি শহরে। এই শহরে হাসপাতাল স্কুল কলেজের জন্য লিওনেল মেসি বড় ধরনের দান করেছিলেন। কোন দেশে যদি বন্যা ভূমিকম্প অন্যান্য দুর্যোগে কোন পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে লিওনেল মেসি তাদের সাহায্যের জন্য সব সময় হাত বাড়িয়ে দেন।

 লিওনেল মেসি কোভিড ১৯ মহামারীর সময় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অর্থ ব্যয় করেছিলেন। তিনি স্পেন ও আর্জেন্টিনায় স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন এবং তার জন্য তিনি ব্যয় বহুল টাকা ব্যয় করেছিলেন। 

লিওনেল মেসির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচঃ

লিওনেল মেসি তার ফুটবল ক্যারিয়ার জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্মরণের ম্যাচ খেলেছেন তার অসাধারণ দক্ষতা ও প্রতিভা বিশ্বের সব মানুষ তার জয় জয় করেন। তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ নিম্নে দেওয়া হলো,,

বার্সেলোনাঃ

লিওনেল মেসি উয়েফা চ্যাম্পিইয়ন ফাইনালে বার্সেলোনার মুখোমুখি হয় এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। গোল করে থাকেন। মেসি এই ম্যাচে একটি হেড দিয়ে গোল করে থাকেন যা বার্সেলোনার ২-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে ফেলেছিল। 

লিওনেল মেসির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ
লিওনেল মেসির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ        

বার্সেলোনা রিয়াল মাদ্রিদঃ

২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন লিগ সেমিফাইনালের সর্বপ্রথম বার্সেলোনা রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হয় সেই ম্যাচে দুটি গোল করে যার মধ্যে একক ডিবেলিংয়ের মাধ্যমে গোল ছিল এবং মেসির একটি অসাধারণ পারফরমেন্স বার্সেলোনা কে ফাইনালে পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল। ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন লিগের রাইন্ড অফ ১৬ এর দ্বিতীয় বারের মতো বার্সেলোনা মুখোমুখি হয় লেভারকুসেনের। 

আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলঃ

২০১২ সালে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন আর্জেন্টিনাকে চার থেকে তিন ব্যবধানে জয় এনে দেন মেসি। ব্রাজিলের বিপক্ষে লিওনেল মেসির এই পারফরম্যান্স ফুটবল খেলাটি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের একটি বিশেষ তম গুণ ও মুহূর্ত হিসেবে ধরা হয়। আবার ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা ফাইনালে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল মুখোমুখি হয়েছিল। সে ম্যাচে গোল না করেও তার নেতৃত্ব এবং খেলার কৌশল টেকনিক অবলম্বন করে আর্জেন্টিনা জয় লাভ বয়েছিল ১-০ ব্যবধানে।


আরো পড়ুনঃ ইলন মাস্কের জীবন কাহিনী কি ধরনের?


লেখকের মক্তব্যঃ

লিওনেল মেসির জীবন কাহিনী কি ও তার সাথে আপনেরা জানলেন যে  লিওনেল মেসি কোন দেশের নাগরিক। লিওনেল মেসির বিশ্বের নামকরা একজন ফুটবল প্লেয়ার। জাকে পুরো বিশ্ব চিনে। আপনাদের যদি এই লিওনেল মেসির বিষয়ে পড়ে ভাল লেগে থাকে।

তাহলে অবশ্যই আপনাদের প্রিয় মানুষের কাছে এই পোস্টটি সেয়ার করবেন। আর আপনাদের আরো কিছু বিখ্যাত ব্যাক্তির সম্পর্কে জানতে হলে আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।

আপনাদের আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন...... www.stylishsm.com







( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url