কফি খাওয়ার উপকারিতা কি - কফি বানানোর নিয়ম কি? বিস্তারিত জেনে নিন?

কফি খাওয়ার উপকারিতা কি ও তার সাথে আমরা জানবো যে কফি বানানোর নিয়ম কি? আজকে আমরা সব কিছু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো?

ভূমিকাঃ

আমরা কম বেশী সকলেই কফি পান করে থাকি। আমরা জানি যে কফি খেলে আমাদের শরীর থেকে অলসতা ভাব দূর হয়ে যায়। যার জন্য আমরা কফি পান করে থাকি।

কফির বিশেষ গুণ
কফির বিশেষ গুণ                

কফি পান করার জন্য আমাদের সবার আগে কফি কিভাবে ভাল করে বানাতে সেটি জানতে হবে। তাই আজকে আমরা কফি খেলে কি হয়। এবং কি কফি বানানোর সঠিক নিয়ম জানবো।

কফি খাওয়ার উপকারিতা কিঃ

কপি হলো এক ধরনের পানি জাতীয় (Tea) যা বীজ থেকে উৎপন্ন করা হয়। এ কফি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় প্রত্যেকটি মানুষের কাছে। যা মানুষকে যে কোন কাজের জন্য প্রস্তুত করে। কফি হল এক ধরনের ক্যাফেইন সমৃদ্ধ। যা আমাদের শরীরে স্নায়ুতন্ত্রকে উৎপাদিত করে। এবং আমাদের শরীর থেকে মানসিক চাপ ও বিভিন্ন ধরনের অলসতা থেকে দূরে রাখে। এই কফি পান করলে মানুষের মনোযোগ বৃদ্ধি করে এবং কি যে কোন কাজের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করতে সাহায্য করে। শরীর থেকে ক্লান্তি ও অলসতা দূর করে থাকে কফি। কফি আমাদের শরীরে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক এটি শরীরকে পরিপূর্ণভাবে জাগ্রত করে তোলে।

কফি খাওয়ার উপকারিতা
কফি খাওয়ার উপকারিতা            

কফি পান করলে শরীর ও মন সাথে সাথে মানুষের মস্তিষ্ক ও মানসিক চাপ শান্তি থাকে। এবং ক্যাফেইন ও সেরোটোনিন এবং ডোপামিন নামক আমাদের শরীরে শক্তি উৎপাদন করে। যা আমাদের মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যার কারণে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই কফি প্রতিদিন পান করলে শরীর থেকে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ও ক্যান্সারের ঝুঁকি, কমে যায়।

কফি খাওয়ার উপকারিতা
কফি খাওয়ার উপকারিতা        

তার সাথে সাথে ক্যাফেইন বিপাক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। যা আমাদের শরীর থেকে ফ্যাক্ট ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। তার সাথে সাথে কফির আরো বিশেষ কিছু কাজ রয়েছে যেমন: কফি হজম প্রতিক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। পেটের গ্যাস অম্লতা কমাতে সাহায্য করে থাকে। কফি পান করার সময় খেয়াল রাখবেন চিনি এবং ক্রিমের পরিমাণটা নিম্নমান রাখার। কারণ ব্ল্যাক কফি বা কম চিনি এবং কম ক্রিম দিয়ে তৈরি করা কফি বেশ উপকারী আমাদের শরীরের জন্য।

কফি বানানোর নিয়মঃ

কপি হল একটি জনপ্রিয় একটি পানি পদার্থ। যা বীজ থেকে উৎপন্ন করা হয়। এই কফি শরীর সতেজ রাখতে বিভিন্ন দিক থেকে সাহায্য করে থাকে। 

কফি বানানোর প্রদ্ধতি......।

কফি বানানোর নিয়ম
কফি বানানোর নিয়ম                    

উপকরণঃ

  • কফি পাউডার।
  • পানি।
  • ফিল্টার মেশিন বা হ্যান্ড ফিল্টার।
  • চিনি বা দুধ ( ইচ্ছা মতো )

পদ্ধতি...।

  1. সবার প্রথমে ফিল্টার মেশিনে বা হ্যান্ড ফিল্টার এ পানি গরম করতে হবে।
  2. তারপর ফিল্টার পেপারের প্রয়োজনীয় পরিমাণ অনুযায়ী কফি পাউডার যোগ করতে হবে। 
  3. পানি গরম হয়ে গেলে গরম পানি আস্তে আস্তে ফিল্টার পেপারের উপর ঢেলে দিন। 
  4. যখন পুরোপুরি ভাবে পানি ফিল্টার হয়ে নিচে পড়বে তখন কফি প্রস্তুত করার সময় হবে।
  5. আপনার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কফিতে দুধ বা চিনি যোগ করতে পারেন। 

এসপ্রেসঃ

  • এসপ্রেসো কফি পাউডার।
  • পানি।
  • এসপ্রেসো মেশিন।

পদ্ধতি...।

  1. এসপ্রেসো মেশিনে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি নিতে হবে।
  2. এসপ্রেসো পাউডার ফিল্টার হোল্ডারে ভরে মেশিনে লাগান। 
  3. তারপর মেশিন চালু করুন কফি প্রস্তুত করার উপলক্ষে। 
  4. তারপর কাপের মধ্যে তাজা এসপ্রেসো পরিবেশন করুন।

ফ্রেঞ্চ প্রেস...।

উপকরণঃ

  • গ্রাউন্ড কফি।
  • পানি।
  • ফ্রেঞ্চ প্রেস।
কফি বানানোর নিয়ম
কফি বানানোর নিয়ম            

পদ্ধতি...।

  1. ফ্রেঞ্চ প্রেসে প্রয়োজনে পরিমাণ গ্রাউন্ড কফি যোগ করুন।
  2. পানি ফোটান তারপরে সেটি কফ এর উপর ঢালুন। 
  3. পানি ঢেলে দেওয়ার পর চার থেকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  4. আস্তে আস্তে কফি গুলোকে প্রেস করুন এবং আস্তে করে কফি থেকে বের করুন। 
  5. তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী কাফের মধ্যে কফিটি পরিবেশন করুন।

কোল্ড ব্রু...।

উপকরণঃ

  • গ্রাউন্ড কফি।
  • ঠান্ডা পানি।
  • কোল্ড ব্রু পিচার কিং বা জার 

পদ্ধতি......

  1. কোল্ড ব্লু পিচারে গ্রাউন্ড কপি এবং ঠান্ডা পানি একসাথে যোগ করতে হবে।
  2. তারপর ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা ফ্রিজে ঠান্ডা হবার জন্য রেখে দিতে হবে। 
  3. সময় শেষ হয়ে গেলে তারপর কফি গুলো ছেঁকে কাফের মধ্যে পরিবেশন করুন। 


এভাবে আপনি সব ধরনের কফি খুব সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারেন।

কফি বানানোর বিশেষ টিপসঃ

কফি হলো বীজের মান যা কফি তৈরির কাজে অনেক  বড় প্রভাব ফেলে। কফি বাড়ানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যে। কফি বানানোর পানির তাপমাত্রা ৯০ ডিগ্রি থেকে ৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখতে হবে এবং অতিরিক্ত গরম পানি কফির স্বাদ নষ্ট করে দিতে পারে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী পানির তাপমাত্রা রাখতে হবে। কফি পান করার সময় কফি ভালো মানের বেছে নিতে হবে।

এবং কাপে পরিবেশন করার সময় প্রতিকাপে এক থেকে দুই চা চামচ চিনি বা পাউডার ব্যবহার করতে হবে। আপনার যেটা পছন্দ আপনি সেটি অনুযায়ী মিশিয়ে কফি পান করতে পারেন। কফি পান করলে আমাদের শরীর ও মন সতেজ থাকে। এবং যেকোনো কাজের আগ্রহ বাড়ে। এবং মানসিক চাপ শান্তি থাকে তাই নিয়মিত কফি পান করা উচিত।

রাতে কফি খাওয়ার উপকারিতাঃ

কফি হল আমাদের সকলের জনপ্রিয় একটি পানির তরল জাতীয় পদার্থ যা আমরা সকলে পান করে থাকি। এই কফি শুধু সকালে খেতে হবে তার কোন মানে নেই। আপনি রাতেও কফি পান করতে পারেন নিসন্ধে। রাতের সময় কফি পান করলে মেজাজ ভালো থাকে। ক্যাফিন মস্তিষ্কে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং আমাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। কফি পান করলে যে কোন কাজের ক্ষমতা মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। রাতে জাগার ক্ষেত্রে অনেক মানুষ কফি পান করে থাকে। রাত জেগে পড়ার ক্ষেত্রে কফি বেশ উপকারী। কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা আমাদের শারীরিক শরীররে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাধন করে।

এবং দীর্ঘমেয়াদী সময় ধরে ক্যান্সার,ডায়াবেটিস, ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি থেকে মুক্তি দেয়। রাতে কফি খাবার সময় খেয়াল রাখবেন যে অতিরিক্ত কফি না খেয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত কফি খেলে ঘুমের বা শরীরের ব্যাপক ঘাটতি হতে পারে। এবং আমাদের শরীরের ক্যাফিনের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই কফি খাবার সময় এ জিনিসগুলো সতর্ক অবলম্বন করবেন। রাতে কফি খাবার সময় আপনার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কফের মধ্যে চিনি বা মিষ্টি ক্রিমের ব্যবহার করতে পারেন। আপনার যেটা পছন্দ আপনি সেটির সাথে কফি করতে পারবেন কোনো সমস্যা হবে না।

চিনি ছাড়া কফি খাওয়ার উপকারিতাঃ

কফি খাবার উপকারিতা কি আমরা সকলেই জেনেছি এখন জানবো চিনি ছাড়া কফি খাবার উপকারিতা কি আসন শুরু করা যাক...।

চিনি ছাড়া কফি খেলে ক্যালরি গ্রহণ কমে যায় যা আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এবং কি চিনি যুক্ত কফি পান করলে অতিরিক্ত ক্যালরি যোগ হয়। আমাদের শরীরে যেটি দ্বারা আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে যায়। চিনি ছাড়া কফি পান করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়। তার সাথে সাথে ক্যান্সারের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর চিনি যুক্ত কফি পান করলে আমাদের শরীরে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। কারণ আমাদের শরীরের চিনি রক্তের সাথে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যাতে করে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির দিক লক্ষ্য করা যেতে পারে। 

চিনি ছাড়া কফি খাওয়ার উপকারিতা
চিনি ছাড়া কফি খাওয়ার উপকারিতা            

হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোঃ

চিনি ছাড়া কফি পান করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো দিক। কফির সাথে চিনি বেশি পরিমাণ খেলে আমাদের শরীরের রক্তের চাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। যা আমাদের হৃদরোগের জন্য খুবই বিপদজনক হয়ে ওঠে। চিনি ছাড়া কফির সাথে ক্যাফেইন মানসিক সতর্কতা ও যে কোনো কাজের প্রতি ফোকাস বৃদ্ধি সাহায্য করে। তিনি ছাড়া কফি পান করলে আমাদের স্পষ্টতা ও যে কোনো কাজের ও পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ে।

তাই চিনি ছাড়া কফি পান করলে আমাদের শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো মানসিক সজাগতা যেকোনো কাজে বৃদ্ধি হজমের উন্নতি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ ব্যায়ামের ক্ষমতা ইত্যাদি সবকিছুতে কফির মান ব্যয়-বহুল।

ব্লাক কফি খাওয়ার উপকারিতাঃ

ব্ল্যাক কফি খাবার বিভিন্ন ধরনের সুবিধা ও উপকারিতা আছে আমাদের শরীরে তা হয়তো সবাই জানে না এজন্য আসুন জেনে নেওয়া যাক ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা কি...।

ব্ল্যাক কফিতে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের ক্যালরি মুক্ত এবং মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। এটি আমাদের শরীরের ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে। এবং শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে অভ্যস্ত। ব্ল্যাক কফিতে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় যা টাইপ (2) ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এই ব্ল্যাক কফি পান করার ফলে আমাদের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

ব্লাক কফি খাওয়ার উপকারিতা
ব্লাক কফি খাওয়ার উপকারিতা                    

যা আমাদের শরীর থেকে রক্তচাপ কমায়। এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিম্নমান করে তোলে। যার ফলে আমাদের শরীরের হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। ব্ল্যাক কফিতে পাওয়া যায় ক্যাফেইন বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি। যা আমাদের মস্তিষ্ক মানসিক চাপ এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। ব্ল্যাক কফি পান করা দ্বারা আমাদের শরীরের লিভারের বিভিন্ন রোগ যেমন: সিরোসিস এবং ফ্যাটি লিভারের যেকোনো ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এবং লিভার ভালো রাখতে উন্নত ব্ল্যাক কফি।

তাই আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখার জন্য প্রতিদিন ব্ল্যাক কফি পান করা উচিত। এতে করে আমাদের শরীরের রক্তচাপ, ওজন নিয়ন্ত্রণ, এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে আমরা মুক্তি পেয়ে যাব খুব সহজে। 

দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতাঃ

দুধ কফি হলো এক ধরনের পানীয় জাতীয় ( Tea ) যা  আমার আমাদের শরীর সতেজ ও সুস্থ রাখার জন্য পান করে থাকি। দুধ কপি শুধু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নয়, আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি যোগান দিতে সক্ষম। দুধ কফি পান করলে আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, এবং ভিটামিন ডি, এর খুবই গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি যোগান দিয়ে থাকে আমাদের শরীরে।

আরো পড়ুনঃ শরীর ফিটনেস রাখার কিছু নিয়মাবলী?

এর সাথে সাথে দুধ কফি ক্যাফেইন এবং দুধের মিশ্রণ দ্বারা কার্বোহাইড্রেট থেকে শক্তি সরবরাহ কর। আমাদের শরীর ও মানসিক কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া আরো দেখা যায় যে দুধ কফি মানুষের শরীরের হাড়ের সুস্থতা রাখতে সক্ষম। হারে বিভিন্ন ধরনের ক্যালসিয়াম থাকে যা আরো মুজবুত করে তোলে দুধ কফি।

দুধ কফি খাওয়ার অউপকারিতাঃ

দুধ কফিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ও চিনি থাকে। যা আমাদের শারীরিক ওজন বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই অনেক মানুষ ল্যাকটোজ সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাই দুধ কপি তাদের জন্য হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। দুধ কপি বেশি পান করার ফলে আমাদের শরীরে হৃদরোগে ঝুঁকি বাড়তে পারে এবং আমাদের শরীরে চর্বি এবং চিনি দ্বারা যে রক্তচাপ সৃষ্টি হয়। তার জন্য আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। আরো বলা যায় যে, দুধ কফি অতিরিক্ত পান করলে আমাদের শারীরিক শরীরে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হতে পারে।

যা কফির দুধের ল্যাকটোজ মিলে পেটের সমস্যায় দেখা দেয়। তাই দুটো কপি পান করা ভালো এতে করে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির যোগান, শক্তি বৃদ্ধি হার সুস্থ রাখা, হজমের উন্নতি, এসব দিক পাওয়া যায়। কিন্তু বেশি পরিমাণে খাবার চলবে না। কেননা এই দুধ কপিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি, চিনি, ল্যাকটোজ, আমিষ, হৃদরোগের ঝুঁকি, গ্যাস্টিক সমস্যা, ইত্যাদি সবকিছু দেখা দিতে পারে। তাই যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই খাওয়া উচিত।

কফি খেলে কি ক্ষতি হয়ঃ

কফি অনেক উপকারিতা একটি জিনিস যেটি পান করলে মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান হয়। তার সাথে সাথে এর কিছু ক্ষতিকারক দিক আছে তা নিম্নলিখ নিম্নরূপ...।

কফিতে ক্যাফেইন খুব অতিরিক্ত পরিমানে থাকে। তাই এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করতে পারে। ক্যাফিলন বেশি পরিমাণে পান করলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। এবং এর সাথে সাথে স্নায়ু ও আমাদের মানসিক উদ্যোগে বেশি পরিমাণে চাপ পড়তে পারে। কফি বেশি পরিমাণে পান করলে আমাদের পেটে অম্লতা বাড়ায়, যার কারণে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবং বুক জ্বালাও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। যারা বর্তমানে ক্যাফেইন রোগে ভুগছেন। তাদের জন্য ইতিমধ্যে রক্তচাপের সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।

কফি খেলে কি ক্ষতি হয়
কফি খেলে কি ক্ষতি হয়            

এবং তাদের জীবনরে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। অতিরিক্ত কফি পান করলে কফির কিছু সাইট দর্শন থাকে আমাদের শরীরে। যেমন আমাদের শরীর থেকে পানির পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। বিভিন্ন ক‍্যালারি বা পুষ্টির চাহিদা কমে দিতে পারে। এজন্য বেশি অধিক পরিমাণ কফি পান করা উচিত নয় এতে করে আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ চা খেলে আমাদের শরীরে কি পরিবর্তন ঘটে?


কফি পাউডার দিয়ে রুপচর্চা করার নিয়মঃ

কফি পাউডার হল একটি বিচ পিষে তৈরি করা একটি পাউডার। যেটি মিহি করে কফি হিসেবে পান করা যায়। এবং এর ব্যবহার রূপচর্চা করার ক্ষেত্রেও কাজে লেগে থাকে। রূপচর্চা করার নিয়মঃ

কফি পাউডার দিয়ে করে রুপচর্চা করার নিয়ম
    কফি পাউডার দিয়ে রুপচর্চা করার নিয়ম            

কফি উপাদান পাউডার এবং তার সাথে এক চামচ মধু দিয়ে ফেশমাস্ক তৈরি করা যায়। এটি ত্বকের ময়লা দূর করতে ও ত্বককে নরম ও ফর্সা করতে সাহায্য করে।

  • 2 টেবিল চা চমক করি পাউডার।
  • 1 টেবিল চামচ মধু।

এসব উপকরণ একসাথে নিয়ে এবার একটি বাটিতে কফি পাউডার এবং মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর সেই মিশ্রণটি মুখে এবং গলায় লাগিয়ে কমপক্ষে 15 থেকে 20 মিনিট রেখে দিন। তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখকে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। 

কফি ব্যবহার করে কালো দাগ দূর করার নিয়মঃ

কফি পাউডার এবং নারিকেল তেল দিয়ে স্রাব তৈরি করা যায়। এটি আমাদের শরীরের চেহেরার মৃত্য কোষ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে থাকে। এর জন্য আপনাদের প্রয়োজন হবে ২ টেবিল চামচ কফি পাউডার এবং ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল। এই গুলো একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করেন। তারপর সেই মিশ্রণটি মুখে ও শরীরে আলতোভাবে ঘুষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মাসাজ করুন। তারপর উসুম- কুসুম পানি দিয়ে হাত মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। দিয়ে আপনার কাজ শেষ। আপনি পেয়ে গেলেন শরীরকে নরম ও ফর্সা করার ঘড়ে বসেই উপায়।

চোখের কালো দাগ দূর করার নিয়মঃ

কফি যেমন আমাদের খাবার বা পান করার কাজে লাগে তেমনি এটি বিভিন্ন কাজে আমরা ব্যবহার করে থাকি যেমন কপি পাউডার দিয়ে এবং তার সাথে দই মিশিয়ে একটি আইপ্যাড তৈরি করা যায় এ আইপ্যাক দিয়ে একটি ফেসমাস্ক তৈরি করার ফলে আমাদের চোখের নিচে যে পরিমাণ কালো দাগ থাকে সেগুলো তুলতে সাহায্য করে এই ফেসমাস্ক। এর জন্য দরকার আপনাদের ১ টেবিল চামচ কফি পাউডার ও ১ টেবিল চামচ দই।

চোখের কালো দাগ দূর করার নিয়ম
চোখের কালো দাগ দূর করার নিয়ম            

এই গুলো নিয়ে একটি বাটিতে করে ম্রিশণ গুলো মিশিয়ে নিতে হবে। তার পর  সেই ম্রিশণটি চোখের নিচে লাগিয়ে কমপক্ষে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। তার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তাহলে দেখবেন যে কিছু দিনের মধ্য আপনার কালো দাগ গুলো ওঠতে শুরু করেছে।

লেখেকের মক্তব্যঃ

কফি খাওয়ার উপকারিতা কি ও তার সাথে সাথে আমরা এটাও জানলাম যে কফি বানানোর নিয়ম কি এবং কফি দিয়ে আমরা কি কি করতে পারি সব কিছু আমরা জানলাম এই ব্লগ থেকে।

আপনাদের যদি এই ব্লগটি পড়ে ভাল লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করে দিবেন।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন......www.stylishsm.com







( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url