অফিস সহায়কের কাজ কি? বিস্তারিত জেনে নিন?

অফিস সহায়কের কাজ কি এটা আমরা হয়তো সবাই জানি না। বা আমরা হয়তো কখনো জানতে চাই নি কারো কাছে। অফিস সহায়ক কাজ করে মানুষ তার দৌনন্দিক জীবন সুন্দর ভাবে গড়ে তুলেছে। তাহলে আপনি কেন পারবেন না। অফিস সহায়ক বলতে কি বোঝায় এটাও জেনে নিবেন?

তাই আজকে আপনাদের জন্য কিছু বাস্তব কথা রয়েছে। যেটা যেনে আপনিও আপনার এই হতাশা জীবন থেকে কিছু উন্নতমানের কাজ শিখতে ও করতে পারবেন।

অফিস সহায়কের কাজ কি
অফিস সহায়কের কাজ কি                


ভূমিকাঃ

অফিস সহায়কের কাজ কি সেটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। প্রথমে বলে দি যে বাংলাদেশে দিন দিন কাজের হাড় বেড়ে চলেছে এই অফিস সহায়কের। এই অফিস সহায়কের কাজ করতে আজ দেখা যাই যে লক্ষ লক্ষ ছেলে মেয়েরা মাঠে নেমেছে। তাদের এই জীবনটা সুন্দর ভাবে গড়ে তোলার জন্য।

অফিস সহায়ক বলতে কি বোঝায় যে একটা সরকারি ডিপ্রারমেন্টর একটি স্টাফ হয়ে কাজ করা। বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে ডিপ্রারমেন্টের সাথে জড়িত থাকা। এই কাজের চাহিদা মানুষের জীবনে বেড়ে চলেছে।

তাহলে আসুন আমরা ভালোভাবে জেনে নি অফিস সহায়কের কাজ?

অফিস সহায়কের পেনশন কতঃ

অফিস সহায়কে কাজ কি তার সাথে যুক্ত থাকে তার জীবন গড়া কাজের পেনসনের ইতিহাস। যথাঃ

  • সরকারি কর্মকর্তার সাথে যুক্ত কর্মর্তার পেনসনের আনুতোষিক হিসাব থাকে=(শেষ বেসিক*শতকরা হার)/ বেসিক ২
  • অফিস সহায়কের ২০ তম গ্রেডের জন্য এর পেনসন আনুতোষিক হিসাব হয়=(২০,০১০০/-*৯০%)/ বেসিক ২
  • অফিস সহায়কের ২০ তম গ্রেডের জন্য এর পেনসন আনুতোষিক হিসাব হয়=১৮,০০৯/বেসিক ২ 
  • সুতরাং এককালীন টাকার আনুতোষিক পরিমান হয়=৯০০,৪.৫/ টাকা*২৩০
  • তাহলে তার গড় বেতন দাঁড়াবে=প্রায় ২০,৭১,০৩৫/ টাকা।

অফিস সহায়কের বেতন কত হয়ঃ

অফিস সহায়কের কাজ কি তার উপর ভিত্তি করে অফিস সহায়ককে তার ম্যান্থলি বেতন দিয়ে থাকে সরকার। অফিস সহায়ক সাধারণত ২০ তম গ্রেড হয়ে থাকে। তাই সরকার তাকে শুরু শুরুতে তার বেতন স্কেল, ভাতা,সরকারি জড়িত আরো টাকা নিয়ে তার মোট বেতন দাঁড়ায় প্রায় ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ হাজার টাকা। 

অফিস সহায়কের প্রধান কাজ কিঃ

অফিস সহায়কের কাজ কি সেটি আমরা কেউ কেউ জানি। আবার কেউ কেউ জানি না। অফিস সহায়ক সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে।

  • অডারি পিয়োন যেমন, চা, বিস্কিট, পানি, বিভিন্ন ধরনের খাবার নিয়ে এসে দিবা।
  • অফিস সহায়ক যেমন, কাগজপত্র,চেক, ফাইল আদান-প্রদান করা সিগ্নেচার নেওয়া ইত্যাদি।
  • স্যারের কাজ ও কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে।
  • স্যার যদি কোনো কাজ দেয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব করে ফেলতে হবে।
  • স্যারের ফাইল পত্র কোথায় থাকে। সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে ইত্যাদি।
অফিস সহায়কের কাজ কি
অফিস সহায়কের কাজ কি        

অফিস সহায়কের ভাইভাঃ

অফিস সহায়কের কাজ কি তার আগে আপনাকে জানতে হবে যে এই কাজের ক্ষেত্রে কি ধরনের ভাইভা হয়ে থাকে। চলুন জেনে নিঃ

  • আপনার যে আডমিট কার্ড ছিল সেটি নিয়ে জেতে হবে ভাইভা দিতে।
  • তার পর স্যারের সামনে আপনার বায়োডেটা রাখতে হবে। যেমন আপনার ভোটার এইডি কার্ড,শিক্ষাগত যোগ্যতা, স্কুল সার্টিফিকেট,ছবি ইত্যাদি।
  • স্যার যদি বসতে বলে তাহলে বসা যাবে না। কারণ তারা এই বসাটাকে বেয়াদপ হিসাবে নিতে পারে। তাই ভাইভা দেওয়ার সময় কখনো বসবেন না।
  • স্যার যদি কোনো ধরনের প্রশ্ন করে থাকে। তাহলে হাসিমুখে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। 


  • ভাইভা দেওয়ার সময় হাসিমুখ খুবই জরুরি একটা পয়েন্ট।
  • কোনো বিষয় জানা না থাকলে হাসিমুখে বলুন, স্যার আমার এই বিষয়টা জানা নেই।
  • স্যাররা আপনাকে প্রশ্নের মাধেমে কনফিউস করতে পারে। কিন্তু আপনি নিজের মাথাকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করবেন।
  • ভাইভা দেওয়ার সময় আপনার ড্রেসটা ম্যাচিন করে পরার চেষ্টা করবেন। যাতে করে আপনি অন্যর থেকে একটু স্মার্ট দেখান।
  • ভাইভা রুমে গীয়ে বেশী আবল-তাবল বকবেন না। যতটুকু জানেন ঠিক ততটুকু বলবেন।
  • মিথ্যা কথার কখনো আশ্রয় নেবেন নে। 

অফিস সহায়কের জন্য সহজ ভাবে পরিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতিঃ

অফিস সহায়কের কাজ কি ও অফিস সহায়ক বলতে কি বোঝায় এই গুলো সব কিছুটা একই ধরনের হয়ে থাকে। এই অফিস সহায়কের পরিক্ষা আমরা যত কঠিন ভাবি। ততটা কঠিন হয় না। তাই আজকে আমি কিছু এমন ট্রিক বলছি। যেটা আপনার অফিস সহায়কের পরিক্ষার দেওয়ার জন্য খুবই কাজে আসবে। তা নিম্নেরুপ...। 

  • কিছু ব্যাস বাক্য পরতে হবে।
  • সমার্থন শুব্দ।
  • আর্থসহ বাক্য রচনা।
  • English article (a,an,the) 
  • verb দ্বারা যুক্ত শব্দ।
  • preposition দ্বারা যুক্ত শব্দ।
  • গণিত সাধারণত ৫-৭ ক্লাসের অংক দেখে যাবেন।
  • বিজ গণিত থেকে ১ - ২ টা অংক থাকে। সেটি চাইলে করতেন পারবেন।
  • সাধারণ জ্ঞান চেষ্টা করবেন পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধুর ও বাংলাদেশের জেলা নিয়ে একটু ভালো করার পরার।
  • একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন যে বাংলাদেশে যদি নতুন কিছু তৈরি হয় বা আবিষ্কার হয়। সেটি নিয়ে পড়বেন।

অফিস সহায়কের কিছু বর্তমান কথাঃ

আগের দিনে এই চাকরিকে মানুষ বেশী পরিমানে ভ্যালু দিত না। চাকরি জিনিসটা কি সেটি ভালো করে বুঝত না। তাই এই অফিস সহায়কে আগের দিনে এম,এল,এস,এস বলে ডাকা হতো। এটি ছিল আগের দিনে একটি সাধারণ বিষয়। কিন্তু আজকের দিনে তা পুরো বদলে গেছে।

এই চাকরি নেওয়ার জন্য মানুষ সারা বছর হতাশা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই চাকরি চতুর্থ শ্রেণীর হলেও আজ এই চাকরি নেওয়ার জন্য বড় বড় শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা জাইগা জাইগা গীয়ে ঠোগছে। তাই এই চাকরি নেওয়ার জন্য আপনার এস,এস,এসি পাস হলেই আপনি অ্যাপ্লাই করতে পারবেন।

তাই আসা করি আপনি অফিস সহায়কের কাজ কি ও অফিস সহায়ক বলতে কি বোঝায় আপনি সেটি ভালো করে বুঝতে পেরেছেন।

কিভাবে অফিস সহায়ক হওয়া যায়ঃ

অফিস সহায়ক হতে হলে বেশী কিছু প্রয়োজন পড়ে না। অফিস সহায়ক কম-বেশী সবাই হতে পারবে। এটির জন্য বেশী পরিমানে কোনো আভিগত্তা লাগে না। অফিস সহায়ক হতে হলে যা যা আপনাকে করা লাগবে তা নিম্নেরুপ...।

  •  প্রথমে আপনার এস,এস,এসি পাসের সার্টফিকেট রাখতে হবে। আর খেয়াল রাখবেন যে সার্টিফিকেট যেন জেনারেলের হয় । তা হলে ভালো। এ ছাড়া আপনি ভোকেশোনাল সার্টিফিকেট দিয়ে দিতে পারবেন।
  • তারপর যে ডিপ্রারমেন্টে নিয়োগ দিয়েছে। সেখানে অ্যাপ্লাই করতে হবে।
  •  তারপরে এসএমএস দ্বারা আপনার ফোনে আডমিট কার্ড আসলে আপনি পরিক্ষা দিতে পারবেন।
  • পরিক্ষায় টিকতে পারলে তার পরে আপনার ভাইভা হবে।
  • ভাইভা দেওয়ার পরে আপনি টিকলে আপনার ঠিকানা অনুযায়ী আপনার এপারমেন্ট চলে আসবে।
  • তার পরে এই এপারমেন্ট নিয়ে আপনি যে ডিপ্রারমেন্টে অ্যাপ্লাই করেছিলেন। সে ডিপ্রারমেন্টে গীয়ে জয়েন করবেন।
  • তারপরে আপনি হতে যাবেন একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী অফিস সহায়ক।

অফিস সহায়কের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ

অফিস সহায়কের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলতে তেমন কিছু আহামরি কিছু বোঝায় না। এটি একটি ন্যাচ্রাল কর্ম ও সহজ কাজ হিসাবে ধরা হয়। এটী করার জন্য হালকা পরিমানে আভিগত্তা থাকলেই হয়ে যায়। এই অফিস সহায়কে চতুর্থ শ্রেণীর কর্ম হিসাবে ধরা হয়।

অফিস সহায়কের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিম্নেরুপ...।

  • অফিস সহায়কের সমস্ত ফাইল আসাবপত্র ও রেকর্ড ভালভাবে সামলিয়ে রাখতে হবে ও পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে হবে।
  • অফিসের ফাইল যেন এইদিক- ঐদিক ছারানো ছিটানো না থাকে। সেই দিকে খেয়াল রাখতেন হবে।

  • স্যারের আদের্শ অনুযায়ী এক অফিসের ফাইল অন্য অফিসে গীয়ে রিপোর্ট করতে হবে।
  • আদের্শ অনুযায়ী স্যারের ফাইল এক জাইগা থাকে অন্য জাইগাই রাখতে  হবে।
  • সময় সময় স্যার চেক দিবে টাকা তোলার জন্য। সেই টাকাটা ভালো করে স্যারের হাতে জমা দিতে হবে।
  • এই গুলো হচ্ছে অফিস সহায়কের কাজ।

অফিস সহায়ক থেকে কাম-কম্পিউটার মুদ্রারক্ষিক প্রমোশনঃ

অফিস সহায়কের কাজ কি সেটা আমরা জানলাম। এর সাথে কোনো ব্যাক্তি যদি এই অফিস সহায়ক পদ থেকে প্রমোশন নিতে চাই। তাহলে যা যা করা লাগবে তা নিম্নেরুপ...।

  • প্রথমত এইস,এস,সি সার্টিফিকেট রাখার লাগবে। জেনারেল সার্টিফিকেট হলে ভালো হয়।
  • অফিস সহায়ক পদে আপনাকে মিনিমান ৪-৫ বছর থাকতে হবে।
  • এই ৪-৫ বছরের পাশাপাশি আপনাকে কাম-কম্পিউটার মুদ্রারক্ষিক কাজে হালকা জ্ঞান রাখতে হবে।
  • কম্পিউটারের উপর নোলেজ ও দক্ষতা রাখতে হবে।
  •  স্যারদের সাথে ভালো মানের ব্যবহার ও যে কোনো কাজ ভালো ভাবে করতে হবে।
  • নিজের চলাফেরা ও আচার-আচরণ ভালো রাখতে হবে।
  • কোনো কাজের ক্ষামতি বা অবহেলা করা যাবে না। 
  • এই গুলো গুন থাকলে আপনার প্রমোশন তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।

লেখকের মক্তব্যঃ


অফিস সহায়কের কাজ কি ও অফিস সহায়ক বলতে কি বোঝায় আমরা A-Z জানলাম এখান থেকে। এই চাকরি হচ্ছে এখনকার যুগে মানুষের জীবন গড়ানোর একটি বিশেষ প্রদ্ধতি হয়ে ওঠেছে। এই চাকরি নেওয়ার জন্য হাজার হাজার ছেলে মেয়ে নেমে পড়েছে জীবনের ময়দানে তাদের জীবন লড়তে।

তাই আপনাদের যদি চাকরি ছাড়া অন্য কিছু করতে বা জানতে ইচ্ছা করে। তাহলে অব্যশই কমেন্ট করে জানাবেন। আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মতামত অনুজায়ি পোস্ট লিখার। আপনাদের যদি আরো কিছু জানতে ইচ্ছে করে তাহলে ভিজিট করতে পারেন... www.stylishsm.com 








( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url