হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট কি ভাবে করা হয়? বিস্তারিত জেনে নিন?
হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট কি ভাবে করা হয়? এটি করলে কি হয়। এর সাথে আমরা জানবো যে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট খরচ কত বাংলাদেশে। কিংবা কোথায় করলে ভালো হবে?
ভূমিকাঃ
আজকে যুগে এই হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট একটি (Common) বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে দাড়িয়েছে প্রত্যেকটি মানুষের কাছে। আজকের দিনে প্রায় সবাই চুল নিয়ে ভুকছেন বিশেষ করে ছেলেরা।
হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট কি ভাবে করা হয় |
তাই হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট কি ভাবে করা হয় এবং এটি করলে আমাদের চুল কিভাবে নতুন ভাবে গজাবে তা আজকে আমরা বিস্তারিত জানবো।
হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট কি ভাবে করা হয়ঃ
হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট হল সাধারণত একটি প্রতীক্রা যেখানে মানুষের শরীরের একটি অংশ হতে মাথার পিছনের সাইড থেকে বা ডোনর সাইট থেকে কিছু চুল নিয়ে নতুনজাইগায় নিয়ে গিয়ে বসানো হয়ে থাকে। এর আরো কিছু তথ্যবলিঃ
হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট কি ভাবে করা হয় |
- হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্টের ধরনঃ সাদধারণত ২ ধরনের হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট টেকনিক ব্যববহার করে থাকে ডাক্তারেরা তা হলো। 1. Follicular unit transplantation 2. Follicular unit extracation. এই প্রদ্ধতি অবলম্বন করে ডাক্তারেরা চিকিৎসা করে থাকে। মাথার পিছনের সাইডের ডোনর চামড়া প্রস্তাবনা করে ফলিকুল সংগ্রহ করা হয়। তার পরে চুলের ফাকা জাইগায় নিখুঁতভাবে ইউনিট করা হয়।
- যোগ্যতাঃ হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট হলো একটি সাইন্স দ্বারা তৈরি জিনিস যা অসম্ভবকে সম্ভম করতে পারে। এই হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট সবাই ব্যবহার করতে পারবে।অনেক সময় দেখাঁ যায় যে আধিকাংশ ছেলের চুল পড়ে যায়। বিশেষ করে ছেলেদের সাইডের চিল বেশী পরিমানে পড়ে যায়। এই চুল পুড়ে যাওয়া কিছু ঘত বা হরমোনের জন্যও পড়েতে পারে। তার জন্য মানুষ এই হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট করে থাকে। যাতে করে তাদের মাথায় নতুন ভাবে চিল গোজে থাকে।
- প্রক্রিয়াঃ হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট কি ভাবে করা হয় তার প্রক্রিয়া অনুযায়ী একটি অতপেশিয়ান্ট হিসাবে ধরা হয়। ডোনর ব্যবহার করে শস্য দানা মুক্তি পায়। এবং সেই শস্য চুলের ফাকা অংশে ছিদ্র ছিদ্র করে লাগানো হয়।
- বয়স্কতাঃ হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট করার পরে প্রায় কিছু মাস জাবাত ফাকা জাইগায় নতুন চুল গজানো শুরু করে দেয়। তার পরে সেটি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। তার পরে এক সময় সব চুল পরিপূন হয়ে যায়।
হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট খরচ কত বাংলাদেশেঃ
হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট কতটা কার্যকরঃ
হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট প্রক্রিয়া কর্জকর ভালো ভাবে হতে পারে। যদি সেটি ভালোভাবে পরিচালনা করা হয়। এই হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট সাধারণত পুরোদিন জুড়ে চুলের উপর বৃদ্ধি আবার হার্ভেস্টেড চুলের মাত্রা অনুযায়ী হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট কর্জকার হতে পারে। কিন্তু এটি করার আগে আপনাকে সুস্থ্য অবস্থায় থাকতে হবে। চুলের অবস্থা ভালো রাখতে হবে। চুল কিভাবে লাগানো হচ্ছে তার উপর ডিপেন্ট করে যে আপনার চুল কিভাবে গজাবে।
চুল লাগানো সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন চুল একটার পরে আরেকটা লাগে। এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করলে আপনার চুল নতুন ভাবে বৃদ্ধি মনে হবে। যা ডাক্তার দ্বারা কর্জকার। কিন্তু এটি অনেক ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক হিসাবে চুলের প্রতিরোধ ক্ষয় করতে পারে। তাই এটি করার আগে ডাক্তারের পর্মরশ নিতে ভুলবেন না।
নন সার্জিক্যাল হেয়ার রিপ্লেসমেন্ট খরচঃ
হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট কি ভাবে করা হয় তা আমরা জেনেছি। তার সাথে এটাও জেনে নিন যে নন সার্জিক্যাল হেয়ার রিপ্লেসমেন্ট খরচ কত হতে পারে। হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট করলে টাকা লাগে।
নন সার্জিক্যাল হেয়ার রিপ্লেসমেন্ট খরচ দ্বারা যদি না হয়। তাহলে এর উপর দিক আছে সেটি হচ্ছে যে হেয়ার পিস,হেয়ার ইন্টেগ্রেশন ও হেয়ার টপি ইত্যাদি। আপনি যদি হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট না করাতে পারেন তাহলে আপনাকে এই গুলো অবলম্বন করতে হবে। এই গুলো ছোট ছোট জিনিস যা আপনেরা খুব সহজে করাতে পারবেন। হেয়ার পিস, হেয়ার টপি গুলো করতে সাধারণত 50$ থেকে 100$ হলেই হয়ে যাবে।
এই গুলো প্রায় সব মানুষেরা করাতে পারবে। তবে এর টাকার পরিমান পরবর্তিতে চেঞ্জ করতে পারে। তাই এই ছোট ছোট হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট করানোর আগে অবশয়ই ডাক্তারের কিংবা চিকিৎসকের সাথে কথা বলে নিতে হবে। এতে করে সব দিক ঠিক থাকবে।
হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট কি হারামঃ
ইসলাম অনুযায়ী এই হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট নিয়ে মানুষের বিভিন্ন ধরনের কথা ও মতামত আছে। কোনো আলিমেরা ভাবেন যে এটি হারাম। কেননা চুল হচ্ছে সৃষ্টি কর্তার দান। এটি পরিবর্তন করা ঠিক না। কিন্তু আরো মানুষ আছে যারা ভাবেন এটি জায়েজ করা জেতে পারে। কেননা আমাদের যদি এক চোখ না থাকে। তাহলে কিন্তু আমরা অন্যের চোখ নিয়ে ব্যবহার করে থাকি। ঠিক সেই রকমি চুল যদি পড়ে যাই তাহলে সেখানে নতুন ভাবে চুল লাগানো জায়েজ।
কেননা এখনকার যুগে মানুষের খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেখা যাই যে চুল পড়ে যাচ্ছে। চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে। এই সব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এখন মানুষ হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট করাছে। তার পরেও আপনার মনে যদি খুতখুতি থাকে। তাহলে আপনি বড় মানুষের বা কোনো আলিমেরা সাথে যোগাযোগ করে ভালো করে জানতে পারবেন।
হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট এর ক্ষতিকর দিকঃ
হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট এর ক্ষতিকর দিক রয়েছে। আসেন তা জেনে নেওয়া জাকঃ
- প্রক্রিয়া মুল্যঃ হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট করানো সবার জন্য সম্ভব হয় না। কেননা এই হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট খুব দামি হয়ে থাকে। যা মানুষের জন্য একটি অপ্রয়োজনীয় দিক বয়ে আনে।
- সার্জিক্যাল ঝুকিঃ হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট হচ্ছে একটি ডাক্তারের সার্জিক্যাল থ্যারাপি প্রক্রিয়া। যা সব মানুষের জন্য হয় না। যিনি হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট করছেন তার সার্জনের অভিজ্ঞতা ভালো পরিমানে হতে হবে। না হলে মানুষের ঝুকির দিক বয়ে আনবে।
- অস্থিত্বহিনতাঃ হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট অনেক ক্ষেত্রে কিন্তু স্থায়ী হয় না। চুল লাগানোর সময় কোনো ভুল কাজ করলে পর্ণরাই চুল হারানোর ভয় থাকে।
- মানসিক চাপঃ হেয়ার লস যদি হয়ে যায় কোনো কারণ বসত। তাহলে কোনো ধরনের টেনশন বা চিন্তা করা যাবে না। এতে করে মানুষ ভেঙ্গে পড়ে। হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট দেওয়ার সময় নিজের আত্নবিশ্বাস কখনো হারাবেন না।
হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট করতে কতখন সময় লাগেঃ
হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট কি ভাবে করা হয় ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট খরচ কত বাংলাদেশে সেটিও আমরা জেনেছি হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট করানো এত সোজা না সবাই করাতে পারে না ও সব ডাক্তার করতে পারে না এই হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট। আসুন যজেনে নি যে এই হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট করতে কত সময় লাগে...
হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট করতে কতখন সময় লাগে |
- পুরো চুলের হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্টঃ আপনি চাইছেন যে আপনার পুরো চুলের হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট করাবেন এবং কি আপনার পুরো মাথা জুড়ে হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট করিয়ে নতুন চুল গজাবেন তাহলে আপনার সময় লেগে যাবে প্রায় ৬ মাস থেকে ১ বছর। এই সময়ের মধ্যে আপনার চুলের নতুন ভাবে গজানো শুরু করবে। ফলে নতুন চুল উৎপন্ন হবে।
- অংশগ্রহন করা চুলের হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্টঃ আপনার মাথায় যদি চুল থাকে। আর আপনি চাইছেন যে আপনার মাথার যে ফাকা অংশ আছে সে গুলো হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট করাবেন। তাহলে সময় লাগবে প্রায় ৩ মাস হতে ৬ মাস ব্যাপি। ফাকা জাইজায় হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট খুব সহজে হয়ে যায়। যাতে করে সময় ও টাকা কম লাগে।
লেখকের মক্তব্যঃ
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url