চুল গজানোর তেলের নাম আমরা হয়তো সবাই জানি না। চিল কিভাবে নতুন ভাবে গজায় আমরা সেটাও হয়তো ভালোভাবে জানি না। চুল গজানোর বিভিন্ন ধরনের তেল ও ক্যামিকাল পাওয়া যায় বাজারে। কিন্তু কোনটা নিয়ে ভালো হবে সেটা বুঝতে হবে। এর সাথে চুল গজানোর উপায় কি এটাও জেনে নিন?
আসলে হয় কি আমাদের দৌনন্দিক জীবনে আমাদের কিছু ভুল থাকে চুলের সৌন্দর্য হারানোর পিছে। তাই সেই ভুলটি নিয়ে আজকে আমাদের আলোচনা। আসুন শুরু করা যাক?
|
চুল গজানোর তেলের নাম |
ভূমিকাঃ
চুল গজানোর তেলের নাম বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কিন্তু সব তেল আপনাদের চুলের জন্য উপকারিতা আবলম্বন করবে তা কিন্তু না। মাথা থেকে চুল পরাটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু গোসল করার সময় যদি দেখেন যে স্বাভাবিক থেকে অতিরিক্ত চুল পড়ে যাচ্ছে। তাহলে কিন্তু বিষয়টাকে কখনো অবহেলা করবেন না।
কেননা চুল পড়ার মাত্রা বেড়ে গেলে পরে সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। চুল আমাদের মাথার সাথে সাথে মুখ-মন্ডল সুন্দর দেখাতে অনেক কাজে লাগে। টাই চুলকে নিয়ে অবহেলা করবেন না। আজকে আমরা বলবো ৫টি তেলের নাম। যেটা চুলের জন্য বেশ উপকার।
এই সব তেল ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন তেল গুলো পুরোপুরি ভাবে চুলের ফাকে ফাকে গীয়ে পৌচ্ছায়। যাতে করে চুলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে খুব সহজে হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট করা যায়?
- সেসা অয়ুরবেদি তেল। এটি সপ্তহে ৩ - ৪ দিন ব্যবহার যোগ্য।
- বায়োটিক অনিওন ব্লাক স্পীড তেল।
- লুটাস রেড অনিওন তেল।
- হিমালয় আন্টি ব্রেয়াকেজ হেয়ার তেল।
- ওয়াও ব্লাক সীড হেয়ার তেল।
- জোজোবা হেয়ার তেল।
এই সব তেল খুবই উপকার করে থাকে চুল গজানোর জন্য। এই সব তেল ব্যবহার করলে আপনার নতুন ভাবে চিল গজাবে। চুল শক্তিশালী হবে। দেখতে আরো ঘন হবে। এই গুলো হচ্ছে চুল গজানোর উপায়।
চুল গজানোর ঔষুধঃ
চুল গজানোর তেলের নাম এর সাথে সাথে আরো কিছু চুল গজানোর ঔষুধ পাওয়া যায়। যেটি দ্বারা আপনি ও পড়ে যাবা চুলের জাইগাই নতুন ভাবে চুল গজাতে পারবেন। আর হ্যা খেয়াল রাখতে হবে যে চুলের মধ্যে যেন কোনো প্রকার ধুলাবালি না থাকে বা নষ্ট পানি দিয়ে চুল ধুয়া যাবে না। এতে করে চুলের গোড়া নষ্ট হয়ে যায়।
কিছু চুল গজানোর ঔষুধের নাম জেনে নিন...।
- সেলেনিয়াম ঔষুধ।
- জিমক
- ভিটামিন থ্যারাপি
- হরমোন স্থাপন করা
- ফিনাসস্টেরাইড
- মিনক্সিডিল ( Minoxidi ) ইত্যাদি
চুল গজানোর তেল তৈরিঃ
চুল গজানোর তেলের নাম আমরা আগে পড়ে এসেছি। তাই আমরা জানি কোন তেল ব্যবহার করলে আপনাদের চুলের জন্য উপকার হবে। চুল গজানোর তেল তৈরি করতে হলে আপনাকে প্রথমে মিথি ও কালীজিরা ও এর সাথে ২টা পিঁয়াজ নিতে হবে। তার পর যতটুকু তেল বানাবেন সেই পরিমান সরিষার তেল নিয়ে তার মধ্যে ১ চামচ কালিজিরা ও মিথি দিয়ে দিবেন। তার পর হালকা গরম করতে হবে।
|
চুল গজানোর তেল |
তারপর তেল যখন হালকা গরম হয়ে আসবে তখন ২ টা পিঁয়াজ ছিলে কেটে তার মধ্যে দিতে হবে। তারপর হালকা হালকা নাড়তে হবে। পিঁয়াজ গুলো বাদামি হয়ে আসলে তখন তেলটিকে নামিয়ে নিতে হবে। তারপর ভালোভাবে ছেকে একটা বোয়েমে ভোরে রাখতে হবে।
দিয়ে কাজ শেষ। তারপরে তৈরি হয়ে গেল আপনার মাথায় দেওয়া ও চুল সুন্দর করার একটি ন্যাচ্রাল তেল। এই তেল আপনি স্পতাহে ৩ থেকে ৪ দিন ব্যবহার করতে পারবেন।
চুল গজানোর তেলের নাম ছেলেদেরঃ
চুল গজানোর তেলের নাম ও চুল গজানোর উপায় বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে একটু আলাদা হয়। কেননা ছেলেদের চুল মেয়েদের তুলোনায় ছোট হয়ে থাকে এবং কি মেয়েদের থেকে ছেলেদের চুলের হরমোন কম পরিমানে থাকে। তাই অনেক সময় দেখা যায় যে ছেলেদের চুল পড়া সমস্যায় ভোগতে হয়।
চুলকে যত্ন নিতে হলে চুলকে সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। চুলের মধ্যে কোনো প্রকার ধুলাবালি যেন না থাকে। সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। চুল গজানোর কিছু তেলের নাম...।
- খাদি ন্যাচ্রাল ভ্রিংরাজ তেল।
- ক্যাস্টর তেল
- মামা আর্থ হেয়ার তেল।
- আরগান হেয়ার তেল
- নারিকেল তেল ইত্যাদি।
ছেলেরা এই গুলো তেল ব্যবহার করলে তাদের মাথা থেকে চুল পড়া কমে আসবে। মাথায় চুল আর ঘন হবে। চুল দেখতে আরো সুন্দর লাগবে।
চুল গজানোর ট্যাবলেটঃ
চুল গজানোর তেলের নাম আমরা হয়তো সবাই জানি না। চুল কিভাবে নতুন ভাবে গজায় আমরা সেটাও হয়তো ভালোভাবে জানি না। চুল গজানোর বিভিন্ন ধরনের তেল ও ক্যামিকাল পাওয়া যায় বাজারে। কিন্তু কোনটা নিয়ে ভালো হবে সেটা বুঝতে হবে। এর সাথে চুল গজানোর উপায় কি এটাও জেনে নিন?
|
চুল গজানোর ট্যাবলেট |
তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক কিছু চুল গজানোর ট্যাবলেটের নাম...।
- ভিটামিন এভিওন ৪০০
- মিনোট্রেস ৫ শতাংশ
- মিনোকেম ৫ শতাংশ স্প্রে
- রেগাইওন ৫ শতাংশ সলিউশোন
- লনিট্যাব ১০এম জী ট্যাবলেট
এই গুলো ত্যাবলেট আপনি ব্যবহার করলে আপনার নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
চুল গজানোর উপাই কিঃ
চুল গজানোর উপাই বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। চুল গজানোর জন্য আপনাকে প্রথমে ভাবতে হবে যে কিসের জন্য আপনার চুল পড়ে যাচ্ছে। যদি স্বাভাবিক ধরনের চুল পড়ে তাহলে আপনি ঘরে বসে চুল গজানোর তেল তৈরি করতে পারবেন। কিছু কিছু উদ্ভিত জনিত জিনিস লাগবে। তাহলে আপনি তেল তৈরি করতে পারবেন। যেমন মিথি,কালিজিরা,পিয়াজ ইত্যাদি।
এই সব জিনিস দিয়ে তেল তৈরি করে মাথায় ব্যবহার করুন। তাহলে দেখবেন যে আপনার মাথায় নতুন ভাবে চুল গজাতে শুরু করেছে।
চুল যত্ন নেওয়ার প্রদ্ধতিঃ
চুল গজানোর তেলের নাম জেনে আপনি অব্যশই তেল ব্যবহার করেছেন। এবার জেনে নিন যে আপনার সুন্দর চুলকে যেভাবে আপনি যত্ন নিবেন তার কিছু বায়োডেটা...।
- গোসল করার পর চুলকে ভালোভাবে মুছে নিবেন।
- তারপর ৫ - ১০ মিনিট বাতাসে চুল শুকাবেন।
- শুকানোর পর হালকা করে চুলকে আচড়িয়ে নিবেন।
- চুল আচড়ানো সময় খেয়াল রাখবেন যেন চুলে বেশী পরিমানে টান না লাগে।
- সোয়াবিন, মটরশুট্টি, বাদাম খাবারের মধ্যে ক্যাস্টরয়েল থাকে। যেটি চুলের জন্য ভালো।
- প্রতিদিন আপনাকে চুল পরিষ্কার ও চুলকে যত্ন করতে হবে।
- চুল শক্ত রাখার জন্য পিয়াজের রস ব্যবহার করতে পারবেন।
- সময় সময় চুলে মেহেদি পিসে দিবেন। এতে করে চুল ন্যাচ্রাল দেখায়।
- নিম পাতার রস চুলে দিলে চুলের উকুন ও বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
চুল সিল্কি করার শ্যাম্পঃ
আমরা যখন চুলের শ্যাম্পুর কথা ভাবি। তখন আমরা কনফিউস হয়ে যায় যে। কোন শ্যাম্পু কিনলে আমাদের চুলের জন্য ভালো হবে। চুলের পরিমান জেনে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। কোনো জিনিস অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত না। তাই আসুন জেনে নি যে চুল গজানোর কিছু শ্যাম্পুর নামঃ
- সানসিল্ক শ্যাম্পু
- প্যারাসিট ন্যাচ্রাল শ্যাম্পু
- খিনিকপ্লাস শ্যাম্পু
- ডাভ শ্যাম্পু
- ক্লেয়ার মিন শ্যাম্পু
এই সব গুলোর মধ্যে চুলে সুন্দর করে তোলে ডাভ শ্যাম্পু ও ক্লেয়ারমিন শ্যাম্পু।
আসলে হয় কি আমাদের দৌনন্দিক জীবনে আমাদের কিছু ভুল থাকে চুলের সৌন্দর্য হারানোর পিছে। তাই সেই ভুলটি নিয়ে আজকে আমাদের আলোচনা। আসুন শুরু করা যাক?
চুল বাধার ডিজাইনঃ
|
চুল বাধার ডিজাইন |
চুলকে সব সময় আপনেরা সাধারণ ভাবে ডিজাইন করার চেষ্টা করবেন। কেননা এখন বেশীর ভাগ দেখা যাই যে ( Common Style ) সবাই ব্যবহার করে থাকে। চুলে ডিজাইন হোক বা চুলকে খোপা দিয়ে বাধেন। নরমাল ভাবে একটা এমন ডিজাইন দিবেন যাতে করে সবাই আপনার দিকে তাকাতে বাধ্য হয়।
|
চুল বাধার ডিজাইন |
চুল কাটার স্টাইলঃ
|
চুল কাটার স্টাইল |
চুল হচ্ছে বর্তমানে ছেলেদের জন্য তার সৌন্দযের একটা প্রতীক হয়ে দাড়ায়। চুল ছাড়া ছেলেদের মুখ-মন্ডল ভালো লাগে না। তাই ফেস্কে গ্লো করতে চুল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পিছে ছোট আর উপরে হালকা বড়। এই টপ হেয়ার স্টাইল দেখতে খুব ভালো লাগে।
চুলের খুসকি বা চুলকানি থেকে মুক্তিঃ
আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের যেমন ব্যাক্টেরিয়া থাকে। ঠিক তেমনি আপনাদের চুলে থাকতে পারে বিভিন্ন ধরনের উকুন্স বা পিম্পালস যেটি আপনাদের চুলের বিভিন্ন দিক দিয়ে ক্ষতি করে থাকে। যার কারণে চুলে অনেক সময় খুসকি আকৃতির হয়ে যায়। তাই চুলে যদি খুসকি বা চুলকানি শুরু করে। তাহলে আপনেরা নিয়মিত চুলে শ্যাম্পু ও নারিকেল তেল ব্যবহার করবেন।তেল দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যেন তেল চুলের গোড়াওব্দি পৌঁছায়। এতে করে চুল নরম ও ভালো থাকে।
লেখকের মক্তব্যঃ
চুল গজানোর তেলের নাম ও চুল গজানোর উপায় আপনেরা হয়তো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। চুল এমন একটা জিনিস যে নিজের স্টাইল ও মুখ- মন্ডম সুন্দর করে তোলে। যার যেমন পছন্দ হয়। সে সেই ভাবে চুল কাটাতে পারে চুল হচ্ছে একটা হাসির কারণ।
তাই আসা করি আমার এই ব্লাগ পরে আপনেরা চুল সমন্ধে সব কিছু বুঝতে পেরেছেন। আপনাদের যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে
www.stylishsm.com লিঙ্কে ভিজিট করতে পারেন।
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্ট্যলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url